নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ht

স্টকহোম

স্টকহোম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বে বাংলাদেশিরা সুখী হওয়ার ২০ কারণ

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

বিশ্বে সবচেয়ে সুখী হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশীদের। এর গোড়ায় আছে কতোগুলো অবিশ্বাস্য ও মজাদার কারণ। কারণগুলো আপনি জেনে যারপরনাই অবাক হবেন। জাতীয় জীবনে হাজার সমস্যা থাকার পরও সহজ-সুন্দর ও সাধারণ জীবন যাপন বাংলাদেশীদেরকে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সুখী জাতি হিসেবে পরিণত করেছে।



অনেক গবেষণা (!) করে বাংলাদেশিদের সহজ-সুন্দর, হাসি-খুশী জীবনের ২০টি কারণ তুলে এনেছেন তাসরিকুল ইসলাম নিবিড়।



১। ছাদে সন্ধ্যাবিলাস



বাড়ির একটা ছাদ থাকলে বিকেল কাটানোর জন্য আপনার দামি কোনো লাউঞ্জ বা ক্লাবের দরকার নেই। ছাদেই কেটে যাবে আপনার সুন্দর বিকেল আর বিষন্ন সন্ধ্যা।



২। ‘টং –এর দোকান’



রাস্তার পাশের টং দোকানে কী নেই? চা, সিগারেট, পানি, কলা বিস্কুট, বনরুটি তো আছেই, সাথে আছে সময় কাটানোর রঙ্গিন টিভি!



৩। ‘মাথা বানানো’



সারা দুনিয়ায় ‘মাথা বানানো’ বুঝি বাংলাদেশেই পাওয়া যাবে। এর জন্যে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না। পাড়ার সেলুনে চুল কাটালে ঘাড়, শরীর, মাথা সব ‘বানিয়ে’ দেবে নাপিত ‘মামা’!



৪। সবকিছুই মেরামতযোগ্য



সারাবিশ্ব যেখানে ‘ওয়ান টাইম ইউজ’-এর দিকে ঝুঁকছে, সেখানে বাংলাদেশে আপনি চাইলেই যেকোনো কিছু রিপেয়ার করতে পারবেন। সুতরাং ফেলে দিয়ে লাভ নেই। মেরামত করুন, টাকা বাঁচান। তারপর দিন সংসারের কাজে লাগিয়ে।



৫। রিক্সা



গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বালাই নেই, সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টাই রিক্সা বাংলাদেশিদের প্রিয় বাহন। ছোটো-বড়ো সবার প্রিয় এই ঐতিহ্যবাহী বাহন জীবনকে করে তুলেছে আরো সুন্দর।



৬। বৃষ্টিতে ভেজা



হাজার টাকা খরচ করে সুইমিং পুল বা ঝর্ণায় ভিজতে পারেন কিন্তু গ্রীষ্মের গরমে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ আপনি কোথায় কিনতে পাবেন?



৭। ফুটপাতের খাবার



জিভে জল আনা হাজারো খাবারের দোকান পাবেন ফুটপাতে। অল্প দামে অতুলনীয় খাবারের স্বাদ কেবল এই ফুটপাতেই সম্ভব।



৮। দামদরের স্বাধীনতা



‘ফিক্সড প্রাইস’-এর যুগে দামদর বাংলাদেশে একটা আর্ট। যা বিশ্বের আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখানে সুঁই থেকে শুরু করে গরু, জুয়েলারি সব কিছু কিনতেই দাম নিয়ে ‘ক্যাচাল’ করতে পারবেন!



৯। বাস্তব গেম



বাংলাদেশে আপনি যে খেলাধুলাগুলো দেখতে পাবেন, বাজি ধরে বলতে পারি এক্সবক্স বা পিএসথ্রী থেকে তা অনেক উত্তেজনাপূর্ণ।



১০। আড্ডা

[

আড্ডা এখানে জীবনেরই একটা অংশ। হেন কথা নেই যা আড্ডাতে উঠে আসবে না। পাশের বাড়ির ষোড়শী থেকে রাজনীতির হাতি-ঘোড়া সব মারা পড়ে এই আড্ডাতে!



১১। ক্রিকেট



ক্রিকেট বাঙ্গালীদের রক্তে মিশে আছে। জাতীয় ক্রিকেট দলের কোনো একটি জয় যেভাবে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক করে দেয় তা আর কোনো কিছুর মাধ্যমে সম্ভব কিনা সন্দেহ আছে। জন্মগতভাবেই বাংলাদেশিরা জাতীয় ক্রিকেট দলের ফ্যান!



১২। হোম ডেলিভারি



উন্নত বিশ্বে অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশিদের আছে ‘হকার’ সুবিধা। দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য প্রায় সবকিছুই তারা পৌঁছে দেবে একেবারে আপনার বাসার দোরগোড়ায়।



১৩। গাড়িতে আরোহণ



ঘুরতে যাওয়ার জন্য দলবেঁধে গাড়িতে বা রিক্সায় উঠতে যে আনন্দ বাংলাদেশিরা পায় তা বিএমডব্লিউ বা মার্সিডিজে পাওয়া সম্ভব না।



১৪। হাত দিয়ে ভাত



ভাতের সাথে ডাল মাখিয়ে হাত দিয়ে মুখে পুরার যে আনন্দ তা কি চামচ বা কাঠিতে পাওয়া যাবে? ১০০% গ্যারান্টি!



১৫। বাংলা সিনেমা



ব্লকবাস্টার বাংলা সিনেমার সাথে আর কিছুর তুলনা চলে না। আপনি যদি সিনেমা নাও দেখেন, সিনেমার নামই আপনার দিনটাকে আনন্দময় করার জন্য যথেষ্ট!



১৬। ধূমপানে বন্ধুত্ব!



ধূমপায়ীরা বাংলাদেশে কখনোই নিঃসঙ্গ নয়। রিক্সাওয়ালা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়া ‘সাহেব’ও এই একটি ক্ষেত্রে মিলেমিশে একাকার। সিগারেটের আগুন চাইতে গিয়ে কতো যে বন্ধুত্ব হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই!



১৭। চিন্তামুক্ত ঘুম



‘যেখানে রাইত, সেখানেই কাইত’–বাংলাদেশিদের জন্য ধ্রুবসত্য। ছবিতে দেখুন, এমন চিন্তামুক্ত ঘুম পৃথিবীর আর কোথায় আছে?



১৮। উপলক্ষ উদযাপন



সাংস্কৃতিক, জাতীয় কিংবা ধর্মীয়, যেকোনো উৎসবেই বাঙ্গালিকে পাবেন প্রাণবন্ত ফুরফুরে মেজাজে। জীবনের যেকোনো দুঃখবোধ এখানে অসহায়।



১৯। একান্নবর্তী পরিবার



পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের মাঝে এমন পারিবারিক বন্ধন শুধু বাংলাদেশেই পাবেন। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে ঘরে ফিরেই পরিবারের হাসি দূর করে দেয় সমস্ত ক্লান্তি। জীবনটাকে করে তোলে ‘বিউটিফুল’।



২০। জাতীয় পতাকা



সবকিছুর উপরে জাতীয় পতাকা। দেশের পতাকায় একবারের দৃষ্টি বাংলাদেশীদের হৃদয়কে ভরিয়ে তোলে গভীর দেশপ্রেমে।

কৃতজ্ঞতাঃ পরিবর্তন

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: এগুলো আপনার আবিষ্কার হতে পারে। সুখী জাতির মধ্যে এদেশ নেই তবে ভয়ংকর দুর্ণীতিবাজ দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা তা আছে। সুখী দেশের মধ্যে নরওয়ে ডেনমার্ক, কানাডা, সুইজারল্যান্ড এসব উল্লেখযোগ্য। পোষ্ট সুন্দর! ছবিগুলো চমৎকার!

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

স্টকহোম বলেছেন: সুখের ডেফিনেশন তো, কালার এলসিডি টিভি, হাইস্পীড ইন্টারনেট, এ্যাপেল ফোন,গাড়ী কিংবা ফ্যাশনেবল কাপড় হতে পারে না।
সুখী হতে ডেনমার্ক, সুইডেন, কানাডা থাকতে হবে না। আমাকে একবার এক সুইডিশ বাংলাদেশ ঘুরে এসে বলেছিল, "আমাদের সবকিছু থাকার পরও কেন তোমাদের মতো প্রানখুলে হাসতে পারি না? আর বাংলাদেশে মানুষের এতো কস্ট-অভাবের পরও মানুষ কি করে প্রান খুলে হাসে??"
-এখন বুঝুন ....।

২| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: ভালো লাগল, বাংলাদেশী হিসেবে গর্ববোধ হচ্ছে। পোস্টে ++

৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

সোজা কথা বলেছেন: টং, মেরামত, রিক্সা, দরদাম -অসাধারণ গবেষণা ভাই!!!

০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

স্টকহোম বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

মহিদুল বেস্ট বলেছেন: দারুন সব পয়ন্ট! আমার মাথায় আরো কিছু আসছে...

০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

স্টকহোম বলেছেন: ধন্যবাদ, লিখুন।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দারুণ !
সুখ পেলাম লেখাটি পড়ে। ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ। ধন্যবাদ, স্টকহোম।

০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

স্টকহোম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দারুন আইডিয়া , দারুন পোষ্ট !!!

০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

স্টকহোম বলেছেন: মুদ্‌দাকির@ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার Shalom এর ছবি টা আপনার ইনফোর সাথে ম্যাচ করছে না।
"সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে ****"
এটাই লিখেছেন আপনি।
Shalom হলো ইহুদিদের, আর এই Shalom সহ পাচ কোনার ২ ত্রিভুজের তারকাটাও ইহুদিদের সিম্বল। উইকি দেখুনঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Shalom
যতদূর বুঝতে পেরেছি, আপনি একজন মুসলিম এবং ধর্মভীরু।
Shalom আর আমাদের সালাম.....। কেমন যেন লাগে!
Click This Link
সরি, যদি আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকি!

৭| ০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

জিনিসটা জেনে বুঝেই করা but thanks for your concern,

সালোমের উদ্দেশ্য সিমিলারিটিটা দেখানো কারন অর্থ একেবারেই এক, আর star of David pbuh আমার প্রিয় একটা shape যা ইহুদিরা নিজেদের চিহ্ন হিসেবে দখল করে নিয়েছে মাত্র সপ্তদশ শতাব্দীতে, ওরা যাই দখল করবে তাইকি তাদের বলে মেনে নিতে হবে ???? ওরা star of David pbuh আগে কখনোই নিজেদের চিহ্ন হিসাবে ব্যাবহার করে নাই অথচ হযরত দাউদ আঃ এর সময় থেকেই চিহ্নটা আমাদের জানা আছে!!!!

৮| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যতই উপরে উঠি না কেন গোপের হোটেলের সেই চিরচেনা পরিবেশ আর সামনের টংএর চটপটি এখনো মন ছুয়ে যায়।। যে যাই মনে করুক না কেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.