নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কস্তুরী খুঁজে ফিরে তার সুবাস..হায় মৃগ, যদি জানত গন্ধ কার! পাখিও খুঁজে ফিরে শিস--হায়, যদি সে জানত! সুর থাকে ভেতরে, অন্তরে.। চুপটি করে এই তো এখনো ডাকে, ব্যকুল হয়ে - ডাকে আর ডাকে ।।

রাবেয়া রাহীম

মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !

রাবেয়া রাহীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুফিবাদ বা সুফী দর্শন একটি ইসলামি আধ্যাত্মিক দর্শন (দ্বিতীয় পর্ব)

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০২

মুরাকাবা বা ধ্যান কি?

ইসলাম হল সাধনা, আত্মশুদ্ধি ও সেবার ধর্ম। ইসলামের চিরায়ত ঐতিহ্য ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মুরাকাবা বা ধ্যান। মুরাকাবা বা ধ্যান কি? যুগে যুগে ধ্যানের ধরন বা প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে তবে ধ্যান হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অশান্ত ক্বালব বা মনকে স্থির ও প্রশান্ত করা হয়। ধ্যান হোল মনকে দিয়ে বড় কিছু করানোর প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া। ধ্যান মনকে নফস বা প্রবৃত্তির শৃংখল মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং তাকওয়াবান হতে সহায়তা করে। ঠান্ডা মাথায় অবচেতন মনের শক্তিকে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে নিজের ও পরের কল্যাণ করা যায়। ধ্যান মনকে প্রশান্ত করে, উপলব্ধি দান করে এবং ধ্যান-দোয়ায় একাকার হয়ে বহুমত্রিক প্রাপ্তি ঘটে।

মোরাকাবা, ধ্যান, মেডিটেশন এটা ইসলামের উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। যেমন,নামাজ মুসলমানদের দৈনন্দি এই ফরজ ইবাদতটি আসলে ধ্যান ও যোগাাসনের একটি যুগপৎ উপযোগিতা। আমরা যখন নামাজ পড়ি, দুনিয়ার সকল কোলাহল থেকে দূরে সরে গিয়ে নিবিষ্ঠচিত্তে স্রষ্ট্রার কাছে আত্মনিবেদন করি। হয়তো স্রষ্ট্রাকে দেখছি না শুনছি না কিন্তু তিনি আমাকে দেখছেন, আমাকে শুনছেন এই যে, নিবিষ্ঠচিত্তে কল্পনা, একাগ্রচিত্ততা এটাইতো ধ্যান ।

রাসুল (সাঃ) মদিনায় হিজরতের পরে মসজিদে নববীর বারান্দায় সাহাবাদের জন্য ধ্যান বা মোরাকাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানে বসে হজ্ব ও ওমরায় আসা নবীর আশেকরা কুরআন পাঠ, নফল নামাজ, ধ্যান বা মোরাকাবা, দরুদ ও মিলাদ শরীফ পড়ে থাকেন। নবীজি সাহাবাদেরকে ৪টি বিদ্যা শিক্ষা দিতেন শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত। মোরাকাবা করলে হৃদয়ের কালিমা বিদুরিত হয়, হৃদয় আলোকিত হয়। মোরাকাবার নিয়ম হল প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে ও রাত্রির তৃতীয় অংশে (রহমতের সময়) জেগে বা অন্য যে কোন সময় আল্লার ধ্যনে মগ্ন থাকা নিজের জীবনের ভুল, বেয়াদবী জন্য মহান আল্লাহর কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা । এভাবে অধিককাল মোরাকাবা করলে দিলের চোখ খুলে যায়। আর ঐ চোখেই কেবল মো'মেন বান্দার নামাযের মেরাজ হয়ে থাকে। মোরাকাবা হল নফল ইবাদত। নফল ইবাদত হল আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম পন্থা। তাই মোরাকাবা সাধকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সাহাবায়ে কেরামগণ প্রথমে মোরাকাবা করেছেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত নির্দেশিত হয়েছে।

ধ্যানের বহুমুখী গুরত্বের তাগিদে মহাপুরুষ, অলি-আওলিয়াগণ ধ্যানে নিমগ্ন হয়েছেন। ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এ ধ্যান-চর্চার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হযরত মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহঃ) যিনি বিশেষ পদ্ধতির মোরাকাবার উদ্ভাবক। একদা তিনি গোলাপ বাগানে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। নব্যবিবাহিত এক দম্পতি বৃদ্ধ সাধককে বাগানে দেখে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলে, এ বৃদ্ধ বাগানে চোখ বন্ধ করে কি করছে?। মাওলানা রুমি বলেন, আমি চোখ বন্ধ করে যা দেখি,যদি তোমরা তা দেখতে আমি তো মাঝে মাঝে চোখ খুলি,তোমরা তাও খুলতে না।

হযরত আলী (রা) কি গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে নামাজ পড়তেন তা একটি ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয়। একদা হযরত আলী (রা)-র পায়ে তীর বিধলো। প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। কয়েকজন সাহাবী তীর খুলতে উদ্যত হলেন। কিন্তু তীরে হাত দিলেই আলী (রা) চিৎকার করে উঠেন ব্যাথায়। সবাই রসূল (স) এর কাছে গেলে, তিনি বলেন আলী (রা) যখন নামাজে সেজদায় থাকবে তখন তীরটা খুলে নিও। কারণ নামাজে সে এত নিমগ্ন্ থাকবে যে, সে ব্যাথা কিছুই টের পাবে না। তা-ই হলো। আলী (রা) নামাজে দাঁড়ালেন। তীর খুলে ফেললেন সাহাবীরা তিনি টেরই পেলেন না।

যুগে যুগে নবী-রসূল, অলি-বুযুর্গ ও সাধকগণ এই ধ্যান-মোরাকাবায় নিমগ্ন হয়েছেন। হয়রত ইব্রাহীম (আঃ) এর মনে যখন প্রশ্ন জাগল কে আমার স্রষ্ট্রা তখন তিনি ধ্যানে মগ্ন হলেন অবশেষে তিনি আল্লাহ পরিচয় লাভ করলেন। রাসূলুল্লাহ (স) হেরা গুহায় ১৫ বছর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যানরত অবস্থায় জিব্রাইল (আ.) তার কাছে ওহী নিয়ে আসেন। হযরত মুসা (আ.) সিনাই উপত্যাকায় ধ্যানরত থাকতেন। ধ্যান-মুরাকাবার গুরত্ব সম্পর্কে সূরা আলে-ইমরানের ১৯০-১৯১ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “নিশ্চই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাত্রীর আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নির্দেশন রয়েছে। তারা দাড়িয়ে, বসে বা শায়িত অবস্থায় আল্লাহ স্মরণ করে,তারা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ধ্যানে(তাফাক্কুর) নিমগ্ন হন এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালন! তুমি এসব নিরর্থক সৃষ্টি কর নি”। উক্ত আয়াতে “তাফাক্কুর” মানে হল গভীর ধ্যান,ইংরেজীতে মেডিটেশন বা কনটেমপ্লেশন।

জীব-জগৎ ও মুক্তির পথ অনুসন্ধান লাভের জন্য এই গভীর মনোনিবেশ এই আত্মনিমগ্নতার নির্দেশ আল্লাহপাক কোরআনের একাধিক জায়গায় দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, “কেন তোমরা ধ্যান বা গভীর মনোনিবেশ সহকারে চন্তিা-ভাবনা কর না?”,এমনকি নবীজী (স) কে আল্লাহপাক বলেছেন, “অতএব (তুমি দৃঢ়তার সাথে কাজ কর আর) যখনই অবসর পাও প্রতিপালকের কাছে একান্ত ভাবে নিমগ্ন হও” (কোরআন,সূরাঃ ইনশিরাহঃ ৭-৮)

রাসূলুল্লাহ (স.) কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেন নি। ধ্যানের গুরত্ব সম্পর্কে বলেন, (হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত) নবীজী (স) বলেন, “সৃষ্টি সম্পর্কে এক ঘন্টার ধ্যান ৭০ বছর নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম” (মেশকাত শরীফ)। হয়রত ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত, নবীজী (স) বলেন, ''এক ঘন্টার ধ্যান (তাফাক্কুর) সারা বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম''।

আত্মশুদ্ধি পথে বাধা-সমূহ হোল প্রথমত,ক্বালব বা মনের বিষ যেমনঃ রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা, ঈষা, হিংসা, অহং, আমনতহীনতা, গীবত বা পরর্চ্চা, মিথ্যা, হতাশা, অপবাদ, কু-চিন্তা ইত্যাদি অপরটি মনের বাঘ, যেমনঃ না শুকরিয়া বা নেতিবাচকতা ও অমূলক ভয়-ভীতি বা তাকওয়াহীনতা। মুরাকাবা বা ধ্যানের মাধ্যমে এসকল বাধা সমূহ দূরীভূত হয়ে আল্লাহর সাথে বিলিন হয়ে যাওয়া যায়।

হিজরি প্রথম শতকের শেষ দিকে সুফি সাধকগণের মধ্যে অনেকের আবির্ভাব হয়, যারা শুধু নিরব সাধনায় সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নি। সাধনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ধ্যানানুশীলনেও আত্মনিয়োগ করেন এবং ধ্যানের মাধ্যমে ক্বলব জারি করে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করেন। এতে চরম আনন্দের সন্ধানই তাদের পথ হয়ে দাঁড়ায়। সংসার ত্যাগ ও স্বেচ্ছাদরিদ্রতাকে ইতিপূর্বে সওয়াবের কাজ মনে করা হলেও তাদের ধারণা সৃষ্টি হয় যে, রাত-দিন আল্লাহ তাআলার পথে আত্মসমর্পণের বাহ্যিক রূপই হচ্ছে বৈরাগ্য ও দরিদ্রতা অবলম্বন করা। সেকালে সকল সুফি সাধকগণই কঠোর শরিয়তের পাবন্দ ছিলেন। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অনুসরণে নামাজ, রোজা প্রভৃতি ধর্মীয় এবাদত তাঁরা গভীর নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করতেন। হযরত ওয়াইস আল-করনী (রহ.), হযরত ইব্রাহীম বিন আদহাম (রহ.), হযরত ফুজায়েল বিন আয়াছ (রহ.), হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.), হযরত আবু সোলাইমানুদ্ধারানি (রহ.), হযরত ইবনে আরবি (রহ.), হযরত যুন্নন মিসরী (রহ.), হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.), হযরত মনসুর হাল্লাজ (রহ.) সেকালে বিখ্যাত বিখ্যাত সাধকপুরুষগণের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

সুফিতত্ত্বের মধ্যে কবিত্বের দিক দিয়ে হযরত শেখ সাদী (রহ.), হযরত হাফিজ (রহ.), হযরত জামি (রহ.), হযরত মাহমুদ সাবিস্তারী (রহ.), হযরত জালালুদ্দিন রুমি (রহ.), হযরত ফরিদুদ্দিন আত্তার (রহ.) অন্যতম ছিলেন। অপরদিকে, আল্লাহর অস্তিত্ব সত্তার বাস্তব অনুভূতি নিজের ব্যক্তিসত্তাকে পরম সত্তার মধ্যে বিলীন করে “ফানা” প্রাপ্তি এবং অবশেষে “বাকা” বা অমৃত আহরণই সুফি সাধনার মূলকথা। কাজেই কোন অবলম্বন ব্যতীত নিছক শূন্যের মধ্যে ফানায় পৌঁছা সহজতর নয়।


সেকালে মনীষীগণ “ফানা”-কে ২ ভাগে ভাগ করেছেন, এক. “ফানাফিল্লাহ” দুই. “ফানাফির রাসুল (স.)”। আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে প্রকৃত পরিচয় পেতে হলে আগে “হাকিকতে মুহাম্মদী (স.)” বা “নূরে মুহাম্মদী (স.)” সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ করতে হবে। সুফি সাধকগণ এরূপ বিশ্বাসই পোষণ করে থাকেন। তাঁরা আরও বিশ্বাস করে থাকেন সৃষ্টির প্রথমেই ছিল শুধু আল্লাহর নূর। সে নূর থেকেই আল্লাহ পাক সর্বপ্রথমে সৃষ্টি করেছেন “নূরে মুহাম্মদী (স.)” অতপর এ “নূরে মুহাম্মদী (স.)” থেকেই সৃজিত হয়েছে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মা- এবং তার মধ্যস্থ সবকিছু। বহুল প্রচলিত এ ধারণা সুফি বিশ্বাসের এক প্রধান অঙ্গ। সকল সুফি সাধকই মনে করে থাকেন যে, আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হলে “নূরে মুহাম্মদী (স.)” সম্পর্কে অবশ্যই পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে হবে।
নবী পাক (স.) সম্পর্কে এ রূপ সুউচ্চ ধারণা পোষণ করেন বলেই সুফি দরবেশগণ “হাকিকতে মুহাম্মদী (স.)” বা নূরে মুহাম্মদী (স.) সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে সে জ্ঞানের মাধ্যমেই আল্লাহ পাকের মহান সত্তার সত্যিকার অনুভূতি নিজেদের অন্তর্লোকে জাগ্রত করার প্রয়াস পেয়ে এসেছেন।

ইসলামী যুহদ (কৃচ্ছব্রত) প্রথম হিজরী শতকে বিকশিত হয়েছিল এবং বিভিন্ন তরীকায় পরিণত হয়েছিল; এ সব তরীকার ভিত্তি ছিল কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা এবং এগুলো প্রচার করতেন যাহেদ উলামায়ে কেরাম যাঁরা পরবর্তীকালে সূফী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রথম চার ইমাম, যথা-ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম আবু হানিফা (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ); আরও রয়েছেন ইমাম আবি আব্দাল্লাহ্ মোহাম্মদ আল্ বুখারী (রঃ), আবু হুসাইন মুসলিম বিন আল্ হাজ্জাজ (রঃ), আবু ঈসা তিরমিযী (রঃ) প্রমুখ। অতঃপর যাঁরা আগমন করেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম হাসান আল্ বসরী, ইমাম আওযাঈঁ (রঃ)। এঁদের পরে এসেছেন আত্ তাবারানী (রঃ), ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী (রঃ), ইবনে হাজর আল্ হায়তামী (রঃ), আল্ জর্দানী, আল্ জওযী, ইমাম মহিউদ্দীন বিন শারফ বিন মারী বিন হাসান বিন হুসাইন বিন হাযম বিন নববী (রঃ), সৈয়দ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী (রঃ) প্রমুখ। এসব যাহেদ আলেম তাঁদের আনুগত্য, নিষ্ঠা ও অন্তরের পরিশুদ্ধির কারণে সূফী হিসেবে খ্যাত হয়েছিলেন এবং তাঁদের চেষ্টার ফলেই মুসলমান বিশ্ব আজকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ভ্রমণ করা যখন সবচেয়ে কঠিন ছিল এমনি এক সময়ে ইসলাম ধর্ম সূফী পর্যটকদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় দ্রুত প্রসার লাভ করে; এই সূফীবৃন্দ এতো বড় মহান কাজের জন্যেই আল্লাহর পছন্দকৃত বান্দা হবার শর্ত যুহদ আদ্ দুনইয়া (কৃচ্ছব্রত)-তে সুশিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠেছিলেন। তাঁদের জীবনই ছিল দাওয়া, আর তাঁদের খাদ্য ছিল রুটি ও পানি। তাঁদের এই সংযম দ্বারা ইসলামের আশীর্বাদে তাঁরা পশ্চিম থেকে দূর প্রাচ্যে পৌঁছেছিলেন।

হাসান বসরী (র.)----
সুফি তত্ত্বের উন্মেষযুগের শ্রেষ্ঠতম সাধক হচ্ছেন হাসান বসরী (র.)। ইরাকের দক্ষিণে শাতিল আরবের নিকটে বসরা নগরে তিনি বাস করতেন বলেই তাঁর নামের শেষে বসরী বিশেষণটি যুক্ত হয়েছে। নবী পাক (স.)-এর অন্যতম বিবি হযরত উম্মে সালমা (র.)-র এক পরিচারিকার গর্ভে হযরত হাসান বসরী (র.) এর জন্ম হয়। হযরত রাবেয়া বসরী (র.) তাঁর সমসাময়িক মহিয়সী ছিলেন। হযরত হাসান বসরী (র.) ১৩০ জন সাহাবার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ লাভ করেন। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় তিনি ছিলেন হযরত আলী (ক.) এর অন্যতম প্রধান শিষ্য। সম্ভবত এ জন্যই সুফি তরিক্বায় আমিরুল মোমেনীন হযরত আলী (ক.)-এর নামের পরেই তাঁর নামটি স্থান লাভ করে।
কাদেরিয়া, চিস্তিয়া ও সোহরওয়ারদিয়া এ তিন প্রধান সুফি ত্বরিক্বার সাধকগণ আমিরুল মোমেনীন হযরত আলী (ক.) এর পরেই হযরত হাসান বসরী (র.)-কে তাদের পথ প্রদর্শক বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

সুফিজম নারীবাদের সমর্থক, কেননা সুফিবাদে মহিলা সুফিদেরও সন্ধান পাওয়া যায়। তেমনি এক মহিয়সী নারী হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.)। তিনি ৭১৯ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে ইরাকের বসরা নগরীতে এক দরিদ্র পল্লীতে জন্ম গ্রহন করেন ধর্মভীরু এই তাপসী নারী। দরিদ্র ছিলেন বটে তবে পরম ধর্মিক ও আল্লাহভক্ত ছিলেন। রাবেয়া বসরী ছিলেন ভদ্র, নম্র ও সংযমী। সেই সাথে প্রখর বুদ্ধিমত্তার অধিকারিনী ছিলেন তিনি। সব সময় গভীর চিন্তায় ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন। রাগ, হিংসা, অহংকার তার চরিত্রকে কখনো কলুষিত করতে পারেনি। মোট কথা আল্লাহর একজন প্রকৃত ওলী হবার জন্য যা যা গুনাবলি থাকা প্রয়োজন সকল গুণের অধিকারিনী ছিলেন হযরত রাবেয়া বসরী (রহ.)। হযরত রাবেয়অ বসরী (রহ.) সকল বিপদ-আপদকে আল্লাহর তরফ থেকে পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতেন।

(চলবে)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: চলতে থাকুক।আশা রাখি,ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আশা আমাদের আনন্দ দেয়। আশা করছি নিরাশ করবনা ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

ইউনিয়ন বলেছেন: :-B চালিয়ে যান। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । =p~

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

" ধ্যান মনকে নফস বা প্রবৃত্তির শৃংখল মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং তাকওয়াবান হতে সহায়তা করে। "

যারা ধ্যন করেন, নফস বা প্রবৃত্তির শৃংখল মুক্ত হন, তারা প্রেমের কবিতা লিখতে পারবেন কিনা কোনদিন আর?

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: প্রেম সত্য, প্রেম সুন্দর প্রবৃত্তির শৃঙ্খল মুক্ত হতে পারে কেবল মাত্র প্রকৃত প্রেমিক। এই প্রেম স্রষ্টার সাথে। স্রষ্টার সৃষ্টির সাথে।
কবিতা আসে গভীর প্রেম ও গভীর অনুভুতি থেকে। হযরত রাবেয়া বসরিও একজন কবি ছিলে,
সুফি সাধক রুমির প্রেমের কবিতা গুলি পড়ার অনুরধ রইল।

কানিজ রিনা র মন্তব্য পড়ার অনুরধ রইল।
ধন্যবাদ

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার একটা প্রেমের কবিতার বই গত বইমেলায় বের হওয়ার কথা ছিল, উহা বের হয়েছে?

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার ডানে -বায়ে , উপর নীচ ভাল করে চেয়ে দেখুন উত্তর পেয়ে যাবেন ।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আগের পর্ব বনলতা বলেছে ইসলামে কোনও
সুফিবাদের সম্পর্ক নাই। আসলে কি বলব
বনলতা হজরত মোহাঃ সাঃ আঃ নিজেই
পাহাড় পর্বতে ধ্যান মগ্ন থাকতেন। কোরআন
নাজিল হয়েছে পাহাড়ের গুহায়। আপনি
বেশী বেশী নবীর হাদীস কোরআন পড়ুন।
পৃথিবীতে যত নবী পয়গম্বর অলি আউলিয়া
এসেছেন বেছে তাদের জীবনী পড়ুন
আপনার ভুল ভাঙবে। আর রাবেয়া রহিমের
এই পর্বটা ভাল করে পরুন।
রাবেয়া রহিম দার্শনিকই সুফিবাদ আবার
কবিও। আপনি প্রেমের কবিতা লিখেন
সেটাও প্রেমেরই সাধনা। প্রেমে না জললে
প্রেমীকা হওয়া যায়না।
শুভ কামনায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর করে বলার জন্য। আশা করছি আপনার মন্তব্য চাদ্গাজীসহ অনেকের কাজে আসবে
অনেক ভাল থাকবেন।

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৩

বনলতা আবেদিন বলেছেন: @ কানিজ রিনা , আগের পর্বে একটু ভুল হয়ে গিয়েছে , সেটা কারেকশন করছি । সূফীবাদের সাথে ইসলামের সম্পর্ক আছে কিন্তু সূফীবাদ এসেছে মিস্টিসিজম থেকে , অর্থাৎ ইসলামেরও আরও আগে এবং মানবজাতি বুদ্ধিলব্ধ হবার পরমুহূর্ত থেকেই আধ্যাত্মিক মুক্তির প্রয়াসে এর সূত্রপাত । এবং ইসলাম সুফিবাদের সমর্থক নয় । আমি সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম । অনেক নন-মুসলিম সূফীও রয়েছে । সুফিজম এক্সট্রিমিজমের পর্যায়ে পরে ।সুফিজম যারা চর্চা করেন তারা নিঃসন্দেহে অতিমাত্রায় আলোকিত , কিন্তু এই আলোর অতি ঝলকানিতে সাধারণ মানুষ কিংকর্তব্যবিম্বুর হবার সম্ভাবনা থাকে । তাই সম্পূর্ণ জীবন বিধান অর্থাৎ ইসলাম একে সমর্থন করে না ।

সময় হলে বিশ্লেষণী একটি লেখা পেশ করবো । সেখানে শুধু তথ্য নয় বিশ্লেষণ থাকবে। আমার তথ্যময় লেখার চেয়ে বিশ্লেষণধর্মী লেখা পছন্দ। যেখানে ভুলভ্রান্তি দূর হয় এবং লেখকের অভিপ্রায় সম্পর্কে জানা যায় । তথ্য তো মেলা রয়েছে , গুগোল ঘাঁটলেই মেলে অনেক । তাজা বিশ্লেষণ , পর্যালোচনা খুব কম পাওয়া যায় ।

অনেক পড়েছি দিদি । এখনোও অনেক পড়ি । তারপরও আপনার আদেশ কিংবা উপদেশ মাথা পেতে নিলাম ।

ভালো থাকুন হাজার বছর ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণধর্মী লেখা পড়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে রইলাম।

অনেক ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৯

কাবিল বলেছেন: মুরাকাবা বা ধ্যান আত্ম শুদ্ধির আমল, নইলে রিপু-নপস দমন করা বড়ই কঠিন।

@বনলতা আবেদিন বলেছেনঃ সুফিজম যারা চর্চা করেন তারা নিঃসন্দেহে অতিমাত্রায় আলোকিত , কিন্তু এই আলোর অতি ঝলকানিতে সাধারণ মানুষ কিংকর্তব্যবিম্বুর হবার সম্ভাবনা থাকে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: যদি আত্মর শুদ্ধি ঘটলো ও নফস কন্ট্রোলে রইল তাহলে মানুষ কি আর সাধারন থাকে ? সাধারন মানুষ কিংকর্তব্যবিম্বুর হয় আলোকিত মানুষ নয়।
মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কথায় বলে, সাত প্রান্তর আছে আমাদের সাধনার পথে, এ সাত প্রান্তর পেরুলে দরবার পাবে। 'তলব'-এর প্রান্তর হলো যাত্রার সূচনা, 'প্রেম'-এর প্রান্তর পরে, নাই তার সীমানা। তৃতীয় প্রান্তর আসে 'মারফত', এরপর চতুর্থ 'এস্তেগনা' অমুখাপেক্ষিতার প্রান্তর। পঞ্চম প্রান্তর আসবে পবিত্র 'তাওহিদ', ষষ্ঠ প্রান্তর 'হায়বত' বিহ্বল শাদিদ। সপ্তম প্রান্তর 'দারিদ্র্য ও বিনাশ-ফানা, এর পরের প্রান্তরে তোমার সাধনা মানা। যদি আকর্ষণে পড়ে যাও ভুলে যাবে পথ, যদি হও এক ফোঁটা হবে সমুদ্রবৎ।
কথাগুলো মানতিকুত তাইর (পাখিদের কথা) নামক কাব্যগ্রন্থে হুদহুদ পাখির সংলাপ। গ্রন্থটির রচয়িতা বিশ্ববিখ্যাত সাধক কবি শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার। প্রেম ও প্রাণের ভাষা ফারসিতে লেখা এ কাব্যগ্রন্থর মূল চরিত্রে রয়েছে হুদহুদ। আর পুরো কাব্যগ্রন্থটি সাজানো হয়েছে পাখিদের সংলাপ দিয়ে।
পাখিরা একদিন সমবেত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মতবিনিময় করছিল। প্রত্যেকের অভিমত ছিল, আমরা জীবনভর সিমোরগ নামের অদৃশ্য এক পাখির নাম শুনে আসছি। সিমোরগই নাকি দুনিয়ার সব পাখির প্রাণের প্রাণ। তার দেখা পেলেই সার্থক হবে দুনিয়ার পাখিদের জীবন। কিন্তু আমরা যে কেউ তার সাক্ষাৎ পেলাম না। আমাদের জীবনটাই তো ষোলআনা মিছে। পাখিদের এ সমাবেশে প্রাণস্পর্শী বক্তৃতা দিল হুদহুদ। বলল, সোলায়মান আ. এর দূত হিসেবে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। আমিই তোমাদের নিয়ে যেতে পারব সেই সিমোরগের দেশে, তার একান্ত সানি্নধ্যে। পাখিরা সানন্দে ডানা ঝাপ্টে তাকে বাহবা দিল। হুদহুদ বলল, তবে সিমোরগের দেশে যেতে হলে আমাদের অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করতে হবে। বহু গিরিসঙ্কট পাড়ি দিতে হবে। বিশেষত নানা দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে সাতটি প্রান্তর পার হতে হবে। হুদহুদ জোর দিয়ে বলল, এ সাত প্রান্তর পার হলেই সিমোরগের দরবার পাবে। প্রান্তরগুলোর নাম প্রাগুক্ত।
পাখিরা হুদহুদের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়ে শুরু করল দুর্গম সফরযাত্রা। কিন্তু একের পর এক সঙ্কটে পড়ে অনেকে বাদ পড়ে গেল পথিমধ্যে। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল মাত্র ৩০টি পাখি। এরা সাত প্রান্তর পাড়ি দিয়ে যখন সিমোরগের দরবারে পৌঁছল, তখন দেখে যে, আয়নারূপী সিমোরগের মাঝে ৩০টি পাখির অবয়ব প্রতিফলিত, প্রতিবিম্বিত। ফারসি দুটি শব্দের সমন্বয়ে সিমোরগ গঠিত। সি অর্থ ৩০ আর মোরগ অর্থ পাখি। তার মানে ৩০টি পাখি সিমোরগের দরবারে গিয়ে ৩০টি পাখিই দেখতে পেল। এ কাহিনীকাব্যের মূল বার্তা হলো, তোমার হৃদয়ের আয়নাকে স্বচ্ছ ও পবিত্র কর, তাহলে দেখবে, তোমার হৃদয়পটে তিনি উদ্ভাসিত।
এখানে শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার মূলত আধ্যাত্মিক সাধনার পথে সাধককে যেসব স্তর অতিক্রম করতে হয় তাকে পাখির সংলাপে সাত স্তরে সাজিয়ে মনোজ্ঞ সরল ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। উল্লেখিত পঙক্তিতে তিনি আরও বলেন, ফানার স্তরের পর আর সাধনা করা নিষেধ। তিনি বলছেন, এ তো গেল পরম আরাধ্যের লক্ষ্যে সাধনার কথা। কিন্তু যদি ওদিক থেকে আকর্ষণ এসে যায়, তাহলে তোমার হুঁশ-জ্ঞান লুপ্ত হয়ে তুমি সম্পূর্ণ আকর্ষিত হয়ে পড়বে। তখন যদি তুমি বিন্দু হও, আপন দয়ায় তিনি তোমাকে সিন্ধুতে পরিণত করে দেবেন।

এই সাত স্তরই মূলত সুফি সাধকদের আধ্যাত্মিক সাধনা। যা কবি আত্তার মামুলি উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন। তারপর সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছলে সাধকের কী হাল হতে পারে- সেটারও ধারণা দিয়েছেন কবি। আপনার লেখায় এ সাত বিষয় বিশদ আকারে স্থান পাবে- আশা করি। চালিয়ে যান। শুভকামনা রইল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । আমি চেষ্টা করছি ।
ভাল থাকবেন।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৪৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: @বনলতা আবেদিন
আপনার কথা, ইসলাম সুফিবাদের সমর্থক নয়। তথ্যটি ভুল। ইসলামে যা সমর্থন করে না, তার বাক্যগুলো এমন- ‘লা রাহবানিয়্যাতা ফিল ইসলাম’ অর্থাৎ ইসলামে সন্যাসী মুনি কিংবা সংসার বিমুখতা নেই। আপনি খুবসম্ভবত এ দুয়ের মাঝে প্যাঁচগি লাগিয়ে ফেলেছেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। খাজা মাইনুদ্দিন চিশতী শেষ বয়সে বিয়ে করেছিলেন । কিন্তু হযরত শাহজালাল বিয়ে করেননি, হয্রত আমানাত শাহ বিয়ে করেননি ।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫২

নতুন বলেছেন: সুফিবাদ গুপ্ত জ্ঞানের আধার... তাই এই গোপনীয়তার হাত ধরে দেশে পীর/মাজারের ব্যবসা বিরাট আকার ধারন করেছে।

সৃস্টিকতা নিজের মতন করে মানুষ সৃস্টিকরেছেন এবং ধ্যান করে তার সাথে সম্পক` স্থাপন করা যায়... এমন কথা বলে পীর সেজে অনেক মত এখন আমাদের মাঝে আছে।

বিজ্ঞানের যৌক্তিক সাধনার ফলে সুফিবাদ কমে আসবে.....

অবশ্য কিছু মানুষ অতিপ্রকৃতিক ভাবনা ভাবতে পছন্দ করে..... তারা এমন গুপ্ত জ্ঞানের পেছনে ছুটবেন সব সময়ই। :)

আগে আনাল হক বলে হজরত মানসুর হাল্লাজের সাজা হয়েছিলো। এখন দেওয়ানবাগী বিরাট ব্যবসা করছে দেশের লাখ লাখ মানুষ মুরিদ বানিয়ে....

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অবশ্য কিছু মানুষ অতিপ্রকৃতিক ভাবনা ভাবতে পছন্দ করে..... তারা এমন গুপ্ত জ্ঞানের পেছনে ছুটবেন সব সময়ই।
---- কখনো মানুষ প্রকৃতির কাছে খুব অসহায় হয়ে যায়। এই অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে অতিপ্রকৃতিক ভাবনা ভাব্লে দোষের কিছু না। মনের শান্তির জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে । সুফিজমে মনের শান্তি পুরোটাই পাওয়া যায় এটা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বলতে পারি বাকি সব সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা।
আর পথ ভ্রস্টতার সাজা মহান রাব্বুলালামিন অবশ্য সকলকেই দিবেন।

অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫৯

বনলতা আবেদিন বলেছেন: @ রিদওয়ান , "প্যাজগি" লাগাই নাই , ভায়া । মোটেই না । অনেক বুজুর্গ আলেম , অনেক আলোকিত অনেক বেশী জ্ঞানী লোকের উদাহরণ দিতে পারি । কিন্তু এই মুহূর্তে দিচ্ছি না । আমার লেখায় সেই তথ্য গুলো থাকবে ।

তিন দিন পরে আমি মুক্ত হবো , আমার লেখা প্রথম পাতায় চাপানো হবে । ঠিক করেছি তখন লিখবো ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার তথ্যের অপেক্ষায়। শীঘ্র মুক্তি আসুক।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: @বনলতা আবেদিন

দেখুন, আপনি প্রভূত জ্ঞানী-বিচক্ষণ কিংবা আলোকিত বুজুর্গ-আলেমের উদাহরণ টানতে পারেন। হতে পারে সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। তাই বলে সেটা কিন্তু প্রামাণ্য হতে পারে না। আর আমি যেটা বলেছি, সেটা স্পষ্ট হাদিস। আপনি যেই সুফিবাদকে মিস্টিসিজম থেকে উৎপত্তি বলছেন, সেটা মূলত সুফিবাদের প্রাচ্যবাদী পাঠ। প্রাচ্যবিদরা সুফিবাদের বিকৃতি উপস্থাপন করে তা ইসলামের বাইরে নিক্ষেপ করেছে।

প্রাচ্যবিদ সম্পর্কে জানতে পড়ুন : যে ইতিহাস বুদ্ধিবৃত্তির কিংবা সাম্রাজ্যবাদী দুরভিসন্ধির

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২২

কানিজ রিনা বলেছেন: প্রথম পর্বে রাবেয়া রহিমের লেখায় ডাক্তার এম এ আলির বিশ্লেসন,দ্বীতিয় পর্বে রিদয়ান আপনাদের জ্ঞনের পরিধি এত বেশী আজকের এলেখা পড়ে সত্য়ি নিজেকে ধন্য় মনে হচ্ছে। সেই সাথে রাবেয়া রহিমকে আবারও ধন্য়বাদ।
বার বার লেখা আর মন্তব্য় গুল পড়ে সবার প্রতি শ্রদ্ধায় মন ভরে গেল। আসলে এসব জ্ঞান চর্চায় মন বিকশীত হয়। তবে জ্ঞানের পরিধি প্রশস্ত না হলে কেউ কেউ এ সব চর্চা পছন্দ করেনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু।এমন চর্চা জ্ঞানের পরিধি প্রশস্ত করে । অন্তর আলোকিত করে। পাশে থাকার জন্য অন্তহীন শুভকামনা।

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট , মুল্যবান এই লেখাটির জন্য রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।
মোরাকাবা সম্পর্কে অনেক তথ্য ও বিশ্লেষন জানা গেল । খুব সুন্দর করে অনেক মুল্যবান কথা বলেছেন । আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করে আমিউ যুক্ত করতে চাই মোরাকাবা অর্থ ধ্যান, গভীর চিন্তা। হযরত মোহাম্মদ (স.) ১৫ বছর হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান বা মোরাকাবা করেছেন। আল্লার পক্ষ হতে নামাজ না আসা পর্যন্ত নবীজি নিয়মিত হেরা গুহায় গিয়ে যে আমলটি করেছেন তা হলো মোরাকাবা। নামাজ এসেছে নবুয়াত প্রাপ্তির ১২তম বছরে। আল্লাহর সামনে দাঁড়াইবার শর্ত হলো, আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন। তাইতো নবীজি (স.) ১৫ বছর হেরা পর্বতে ধ্যান সাধনা করে হৃদয়ের কপাট খুলেছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী লাভ করেছিলেন। তিনিই সাহাবাদেরকে ১২ বছর মোরাকাবার শিক্ষা বা প্রশিক্ষন দিয়েছিলেন। প্রথমে তাদেরকে এ শিক্ষা দিয়ে অন্তরে আলোকিত করার কৌশল শিখিয়েছিলেন। সে আলোকিত অন্তরে সাহাবাগণ আল্লাহ পাকের সত্তাকে অনুভব করেছেন ।

সেকালে মনীষীগণ “ফানা”-কে ২ ভাগে ভাগ করেছেন, এক. “ফানাফিল্লাহ” দুই. “ফানাফির রাসুল (স.)”। আপনার লিখার এই বক্তব্যটি খুবই ভাল লেগেছে । কোন এক লিখায় দেখেছিলাম এক সাধকের ফানাফিল্লাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে
চলগায়া খঞ্জর গলেপর, ছের না সেজদাছে উঠা,
এই ছা এবাদত হ্যায়, ফানাফিল্লাহছে মিলতে হুয়ি ।

আপনার লেখাটির এই প্যরাতে রয়েছে মুল্যবান আরো কিছু কথামালা :
আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে প্রকৃত পরিচয় পেতে হলে আগে “হাকিকতে মুহাম্মদী (স.)” বা “নূরে মুহাম্মদী (স.)” সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ করতে হবে। সুফি সাধকগণ এরূপ বিশ্বাসই পোষণ করে থাকেন। তাঁরা আরও বিশ্বাস করে থাকেন সৃষ্টির প্রথমেই ছিল শুধু আল্লাহর নূর। সে নূর থেকেই আল্লাহ পাক সর্বপ্রথমে সৃষ্টি করেছেন “নূরে মুহাম্মদী (স.)” অতপর এ “নূরে মুহাম্মদী (স.)” থেকেই সৃজিত হয়েছে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মা- এবং তার মধ্যস্থ সবকিছু। বহুল প্রচলিত এ ধারণা সুফি বিশ্বাসের এক প্রধান অঙ্গ। সকল সুফি সাধকই মনে করে থাকেন যে, আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হলে “নূরে মুহাম্মদী (স.)” সম্পর্কে অবশ্যই পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে হবে। সে জন্যইতো বলা হয়ে থাকে:
ওহি নূরীয়া মোস্তফা বনকে আয়া
ওহি হযরত আদম শফিউল্লাহ বনকে আয়া
ওহি হযরত মুছা কালিমুল্লাহ বনকে আয়া
ওহি হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ বনকে আয়া
ওহি হযরত ইছা রুহুলল্লাহ বনকে আয়া
ওহি সুরুতীয়া আকাঁয়ে দোজাঁহা হযরত
মুহাম্মদ(সা.) বনকে আয়া।

নবীজি মদিনায় হিজরতের পরে মসজিদে নববীর বারান্দায় সাহাবাদের জন্য ধ্যান বা মোরাকাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখানে বসে হজ্ব ও ওমরায় আসা নবীর আশেকরা কুরআন পাঠ, নফল নামাজ, ধ্যান বা মোরাকাবা, দরুদ ও মিলাদ শরীফ পড়ে থাকেন। নবীজি সাহাবাদেরকে ৪টি বিদ্যা শিক্ষা দিতেন শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফত। মোরাকাবা করলে হৃদয়ের কালিমা বিদুরিত হয়, হৃদয় আলোকিত হয়। মোরাকাবার নিয়ম হল প্রতি ওয়াক্ত নামাজ শেষে ও রাত্রির তৃতীয় অংশে (রহমতের সময়) জেগে বা অন্য যে কোন সময় আল্লার ধ্যনে মগ্ন থাকা নিজের জীবনের ভুল, বেয়াদবী জন্য মহান আল্লাহর কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা প্রার্থনা করা । এভাবে অধিককাল মোরাকাবা করলে দিলের চোখ খুলে যায়। আর ঐ চোখেই কেবল মো'মেন বান্দার নামাযের মেরাজ হয়ে থাকে। মোরাকাবা হল নফল ইবাদত। নফল ইবাদত হল আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম পন্থা। তাই মোরাকাবা সাধকের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সাহাবায়ে কেরামগণ প্রথমে মোরাকাবা করেছেন। পরে আল্লাহর পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত নির্দেশিত হয়েছে। তবে আজ আমাদেরকে সব গুলো একই সঙ্গে আমল করতে হবে। সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে নামাজ। নামাজ পড়লে দিল নরম হয়। আল্লাহর সমীপে দোয়া ও মোনাজাত করলে মোমেন বান্দার চোখ ভরে পানি পড়ে। মোরাকাবা অন্তরের কালিমাকে পরিস্কার করে দেয়। পবিত্র কুরআন-এ এরশাদ হয়েছে তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আল্লাহর রসূলকে মান্যকর এবং সাদেকীনদের (অলী-আল্লাহর) সঙ্গ লাভ কর। মোরাকাবার মাধ্যমেই স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে নিগুঢ় ভেদ ও রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব। সূফীবাদ-ই একমাত্র নিষ্ঠার শিক্ষা দেয়, বিনয়ের শিক্ষা দেয়, আদবের শিক্ষা দেয়, সূফীবাদেসামিল হলে মানুষ হিংসা বিদ্বেষ ভুলে যায়। তারা ভাবুক ও প্রেমী হয়। তারা আল্লাহ্ মুখী হয়, অন্যের দোষ তালাশ করার আগে নিজের দোষ তালাশ করে, মা ও বাবার খেদমত করে। ওস্তাদ ও গুরুজনকে ভক্তি ও তাজিম করে, বে নামাজী নামাজ পড়ে, বে-রোজাদার রোজা রাখে, বে জিকরুল্লাহ জিকির করে, তারা মানব সেবা করে, ভূখা মানুষকে খানা খাওয়ায়, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করে, তাই সকল মানুষকে আজ ইসলামী সূফীবাদের সুশীতল ছায়াতলে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি ।

এ পোষ্টের অনেকের মুল্যবান মন্তব্য হতেও অনেক কিছু জানা গেল , রিদওয়ান হাসান এর মুল্যবান মন্তব্যটি বেশ প্রনিধান যোগ্য । তিনি খুব সুন্দরভাবে অল্প কথায় বিশ্ববিখ্যাত সাধক কবি শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার এর মানতিকুত তাইর (পাখিদের কথা) নামক দুর্লভ কাব্যগ্রন্থের হুদহুদ পাখির সংলাপ তুলে ধরে মুল্যবান তথ্য উপস্থাপন করেছেন । বুঝা গেল ক্বালবকে জাগ্রত করে আত্মা বা ক্বালবের মুখে আল্লাহর জিকির পয়দা করে, ক্বালবের সাতটা মাকামের দরজা খুলে প্রথম মাকাম হতে শয়াতানকে তাড়িয়ে সপ্তম মাকামে অর্থাত্ নফছের ঘরে আল্লাহতায়ালাকে সন্ধান করতে হবে । রিদওয়ান হাসান এর প্রতি রইল বিশেষ ধন্যবাদ ।

পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম ।
সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হযরত মোহাম্মদ (স.) ১৫ বছর হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান বা মোরাকাবা করেছেন। আল্লার পক্ষ হতে নামাজ না আসা পর্যন্ত নবীজি নিয়মিত হেরা গুহায় গিয়ে যে আমলটি করেছেন তা হলো মোরাকাবা। নামাজ এসেছে নবুয়াত প্রাপ্তির ১২তম বছরে। আল্লাহর সামনে দাঁড়াইবার শর্ত হলো, আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন। তাইতো নবীজি (স.) ১৫ বছর হেরা পর্বতে ধ্যান সাধনা করে হৃদয়ের কপাট খুলেছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী লাভ করেছিলেন। তিনিই সাহাবাদেরকে ১২ বছর মোরাকাবার শিক্ষা বা প্রশিক্ষন দিয়েছিলেন। প্রথমে তাদেরকে এ শিক্ষা দিয়ে অন্তরে আলোকিত করার কৌশল শিখিয়েছিলেন। সে আলোকিত অন্তরে সাহাবাগণ আল্লাহ পাকের সত্তাকে অনুভব করেছেন । ----- এই তথ্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

আপনার বিশ্লেষণেও অনেক কিছু জানতে পারলাম। সত্যি আলোকিত সত্ত্বাই কেবল পারে অন্য স্বত্বায় আলো জালাতে। আপনি তাই করেছেন। আপনার লেখায় জ্ঞানের আল ছড়িয়েছেন । সেই সাথে রিদওয়ান হাসান এর মুল্যবান মন্তব্য আমার লেখাটির শোভা বাড়িয়েছে বহুগুণ । আমিও এমন কিছু জানতাম না যেটা রিদওয়ান হাসান এর মুল্যবান মন্তব্য পড়ে জেনেছি। ধন্যবাদ রিদওয়ান হাসান মহান রাব্বুল আলামিন আপনার মঙ্গল করুন, সুস্থ দেহে দীর্ঘ জীবন দান করুন ।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: করেছিস কিরে বুবু
একি মহা কান্ড!
জানিইনে তোর মনে
ছিলো এতো ভান্ড।

পোষ্ট জুড়ে রীতিমত
হাউকাউ গ্যাঞ্জাম;
রেগে কেউ র‌্যাম্বো বা
কেউ রেগে ভ্যান্ডাম।

মারামারিটাই বাকি
যা যা হেথা দেখছি;
সুফিবাদ ভুলে হেথা
সে-খানাই শিখছি। =p~

লোকবল মোটামুটি
দুদিকেই ভীড়ালি;
মতলব কিরে তোর
ধরবি কি পীড়ালি?? :D

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: লোকবল মোটামুটি
দুদিকেই ভীড়ালি;
মতলব কিরে তোর
ধরবি কি পীড়ালি??


বলেছিস ঠিক ঠিক সব মনের কথা
আমার আর কি ক্ষমতা নামটাই যে রাবেয়া

জানিস নাকি রাবেয়া বাসরি সে যে মহান তাপসী
নামের গুনে ছিটে ফোঁটা যদি কিছু জোটে --আমি যে পাপী তাপি ।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

আবু ছােলহ বলেছেন:



রাবেয়া রাহীম,
আপনার সাথে খুব একটা পরিচয় হয়ে ওঠেনি। এই পোস্টটিও পড়া হয় নি। প্রিয় ব্লগার ড. আলী ভাই, রিদওয়ান হাসানসহ কয়েক জনের মন্তব্য দেখে মনে হল একটু কথা বলে যাই।

সুফিজম ইসলামের অনস্বীকার্য অনুসঙ্গ। অনেকে না বুঝে ইসলামের অনেক বিষয়ে মতবিরোধে জড়িয়ে পরেন, যা বেশির ভাগই অজ্ঞতাপ্রসূত এবং নিতান্ত দু:খজনক।

সময় পেলে আবার এসে পোস্ট পড়ে কথা বলার ইচ্ছে থাকল।

ভাল থাকুন, বাসরীর মত উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে উঠুন একালের মাতৃজাতির মহাপ্রানাগন, প্রত্যাশা নিয়ত।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ মুল্যবান মন্তব্যর জন্য,
ভালথাকবেন।

১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কবিতাগুলোতে মোটামুটি দৈহিক প্রেমের ভাবনা থাকতো; এবার আরেক আজগুবি বিষয় নিয়ে লেগে গেছেন, ভালো ব্যস্ত থাকা ভালো!

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমার কাছে "চাঁদগাজী" নামটাই আজগুবি মনে হয়।
চাঁদগাজী আইডি সামু কেন পারমানেন্টলি ব্যান করে না তাই ভাবি ।

১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৮

বনলতা আবেদিন বলেছেন: দিদিমণি আবার এলুম , ভালো আছেন তো? চাঁদগাজীর কথায় কান দিতে যাবেন না । খুব ভালো লিখেছেন , অনেক ইনফরমেশন দিয়েছেন , কিন্তু পর্যালোচনা নেই , ওটাই একটু সমস্যা । আরও ভালো হতো আপনার ভাবনা গুলো জুরে দিলে , এতে লেখাটি আরও সুস্বাদু হতো । আর একটি কথা না বলেই পারছিনে , সেটা হলো যখন লেখায় বেশী ইনফরমেশন থাকে তখন অবশ্যই এর উৎস দিতে হয় , এতে লেখার কোয়ালিটি বাড়ে ।

আমাকে ভুল বুঝবেন না , আমি আসলে আপনার বন্ধু হতেই এসেছি এবং আপনার সাথে আমার ভাবনাগুলো শেয়ার করেছিলাম। আসলে সবার চিন্তা ভাবনা তো এক হয় না । সূফী সম্পর্কে আমার ধারনা কিছুটা ভিন্ন আপনার থেকে। এর মানে এই নয় যে আমি আপনাকে পছন্দ করি না । আপনি নাকি কবিতাও লেখেন । খুব পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে সেগুলো ।

আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন আমিও আপনার সাথে একমত।

আমার সব লেখা এই লিঙ্কে পাবেন
http://bonglakobita.blogspot.com/2017/03/blog-post_15.html

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভালো লাগল। আসসালামুয়ালাইকুম।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ওয়ালাইকুম সালাম।
অনেক ধন্যবাদ।

২১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: রাবেয়া বসরির মত রাবেয়া রাহীমের জীবনেও নেমে আসুক এক আধ্যাত্মিকতার উচ্চতর মাকাম। কলব, রুহ, ছের, খফি, আখফা, নফছে জারি হয়ে যাক খোদাই অনুভুতি। তিনি হয়ে যান সুলতানুল আজকার, পর্দার আড়ালে থেকে করে যান ইসলামের খেদমত এই কামনা তার অভিপ্রায়ে।
ধন্যবাদ অসাধারণ পোষ্টের জন্য।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অ শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন।

২২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৫

শের শায়রী বলেছেন: পোষ্ট এবং আলোচনা ভালো লাগল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.