![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের ওপর খুব অল্প বয়েস থেকেই বিভিন্ন ধরণের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে চলছি, বাঁধনহারা হবার বাসনা চিরকাল ছিল,আজো আছে, তবে আজকাল বেশ সাহস আর আত্মবিশ্বাস আছে মনে, বুঝে গেছি নিজেকে মেলে দিলেই ভালো, তাতে কার কী আসে আসে যায়, এটা ভাবার দরকার নেই, এখন তাই আমি এক উড়ন্ত, দুরন্ত পাখি নই-অভ্র, খুশিতে ভিজিয়ে দিতে, দুঃখে অশ্রু লুকোতে, আমি সত্যিই আজ দু্রন্ত, দুরন্ত অভ্র।
আমরা দাবি করি মানব সভ্যতার চরম উৎকর্ষের যুগে আমরা বাস করছি। আমরাই মানব ইতিহাসের সবচেয়ে সভ্য। আমাদের যুগে সবকিছুর পরম উন্নতি সাধন করে সভ্যতার চরম শিখরে আমাদের বাস।
আসলেই কি তাই? আমাদের দাবিগুলোর সাথে আমাদের কর্মকান্ডগুলোকে আতশি কাঁচের তলায় রেখে বিচার করলে আমরা কি সৎ থেকে এটা বলতে পারবো- ‘আমরাই সবচেয়ে সভ্য’।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে বটে তবে শিক্ষার হার যে বৃদ্ধি পায়নি, সেটা সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে সহজেই বুঝে নেয়া যায়।
গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এই দেশে যা হচ্ছে, যেভাবে মানুষ নিজের বেঁচে থাকার নূন্যতম অধিকার হারাচ্ছে। তা কোনো সভ্য সময়ের কাজ হতে পারে না।
কোথায় মরছে না মানুষ? কোথায় পাচ্ছে এতটুকু নিরাপত্তা বেঁচে থাকার?
রাস্তায় বেরুলে যেকোনো যানবাহনে বা জনসমাগম স্থলে ককটেল, বোমা ইত্যাদি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মরছে মানুষ।
যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখেনি তার শরীর বিদ্ধ হচ্ছে বুলেটে।
শিশু থেকে শুরু করে ৫০ বছরের মহিলা ধর্ষণের পর নিহত হচ্ছে।
রাজন, রাকিব, রবিউল কে দিনের আলোয় পশুর চেয়ে অধম কিছু প্রাণী পিটিয়ে বা নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
ঘরের বাইরে নিরাপত্তা নেই, নেই স্বাভাবিক চলাফেরার সুযোগ।
ঘরেও কি নিরাপদ থাকতে পারছে মানুষ?
ব্লগার নীল কে ঘরের ভেতর ঢুকে তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকার উপস্থিতিতে ঢাকার মত ব্যস্ত নগরীর একটি বিল্ডিংয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে মধ্যাহ্নে।
আমাদের চারপাশে যেনো খুনের হলি খেলা চলছে। ঘরে বাইরে কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। জান হাতের মুঠোয় নিয়ে আমরা জীবন যাপন করছি।
এই নিরাপত্তাহীনতা আরো কদর্যরূপ ধারণ করে যখন এইসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয় না। বা বিচার দীর্ঘসূত্রতার কারণে ঝুলে যায়।
নোয়াখালির শামসুল আলম মিলন হত্যায় তাঁর অভিভাবক কে আমরা দেখেছি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে ‘আপোস’ করতে।
রাজন হত্যা মামলার ভিডিও থাকা সত্ত্বেও, প্রধান খুনি কামরুল বিদেশে গ্রেফতার হবার পরেও বিচার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন জটিলতায় বিচার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে শিশু অধিকার তথ্য ফোরামের হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে ৯৬৮ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
যা অত্যন্ত দুঃখজনক। শিশুদের প্রতি এরকম নিষ্ঠুর আচরণ প্রকাশ করে আমাদের সভ্যতার মান কতটুকু।
আমরা আসলেই সভ্য কি না।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম উন্নতির যুগে এরকম মনুষ্যত্ব বিহীন আচরণ আমাদের বিবেক এবং মানবিকতাবোধকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে।
আমরা কি পারি না এইসব বর্বর আচরণ প্রতিরোধ করতে?
রাষ্ট্র কি পারে না আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে?
আইন কি পারে না অপরাধীর সাজা দ্রুত নিশ্চিত করতে?
প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর সময়ই বলে দেবে।
আমাদের কর্ম প্রমাণ করবে আমরা সভ্য কি না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২২
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বাংলাদেশ নষ্টদের হাতে চলে যাওয়া একটি শ্বাপদ-সংকুল রাস্ট্র বৈ আর কিছু নয়...