নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রশ্ন ধর্মের নয়, প্রশ্ন হোক কর্মের। প্রশ্ন জাতের নয়, প্রশ্ন হোক ভাতের। সহনশীলতার আচ্ছাদনে গড়ে উঠুক সুন্দর মন, রঙ ছড়িয়ে যাক ভালোবাসার, হৃদয় থেকে হৃদয়ে, এ তাবৎকালের রক্তের দাগ মাখা প্রান্তর ছাড়িয়ে, বহু বহু দূরে। ❤️❤️❤️

চুরি যাওয়া আগুন...

মানবতার জয় হোক আর কিছু চাই না...

চুরি যাওয়া আগুন... › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমাবস্যার কালো রাতে মনের দরওয়াজা খোলে... (একটি মনখারাপ করা হিন্দি কবিতার বাংলা অনুবাদ..)

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:২২

একটি হিন্দি কবিতা হিন্দি উচ্চারনে কিন্তু বাংলা ফন্টে লিখেছিলাম "মাবস কি কালি রাতো মে, দিল কা দরওয়াজা খুলতা হ্যায় (একটি মনখারাপ করা হিন্দি কবিতা) "।



পাঠকদের প্রবল আপত্তিতে ও দাবিতে সেটিকে বাংলায় অনুবাদ করে দিলাম। ঠিক লাইন বাই লাইন বঙ্গানুবাদ করিনি। একটু ভাবার্থ লেখার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে মাপ করবেন আর গঠনমুলক সমালোচনার আহ্বান করছি...





-------------------------------------------------------------------

অমাবস্যার কালো রাতে

মনের দরওয়াজা খোলে।

যখন ব্যাথার পেয়ালা

দুখঃ ও চোখের জলের সাথে থাকে।

যখন পিছনের কামরায়

আমি শুধুই একা থাকি

শুধুই একা।

যখন ঘড়ি টিক টিক করে চলে,

সবাই ঘুমায়, আমি জাগি।

যখন বারবার মনে করতে করতে

সমস্ত স্মৃতিগুলোই ভুলে যাই।

যখন উচু নিচু বোঝাতেই

মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যায়,

তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া

তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া,

বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।

আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,

মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।





যখন ঘর* শুন্য মনে হয়

যখন সবকিছুই আমাকে প্রশ্ন করতে থাকে।

যখন সুন্দর গজলগুলোও মজা দিতে পারে না

যখন ভালবাসার কথাগুলি কালো বলে মনে হয়।

যখন অবশিষ্ট রোদ জলে ভেজা দিন

তাড়াতাড়ি চলে যায়।

যখন সুর্যের রশ্মি

ছাদ দিয়ে গলি দিয়ে দেরি করে যায়।

যখন তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরার ইচ্ছা

মনের মধ্যেই মরে যায়।

যখন কলেজ থেকে ঘরে ফেরার

প্রথম বাস ছুটে যায়।

যখন আনমনে খাবার খাওয়ায়

মা রেগে যায়।

যখন নিজের মনের চাওয়া কোন কাজ

বাধ্যবাদকতা বলে মনে হয়।

তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া,

বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।

আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,

মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।



যখন ঘরে শুন্যতার আওয়াজ শোনা যায়

যখন আয়নায় চোখের নিচে ছায়া দেখা যায়।

যখন বড় বৌদি বলে,

নিজের শরীরে দিকেও একটু খেয়াল করো!

কি লেখ সারা দিন,

নিজের স্বপ্নেরও সম্মান করো!

যখন বড়দের বৈঠকে,

কেউ সম্মন্ধ নিয়ে আসেন।

আমি যাই, ঘাবড়াই।

যখন শাড়ি পড়া একটি মেয়ের

ফটো নিয়ে আশা হয়

যখন বৌদি আমাকে বোঝান

ফটো দেখান হয়।

যখন আমাকে সব ঘটনা বোঝানো

হাস্যকর বলে মনে হয়

তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া,

বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।

আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,

মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।



দিদি বলেন ওই পাগলি মেয়ের

কোন যোগ্যতা নেই।

ওর মনে ভাই,

তোর মত ভালবাসার ছোঁয়া নেই।

ওই পাগলি মেয়ে আমার জন্য

নয় দিন না খেয়ে থাকে।

চুপি চুপি আমার জন্য

সমস্ত ব্রত করে।

কিন্তু আমাকে কখনও বলে না,

যে আমি তোমাকে ভালবাসি।

কিন্তু আমি খুব বাধ্য

মা বাবাকে ভয় পাই।

আমার ওই পাগলি মায়ের উপর

কোন অধিকার নেই বাবা,

এই কথা কাহিনি কিসের জন্য

এসব তো অর্থহীন বাবা।

শুধু ওই পাগলি মেয়ের সঙ্গে বাঁচা,

ফুলের মতো মনে হয়।

আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,

মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।



--------------------------------------------------------------------

* আসলে "কোটে" কথাটির অর্থ হল বেশ্যালয়। কবিতাটির সৌন্দর্যের খাতিরে অর্থ বদলাতে হল।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪১

নাঈম আহমেদ বলেছেন: khub vhalo laglo.thank u so much.but mon ta kharap hoye galo akta pagli meaer kotha mone kore,jake sara mritto k osombov mone hoy.

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২১

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশা করি সেই পাগলি মেয়ে যেন সারা জীবন আপনাকে পাগল বানায়। শুভেচ্ছা রইল...

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৭:৩৫

আবু সালেহ সুমন বলেছেন: হু, সবইতো বুঝলাম, তা পাগলি মেয়েটি বুঝি শেষ পর্যন্ত অাপনার মাথাটাও পাগল করে ছেড়েছে!!

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩৫

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: চমৎকার কবিতা ভাই। সত্যিই মন খারাপ করে দেয়। তবে অনুবাদ টা আরো একটু ভালো হলে ভালো লাগত! যাই হোক, সুন্দর একটা পোষ্ট। ++++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০২

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: ধন্যবাদ হোসেনভাই মন্তব্যের জন্য। আসলে কি বলুন তো, যদি বাংলায় ভাবার্থ করে লিখতে যাই তাহলে হিন্দি শব্দার্থ থেকে একদম সরে আসতে হয়, আবার যদি শুধুই শব্দার্থ অনুবাদ করি তাহলে একদম কাট্টাখোট্টা শোনায়। তাই দুইয়ের মাঝে থেকে কিছু একটা দাড় করানোর চেষ্টা করেছি। অবশ্য স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে অনুবাদ শিল্পে এ অধমের দক্ষতা নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ভালো থাকবেন হোসেনভাই...

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২২

এরশাদ বাদশা বলেছেন: + দিয়েছি। তবে সত্যি বলতে কি, আপনি আর একটু সময় নিয়ে আরো ভেবে করলে কবিতাটা হিন্দির খোলস ছেড়ে সম্পূর্ন বাংলায় মোড় নিতো। কিছু কিছু জায়গায় একেবারে স্ট্রেইট অনুবাদের মতো লেগেছে। তারপরও পুরো চেষ্টাটাকে অবশ্যই সাধুবাদ। চালিয়ে যান।

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৭

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। বাদশাভাই কোন কোন জায়গায় পরিবর্তনের দরকার যদি বলেন খুব ভাল হয়। নিশ্চই চেষ্টা করব। আসলে কি বলুন তো, যদি বাংলায় ভাবার্থ করে লিখতে যাই তাহলে হিন্দি শব্দার্থ থেকে একদম সরে আসতে হয়, আবার যদি শুধুই শব্দার্থ অনুবাদ করি তাহলে একদম কাট্টাখোট্টা শোনায়। তাই দুইয়ের মাঝে থেকে কিছু একটা দাড় করানোর চেষ্টা করেছি। অবশ্য স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে অনুবাদ শিল্পে এ অধমের দক্ষতা নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৩১

এরশাদ বাদশা বলেছেন: যখন বারবার মনে করতে করতে
সমস্ত স্মৃতিগুলোই ভুলে যাই।

এ দুটো লাইন এরকম হতে পারে-

যখন ফেরারী স্মৃতিগুলো খোঁজার
ব্যর্থ চেষ্টা করি,




যখন উচু নিচু বোঝাতেই
মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যায়,

যখন হিসাবের খাতা খুলি,
শূন্যতা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়।


আমি আবারো পুরো কবিতাটা পড়লাম। ভালো লেগেছে। বেশি চেঞ্জ করার দরকার নেই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৫

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশাভাই। দারুন দারুন দারুন হয়েছে আপনার লাইনদুটির অনুবাদ। আপনাকে প্লিজ পুরো কবিতাটির অনুবাদ করে দিন...

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৮

এরশাদ বাদশা বলেছেন: আমাবস্যারা কালো রাতে,
মনের দরোজা খোলে
যখন ব্যাথার পেয়ালা
দুঃখ ও অশ্রুজলে লেপ্টে থাকে।
যখন চিলেকোঠায় আমি একা থাকি,
শুধু একা।
যখন মধ্যরাতেও টিক টিক শব্দে
সময় এগিয়ে চলে,সবাই ঘুমে অচেতন।
যখন ঘড়ি টিক টিক করে চলে, শুধু আমি জেগে।
যখন ফেরারী স্মৃতিগুলো খোঁজার ব্যর্থ
যখন হিসাবের খাতা খুলি,
শূন্যতা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়।
তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া
বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।
আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,
মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।

যখন ঘর* শুন্য মনে হয়
যখন সবকিছুই আমাকে প্রশ্ন করতে থাকে।
যখন সুন্দর গজলগুলোও অর্থহীন মনে হয়।
যখন ভালবাসার কথাগুলিকে মনে হয় কপটতা।
যখন অবশিষ্ট রোদ জলে ভেজা দিন
তাড়াতাড়ি চলে যায়।
যখন সুর্যের রশ্মি
ছাদ দিয়ে গলি দিয়ে দেরি করে যায়।
যখন তাড়াতাড়ি ঘরে ফেরার ইচ্ছা
মনের মধ্যেই মরে যায়।
যখন কলেজ থেকে ঘরে ফেরার
প্রথম বাস ছুটে যায়।
যখন খেতে বসে আনমনা হই।
মা রেগে যায়।
যখন নিজের মনের চাওয়া কোন কাজ
বাধ্যবাদকতা বলে মনে হয়।
তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া,
বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।
আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,
মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।

যখন ঘরে শুন্যতার আওয়াজ শোনা যায়
যখন আয়নায় চোখের নিচে ছায়া দেখা যায়।
যখন বড় বৌদি বলে,
নিজের শরীরে দিকেও একটু খেয়াল করো!
কি লেখ সারা দিন,
নিজের স্বপ্নেরও সম্মান করো!
যখন বড়দের বৈঠকে,
কেউ সম্মন্ধ নিয়ে আসেন।
আমি হতচকিত হই।
যখন শাড়ি পড়া একটি মেয়ের
ছবি নিয়ে আশা হয়
যখন বৌদি বলে,
দেখোতো একে।
এ সব কিছুই অর্থহীন মনে হয়।
তখনই একটা পাগলি মেয়েকে ছাড়া,
বেচে থাকা বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হয়।
আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,
মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।

দিদি বলেন ওই পাগলি মেয়ের
কোন যোগ্যতা নেই।
ওর মনে ভাই,
তোর মত ভালবাসার ছোঁয়া নেই।
ওই পাগলি মেয়ে আমার জন্য
নয় দিন না খেয়ে থাকে।
চুপি চুপি আমার জন্য
সমস্ত ব্রত করে।
কিন্তু আমাকে কখনও বলে না,
যে আমি তোমাকে ভালবাসি।
কিন্তু আমি খুব বাধ্য
মা বাবাকে ভয় পাই।
আমার ওই পাগলি মায়ের উপর
কোন অধিকার নেই বাবা,
এই কথা কাহিনি কিসের জন্য
এসব তো অর্থহীন বাবা।
শুধু ওই পাগলি মেয়ের সঙ্গে বাঁচা,
ফুলের মতো মনে হয়।
আর ওই পাগলি মেয়ে ছাড়া,
মৃত্যুকেও অসম্ভব বলে মনে হয়।


চেষ্টা করলাম, দেখেন তো কেমন হলো??

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৫

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: জিও বাদশাভাই। জিও!!!!

দারুন হয়েছে!!!

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৩

এরশাদ বাদশা বলেছেন: ***যখন ফেরারী স্মৃতিগুলো খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা করি****

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৫

চুরি যাওয়া আগুন... বলেছেন: Its ok.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.