![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ত্রুটিপূর্ণ শাসন ব্যবস্থার ফলে প্রতি নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যায় । আগামীতে যাতে এরকম সংঘাত না হয় তার জন্য আমি দুই স্তরীয় এক শাসন পদ্ধতির খসড়া প্রস্তুত করেছি । আমার বিশ্বাস সকল পক্ষের কাছে এই নতুন শাসন পদ্ধতি গ্রহনযোগ্য হবে ।
দুই স্তরের শাসন ব্যবস্থার একটি হবে স্থায়ী সরকার যেটি রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে ''সুপ্রিম কাউন্সিল'' নামে হবে এই স্থায়ী সরকার অসংস্কারযোগ্য হবে । ও দ্বিতীয় স্তর হবে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে ৫ বছরেরজন্য অস্থায়ী দলীয় সরকার, যেমনটি বর্তমানে রয়েছে । ব্যাতিক্রম হবে শুধু দলীয় সরকারের কিছু দফতর সুপ্রিম কাউন্সিলের হাতে দিয়ে দিতে হবে । বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হলো ।
সুপ্রিম কাউন্সিল
১- পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি মনোনিত হবেন যাঁর কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারবে না । রাষ্ট্রপতির বয়স হতে হবে ৭০ বছর বা তারও অধিক । সুপ্রিম কোর্টের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি, সেনা কর্মকরতা, কবি-লেখক, অধ্যাপক, প্রাক্তন স্পিকার, কূটনৈতিক, অর্থনীতিবিদ, নির্দলীয় সরকারি কর্মকর্তা প্রমুখদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি মনোনিত করতে হবে । বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পূর্ণহওয়ার পর নির্দলীয় রাষ্ট্রপতি নিয়োগ পাবেন ।
২- সুপ্রিম কাউন্সিলের ৩০ জন সদস্যের মধ্যে ১৫ জন নারী সদস্য থাকবে । যাঁদের চার জন অমুসলিম থাকবেন- একজন চাকমা বা বৌদ্ধ বাকি তিনজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য থেক হতে হবে । এই সদস্যদের বয়স ৬৫ বা তার উর্ধ্বে হতে হবে । সমাজের নির্দলীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্য থেকে সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনিত করতে হবে । দলীয় সরকার দ্বারা পাশ করা আইনসহ সকল বিল সুপ্রিম কাউন্সিলে সর্ব সম্মতিক্রমে পাশ হলে পরে তা রাষ্ট্রপতি অনুমদন করবেন ।
৩- আইন মন্ত্রনালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, নির্বাচন কমিশন, দুদক, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার সুপ্রিম কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।
৪- আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কাউন্সিলের কাছে থাকলেও আইন প্রনয়নের অধিকার দলীয় সরকারে কাছেই থাকবে ।
৫- জাতীয় সংসদের প্রধান স্পিকার সুপ্রিম কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রনে থাকবেন এবং স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি মনোনিত করবেন ।
৬- দলীয় সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করাবেন । এই তিন মাস সুপ্রিম কাউন্সিল দেশ পরিচালনা করবে । তবে তিন মাসের মধ্যে দলীয় সরকারে কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাষ্ট্রপতি বাধ্য থাকবেন । যদি না করেন তাহলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ । সেই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতিকে বরখাস্ত করে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করবেন এবং ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন ।
৭- সুপ্রিম কাউন্সিলের কাজ হবে শুধু সরকারের ওপর নজর রাখা, দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দলীয় সরকারকে বিভিন্ন কাজের অনুমোদন দেওয়া ।
৯- সুপ্রিম কাউন্সিল ও সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মাননতে বাধ্য থাকবে এবং সুপ্রিম কাউন্সিল ও দলীয় সরকার-এর সকল কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সকল ছবির উর্ধ্বে টানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে । দেশের শান্তি ও জাতীয় ঐক্যের জন্য এই কাজটি আমাদের করতে হবে ।
১০- স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু প্রথমে দিলেও মিডিয়াতে সরাসরি জিয়াউর রহমানই প্রথম দিয়েছিলেন তাই জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার মিডিয়া ঘোষক হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে । দেশের শান্তি ও জাতীয় ঐক্যের জন্য এই কাজটি আমাদের করতে হবে ।
১১- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে । যাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য এত সংগ্রাম করলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কটুক্তি হবে ? এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য বড়ই লজ্জার ।
এই খসড়াটি সংশোদন করে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ থেকে পাশ করিয়ে এটিকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । এবং তার পর নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে অবিলম্বে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫০
এস. দেওয়ান বলেছেন: দেশের অবস্থা দেখে তো চুপ থাকতে পারছি না তাই লিখে ফেললাম । কেন নিরপেক্ষ হয়নি ?
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৪
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: এমুহুর্তে একেবারেই সম্ভব না এসব, কারন নিরপেক্ষ পাবেন কাকে? রাজাকারের বিচার নিয়ে পর্যন্ত বিভক্ত এই জাতি, সেখানে নিরপেক্ষতা!!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪১
এস. দেওয়ান বলেছেন: নিরপেক্ষ কেউ না থাকলেও নীতিবান মানুষ অনেক আছে । দলীয় পরিচয় নেই এমন মানুষ হলেই তো চলে ।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০১
নব ভাস্কর বলেছেন: "মিডিয়া ঘোষক" নতুন কনসেপ্ট। ভাল লাগলো।
ভাল ফর্মুলা। সমস্যা হল উদ্যোগটা কবে, কারা, কিভাবে নেবেন?
রাষ্ট্র তো আমরাই চালাই। আমরা কি ভাল? আমাদের ভাল হওয়ার ফর্মুলা কি? আমরা ভাল না হলে কোন ফর্মুলা সফল হবে কি?
তারপরে তো আবার ওয়াশিংটন, মস্কো, করাচি, নয়াদিল্লি-র দালাল ভরা এই দেশ।
ক'জন আছেন ঢাকা তথা বাংলাদেশের দালাল?
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৬
এস. দেওয়ান বলেছেন: এই ফর্মুলাটিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি দূটো দলেরই স্বার্থ আছে । বিএনপি তো এমনই একটা কিছু চাইছে । আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে যাতে প্রতিশোধ নিতে না পারে তার জন্য আওয়ামী লীগেরও এমন একটি পদ্ধতির প্রয়োজন । এবং এতে জাতীয় স্বার্থও রয়েছে ।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
" রাষ্ট্রপতির বয়স হতে হবে ৭০ বছর বা তারও অধিক । "
-মরে গেছে এ রকম একজন ভালো মানুষকে প্রেসিডেন্ট বানালে ভালো হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩১
এস. দেওয়ান বলেছেন: আসলে ঐ বয়সে গুন্ডা বদমাশও ভালো হয়ে যায় তাই এমন একটি বয়সের আবেদন করলাম । এখতেই পারছেন কম বয়সী নেতারা কত ষড়যন্ত্র করে বেড়ান ।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩০
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: দলীয় পরিচয় নেই, কিন্তু রাজাকারের ফাসির পক্ষে একটা স্টেটমেন্ট দিলেই তাকে আওয়ামিলীগের দালাল বলা হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৬
এস. দেওয়ান বলেছেন: কত জনই কত কথা বলে তাতে কি হয় ? যে সত্য আর ন্যায়-এর পক্ষে থাকবে তাকে কেউই লক্ষ্য ভ্রষ্ট করতে পারবে না ।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:২৬
স্পাইক্র্যাফট বলেছেন: আপনি হয়তো ন্যায়ের পথেই থাকবেন, কিন্তু আপনাকে পছন্দ না হলে খুব সহজেই বিতর্কিত করে তুলতে পারবে এই সমাজ। আমার মাথায় শুধু একটা জিনিসই ঘুরে, ৪০ বছরের বিভেদ, এত সহজে শেষ হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৩
তিক্তভাষী বলেছেন: ফালতু কীসব না লিখে শাসনতন্ত্রে লিখুন যে, 'দেশটা আ্ওয়ামীদের কাছে মৌরসিপাট্টা দিয়ে দেয়া হলো'। তাহলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।