নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কস্তুরী খুঁজে ফিরে তার সুবাস..হায় মৃগ, যদি জানত গন্ধ কার! পাখিও খুঁজে ফিরে শিস--হায়, যদি সে জানত! সুর থাকে ভেতরে, অন্তরে.। চুপটি করে এই তো এখনো ডাকে, ব্যকুল হয়ে - ডাকে আর ডাকে ।।

রাবেয়া রাহীম

মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !

রাবেয়া রাহীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুফিবাদ বা সুফী দর্শন একটি ইসলামি আধ্যাত্মিক দর্শন ( ১ম পর্ব)

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:২২

সুফি তথা সুফিজমের উৎপত্তি নিয়ে রয়েছে একাধিক মত। সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে ‘সুফ’ তথা ছাগল বা ভেড়ার লোম থেকে সুফি নামটি এসেছে । কেউ কেউ বলেন ‘সাফি’ অর্থাৎ ময়লা পরিষ্কারক থেকে সুফি কথাটি এসেছে। আরবি ‘সাফা’ (পবিত্র) শব্দ থেকে সুফি শব্দটির উৎপত্তি বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। বস্তুত: অন্তরের ময়লাকে পরিষ্কার করার লক্ষ্যেই সুফিরা নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।

সুফিবাদ (সুফীবাদ বা সুফী দর্শন ) একটি ইসলামি আধ্যাত্মিক দর্শন। আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আধ্যাত্মিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়। হযরত ইমাম গাজ্জালী(রঃ) মতে, " মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে অবস্থান করা) এবং ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে স্থায়িভাবে বিলীন হয়ে যাওয়া) লাভ করা যায়। যেহেতু আল্লাহ নিরাকার, তাই তাঁর মধ্যে ফানা হওয়ার জন্য নিরাকার শক্তির প্রতি প্রেমই একমাত্র মাধ্যম। মহব্বতের মাধ্যমে নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্বে লীন হয়ে যাওয়া। যাকে মনছুর হাল্লাজ (র.) পরিণত করেছিলেন ‘ফানা ফিল্লা’তে।

যে মতবাদ ধর্মের গতানুগতিকতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে হৃদয়ের উপলব্ধি দিয়ে বিচার করে, সেটাই সুফিবাদ। হজরত জুনাইদ বোগদাদি (র.) সুফিবাদকে অভিহিত করেছেন ‘নিজের অজ্ঞতার উপলব্ধি’ বলে। অজ্ঞতা বলতে বলা হচ্ছে "বিশালত্ব" তথা আল্লাহকে জানার ও তাঁকে চেনার ব্যাপারে অজ্ঞতা। আল্লাহকে জানার ও চেনার উপায় হোল ভক্তি ও প্রেম । এই প্রেমের অন্য নামই সুফিবাদ। আর এই প্রেমের সাধকরাই সুফি সাধক।

অনেকে নবী পাক (স.)’র মাধ্যমে সুফিজমের প্রারম্ভ বলতে চেয়েছেন। এর পক্ষে যৌক্তিকতা হল নবী পাক (স.) নবুওয়্যাত প্রাপ্তির আগে পবিত্র কাবার প্রায় ৫ কি.মি. দূরত্বে গারে হেরায় মহান আল্লাহ পাকের ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। এখানেই পবিত্র কুরআনের প্রথম শব্দ "ইকরা" নাযিল হয়। এক মতে হযরত হাসান আল বসরী (রহ.) সর্বপ্রথম সুফি বলে গণ্য হয়ে থাকেন ।


প্রিয় নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে ৪টি বিদ্যা শিক্ষা দিতেন---শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত। মোরাকাবা করলে হৃদয়ের কালিমা বিদুরিত হয়, হৃদয় আলোকিত হয়। মোরাকাবার নিয়ম হল প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে ও রাত্রির তৃতীয় অংশে (রহমতের সময়) জেগে বা অন্য যে কোন সময় আল্লার ধ্যনে মগ্ন থাকা নিজের জীবনের ভুল, বেয়াদবী জন্য মহান আল্লাহর কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা । এভাবে অধিককাল মোরাকাবা করলে দিলের চোখ খুলে যায়। আর ঐ চোখেই কেবল মো'মেন বান্দার নামাযের মেরাজ হয়ে থাকে।

মোরাকাবা হল নফল ইবাদত। নফল ইবাদত হল আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম পন্থা। তাই মোরাকাবা সাধকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সাহাবায়ে কেরামগণ প্রথমে মোরাকাবা করেছেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত নির্দেশিত হয়েছে।

অবশ্য আরেক মত হচ্ছে পবিত্রআসহাব-ই-সুফফা অর্থাৎ বারান্দার এ সাহাবাগণের আদর্শই সুফিরা গ্রহণ করেছিলেন এবং সূফফা থেকে সুফি শব্দটি নেয়া হয়েছে। রাসুল(সাঃ) মদিনায় হিজরতের পরে মসজিদে নববীর বারান্দায় একটা ছাউনির নিচে থাকতেন। রাসুল(সাঃ) সাহাবাদের জন্য ধ্যান বা মোরাকাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানে বসে হজ্ব ও ওমরায় আসা নবীর আশেকরা কুরআন পাঠ, নফল নামাজ, ধ্যান বা মোরাকাবা, দরুদ ও মিলাদ শরীফ পড়ে থাকেন। ছাউনি শব্দটা থেকেই এসেছে সুফি শব্দটা। তাঁরা সেখানে থাকতেন সংসার তথা যাবতীয় কিছু ত্যাগ করে। তাঁরা লোমের কম্বল এবং পোশাক ব্যবহার করতেন । ওই সাহাবিগণ ব্যবসা-বাণিজ্য-চাষাবাদ কিছু করতেন না, এমনকি থাকতেন না পরিবারের সাথেও। মক্কা - মদিনা অথবা যেখানেরই অধিবাসী হোন না কেন- যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রেমে নিবেদিত ও সমর্পিত হয়েছিলেন তাঁরাই এসে থাকতেন ওই তিনদিক খোলা ছাউনির তলায়। পুরো দলের মধ্যে হয়ত দু-চারজন কাঠ কাটতে গেলেন, বিক্রি করে সবার জন্য দু-চার টুকরা করে রুটির জোগান দেবেন- বাকিরা ওই ছাউনিতেই। রাসূলের গোলামিতে। তাঁর পায়ের তলায়। দিন নেই, রাত নেই। গ্রীষ্ম-শীত-ধূলিঝড় নেই। তাঁদের না আছে এক টুকরা বাড়তি কাপড়, না একটা বাক্স-পেঁটরা। দাঁড়াতে পারেন না, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান- এই এঁরাই আবার কী করে যেন রাতের পর রাত পার করে দেন সালাতে। দয়ার সাগর রাসূল (সাঃ) তাঁদের ছাড়া খাবেন না। বসবেন না। উঠবেন না। এই আসহাবে সুফফারা দিনের পর দিন রোজা রেখে রাতের পর রাত কুরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্ম্যসাধনায় এমন মগ্ন ছিলেন, যে ইসলামের ব্যবহারিক প্রকৃত রূপ হিসাবে তাঁদের দেখেই মানুষ দলে দলে শামিল হত। এসে পড়ত তাদের পান্ডিত্য দেখে, মোহ- বরজনের আজব মোহ দেখে। এভাবে যারা করেছেন, তারাই শুধু সুফী নন। ইসলামের পূরো রীতিটা যেই অনুসরণ করেন, শেষতক তিনিই সুফী।



কাশফ কি ;-- কাশফ মানে হল অজানা কোন বিষয় নিজের কাছে প্রকাশিত হওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবলমাত্র নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনি অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী। তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারু নিকট প্রকাশ করেন না’। ‘তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তিনি তার (অহীর) সম্মুখে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন’ (জিন ৭২/২৬-২৭)। এখানে ‘রাসূল’ বলতে জিবরীল ও নবী-রাসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কারু নিকট থেকে অলৈাকিক কিছু ঘটতে পারে বা প্রকাশিত হতে পারে। যেমন ছাহাবী ও তাবেঈগণ থেকে হয়েছে। অতএব এরূপ যদি কোন মুমিন থেকে হয়, তবে সেটা হবে ‘কারামত’। অর্থাৎ আল্লাহ্ তাকে এর দ্বারা সম্মানিত করেন।

(চলবে)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার অনেক কবিতা ছিল ব্লগে; সরিয়ে ফেলেছেন?

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০২

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সরাইনি , সব গুলিই আমার ব্লগেই আছে ।
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

ইউনিয়ন বলেছেন: X( সূফীবাদের ভুল ব্যাখ্যা এবং ভুল সংজ্ঞা প্রধান করে এক শ্রেণির ভন্ড ও প্রত্যারক সহজ সরল মানুষ কে বিপদগামী করছে। নিজেকে জাহির করতে ভুলভাল ডেলিভারি দিয়ে সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। যাতে প্রচারণা পায়।

আগে যারা সূফীবাদ নিয়ে পড়ে থাক তারা ছিল প্রচার বিমুখ। এখনকার তথাকথিত সূফীরা ধর্ম ব্যবসাররী শ্রেণির।


যা হউক ভাল একটি বিষয় অবতারণা করছেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বেশীর ভাগ মানুষ স্বার্থপর ধান্দাবাজ! আমি আপনার সাথে একমত। মহান রাবুলালামিন সকল কে হেদায়েদ দান করুন

ভাল থাকবেন । অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নতুন এই বিষয়টির প্রতি আপনার আগ্রহ বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। তবে এখানে যা কিছু বলেছেন, বেশ প্রাঞ্জলভাবে বলেছেন, ভাল লেগেছে।
বিষয়টির সাথে ছবিটির প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে একটু ব্যাখ্যা দিবেন?

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: খায়রুল ভাই সালাম জানবেন। আসলে ছবি একটা দিতে হয় তাই দেওয়া আর কিছুই না।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

কানিজ রিনা বলেছেন: মাশাআল্লাহ্,

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার লেখার জন্য প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ,খুব সুন্দর করে সুফিবাদের উপর
বিশ্লেশন করেছেন। এখনকার সুফিবাদরা
ব্যবসায়ী লোভী। আসল সুফিবাদ নিজেকে
প্রকাশ করেন না। তারা সুখ সাচ্ছন্দ ত্যাগ
করে নিজেই নিজের ঘরে ধ্যানে মগ্ন থাকেন।
রাস্তা ঘাটে ঘর বেধে ভুয়া সুফিবাদ সেজে
টাকার ধান্দায় ব্যস্ত। আল্লাহর দলিল নবীর
অনুকরন করে মানুষের আকর্ষনে লিপ্ত হয়ে
ধান্দা বাজী এক চরম অবক্ষয়। তবে
সত্য সুফিবাদ আজও আছে যেখানে গেলে
মানুষ একটু শান্তির আশ্রয় পায়।
শুভ কামনা রইল, এমন লেখা আরও আশা
করি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। সত্য সুফিবাদ এখনো আছে বলেই এই লেখার প্রেরণা।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এসবে বিশ্বাসই করতে পারি না।
যাক, পড়েছি। জানা যাচ্ছে এটলিস্ট

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এসব অবিশ্বাস্য কিছু নয়।
পড়েছেন জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

আরণ্যক মিঠুন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: প্রেরনা পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

বনলতা আবেদিন বলেছেন: প্রিয় আপু , সুফিবাঁদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই । সুফিজম অনেক অনেক আগে এসেছে , যেটা অনেকটা মিস্টিসিজম , রোমান্টিসিজম এর আওতায় পরে ।

যেমন এক্সট্রিমিজমের জায়গা নেই ইসলামে , তেমনি সুফিজমেরও জায়গা নেই ইসলামে । ইসলাম হলো ব্যলেন্সে করে চলে । সুফিজমও এক প্রকার এক্সট্রিমিজম । তাই এর জায়গা ইসলামে নেই ।

আপনাকে আরও তথ্য দিতে পারবো । কিন্তু এই মুহূর্তে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না ।

ভালো থাকুন আপু ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার তথ্যর আশায় রইলা।

আপ্নিও খুব ভাল থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আইনস্টাইন বিশাল বিশ্বকে অনুধাবন করেছেন লজিক, অংক ও বস্তর ধর্ম বিশ্লেষণ করে; তিনি আল্পুত হয়েছে, আবেগ প্রকাশ করেছেন।

যারা লজিক জানে না, উঁচু স্তরের অংক বুঝে না, বস্তুর গঠন বুঝে না, তারাও মহা বিশ্বের বিশালতা, এর মাঝে জীবনের উপস্হিতি নিয়ে আল্পুত হয়েছে, আবেগ প্রকাশ করেন; কিন্তু তা সহজ ও আধা প্রকাশিত রহস্যের মতো; তাদের এই অনুধাবন কমশিক্ষিতের মাঝে ঘুরে বেড়ায়; তারা এই ধরণের অনুভুতি, আবেগ ও উপলদ্ধিকে বিবিধ নাম দিয়েছেন; তবে, এগুলো দর্শন নয়।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর ---আপনার মন্তব্য পড়ে এই কথাটাই মনে এলো ।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আপনার লেখায় ‘ফানাফিল্লাহ’ আর ‘বাকাবিল্লাহ’এর বিষয়টা পরে মওলানা রুমির লেখা একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল, যেটা ফানাফিল্লাহর জ্বলন্ত উপমা হতে পারে :

এক প্রেমিক একদিন প্রেমাস্পদের দরজায় এসে কড়া নাড়ল। প্রেমাস্পদের ঘরে প্রবেশ করাই তার উদ্দেশ্য। প্রেমাস্পদ ভেতর থেকে জানতে চাইল, কে আমার দরজার বাইরে?
প্রেমিক বলল, আমি। প্রেমাস্পদ দুয়ার খুলল না। সাফ জবাব দিল, এক ঘরে দুই ‘আমি’র জায়গা নেই। যাও ফিরে যাও। অপরিপক্বের স্থান এখানে নেই। পোক্ত হয়ে এসো।
বেচারা প্রেমিক বন্ধু ফিরে গেল। মন তার বেজার। দীর্ঘ একটি বছর কাটিয়ে দিল বিরহ বিচ্ছেদে কৃচ্ছ্রতার যত কষ্ট সয়ে। এই সাধনায় সে ফানার মাকামে উপনীত হলো। এখন সে আত্মবিলীন। একদিন আবার সেই প্রেমাস্পদের দরজায় এলো।
দরোজায় কড়ায় হাত দিল শত আদব, বিনম্র শ্রদ্ধায়
বেয়াদবির কোনো শব্দ না আসুক মুখে অসতর্কতায়।
ভেতর থেকে বলল বন্ধু, কে তুমি আমার দরজা নাড়?
বলল, দরজায়ও সেই তুমিই ওহে আমার প্রাণের প্রাণ।
বলল, এখন যেহেতু আমি, এসো হে আমি আমার মাঝে
দুই আমির কোনো জায়গা ছিল না, আমার এই নিবাসে।

প্রেমাস্পদ দেখল যে, প্রেমিক এখন আত্মহারা, আত্মবিলীন, তার আলাদা অস্তিত্ব অবশিষ্ট নেই, তখন বলল, এসো এই নিবাসে।
সুফি সাধনার সর্বোচ্চ মাকাম ফানা বা আত্মবিলীন হওয়া। বৌদ্ধ দর্শনে এর কাছাকাছি ভাবধারাটি নির্বাণ লাভ। মওলানা রুমি (রহ.) এ গল্পে ফানার মাকামের অতি জটিল তত্ত্বদর্শনটি উপস্থাপন করেছেন অতিশয় মামুলি এক উপমার সাহায্যে।
মওলানা এর ব্যাখ্যায় বলেন, সুইয়ের ছিদ্রে সুতার মাথা ঢুকাবে? প্রথমে সুতার মাথাটি এক করে নাও। নচেৎ দুই মাথা হলে একটি ছিদ্রে ঢুকবে না কিছুতেই। হ্যাঁ, তাও সুতা হতে হবে। যদি আস্ত উট হয়, তাহলে কিছুতেই ঢুকবে না সুইয়ের ছিদ্রে। কাজেই নিজের মধ্যে যে অহমিকার উট বিরাজ করছে তা আমল, সাধনা ও কৃচ্ছ্রতার কাঁচি দিয়ে আগে সাইজ করে নাও। তবে এ কাজ সহজ নয়। একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এ অসাধ্য সাধন অসম্ভব। তার শক্তি অপার, অসীম, সর্বক্ষণ সৃষ্টিলোকে বিরাজিত। এমন নয় যে, এই সৃষ্টিলোক সৃজনের পর তিনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। বরং সর্বক্ষণ সৃষ্টির সবকিছু তার নখদর্পণে, নিয়ন্ত্রণে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন । ঠিক তাই প্রেম তো এমনি হবে।
আন্তরিক অভিনন্দন রইল। ভাল থাকবেন।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

বনলতা আবেদিন বলেছেন: চাঁদ মামা যে কি বলল বোঝা গেলো না । এগুলো দর্শন নয় তো কি ?? সুফিজম একটি দর্শন বলেই তো জানতুম । কি জানি , বড় বড় বোদ্ধাগোষ্ঠী কি সব মিথ্যে বলে গেছেন? দর্শন কাকে বলে একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হতো । চাঁদগাজীর কাছে প্রশ্ন রইল ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: =p~ =p~ হা হা হা --চাঁদগাজীর কাছে আমারও একই প্রশ্ন ।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লিখাটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । নেট প্রবলেম দিচ্ছে পরে আসব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২১

নিশির আলো বলেছেন: ভালো লাগল। চলুক......

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুফি তত্ত্ব নিয়ে মুল্যবান তথ্য নির্ভর লিখাটির জন্য । সেজন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।
অনেক পাঠকও রেখেছেন তাদের মুল্যবান মতামত যা থেকে অনেক শিখা গেল, তাদের প্রতিও শুভেচ্ছা রইল । বিশেষ করে চাদগাজী, ইউনিয়ন,কানিজ রিনা,বনলতা আবেদিন প্রমুখ এ সম্পর্কে বিভিন্ন মুল্যবান প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন । রিদওয়ান হাসানের মৌলানা রুমির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা মুল্যবান কথা মালাও বেশ প্রনিধান যোগ্য ।
একটি বিষয়ের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখতে পাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, 'আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি আইনকানুন ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি। এই সুস্পষ্ট পথ বা নিয়মনীতি হলো শরিয়ত, যা সবার জন্য অবশ্য পালনীয়। তবে পারলৌকিক জীবনকে আরো সুন্দর করার জন্য ইহলৌকিক জীবনেই একটি চরম আধ্যাত্মিক উন্নতিতে জীবনকে উন্নীত করার মানসে সুফিবাদ নামক একটি মরমি জীবনাদর্শের আবির্ভাব ঘটেছে, যা একদিকে তাত্বিক এবং অন্যদিকে ব্যবহারিক অনুশীলনভিত্তিক। এ বিষয়টি আপনার লিখাতেও উঠে এসেছে । তবে তত্ত্ব ও সাধনা হিসেবে সুফিবাদ বিভিন্ন পর্যায় ও প্রকারে বিভক্ত। সুফি তাত্বিকদের মতে, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় থেকেই এই মতবাদ উৎপত্তি লাভ করে , অআপনার এ কথার সাথে সহমত । তা্ই এ কথা সুনিশ্চিত যে সুফিবাদের উৎপত্তি শরিয়তের মধ্যেই ঘটেছে।

শরিয়তের সঙ্গে সুফি অনুশীলনের কিছু পার্থক্য থাকলেও সে পার্থক্য খুব বেশি মৌলিক নয়। কিন্তু সুফিতত্ত্বের কিছু কিছু ব্যাখ্যাকার একে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যাতে শরিয়তের সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে এর ব্যাপক বিরোধ। সাধারণ মানুষ সুফিবাদ বলতে ইসলাম থেকে ভিন্ন কোনো মতাদর্শ ভাবতেও শুরু করে। দর্শন প্রভাবিত সুফিবাদের উৎপত্তি হয় ইমাম গাজালীর সমসাময়িক সময়ে প্রধানত ফালাসিফা সম্প্রদায়ের দার্শনিকদের আলোচনা থেকে। আল-ফারাবি, ইবনে সিনা প্রমুখ দার্শনিক এই আলোচনা শুরু করেন। তাঁরা ছিলেন গ্রিক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত। বস্তুত ফালাসিফা সম্প্রদায়ের এসব দার্শনিক সুফিবাদের মরমি দিকটিকে অনেক ক্ষেত্রে প্লাটোনিক ও অ্যারিস্টটলীয় মরমি দর্শনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। ফলে ইসলামের স্বকীয়তা কিছুটা ম্লান হয়েছে। তবে শরিয়ত দ্বারা প্রভাবিত সুফিবাদ হচ্ছে বিভিন্ন সুফিসাধক এবং ধর্মতত্ত্ববিদের প্রণীত সুফিতত্ত্ব। অর্থাৎ দার্শনিকরা নয়, ধর্মতাত্বিক ও সুফি সাধকরাই এই ধারার সুফি মতাদর্শের প্রবক্তা।

সুফিবাদের মধ্যে কিছু তাত্বিকতা রয়েছে- যা নিঃসন্দেহে দার্শনিক আলোচনার বিষয়বস্তু; সেখানে ব্যক্তিগত আবেগ, যুক্তি ও অভিরুচি আরোপ করা যেতেই পারে। তবে তা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ প্রদত্ত আইনকানুন ও সুস্পষ্ট পথ বা নিয়মাবলী বা মূল শিক্ষাকে অক্ষুণ্ন্ন রেখে । কোনো সুফি সাধককেই শরিয়ত অমান্য করলে চলবে না। কেননা শরিয়ত অমান্য করলে কেউ মুসলমান থাকতে পারে না।

আবার কেবল শরিয়ত আমলে নিয়ে সুফি হওয়া যাবে না। তার জন্য চাই অতিরিক্ত সাধনা; আর এই সাধনার জন্য থাকতে হবে সুনির্দিষ্ট সাধনা-পদ্ধতি। এই সাধনা-পদ্ধতি হলো সুফিতত্ত্ব। এ বিষয়ে প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনীক ইমাম আল-গাজালী দেখান যে শরিয়তের নিয়মে কেবল বাহ্যিকভাবে ইবাদত-বন্দেগি করলেই আল্লাহর সানি্নধ্য লাভ করা যায় না। এ জন্য ইবাদতের অভ্যন্তরীণ দিকের প্রতি নজর দিতে হবে। ইমাম আল গাজ্জালি ফালাসিফা বা দার্শনিকদের সম্পর্কে আরো বলেন দার্শনিক মতবাদ কখনও ধর্মীয় চিন্তার ভিত্তি হতে পারে না। প্রয়োজনীয় সত্য সম্পর্কে শুধু ওহির জ্ঞান পাওয়া সম্ভব। তিনি সমকালীন দার্শনিকদের দর্শন-চিন্তার অপূর্ণতা দেখতে পান এবং গ্রিক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত দার্শনিকদের সমালোচনা করেন। তাহাফাতুল ফালাসিফা গ্রন্থে তিনি গ্রিক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত দার্শনিকদের চিন্তার শূন্যতা প্রমাণ করেন।

আপনার লিখার নীচের মুল্যবান অংশের সাথে সহমত
কাশফ কি ;-- কাশফ মানে হল অজানা কোন বিষয় নিজের কাছে প্রকাশিত হওয়া। অর্থাৎ আল্লাহ কর্তৃক তার কোন বান্দার নিকট এমন কিছুর জ্ঞান প্রকাশ করা যা অন্যের নিকট অপ্রকাশিত। আর এটি কেবলমাত্র নবী-রাসূলগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তিনি অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী। তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারু নিকট প্রকাশ করেন না’। ‘তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। তিনি তার (অহীর) সম্মুখে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন’ (জিন ৭২/২৬-২৭)। এখানে ‘রাসূল’ বলতে জিবরীল ও নবী-রাসূলগণকে বুঝানো হয়েছে। তবে কখনও কখনও রীতি বহির্ভূতভাবে অন্য কারু নিকট থেকে অলৈাকিক কিছু ঘটতে পারে বা প্রকাশিত হতে পারে। যেমন ছাহাবী ও তাবেঈগণ থেকে হয়েছে। অতএব এরূপ যদি কোন মুমিন থেকে হয়, তবে সেটা হবে ‘কারামত’। অর্থাৎ আল্লাহ্ তাকে এর দ্বারা সম্মানিত করেন।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ডঃ এম এ আল-আপনার বিশ্লেষণটি ভীষণ ভাল লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভাল থাকবেন।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট ভাল লেগেছে এবং পোস্টের উপর আলোচনাগুলো আরো বেশী ভাল লাগছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া --- ২য় পর্ব পোস্ট করলাম । আশা করি ভাল লাগবে।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৫

কাবিল বলেছেন: আবার কেহ বলেন, আসহাবুস সাফা হইতে সূফীর উৎপত্তি। প্রকৃত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জীবনাদর্শ ও কর্ম পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া যে সকল ব্যাক্তিগণ নিজেদের চরিত্র গঠন করিবার জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর সানিদ্ধে মসজিদে নববীতে থাকিয়া আল্লাহ্‌র ধ্যান করিতেন, তাহারাই আসহাবে সুফফা বা আসহাবুস-সাফা নামে পরিচিত। তবে আরবি ‘সাফা’ (পবিত্রতা) শব্দ থেকে সুফি শব্দটির উৎপত্তি বেশি গ্রহণযোগ্য।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: এই ব্যাপারে কিছুই পড়িনি আমি আগে তেমন। তোমার লেখা মন দিয়ে পড়তে হবে আপুনি!!!!!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পড়ে যাও আপুনি---জীবনের গভীরে আরেক জীবন। ভাবনার আরও অনেক গভীর কি সুবিশাল ভাবনারা বিরাজ করে সব জানতে পারবে। মনের চোখ খুলে নিজেকে দেখ দেখবে তোমার নতুন রুপ। নিজের সুগন্ধ নিতে চেষ্টা কর আপুনি ।
ভাবনার অনন্ত গভীরে তোমাকে স্বাগতম ।

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৬

শের শায়রী বলেছেন: বোন বাংলায় সুফীবাদ এবং এর ব্যাখ্যা নিয়ে ভালো বইর নাম দিতে পারেন? আমার কাছে দুই তিন টা আছে কিন্তু এত উচ্চা মার্গের যে মাথার ওপর দিয়ে যায় আমি বিগিনার হিসাবে সহজ সরল বই দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছিলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বাংলায় সুফিবাদের উপর লিখিত কোন বইয়ের সন্ধান আমার জানা নেই। সাধনা সুফিজমের প্রধান স্তম্ভ।
সাধনার আবার বিভিন্ন স্তর আছে। ‘ফানাফিল্লাহ’ আর ‘বাকাবিল্লাহ’ । এই স্তর গুলি আপনি ইন্টারনেট এ সার্চ দিয়ে কিছু তথ্য পেতে পারেন।
সাধনা হোল ব্যক্তির নিজস্ব মানসিক অবস্থান।

সাধনা বুঝতে হলে আপনাকে কলব, রুহ, ছের, খফি, আখফা, নফছ এসব বিষয়ে আপনাকে বুঝতে হবে।

আমার মনে হয় শুধু বই পড়ে আপনি সাধনার স্তর বুঝতে পারবেন না।

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি সহ অন্যান্য সুফিদের জীবন কাহিনি বা তাদের সাধনার স্তর গুলি বুঝতে পারলে আপনি কিছুটা জানতে পারবেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোর জন্য। আপনার মনের আশ পূর্ণ হোক ।

তাছাড়া পবিত্র কোরআনের অর্থসহ তাফসির বুঝতে পারলে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন সুফিবাদ সম্পরেকে ।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: Click This Link

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: "হৃদয়ে তোমার চলে যেন আলিফের (আল্লাহ) খেলা। পবিত্র দৃষ্টি দিয়ে যদি তুমি জীবনকে দেখতে শেখো, তুমি জানবে আল্লাহর নামই যথেষ্ট " -------আল্লাহ প্রেমময় ও সৌন্দর্যময়। তিনি অনন্ত, অবিনশ্বর ও সর্বত্র বিরাজমান। প্রেম ও ভক্তির পথে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমেই তাঁকে পাওয়া যায়। আল্লাহতে অনুগত বা লীন হওয়া সুফি সাধকের চরম লক্ষ্য।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন "তুমি যেখানে তিনিও (আল্লাহ) সেখানে আছেন (সুরায় হাদিদ ৪ নং আয়াত)"
যদি মনে আসে আল্লাহ আমার সঙ্গেই আছেন বা আমার সাথী হয়ে আমার সাথেই আছেন তবে কি খুব ভুল বলা হবে? না ভুল হবেনা উক্ত আয়াত মতে।

তবে অপর আরেকটি আয়াতে আল্লাহ বলেন ‘বরং মহান আল্লাহ তোমাদের নিকট ঈমানকে প্রিয় করে তুলেছেন এবং সেটাকে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন তোমাদের হৃদয়ের গহীনে।” [সূরা আল-হুজুরাত ৪৯:৭]

স্রষ্টা সৃষ্টির মাঝে প্রবেশ করেন না এবং স্রষ্টাকে ধারণ করার মত এত বিশাল কোনো সৃষ্টিও নেই। বর্তমান পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষের কোটি কোটি কলব বা অন্তর রয়েছে। প্রতি কলবে আল্লাহ থাকলে আল্লাহর সংখ্যা কত হবে? যদি বলা হয় সত্যকামী সাধকের কলব আয়নার মত। তাহলে বলব, আয়নায় তো ব্যক্তি থাকে না, ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি থাকে। সুতরাং সত্যকামী মানবের কলবে মহান আল্লাহর প্রতি গভীর ভালবাসা আর আনুগত্য থাকে। সেই ভালবসা থেকে বিচ্ছুরিত আলোক রশ্মির মাঝেই স্রস্টা বিরাজমান।


আমি এই কথা গুলোর উপর আমল করি। খুব সরল ভাষায় এই কথাগুলি লিখেছিলাম সুফিজম প্রথম পর্বে । আশা করি আপনার ভালো লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.