নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কস্তুরী খুঁজে ফিরে তার সুবাস..হায় মৃগ, যদি জানত গন্ধ কার! পাখিও খুঁজে ফিরে শিস--হায়, যদি সে জানত! সুর থাকে ভেতরে, অন্তরে.। চুপটি করে এই তো এখনো ডাকে, ব্যকুল হয়ে - ডাকে আর ডাকে ।।

রাবেয়া রাহীম

মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !

রাবেয়া রাহীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরিদ উদ্দিন আত্তার ও তাঁর লেখা ‘মানতিকে তাইয়ার’

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪

এক সময় বাংলায় সুফি-সাধকদের ব্যাপক আগমন ঘটেছিল। ইতিহাস বলে, বাংলার মানুষ এই সুফিদের হাত ধরেই ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। সুফি-সাধকদের মধ্যে ইসলামে শেখ ফরিদ খুব পরিচিত ও প্রিয় নাম। খ্যাতিমান আধ্যাত্মিক কবি, সাধক ও পীর-মুর্শিদগণের অন্যতম একজন শেখ ফরিদ উদ্দিন মুহাম্মদ আত্তার। এই সুফি সাধক ও কবির আসল নাম আবু হামিদ বিন আবু বকর ইব্রাহিম। কিন্তু ইরানের নিশাপুরের এই কবি লিখতেন ফরিদউদ্দিন আত্তার নামে। "আত্তার" শব্দের মানে ভেষজবিদ। তার পিতা ছিলেন একজন ওষুধ বিক্রেতা। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ওষুধ বিক্রিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। পেশাগত কারণেই তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন। কথিত আছে যে প্রতিদিন তার কাছে অন্তত ৫০০ জন রোগী আসতেন। রোগীদের তিনি তার নিজের তৈরি ওষুধ দিতেন।

বর্তমান ইরানের খোরাসান প্রদেশস্থ’ নিশাপুর শহরে ১১৪৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ এবং ১২২১ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তবে তাঁর জন্মমৃত্যুর দিনক্ষণ নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেরই বিশ্বাস তিনি প্রায় শত বছর বেঁচে ছিলেন ।তরুন বয়েসেই হজ করেছেন আত্তার। গিয়েছেন মিশর দামাস্কাস ভারত সহ আরও অনেক স্থানে। সবই জ্ঞানান্বষনে। ভ্রমন শেষে স্থায়ী হন নিশাপুরেই। ১২২০ সালে মঙ্গোলদের অভিযানের সময় নিহত হন কবি। নিশাপুরেই কবির সমাধিটি রয়েছে।

তিনি কিছু আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে দীর্ঘদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন। গবেষণার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করেন,তা কবিতার আকারে লিখে গেছেন তিনি। ফরিদ উদ্দিন আত্তার অন্তত ৩০ টি বই লিখে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন ফার্সি মুসলিম কবি, যিনি সুফিবাদ এবং ফার্সি কবিতার উপর একটি স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করেছেন। ইরান-তুরস্কে তিনি মহত্তম সুফি কবি হিসেবে পরিচিত। তার একটি বিখ্যাত বই হচ্ছে "মানতিকে তাইয়ার" বা "পাখির সমাবেশ"। তার বই ‘তাজকেরাত-উল-আউলিয়া’ বাংলায় খুব জনপ্রিয় একটি বই।

তিনি গবেষণার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করেন,তা কবিতার আকারে লিখে গেছেন। আত্তারের কবিতা রুমিসহ বহু আধ্যাত্মিক কবির জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী (রঃ) কিশোর বয়েসে বয়োবৃদ্ধ শেখ আত্তারের সাক্ষাৎ ও দোয়া লাভ করেন। তিনি শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তার সম্পর্কে লিখেছেন :
“আত্তার করেছেন সফর প্রেমের সপ্তনগর
আমরা এখনও ঘুরছি এক কানা গলির ভেতর।”

পাখির সঙ্গে ফরিদউদ্দিন আত্তারের সম্পর্ক ছিলো অত্যন্ত নিবিড়। তার লেখা ‘মানতিকে তাইয়ার’ বা পাখিদের সম্মেলন বইটি এক ঝাঁক পাখি (আসলে কতগুলি মানবাত্মা) একটি আধ্যাত্বিক পাখির নেতৃত্বে উড়ছে। আল্লাহ পাক হযরত সুলায়মানকে (আ.) পাখির ভাষা বুঝার ক্ষমতা দিয়েছিলেন।কুরআনের সুরা নামলের ২০-২২ নং আয়াতে হুদহুদ পাখি এবং নবী হযরত সুলাইমান (আঃ) এর সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজরত সুলাইমানের (আ.) পোষ মানাতো হুদহুদ পাখি। তিনি পশুপাখিদের কথা বুঝতে পারতেন। হুদহুদ সুলাইমানের (আ.) অত্যন্ত অনুগত ছিল। মাথায় খুব সুন্দর একটা ঝুঁটি - ঝুঁটির হলদে বাদামি পালকের মাথাটা কালো দেখতে অনেকটা রাজমুকুটের মত আরবি নাম হুদহুদ গ্রামীন নাম কাঠকুড়ালি । হুদহুদ সুলায়মান বাদশাহর হয়ে ‘সাবা’র রাণী বিলকিসের সংবাদ সংগ্রহ করে আনা আর দূত হিসেবে পত্র পৌঁছে দেয়ার বিবরণ আছে কুরআন মজীদে। প্রেম ও প্রাণের ভাষা ফারসিতে লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘মানতিকুত তায়র’ এর মূল চরিত্রে রয়েছে এই হুদহুদ আর পুরো কাব্যগ্রন্থটি সাজানো হয়েছে পাখিদের সংলাপ দিয়ে ।

পাখিরা একদিন সমবেত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে মতবিনিময় করছিল। প্রত্যেকের অভিমত ছিল, আমরা জীবনভর সীমোর্গ নামের অদৃশ্য এক পাখির নাম শুনে আসছি। সীমোর্গই নাকি দুনিয়ার সকল পাখির প্রাণের প্রাণ। তার দেখা পেলেই সার্থক হবে দুনিয়ার পাখিদের জীবন। কিন্তু আমরা যে কেউ তার সাক্ষাত পেলাম না। আমাদের জীবনটাই তো ষোলআনা মিছে। পাখিদের এই সমাবেশে প্রাণস্পর্শী বক্তৃতা দিল হুদহুদ। বলল, সুলাইমান (আ.) এর দূত হিসেবে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। আমিই তোমাদের নিয়ে যেতে পারব সেই সীমোর্গ এর দেশে, তার একান্ত সান্নিধ্যে। পাখিরা সানন্দে ডানা ঝাপ্টে তাকে বাহবা দিল। হুদহুদ বলল, তবে সীমোর্গের দেশে যেতে হলে আমাদেরকে অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করতে হবে। বহু গিরিসংকট পাড়ি দিতে হবে। বিশেষত নানা দূঃখ কষ্ট সহ্য করে সাতটি প্রান্তর পার হতে হবে। হুদহুদ জোর দিয়ে বলল, এই সাত প্রান্তর পার হলেই সীমোর্গ এর দরবার পাবে। এসব প্রান্তরের নাম (১)‘তলব’=অন্বেষা (২)‘প্রেম’ (৩)‘মারফত’=তত্ত্বজ্ঞান (৪)‘এস্তেগনা’ =অমুখাপেক্ষিতা (৫)‘তাওহীদ’= এককত ¡(৬)‘হায়বত’ =বিহ্বলতা (৭)‘দারিদ্র ও ফানা।

সাতটি উপত্যকা পেরিয়ে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে। যেতে যেতে পাখিগুলি নিজেদের ক্ষুদ্রত্ব আর ভয় উপলব্দি করছে। ৩০ টি পাখি শেষমেষ গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে। এবং তারা টের পায় যে -তারা নিজেরাই সী-মোরগ! ফার্সিতে তিরিশকে বলা হয় সী। তিরিশ পাখি অর্থাৎ সী-মোরগ! এই কাব্যগ্রন্থ এক বিস্ময়কর আধ্যাত্মিক পথ নির্দেশনার গ্রন্থ যা রূপক হিসেবে পাখিদের ভাষা ও আচরণে বলা হয়েছে। তারা জীবন, জগত, সৃষ্টিরহস্য বিষয়ে এবং বিশেষত ভালোবাসা বিষয়ে অপূর্ব সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়।

পাখিদের সমাবেশ ও অভিযাত্রার এ গ্রন্থ শুরু হয়েছে রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা বাক্য দিয়ে- এ গ্রন্থের শুরুতে হামদ, না’ত ও প্রচলিত দোয়া-দরুদের পর মূল কাহিনীতে বলা হয়েছে-

চন্দ্রবিহীন এক মধ্য রাতে চীন দেশে সীমোরগ (ফার্সিতে তিরিশকে বলা হয় সী। তিরিশ পাখি অর্থাৎ সীমোরগ! ) তার রূপের বাহার মেলে ধরল। সীমোরগের পাখা থেকে একটি পালক ছুটে পড়ল জমিনে। পালকের রূপের আলোতে চমক লাগল দেশ-বিদেশ ও সারা জাহানে। এতরূপ দেখে দেশের পাখিরা জমা হল বিশাল ময়দানে। সবার এক কথা- পৃথিবীর সব দেশেই রাজা-বাদশাহ রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে বাদশাহ নেই। এ কারণে চলছে সবখানে অরাজকতা, অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অশান্তি, যুদ্ধ, হত্যাকাণ্ড, বৈষম্য, হিংসা, বিদ্বেষ ইত্যাদি। আমাদের প্রয়োজন একজন ন্যায়বিচারক দরদী বাদশাহ। কিন্তু কোথায় পাব তাকে? কে নিয়ে আসবে এমন একজন প্রজ্ঞাবান প্রজাবান্ধব বাদশাহ কাছে। পাখিদের এমন সব কথাবার্তা ও কোলাহলে উপস্থিত হল হুদহুদ। হুদহুদ অত্যন্ত জ্ঞানী, বুদ্ধিমান, প্রজ্ঞাবান ও কষ্টসহিষ্ণু পাখি। সব পাখিই তার গুণাবলীতে মুগ্ধ। সবাই মিলে তাকে ধরল এবং তাদের দাবির কথা জানাল। হুদহুদ পাখিদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনল এবং তাদের মনের কথা বুঝে নিল। সমবেত পাখিরা তাকেই নেতা ও মুখপাত্র হিসেবে মনোনিত করল। কেন না হুদহুদ হজরত সুলায়মানেরও ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত পাখি। সবার কথা ও দাবি শোনার পর হুদহুদ বলল, আমাদের জন্য একজন যোগ্যতম বাদশাহ বা সম্র্রাট হওয়ার মতো পাখির প্রয়োজন। যার যোগ্যতা রয়েছে কেবল সীমোরগের। সীমোরগ এক আধ্যাত্মিক কল্পিত পাখির নাম। ফার্সি সাহিত্যে সীমোরগ বলা হয় ইনসানে কামেল ও পীরে কামেলকে যিনি রাব্বুল আলামিন আল্লাহ পাকেরই খাঁটি প্রতিনিধি ও প্রতিচ্ছবি।
হুদহুদ পাখিদের বলল, সীমোরগের সন্ধান ও সাক্ষাৎ পাওয়া এত সহজ নয়। সীমোরগের রাজ্যে যেতে হলে অত্যন্ত কঠিন ও সংগ্রামময় অভিযান জরুরি। সীমোরগ থাকে “কুহে কাফে।” কুহে কাফে যেতে হলে আমাদের এ দেশ ও এ বেশ ছাড়তে হবে। আমাদের নফসানী লেবাস ও রেশ থাকা অবস্থায় কুহে কাফে যাওয়া সম্ভব নয়। আর সেখানে যেতে না পারলে সীমোরগের দীদার লাভও অসম্ভব।

এ অভিযান ও অভিযাত্রা নিয়ে পাখিদের মাঝে শুরু হল নানা তর্ক-বিতর্ক ও বাদানুবাদ। প্রত্যেকেই যার যার স্বার্থ, যুক্তি ও অবস্থানের আলোকে নিজেকে এ অভিযান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাল। বুলবুল, ময়ূর, চড়ুই, কবুতর, ঘুঘু, দোয়েল, হাঁস, কাক, শুকুন, বাজ, ঈগল প্রভৃতি হাজার হাজার নামের পাখি সাত মরু-বিয়াবান পাড়ি দেয়ার নাম শুনেই ছিটকে পড়তে ও সটকে পড়তে যুক্তি দেখাতে লাগল। হুদহুদ সবাইকে তার জ্ঞান-প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাল। বলল, আমাদের নাজাত ও মুক্তির একমাত্র পথই এ সংগ্রামী অভিযানে জীবনপণ করে নামা। নইলে এই অরাজকতাপূর্ণ, অশান্তির ও ধ্বংসাত্মক পৃথিবীর কারাগার থেকে আমাদের মুক্তি নেই। আত্মত্যাগ ও সংগ্রামই একমাত্র উপায়। লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বাধীনতা ইত্যাদি সাত ভয়াবহ ময়দান পাড়ি দিতেই হবে। তবেই আমরা চিরন্তন শান্তিময় জীবন পাব এবং সীমোরগের পরশ লাভে ধন্য হব।

ফরিদ উদ্দিন আত্তার তার চিত্তাকর্ষক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ এ গ্রন্থে উল্লেখ করেন- ----

অবশেষে পাখিদের সমাবেশ থেকে হাজার হাজার পাখি রওয়ানা হল কুহে কাফের দিকে হুদহুদের নেতৃত্বে। ভয়াবহ সাত মরু-বিয়াবান পাড়ি দিতে গিয়ে হাজার হাজার পাখি মারা গেল, হারিয়ে গেল এবং নানা আকর্ষণ ও ফাঁদে আটকে পড়ল।

শত শত মঞ্জিলে হুদহুদ সঙ্গী-সাথীদের উপদেশ ও পথনির্দেশ দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করতে লাগল। সাহসী এ বীর পাখিরা দীর্ঘ কঠিনতম পথ পরিক্রমা শেষে যখন কুহে কাফে পৌঁছাল তখন তাদের সংখ্যা দাঁড়াল মাত্র তিরিশে। ফার্সিতে তিরিশকে বলা হয় সী। তিরিশ পাখি অর্থাৎ সী-মোরগ! সী-মোরগ বা তিরিশ পাখি যখন কুহে কাফে মহান বাদশাহ সীমোরগের রাজ্যে পৌঁছাল তখন তাদের অবস্থা কাহিল, প্রাণ যায় যায়। পথে পথে হাজার হাজার সঙ্গী পাখি বিদায় নিয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। কত হৃদয়বিদারক এ কাহিনী। কিন্তু সবাই ঠিকানাবিহীন গহীন অন্ধকার যুলমতের দেশে ও দীনহীন বেশে ঘুরপাক খাচ্ছে।

শেষতক সী-মোরগ বা তিরিশ বীরবিক্রম পাখি অধীর চিত্তে অপেক্ষা করতে লাগল অন্তরের আরাধ্য সী-মোরগের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জনের জন্য। সেখানে ছিল এক বিশাল অতিস্বচ্ছ হ্রদ। অপেক্ষামাণ সী-মোরগেরা হ্রদের স্বচ্ছ সলিলের দিকে এগিয়ে গেল। একী! সী-মোরগের সবার চেহারাই হ্রদের পানিতে ফুটে উঠেছে। প্রত্যেকেই নিজের ছবিতে দেখল মহামান্য ন্যায়বিচারক অতিশয় দরদী সী-মোরগের হুবহু চেহারা। তারাতো বিস্ময়ে হতবাক! তখন ছবি-প্রতিচ্ছবি থেকে চোখ ফিরিয়ে যার যার দেহের দিকে তাকিয়ে দেখে তারাই এখন সী-মোরগ! সী-মোরগের সন্ধানে, ধ্যানে, স্মরণে ও অভিযানে গিয়ে তারাই হয়ে গেছেন সী-মোরগ। কুহে কাফের সী-মোরগ। চিরশান্তির সী-মোরগ। একত্ব ও একাকারের তাওহিদী হ্রদের প্রশান্তি, দরদ ও ইশকে তারা মাতোয়ারা।

তাদের চোখে-মুখে, কানে ও সর্বাঙ্গে এবং রূহে সর্বত্র বাজছে এক মধুর তান-

“আমি এক আহাদ, অদ্বিতীয় সামাদ-

আমাকেই বানাও তোমার একক লক্ষ্য ও প্রেমময় প্রাসাদ-

আমার উপস্থিতিই যথেষ্ট হোক তোমার মনে-

আমিই তোমাদের মাওলা-মাবুদ বরণ করো অনিবার্য জেনে-

দমে দমে জপো আমার নাম

বিভোর থাকো হু আর আল্লাহু স্মরণে।”

কথাগুলো মানতিকুত তাইর (পাখিদের কথা) নামক কাব্যগ্রন্থে হুদহুদ পাখির সংলাপ। গ্রন্থটির রচয়িতা বিশ্ববিখ্যাত সাধক কবি শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার। প্রেম ও প্রাণের ভাষা ফারসিতে লেখা এ কাব্যগ্রন্থর মূল চরিত্রে রয়েছে হুদহুদ। আর পুরো কাব্যগ্রন্থটি সাজানো হয়েছে পাখিদের সংলাপ দিয়ে।

ফারসি দুটি শব্দের সমন্বয়ে সি-মোরগ গঠিত। সি অর্থ ৩০ আর মোরগ অর্থ পাখি। তার মানে ৩০টি পাখি সি-মোরগের দরবারে গিয়ে ৩০টি পাখিই দেখতে পেল। এ কাহিনীকাব্যের মূল বার্তা হলো, তোমার হৃদয়ের আয়নাকে স্বচ্ছ ও পবিত্র কর, তাহলে দেখবে, তোমার হৃদয়পটে তিনি উদ্ভাসিত। এখানে শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার মূলত আধ্যাত্মিক সাধনার পথে সাধককে যেসব স্তর অতিক্রম করতে হয় তাকে পাখির সংলাপে সাত স্তরে সাজিয়ে মনোজ্ঞ সরল ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। উল্লেখিত পঙক্তিতে তিনি আরও বলেন, ফানার স্তরের পর আর সাধনা করা নিষেধ। তিনি বলছেন, এ তো গেল পরম আরাধ্যের লক্ষ্যে সাধনার কথা। কিন্তু যদি ওদিক থেকে আকর্ষণ এসে যায়, তাহলে তোমার হুঁশ-জ্ঞান লুপ্ত হয়ে তুমি সম্পূর্ণ আকর্ষিত হয়ে পড়বে। তখন যদি তুমি বিন্দু হও, আপন দয়ায় তিনি তোমাকে সিন্ধুতে পরিণত করে দেবেন। (সুবাহানাল্লাহ)


শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার (রহ.) এর স্মরণে
সাত প্রান্তর পার হলে
দরবার পাবে
ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী
گفت ما را هفت وادی در ره است
چون گذشتی هفت وادی، درگه است
গোফত মা’রা’ হাফ্ত ওয়া’দি দর রাহ্ আস্ত
চোন গুযশতি হাফ্ত ওয়াদি দরগাহ আস্ত
বলে, সাত প্রান্তর আছে আমাদের সাধনার পথে,
এই সাত প্রান্তর পার হলে তার দরবার পাবে।
هست وادی طلب آغاز کار
وادی عشق است زان پس بی‌کنار
হাস্ত ওয়াদিয়্যে তলব আ’গাযে কা’র
ওয়াদিয়ে এশ্ক আস্ত যান পস বে কিনা’র
‘তলব’ এর প্রান্তর হল যাত্রার সূচনা,
‘প্রেম’ এর প্রান্তর পরে, নাই তার সীমানা।
پس سیم وادیست ازآن، معرفت
پس چهارم وادی، استغنا صفت
পস সিয়ম ওয়া’দিস্ত আয অ’ন মা’রেফত
পস চাহা’রম ওয়া’দি এস্তেগ্না সেফাত
তৃতীয় প্রান্তর আসে ‘মারফত’ এরপর,
চতুর্থ ‘এস্তেগনা’ অমুখাপেক্ষিতার প্রান্তর।
هست پنجم، وادی توحید پاک
پس ششم، وادی حیرت صعبناک
হাস্ত পঞ্জুম ওয়াদিয়্যে তওহীদে পা’ক
পস শশুম ওয়া’দি হায়রত সা-বনা’ক
পঞ্চম প্রান্তর আসবে পবিত্র ‘তাওহীদ’
ষষ্ঠ প্রান্তর ‘হায়রত’ বিহ্বল শাদীদ।
هفتمین، وادی فقراست و فنا
بعد ازین وادی، روش نبود ترا
হাফতুমিন ওয়াদি ফক্র আস্ত ও ফানা’
বা-দ আযিন ওয়া’দি রবেশ ন বুয়াদ তোরা’
সপ্তম প্রান্তর ‘দারিদ্র ও বিনাশ-ফানা,
এর পরের প্রান্তরে তোমার সাধনা মানা।
ورکشش افتی، روش گم گرددت
گر بود یک قطره قلزم گرددت.
ওয়ার কাশিশ উফ্তি রবেশ গুম গর্দদত
গর বুয়াদ য়্যক কাতরা কুলযুম গর্দদত
যদি আকর্ষণে পড়ে যাও ভুলে যাবে পথ,
যদি হও এক ফোঁটা হবে সমুদ্রবৎ।

কথাগুলো ‘মানতিকুত তায়র’ কাব্যগ্রন্থে হুদহুদ পাখির বক্তৃতার অংশ।


(প্রিয় সহব্লগার রিদওয়ান হাসান এর মন্তব্যে উৎসাহিত এই পর্ব লেখা)



মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: প্রায় চার হাজার পঙক্তি দিয়ে সাজানো এই কাব্যগ্রন্থের কলেবর। আমার কাছে একটা কপি আছে। দুর্লভ কপি। কবি আত্তার ফারসি ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। তার শিশুতোষ ছড়ার বই ‘পান্দেনামা’ (উপদেশ সম্ভার) ফারসিতেই পড়েছিলাম অনেক আগে। কিন্তু মানতিকুত তাইর গ্রন্থটি ফারসির উচ্চমার্গীয় সাহিত্যে নির্মিত। তাই বইটি পড়ে অর্থ করা আমার পক্ষে ছিল দু দিনের সন্তরণ বিদ্যার ওপর সাহস করে অকুল দরিয়ায় ঝাঁপ দেয়ার মতো।

এই বইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয় আরো তিন বছর আগে। অনুবাদ করার ইচ্ছা ছিল প্রবল। কিন্তু আমার তো মাত্র দু দিনের সন্তরণ বিদ্যা, তাছাড়া ইংরেজি বা উর্দু ভাষাতেও এর কোনো অনুবাদ নাই। তাই হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ে গুগলিং করলাম আর এ গলি ও গলি ঘুরে ঘুরে আবিস্কার করে ফেললাম মানতিকুত তাইরের উর্দু অনুবাদ। এবার দেখা যাক, বাংলায় অনুবাদ করা যায় কিনা? ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লেখা পড়েই গুগলিং করার প্রেরণা জেগেছিল, যার বদৌলতে উর্দু অনুবাদটি পাওয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনার আগ্রহ আমারও জানার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।
কিছু লেখা পেলাম গুগল থেকে---

শেখ ফরিদ উদ্দীন আত্তার (রহ.) এর শাহাদত স্মরণে
সাত প্রান্তর পার হলে
দরবার পাবে
ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী
گفت ما را هفت وادی در ره است
چون گذشتی هفت وادی، درگه است
গোফত মা’রা’ হাফ্ত ওয়া’দি দর রাহ্ আস্ত
চোন গুযশতি হাফ্ত ওয়াদি দরগাহ আস্ত
বলে, সাত প্রান্তর আছে আমাদের সাধনার পথে,
এই সাত প্রান্তর পার হলে তার দরবার পাবে।
هست وادی طلب آغاز کار
وادی عشق است زان پس بی‌کنار
হাস্ত ওয়াদিয়্যে তলব আ’গাযে কা’র
ওয়াদিয়ে এশ্ক আস্ত যান পস বে কিনা’র
‘তলব’ এর প্রান্তর হল যাত্রার সূচনা,
‘প্রেম’ এর প্রান্তর পরে, নাই তার সীমানা।
پس سیم وادیست ازآن، معرفت
پس چهارم وادی، استغنا صفت
পস সিয়ম ওয়া’দিস্ত আয অ’ন মা’রেফত
পস চাহা’রম ওয়া’দি এস্তেগ্না সেফাত
তৃতীয় প্রান্তর আসে ‘মারফত’ এরপর,
চতুর্থ ‘এস্তেগনা’ অমুখাপেক্ষিতার প্রান্তর।
هست پنجم، وادی توحید پاک
پس ششم، وادی حیرت صعبناک
হাস্ত পঞ্জুম ওয়াদিয়্যে তওহীদে পা’ক
পস শশুম ওয়া’দি হায়রত সা-বনা’ক
পঞ্চম প্রান্তর আসবে পবিত্র ‘তাওহীদ’
ষষ্ঠ প্রান্তর ‘হায়রত’ বিহ্বল শাদীদ।
هفتمین، وادی فقراست و فنا
بعد ازین وادی، روش نبود ترا
হাফতুমিন ওয়াদি ফক্র আস্ত ও ফানা’
বা-দ আযিন ওয়া’দি রবেশ ন বুয়াদ তোরা’
সপ্তম প্রান্তর ‘দারিদ্র ও বিনাশ-ফানা,
এর পরের প্রান্তরে তোমার সাধনা মানা।
ورکشش افتی، روش گم گرددت
گر بود یک قطره قلزم گرددت.
ওয়ার কাশিশ উফ্তি রবেশ গুম গর্দদত
গর বুয়াদ য়্যক কাতরা কুলযুম গর্দদত
যদি আকর্ষণে পড়ে যাও ভুলে যাবে পথ,
যদি হও এক ফোঁটা হবে সমুদ্রবৎ।

---আশা করছি ভাল লাগবে।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



রিদওয়ান হাসান,
আল্লামা ফরিদ উদ্দিন আত্তার রহ. এর অনবদ্য কাব্য গ্রন্থ 'মানতিকুত তইয়ার' নিয়ে আপনার আগ্রহ দেখে আনন্দিত। আপনার জ্ঞাতার্থে এর ইংলিশ অনুবাদের একটি লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিচ্ছি। Samuel Bercholz এবং Michael Fagan কর্তৃক অনুদিত এই বইটি প্রকাশ করে San Francisco এর Cranium Press। এবং এই সংস্করনটি বের হয় ১৯৭১ সালে। ইতোপূর্বে এটির অন্য একটি সংস্করন ছিল, যেটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত। ইচ্ছে করলে নামিয়ে নিতে পারেন।
The Conference of the Birds

এছাড়া বইটির অনেক, প্রায় সাত আট জন অনুবাদকের ইংলিশ ট্রান্সলেশন সম্মন্ধে আমার ধারনা রয়েছে। আপনার বাংলা অনুবাদ কাজে প্রয়োজন মনে হলে জানাবেন।

রাবেয়াকে অন্তরের অন্থস্থল থেকে শ্রদ্ধা। আল্লাহ পাক তাকে এবং তার সুন্দর প্রচেষ্টাগুলোকে কবুল করুন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমিন --
অনেক আনন্দিত । অগনিত শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানবেন ।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

মধ্য রাতের আগন্তক বলেছেন: রাবেয়া নামে ও একজন একজন নারী সূফি ছিলেন ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
তার ছিল হজরত রাবেয়া বাসরি । ভাল থাকবেন।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @রিদওয়ান ভ্রাতা
এটার বাংলা অনুবাদ পাবেন এখানে
মানতিকুত তোয়ায়ের /
by আত্তার, ফরিদ উদ্দীন. Attar, Farid Uddin; আবদুল জলীল কর্তৃক অনূদিত.
Type: materialTypeLabelBookPublisher: ঢাকা: ইসলামিয়া, ১৯৬৮Description: ২০৩ পু; ২২ সে. মি.Subject(s): Islam | ইসলাম




@ বুবু ক্রমটা সম্ভবত আগে পিছে হয়েছে-
(১)‘তলব’=অন্বেষা (২)‘প্রেম’

হবে (১)‘প্রেম’’ (২) ‘তলব=অন্বেষা

দারুন উপস্থাপনায় মুগ্ধ :)

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আনন্দিত ---
আচ্ছা আবার ঠিক করে নিচ্ছি ।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো লেগেছে জেনে, হুদহুদ পাখী জ্ঞানী পাখী; পারস্যের জাতীয় পাখী আছে নাকি?

সেই আমলে পারস্য থেকে মরক্কো অবধি, অর্থনীতির মুলে ছিল ভেঁড়া পালন; ভেঁড়াদের নিয়েও বাচ্ছাদের জন্য কোন বই থাকতে পারে। আবার ঘুম না এলে, শুয়ে শুয়ে ভেঁড়ার কল্পনা করলে নাকি ঘুম আসে?

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: দুনিয়ার চিরস্থায়ী নিয়ম হল কোন কিছুই সর্বজন সমাদ্রিত নয়। কিছু কিছু মানুষের কিছু বিষয়ে এ্যলার্জি থাকে। এটা একটা রোগ আমার মনে হয় আপনি সেই এ্যলার্জি রোগে আক্রান্ত। আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন।

আমি আল্লাহ ও তার নাজিল কৃত কোরআনে বিশ্বাসী -- আল্লাহ পাক হযরত সুলায়মানকে (আ.) পাখির ভাষা বুঝার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। হুদহুদ পাখির নামও কুরআন মজীদে এসেছে (সূরা নামল:১৬)। মাথায় রাজমুকুট পরা হলুদ বরণ কাঠ-ঠোকরার আরবি নাম হুদহুদ। হুদহুদ সুলায়মান বাদশাহর হয়ে ‘সাবা’র রাণী বিলকিসের সংবাদ সংগ্রহ করে আনা আর দূত হিসেবে পত্র পৌঁছে দেয়ার বিবরণ আছে কুরআন মজীদে। --

এই লাইনগুলি মন দিয়ে পড়ুন। প্রাচীন সব ধর্মগ্রন্থে সুলায়মান নবী সাবার রানী ও হুদ হুদ পাখির কথা বলা হয়েছে।
আবারো বলছি আমি আল্লাহ বিশ্বাসী আস্তিক । এখানে আমি আমার বিশ্বাসের কথাই লিখেছি। আপনার বিশ্বাস আমার থেকে ভিন্ন হতেই পারে।

ভাল থাকুন। মহান রাব্বুল আলামিন আপনার অন্তরে প্রশান্তি দান করুন।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: জানার আবেগে উদ্ভাসিত হলাম
কোরআনে হুদহুদ পাখির বর্ননা
সেই সাথে এমন বিশ্লেশন পড়ে
আপনার এত প্ররিশ্রম করে
লেখাকে আবারও শুভ কামনা।
পাখি এমন এক প্রানী যাদের
সভ্যতা আজও মানুষ শিখে
নাই। সাধারনত কাক ময়লা
আবর্জনা খায় তাদের একতা
দেখে মনে হয় মানুষ কেন
আজও এত স্বার্থপর।
পাখিরা জোরা ছারা হয়না
একজনের মৃত্যু নাহলে।
মানুষের উচিৎ পাখির থেকে
সভ্যতা শিখা। যাদের মাথায়
আধ্যাতীকতার দানা নাই তারা
এই হুদহুদ পাখির বর্ননায়
উপহাস করবে।
যেসব পাঠক যানতে চায়
তাদের জন্য লিখ। এটাও
জানতে চাওয়া মানুষ গুল
জ্ঞান অর্জন করে।
ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মানুষের উচিৎ পাখির থেকে
সভ্যতা শিখা। যাদের মাথায় আধ্যাতীকতার দানা নাই তারা এই হুদহুদ পাখির বর্ননায় উপহাস করবে।

---খুব সুন্দর করে সঠিক কথাই বলেছেন । চাঁদগাজী কেন যে পচাইতে আসে বুঝে আসেনা।

আল্লাহর আপনার মংল করুন । অনেক ভাল থাকবেন। পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা ।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ , যেমনি কবিতার অনুবাদ তেমনই উপস্থাপনা , সব কিছুতে্ই একরাশ মুগ্ধতা , প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। এত মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ একটি লিখা অনেকদিন পাঠ করা হয়নি । এই কাব্যগ্রন্থটির বিষয়ে আরো কিছু মুল্যবান তথ্য ও লিংক দানের জন্য সর্ব জনাব রিদওয়ান হাসান , নতুন নকিব ,বিদ্রোহী ভৃগু ও বোন কানিজ রিনার প্রতিউ রইল বিনম্র শ্রদ্ধা । এই পোষ্টে আবার আসব ফিরে ।

ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা আপনাকেও। মুল্যবান মন্তব্যসহ আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় ।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তার ও শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জে শখর দ্বয়ের নাস অনুসারে আমার ফরিদ নাম রাখা হয়েছিল বলে শুনেছি। তো আমিও এখন টুকটাক কবিতা লিখি। আপনাকে নিয়েও একটা কবিতা লিখেছিলাম। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমার মনে আছে।
আপনার নামের ইতিহাস জেনে ভাল লাগলো । আমার নামটিও এভাবেই রাখা হয়েছিল।

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"১৬)। মাথায় রাজমুকুট পরা হলুদ বরণ কাঠ-ঠোকরার আরবি নাম হুদহুদ। "

-কাঠ-ঠোকরা হুদহুদ? রূপকথায় সবাই নায়ক-নায়িকা হয়ে যায়; কিন্তু কাঠ-ঠোকরা ভালো ভালো গাছ নস্ট করে দেয়, গাছে ছিদ্র করে ফেলে; খেয়েদেয়ে কাজ একটা গাছ নস্ট করা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হুদহুদ বা মোহনচূড়া (Upupa epops) (ইংরেজি Eurasian Hoopoe) ইউপুপিডি পরিবারের অন্তর্গত ইউপুপা গণের এক প্রজাতির মাঝারি আকারের দুর্লভ পাখি। এর গ্রামীন নাম হুদ হুদ, কাঠকুড়ালি ইত্যাদি। মাথায় খুব সুন্দর একটা ঝুঁটি আছে, ঝুঁটির হলদে বাদামি পালকের মাথাটা কালো। উত্তেজিত হয়ে রেগে গেলে এবং প্রজনন মৌসুমে পাখিটি ঝুঁটি প্রসারিত করে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন-এ পাখির নাম উল্লেখ রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীতেও এ পাখির বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে।

কুরআনের সুরা নামলের ২০-২২ নং আয়াতে হুদহুদ পাখি এবং নবী হযরত সুলাইমান (আঃ) এর সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজরত সুলাইমানের (আ.) পোষ মানাতো হুদহুদ পাখি। তিনি পশুপাখিদের কথা বুঝতে পারতেন। হুদহুদ সুলাইমানের (আ.) অত্যন্ত অনুগত ছিল।

-----জনাব সমস্যা হোল অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করানো যায় না বলেই তাঁরা অবিশ্বাসী।


২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হুদ হুদ এক পাখির নাম যার উল্লেখ মুসলমান দের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনেও আছে।আরবিতে একে হুদ হুদ বলা হয় আর ইংরেজিতে একে বলা হয় হুপু(Hoopoe) । ঝুটি ওয়ালা চমৎকার দেখতে এই পাখিটি । এটা ইসরাইলের জাতীয় পাখি ।এশিয়া ইউরোপ আর উত্তর আফ্রিকায় এদের বাস।
এই পাখিটির নাম জড়িয়ে আছে প্রবল পরাক্রমশালী কিং সলোমন মানে সুলাইমান নবীর সাথে। জেরুজালেমের মানে ইসরাইলের তৃতীয় রাজা ছিলেন কিং সলোমন মানে হজরত সুলাইমান (আঃ)। ইসলাম ধরমালম্বিরা উনাকে নবি হিসাবে মানেন। ডেভিড বা দাউদের পুত্র কিং সলোমন মানে হজরত সুলাইমান (আঃ)কে ইহুদি আর খৃস্টানরাও মানেন, সম্মান করেন।
বলা হয়ে থাকে উনি জীন আর পশুপাখিদের ভাষাও বুঝতে পারতেন। সলোমনের নামে ওশানিয়া মহাদেশে এক দেশ আছে কিং সলোমন আইল্যান্ড । তবে যে কারনে হুদ হুদ পাখির নাম আলোচিত তা হল সেবার রানী আর কিং সলোমনকে কাছে আনার জন্য। এই পাখির নামের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক দেশের আর ধর্মের অনেক অনেক কিংবদন্তী ,উপকথা । মুসলিম ,ইহুদী আর খৃস্টানদের সাথে সাথে ইথিওপিয়া ,পারস্য প্রভৃতি দেশের আঞ্চলিক উপকথা তেও পাওয়া যায় কিং সলোমন মানে হজরত সুলাইমান (আঃ) আর হুদহুদ পাখির গল্প।
একটু খানি রকমফের হলেও মূল কাহিনী মূলত একই । এর কারনেই হজরত সুলাইমান (আঃ) এর সাথে দেখা হয়েছিল সেবার রানির ।

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

@লেখক,
আপনি বলেছেন,
"-----জনাব সমস্যা হোল অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করানো যায় না বলেই তাঁরা অবিশ্বাসী। "

-এখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কথা আসছে কেন? কাঠ-ঠোকরা দেখতে দেখতে এত বড় হলাম। উহা যদি বাদশাহ সোলায়মানের দুত হয়ে থাকে, ইহা নিশ্চয় রূপকথা।

ঢাকায় আমেরিকান দুত ইগল পাখী নন, সিআইএ এজেন্ট হতে পারে, কিন্তু পাখী মাখী নয়, উহা মানুষ; এখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কি আছে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বেহুদা তর্ক করে যেতে পারেন লাগামহীনভাবে তাতে বিরক্ত উদ্রেক ছাড়া গঠন্ মুলক কিছুই আসবেনা।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৥ চাঁদগাজী বলেছেন:
"১৬)। মাথায় রাজমুকুট পরা হলুদ বরণ কাঠ-ঠোকরার আরবি নাম হুদহুদ। "
-কাঠ-ঠোকরা হুদহুদ? রূপকথায় সবাই নায়ক-নায়িকা হয়ে যায়; কিন্তু কাঠ-ঠোকরা ভালো ভালো গাছ নস্ট করে দেয়, গাছে ছিদ্র করে ফেলে; খেয়েদেয়ে কাজ একটা গাছ নস্ট করা। “

হা হা হা
যেমন অনেকে অভিযোগ করে থাকে -খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আপনিও অযথাই অন্যের পোষ্ট নষ্ট করেন! এইরকম মন্তব্য দিয়ে!!!!!

দেখুন, প্রত্যেকের ভিন্নমত বিশ্বাস থাকবেই। এটাই সৃষ্টির বৈচিত্র। আপনার পছন্দ না হলে ইগনোর করুন। অযথা ছাইপাশ কমেন্ট করে কাউকে বিব্রত করাও তো ভদ্রতা নয়। তাই না।

হুদহুদ নিয়া হুদাই ক্যাচাল করতেছেন!
আগরে পোষ্ট গুলোতেও তেমনি করেছেন দেখলাম! সুফিজম আমার চূড়ান্ত প্রেম- তাই এ বিষয়ে আমার উপস্থিতি স্ব-প্রণোদিত। আপনি প্রতিটা পোষ্টেই ছ্যাবলামো করেছেন।
আপনাকেতো কেউ জোর করছে না- আপনি সুফি হয়ে যান। একজন লেখক তার পছন্দের মত তার ভাষায় প্রকাশ করছে । আপনি গঠনমূলক মন্তব্য করুন। না হলে এড়িয়ে যান।
ফালতু মন্তব্যে মন্তব্যকারীরেই অবনমন হয়- জানেন বোধকরি।

আপনার লাষ্ট কমেন্ট দেখুন
” -এখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কথা আসছে কেন? কাঠ-ঠোকরা দেখতে দেখতে এত বড় হলাম। উহা যদি বাদশাহ সোলায়মানের দুত হয়ে থাকে, ইহা নিশ্চয় রূপকথা।

ঢাকায় আমেরিকান দুত ইগল পাখী নন, সিআইএ এজেন্ট হতে পারে, কিন্তু পাখী মাখী নয়, উহা মানুষ; এখানে বিশ্বাস, অবিশ্বাসের কি আছে? “

আপনি যেমন বলেন কারো কারো চোখে কিন্তু তা মাতালের প্রলাপ!!!!!। এখন সবাই যদি আপনার মতো করে আপনাকে বলা শুরু করে কেমন লাগবে? ৩টি ধর্মের কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস আপনার কাছে রুপকথা !!!!!!
আপনি থাকুন না আপনার বিশ্বাস নিয়ে- আমরা কেউ জানতে চেয়েছি!!! না আপনার পোষ্টে যেয়ে ক্যাচাল করেছি।

স্থুল বোধে আর চেতনায় সূক্ষতার বোধ আসেনা। তাকে এভাবে জনসমক্ষে প্রমাণ না করলেই কি নয়? ;)


২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: স্থুল বোধে আর চেতনায় সূক্ষতার বোধ আসেনা। -----

ঠিক তাই । সূক্ষ্ম চিন্তা ভাবনা জ্ঞাণের দ্বার উন্মুক্ত করে।
অনেক ধন্যবাদ ।

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@বিদ্রোহী ভৃগু,

ব্লগার রাবেয়া রাহিম লিখছেন, আমি পড়ছি, মন্তব্য করছি; উনার লেখায়, আমাদের দেশের কাঠ-ঠোকরার কথা এসেছে; কাঠ-ঠোকরা যদি "দুত" হয় কোন লেখায়, সেই দুত নিশ্চয় রূপকথার দুত; নিশ্চয় উহা ঢাকায় আমেরিকান দুতের মতো বাস্তব কেহ নন; ইহাতে আমাকে নিয়ে আপনার বিশাল মন্তব্য কিভাবে ফিট করছেন?

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, বলেছেন--- হুদহুদ নিয়া হুদাই ক্যাচাল করতেছেন!

চাঁদগাজী বলেছেন:----ব্লগার রাবেয়া রাহিম লিখছেন, আমি পড়ছি, মন্তব্য করছি; উনার লেখায়, আমাদের দেশের কাঠ-ঠোকরার কথা এসেছে; ---

এখন আমি বলছি --জনাব চাঁদ গাজী, হুদহুদ আর আমাদের দেশের কাঠ-ঠোকরা নিয়া হুদাই ক্যাচাল করার কিছু নাই। এখানে এই পাখির উপমা দেওয়া হয়েছে শুধু। আসল ঘটনা ও লেখার বিষয় কে এড়িয়ে যেতেই আপনি ইচ্ছে করেই হুদাই ক্যাচাল শুরু করে দিয়েছেন । আমার লেখার বিষয় অনেক গভীরে । এখানে সুফিবাদের সাত স্তরের কথা বলা হয়েছে। লেখার এই লাইনটার সাথে আপনার করা কমেন্ট মিলে যাচ্ছে ---এ অভিযান ও অভিযাত্রা নিয়ে পাখিদের মাঝে শুরু হল নানা তর্ক-বিতর্ক ও বাদানুবাদ। প্রত্যেকেই যার যার স্বার্থ, যুক্তি ও অবস্থানের আলোকে নিজেকে এ অভিযান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাল।

ভাল থাকুন । আল্লাহ আপনাকে সৎ বুদ্ধি দান করুন ।


@বিদ্রোহী ভৃগু,----- অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল।

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু,
ব্লগার রাবেয়া রাহিম লিখছেন, আমি পড়ছি, মন্তব্য করছি; উনার লেখায়, আমাদের দেশের কাঠ-ঠোকরার কথা এসেছে; কাঠ-ঠোকরা যদি "দুত" হয় কোন লেখায়, সেই দুত নিশ্চয় রূপকথার দুত; নিশ্চয় উহা ঢাকায় আমেরিকান দুতের মতো বাস্তব কেহ নন; ইহাতে আমাকে নিয়ে আপনার বিশাল মন্তব্য কিভাবে ফিট করছেন?

খূব সহজেই ফিট খায়।
আপনি যেমন পড়েছেন কমেন্ট করেছেন- তেমনি আমিও পড়ছি ভালবাসছি। কারণ বিষয়টা দারুন আকর্ষনীয় এবয় আমার প্রিয়। তো আমার প্রিয় বিষয়ে কেউ স্থুল অনুভবে স্থুল মন্তব্য করলে আমি জবাব দিতেই পারি। নাকি এখানে আপনার স্ব-উদ্ভাবিত কোন লজিক, ল আছে! যে এইরকম প্রতিমন্তব্য করা যাবে না। !!!!!!

আগেই বলেছি স্থুল বোধ সূক্ষ্ণ জ্ঞানকে ধারন করতে পারে না। সোলায়মান আ: বাস্তব এটাকি মানেন?

নাকি এটাও রুপকথা বলবেন?
উনি যথন সত্য। উনার এক্ট্রা অর্ডিনারী পাওয়ারও সত্য। যেমন এখন অচল স্টীফেন হকিংসের চেতনকেই বিশ্বাস করেন। যদিও তিনি বলতে পারেন না। কিন্তু বিশাল বিশাল দর্শন কিন্তু বর্তমান।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক লিখেছেন,

"এখানে সুফিবাদের সাত স্তরের কথা বলা হয়েছে। লেখার এই লাইনটার সাথে আপনার করা কমেন্ট মিলে যাচ্ছে ---এ অভিযান ও অভিযাত্রা নিয়ে পাখিদের মাঝে শুরু হল নানা তর্ক-বিতর্ক ও বাদানুবাদ। প্রত্যেকেই যার যার স্বার্থ, যুক্তি ও অবস্থানের আলোকে নিজেকে এ অভিযান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাল।

ভাল থাকুন । আল্লাহ আপনাকে সৎ বুদ্ধি দান করুন । "


-আজ অবধি আল্লাহ আমাকে যেটুকু বুদ্ধি দিয়েছেন, উহা নিশ্চয় সৎ বুদ্ধি; আরো সৎ বুদ্ধি দিলে নিশ্চয় আমি উহাকে কাজে লাগাবো।

-পাখীদের নিয়ে পার্সী কবি যা লিখেছেন, উহা রূপকথা; সেই পাখী হোক হুদহুদ বা দোয়েল!

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পার্সী কবি তাঁর কবিতাখানি চিত্তাকর্ষক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ করার জন্য রূপকথার আকারে সুফি সাধনার সাতটি স্তরের কথা তুলে ধরেছেন --এটাই এই লেখার মুল কথা ।

আপনার লেখা "আল্লাহ" কথাটি ভাল লাগলো। আশা করছি লেখার গভীরতে এখন বুঝতে পারবেন। এ কাহিনীকাব্যের মূল বার্তা হলো, তোমার হৃদয়ের আয়নাকে স্বচ্ছ ও পবিত্র কর, তাহলে দেখবে, তোমার হৃদয়পটে তিনি উদ্ভাসিত।

১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


@বিদ্রোহী ভৃগু,

বাদশাহ সলোমন ছিলেন; উনি রাজত্ব করে গেছেন; তবে, কাঠ-ঠোকরা উনার দুত ছিলো না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হুদ হুদ পাখিকে গ্রামীন ভাষায় " কাঠ-ঠোকরা বা কাঠ -কুড়ালি " নামে ডাকা হয় । বেহুদা প্যাচাল দিয়ে আপনি এই লেখার গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না এটাই আফসোস । কাঠ-ঠোকরা থেকে বের হয়ে আসল বিষয়ে আসুন ভাবনার গভীরতা বুঝতে পারবেন আশা করছি।

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবিশ্বাসীদের জন্য করুনা।

তারা যখন মুত্যুকে সামনে দেখবে কেবল তখনই বিশ্বাস করবে- কিন্তু হায়! তখন আর ফেরার পথ থাকবে না। যদিও হাজারো অনুনয় করবে আমাকে একটা দিনের জণ্য অবসর দাও নিশ্চয়ই আমি বিশ্বাসী হব।
আফসোস।

আর্ধেক ডাক্তার জানের দুশমন, আর্ধেক জ্ঞানী জ্ঞানের দুশমন।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: তারা যখন মুত্যুকে সামনে দেখবে কেবল তখনই বিশ্বাস করবে- কিন্তু হায়! তখন আর ফেরার পথ থাকবে না। যদিও হাজারো অনুনয় করবে আমাকে একটা দিনের জণ্য অবসর দাও নিশ্চয়ই আমি বিশ্বাসী হব।
আফসোস।

মহান রাব্বুল আলামিন সকলকেই মুক্তি দিন --আমিন

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০২

কামালপা বলেছেন: গুগল সার্চ করে রকমারী ডট কমে পেয়েছি মানতিকুত তোয়ায়ের বইটা। দাম চায় ১৫০ টাকা। এই যে লিংক: https://www.rokomari.com/book/27546/মান্‌তিকুত্‌-তোয়ায়ের

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৭

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: পোস্ট পড়ে ভালই লাগছিল কিন্তু কমেন্ট গুলো পড়ে মাথা হ্যাং হয়ে গেছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: চাঁদ গাজীর করা বেহুদা প্যাঁচাল পাঠ না করাই শ্রেয় ---

অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআনে ‘হুদহুদ’ পাখির কথা বলা হয়েছে । আবার ‘আবাবিল’ পাখির কথাও বলা হয়েছে । আল কুরআনে-এর ব্যাখা অবশ্যই হাদিস-এর দলিল দ্বারা সমর্থিত হতে হবে ।
আমি ‘হুদহুদ’ এবং ‘আবাবিল’ বাস্তবে কোন পাখি তা হাদিসে পাই নি। জানার আগ্রহ থেকেই বলছি, আমার জানা মতে কোন স্বীকৃত হাদীস গ্রন্থে ‘হুদহুদ’ এবং ‘আবাবিল’ পাখি বাস্তবে কোন পাখি এর ব্যাখা নেই ।

পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআন আমাদের জন্য ‘এনলাইটেনমেন্ট’-এর মত আগুনের কাছে গেলে আমরা যেমন আলোকিত হই তার মত। এই আগুনের দুটা সমস্যা। ইট জেনারেটস বোথ লাইট এন্ড হিট। এখন আপনি যদি এমন একটা আগুন দেখেন হুয়িচ জেনারেটস মোর হিট দ্যান লাইট, তাহলে সেটা অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। অধমদের দেশে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআন-এর অনেক অপব্যাখা চালু হয়ে গেছে, তাই ঘটে যায় অগ্নিকাণ্ড।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩২

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পাখির সঙ্গে ফরিদউদ্দিন আত্তারের সম্পর্ক ছিলো অত্যন্ত নিবিড়। তার লেখা ‘মানতিকে তাইয়ার’ বা পাখিদের সম্মেলন বইটি এক ঝাঁক পাখি (আসলে কতগুলি মানবাত্মা) একটি আধ্যাত্বিক পাখির নেতৃত্বে উড়ছে। ----- এই পোস্টের এই লাইনটাই ইম্পরট্যান্ট ।

পাখির নাম প্রতিষ্ঠিত করা আমার লেখার উদ্দেশ্য না। আমি এখানে সাধনার সাত স্তরের কথাটির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ফরিদউদ্দিন আত্তারের বিখ্যাত কাব্য গ্রন্থের উল্লেখ করেছি। আশা করছি বুঝতে পারছেন ।
অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

মাহিরাহি বলেছেন: দি আলকেমিস্ট হচ্ছে একটি বিখ্যাত উপন্যাস, ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহো রচিত। অন্তত ৭০ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
বইটি পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।

বইটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে বেস্ট সেলিং বই।

The book is an international bestseller. According to AFP, it has sold more than 150 million copies in 70 different languages,[3] becoming one of the best-selling books in history and setting the Guinness World Record for most translated book by a living author.

https://en.wikipedia.org/wiki/The_Alchemist_(novel)

পাওলো কোয়েলহো আবার রুমী র: এর এবং সুফিবাদের ভক্ত।

তিনি একবার বলেছিলেন কোরান হল জ্ঞানের উতস।

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পাওলো কোয়েলহো আবার রুমী র: এর এবং সুফিবাদের ভক্ত।

তিনি একবার বলেছিলেন কোরান হল জ্ঞানের উতস।


---অনেক ধন্যবাদ ।

২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১

মাহিরাহি বলেছেন: Paulo Coelho defends Quran as 'book that changed the world'

http://english.alarabiya.net/en/media/digital/2015/08/17/Paulo-Coelho-defends-Quran-on-Facebook.html

২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । এই ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না । কৃতজ্ঞতা জানাই অশেষ ।

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

লেখক বলেছেন,
"এখন আমি বলছি --জনাব চাঁদ গাজী, হুদহুদ আর আমাদের দেশের কাঠ-ঠোকরা নিয়া হুদাই ক্যাচাল করার কিছু নাই। এখানে এই পাখির উপমা দেওয়া হয়েছে শুধু। আসল ঘটনা ও লেখার বিষয় কে এড়িয়ে যেতেই আপনি ইচ্ছে করেই হুদাই ক্যাচাল শুরু করে দিয়েছেন । আমার লেখার বিষয় অনেক গভীরে । "

-আপনি বলেছেন যে, বাদশাহ সোলায়মান পশুপাখীদের ভাষা বুঝতেন, এবং কাঠ-ঠোকরা (হুদহুদ) পাখী উনার দুত(বিলকিসের নিকট) ছিলেন; ইহা নিশ্চয় "উপমা" হিসেবে বলেননি!

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনি বলেছেন যে, বাদশাহ সোলায়মান পশুপাখীদের ভাষা বুঝতেন, এবং কাঠ-ঠোকরা (হুদহুদ) পাখী উনার দুত(বিলকিসের নিকট) ছিলেন; ইহা নিশ্চয় "উপমা" হিসেবে বলেননি! --এটা আমার বলা কথা না । পবিত্র কুরআনের সুরা নামলের ২০-২২ নং আয়াতে হুদহুদ পাখি এবং নবী হযরত সুলাইমান (আঃ) এর সম্পর্কে বলা হয়েছে। হজরত সুলাইমানের (আ.) পোষ মানাতো হুদহুদ পাখি। তিনি পশুপাখিদের কথা বুঝতে পারতেন। হুদহুদ সুলাইমানের (আ.) অত্যন্ত অনুগত ছিল। মাথায় খুব সুন্দর একটা ঝুঁটি - ঝুঁটির হলদে বাদামি পালকের মাথাটা কালো দেখতে অনেকটা রাজমুকুটের মত আরবি নাম হুদহুদ গ্রামীন নাম কাঠকুড়ালি । হুদহুদ সুলায়মান বাদশাহর হয়ে ‘সাবা’র রাণী বিলকিসের সংবাদ সংগ্রহ করে আনা আর দূত হিসেবে পত্র পৌঁছে দেয়ার বিবরণ আছে কুরআন মজীদে। --যেহেতু আমি কোরআন বিশ্বাস করি তাই এই আয়াত বিশ্বাস করি।

ফরিদুদ্দিন আত্তার তার কাব্যটিকে আরও অনেক চিত্তাকর্ষক করার জন্য ও আধ্যাত্মিক গভীরতা বুঝাতে কাল্পনিক হুদ হুদ পাখির মাধ্যমে কাব্যটি রচনা করেন। যেহেতু সলায়মান নবীর সাথে পাখির সম্পর্ক ছিল তাই বিষয়ের গভীরতা বুঝাতে হুদ হুদ পাখির কথা উল্লেখ করেছেন । এটাই আমার অনুভব এই লেখাটি লেখার সময় । আশা করছি আপনি এবার বুঝতে পারবেন। পাখির নাম সম্পর্কে যেই জটিলতা আপনার মনে অবিশ্বাসের দানা বেধেছে সেটা ঝেড়ে ফেলে দিবেন।
ভাল থাকবেন । গঠনমূলক সমালোচনা করবেন ।

২৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: আল্লাহ আমাদের চেয়ে সাত আসমান দূরে অর্থ কি মা'রেফাতের এই সাত স্তর বুঝানো হয়েছে? এই স্তরগুলোতে যাওয়ার পদ্ধতি কি তা জানতে ইচ্ছে করছে

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এই সাত স্তর সম্পর্কে আমি এখনো পুরোপুরি জ্ঞ্যান অর্জন করতে পারিনি। চেষ্টা করে চলেছি । যেদিন সফল হবো ইনশাআল্লাহ জানিয়ে দিব। অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৩

ইউনিয়ন বলেছেন: B-)) কাঠ ঠুকরা বা হুদহুদ পাখি কেন কেউ যদি কাউয়া বা কাক কে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারে তাহলে সে দূতায়ালি/চিঠি আনা নেওয়া করতে পারবে। কবুতরের দূতায়ালির নজির আমাদের উপমহাদেশেও প্রচলিত ছিল। টিয়া ও ময়না মানুষের স্বরের অনুরুপ স্বর করে শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। কাকও পারে। এখন গবেষণা করে দেখা যেতে পারে কাঠ ঠুকরার এরকম শব্দ করার সম্ভাবনা কতটুকু। যদি সম্ভাবনা সত্যি হয় তাহলে সন্দেহের অবকাশ নেই।

আন্তাজে উভয় পক্ষকে তর্ক বির্তক না করার জন্য অনুরোধ রইল।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনুরধের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখার উদ্দেশ্য পাখির আচরন ছিলনা। আমি সাধনার স্তরের গভীরতা বুঝাতে চেয়েছি। প্যাচগাজী =প্যাচলাগায়া দিল এই আরকি । /:)

২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৩

কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদ গাজী পাখিদের জীবনাচরন মানুষের
থেকে অনেক উন্নত। কাঠঠোকরা গাছ
নষ্ঠ করে। মানুষের যদি হুকুমত থাকে
গাছ কেটে ঘর বানানর। তাহলে কাঠ
ঠোকরা হুকুমত বহন করে।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: কানিজ রিনা--- দুঃখ লাগছে যে আমার লেখার গভীরতা অ গুরুত্ব চাঁদ গাজী বার বার উপেক্ষা করার উদ্দেশ্যে হাল্কা হাল্কা মন্ত্য করে বিরক্তির উদ্রেক করছেন। চাঁদ গাজীর করা মন্তব্যের সাথে আমি এই কথা গুলির মিল খুজে পাচ্ছি খুব ---

এ অভিযান ও অভিযাত্রা নিয়ে পাখিদের মাঝে শুরু হল নানা তর্ক-বিতর্ক ও বাদানুবাদ। প্রত্যেকেই যার যার স্বার্থ, যুক্তি ও অবস্থানের আলোকে নিজেকে এ অভিযান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাল। বুলবুল, ময়ূর, চড়ুই, কবুতর, ঘুঘু, দোয়েল, হাঁস, কাক, শুকুন, বাজ, ঈগল প্রভৃতি হাজার হাজার নামের পাখি সাত মরু-বিয়াবান পাড়ি দেয়ার নাম শুনেই ছিটকে পড়তে ও সটকে পড়তে যুক্তি দেখাতে লাগল। হুদহুদ সবাইকে তার জ্ঞান-প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালাল। বলল, আমাদের নাজাত ও মুক্তির একমাত্র পথই এ সংগ্রামী অভিযানে জীবনপণ করে নামা। নইলে এই অরাজকতাপূর্ণ, অশান্তির ও ধ্বংসাত্মক পৃথিবীর কারাগার থেকে আমাদের মুক্তি নেই। আত্মত্যাগ ও সংগ্রামই একমাত্র উপায়। লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ, স্বাধীনতা ইত্যাদি সাত ভয়াবহ ময়দান পাড়ি দিতেই হবে। তবেই আমরা চিরন্তন শান্তিময় জীবন পাব এবং সীমোরগের পরশ লাভে ধন্য হব।

--এবার নিজের মতন করে বুঝে নিন ।

২৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


@কানিজ রিনা ,

বাদশাহ সোালাইমান যেখানে রাজত্ব করতেন, ওখানে গাছ খুব একটা ছিলো না; কাঠ-ঠোকরা সেইসব গাছে ছিদ্র করলে, স্বয়ং বাদশাহ ক্ষেপে যাওয়ার কথা।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুলাইমান (আ.) ছিলেন একটি দেশের বাদশাহ। আবার নবীও। তাই তার দায়িত্বও ছিল অনেক। তিনি পশুপাখিদের ভাষা বুঝতেন। আল্লাহ তায়ালা তাকে এই অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী করেছিলেন। রাষ্ট্রের গোয়েন্দাগিরি, গুপ্তচরবৃত্তি আর সংবাদ আদান-প্রদানে হুদহুদ পাখি ব্যবহার করেছেন। হুদহুদ সুলাইমানের (আ.) অত্যন্ত অনুগত ছিল। অন্য রাষ্ট্রের দরকারি খবরাখবর নিয়মিতই সুলাইমান (আ.) এদের মাধ্যমেই নিতেন। সুলাইমানের (আ.) এই হুদহুদের নাম ছিল ইয়াফুর। আল্লাহ তায়ালা বলছে, আর সুলাইমান পাখিদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে বললেন,এখানে সকলেই হাজির শুধু হুদ হুদ উপস্থিত নেই। আমি যে হুদহুদকে দেখছি না, কারণ কী? সে কি অনুপস্থিত? (সুরা নামল : ২০)।

হযরত সোলায়মান (আঃ) যখন পূর্বোক্ত অনুষ্ঠানে হুদহুদকে দেখতে পেলেন না, তখন তিনি ভীষণ ক্ষেপে গেলেন। রাগের মাথায় তিনি সেই কথাগুলো বলে ফেললেন, যেগুলো আল্লাহ তায়ালা কুরআনে সূরা আন-নামলের বিশ ও একুশ নম্বর এভাবে উল্লেখ করলেন।
অর্থাৎ "স্মরণ কর সেই সময়ের কথা যখন হযরত সোলায়মান (আঃ) পক্ষীকুলের হাজিরা নিচ্ছিলো, হঠাৎ বলে উঠলো, ব্যাপার কী! আমি হুদহুদকে কেন দেখতে পাচ্ছি না, না কি সে বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত রইলো? যদি সত্যিই অবস্থা এরকম হয়, আমি অবশ্যই তাকে কঠিন শাস্তি দেবো। অথবা আমি তাকে নিশ্চিত জবেহ করে ফেলবো তবে সে যদি তার পক্ষে অনুপস্থিতির সঙ্গত কারণ দেখাতে পারে তাহলে বিবেচনা করা যাবে।"

----

২৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আজুরে ক্যাঁচাল শুরু
নিয়ে কাঠ ঠোকরা;
চাঁদকাকু করছে যা
যেনো কচি ছোকরা।

কোরানে বা বাইবেলে
নাম তার হুদহুদ;
বুঝা নয় অত সুজা
লাগে যে ঐশী বোধ।

এরে কয় মুজেজা হে
ইংলিশে মিরাকল;
বিশ্বাসী বুঝে তাহা
অবুঝে তা গ্যাঁড়াকল।

বিশ্বাস আছে-নেই
নিজ নিজ মামলা;
নেই বলে আছে যার
কেনো তারে হামলা?

আল্লাহ কি আছে কিনা
প্রমান হবে হাশরে;
কু-তর্কে লাভ কি বা
মিছিমিছি আসরে।

তোমা বোধ তোমা কাছে
আমারটা আমারি;
ভীনমতে হয়রানি
স্রেফ এক চামারি।

বারবার লোকে কয়
ক্যান করো ত্যাক্ত?
তাও করো!কি নিলাজ!
মাথা করো চেকতো!!

এত অপমান!তা-ও
কিছু গায়ে মাখোনা;
লোকে করে হাসাহাসি
সেসব কি দেখোনা?

বয়েস কি হলো কম
তিনকালে ঠেকলে;
কি পেলে কি হারালে তা
কভু মেপে দেখলে?

চ্যাংড়া-পুটিরা সব
তোমা নিয়া করে ফান;
বুড়োকালে খালিখালি
ব্লগে হও অপমান!!

সিনিয়র তুমি হেথা
করিনে তা আশা;
ব্যবহারে জিতে নাও
ফের ভালোবাসা।

জানি কয়ে লাভ নেই
যা আছো তা রবে;
হবেনা লেজটি সোজা
নিয়ম এই ভবে।

ভৃগু যথা ফের কই
পাঠ করো কালেমা;
মুছে যাবে সব জঙ
দুর হবে ডিলেমা।

ইয়া খোদা কাকু তরে
দাও তুমি হিদায়াহ;
শয়তানি যত আছে
দাও সব খেদায়া।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আজুরে ক্যাঁচাল শুরু
নিয়ে কাঠ ঠোকরা;
চাঁদকাকু করছে যা
যেনো কচি ছোকরা।
---- --একদম ঠিক ।


বারবার লোকে কয়
ক্যান করো ত্যাক্ত?
তাও করো!কি নিলাজ!
মাথা করো চেকতো!!
------ আসল গণ্ডগোল ওখানেই

অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ -- কি করি

২৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার।







ভালো থাকবেন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৩০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন,
" অনুরধের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখার উদ্দেশ্য পাখির আচরন ছিলনা। আমি সাধনার স্তরের গভীরতা বুঝাতে চেয়েছি। প্যাচগাজী =প্যাচলাগায়া দিল এই আরকি । "

-আপনারা অনেকেই রূপকথা ব্যবহার করে, মানুষকে পেছনে টানছেন ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মানুষের জীবনটাই একটা রুপকথার সমষ্টি নয় কি? একবার নিজের দিকে তাকিয়ে ভাবুন তো ---আপনি এক সময় ছিলেন পিতার শরীরে , সেখান থেকে মায়ের গর্ভে --মায়ের গর্ভ থেকে দুনিয়ায় আগমনে পথটি একবার ভাবুন তারপর ধিরে ধিরে বড় হউয়া এটা কি এখন এই পরিপূর্ণ বয়সে রুপকথা মনে হয়না ?
আমার মনে হয় এই বিষয়ে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। পুরোটা হোল বিশ্বাস , মানলে অনেক কিছু না মানলে কিছুই না।
ভাল থাকবেন।

৩১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: @চাঁদগাজী

হুদহুদ পাখি নিয়ে আপনার বেশ কৌতুহল দেখলাম। শ্রদ্ধেয় লেখিকাও তার যথার্থ দিয়েছেন। তবে চাঁদগাজীর মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো, তিনি হুদহুদের বৈশিষ্ট্য নিয়ে সন্দিহান। এ কারণে তিনি কোরআনের বাস্তব ঘটনাকেও রূপকথার গল্প বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।

হুদহুদ হলো কাঠ-ঠোকরা গোছের এক ধরনের পাখি। এর বৈশিষ্ট্য শ্রদ্ধেয় লেখিকা রাবেয়া রাহীমের মন্তব্য পড়ে আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। আপনার কথা ছিল, কাঠ-ঠোকরা পাখি গাছ বিনষ্ট করে। এটা তার প্রাকৃতিক স্বভাব। এটার সাথে হুদহুদের তালগোল পাকানো ঠিক নয়। কারণ, জেনেটিক বা জিনগত দিক দিয়ে বাঘ ও বিড়াল হলো এক প্রজাতির। কিন্তু দুটোর বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। বাঘ মানুষকে খায়, বিড়াল মানুষ দেখলে পালায়।

কাঠ-ঠোকরা হলো হুদহুদের আকৃতির মতো। এমন নয় যে, কাঠ-ঠোকরাই হলো হুদহুদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: কাঠ-ঠোকরা পাখি গাছ বিনষ্ট করে। এটা তার প্রাকৃতিক স্বভাব। এটার সাথে হুদহুদের তালগোল পাকানো ঠিক নয়। কারণ, জেনেটিক বা জিনগত দিক দিয়ে বাঘ ও বিড়াল হলো এক প্রজাতির। কিন্তু দুটোর বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। বাঘ মানুষকে খায়, বিড়াল মানুষ দেখলে পালায়।

কাঠ-ঠোকরা হলো হুদহুদের আকৃতির মতো। এমন নয় যে, কাঠ-ঠোকরাই হলো হুদহুদ।

---- খুব সুন্দর ভাবে হুদ হুদ এর বর্ণনা দিয়েছেন এইবার সম্ভবত চাঁদগাজীর প্যাচ ছুটতে পারে ।

অনেক ধন্যবাদ --রিদয়ান হাসান

৩২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: বোনের প্রতি একটি আরয। চাঁদগাজী'র মত মানুষের প্রতি জ্ঞান বিতরণ করে কি লাভ আছে? জ্ঞান তো শুধু জ্ঞানী লোকদের জন্যেই। সব জ্ঞান সব জায়গাতে বিতরণের ব্যাপারে মানা নেই কি?

এহইয়াউ উলুমুদ্দিন অবলম্বনে আমার এই লেখাটিতে এ ব্যাপারে কিছু দিক-নির্দেশনা আছে- জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা

লিংকটি এখানে শেয়ার করায় ক্ষমাপ্রার্থী। কোন বিশেষ কারণে মডারেটর আমাকে জেনারেল পদবী দিয়েছেন বিধায় প্রথম পাতায় প্রকাশিত হতে পারছি না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: জ্ঞান তো শুধু জ্ঞানী লোকদের জন্যেই। সব জ্ঞান সব জায়গাতে বিতরণের ব্যাপারে মানা নেই কি? ----

একদম ঠিক বলেছেন। চাঁদ গাজীর প্যাঁচ লাগানো কথা ওভার লুক করলাম,
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন। পেইজ শেয়ারের জন্য কৃতজ্ঞতা ।

৩৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন:

"
মানুষের জীবনটাই একটা রুপকথার সমষ্টি নয় কি? একবার নিজের দিকে তাকিয়ে ভাবুন তো ---আপনি এক সময় ছিলেন পিতার শরীরে , সেখান থেকে মায়ের গর্ভে --মায়ের গর্ভ থেকে দুনিয়ায় আগমনে পথটি একবার ভাবুন তারপর ধিরে ধিরে বড় হউয়া এটা কি এখন এই পরিপূর্ণ বয়সে রুপকথা মনে হয়না ?
আমার মনে হয় এই বিষয়ে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। পুরোটা হোল বিশ্বাস , মানলে অনেক কিছু না মানলে কিছুই না।
ভাল থাকবেন। "

মানুষের জীবন রূপকথা নয়; রূপকথা হচ্ছে, বাদশাহ সুলাইমানের দুত ছিল কাঠ-ঠোকরা, রূপকথা হচ্ছে, সোলাইমান পশুপাখীর সাথে কথা বলতো। সুলাইমান সাধারণ একজন বাদশাহ ছিলেন; সেই যুগের বেকুব লেখকেরা রাজার অনুগ্রহ পাবার আশায় রূপকথার সৃস্টি করেছে, মিথ্যা সব কাহিনী লিখেছে; এ যুগের কমবুদ্ধিমানরা সেগুলো নিয়ে তাম্রযুগে আছে।

৩৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: @চাঁদগাজী

লেখক বলেছেন, পুরোটা হোল বিশ্বাস , মানলে অনেক কিছু না মানলে কিছুই না। কথাটা সাদাসিদে হলেও এর গুরুত্ব অনেক। কারণ, এই যে আপনি শুরু থেকে যা বলে আসছেন- সেটাকে যদি আমি রূপকথা বলি! ঠিক যেমন আপনি সুলাইমানের কাহিনীকে রূপকথা বলছেন। এখন আমি যদি বলি, আপনি মিথ্যা বলছেন। কারণ, সে সময় আপনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে কি কথার শেষ হবে?

শুধু শুধু বাগারম্বড় করে লাভ কি?

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা রিদওয়ান হাসান । শুভেচ্ছা রইল । ভাল থাকবেন।

৩৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫২

কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী মক্কা নগরী এক সময় জঙ্গলে
ভরা ছিল, নিশ্চয় একথা রুপকথা নয়
হাজার হাজার বছর ধরে মরুতে পরিনত
হয়েছে। বালাদেশ হাজার বছর পরে
মরুতে দাড়াবে, পাঁচ হাজার বছর পরে
মানুষ বলবে বাংলাদেশে একজন শেখ
মজিবর ছিলেন তিনি জাতির পিতা
ছিল, হয়ত আপনার মত কেউ বলে
বসল এটা রুপ কথা। একথার মন্তব্য
কি হতে পারে।
পাখি কুল এমন এক প্রানী যে একদেশে
বসবাসের অনুপযোগী হলে অন্যদেশে
উড়ে আশার ক্ষমতা রাখে। মানুষের
এক্ষমতা সৃষ্টি কর্তা দেয়নাই।
শত শত বছর আগে বাদশা রাজা
কবুতরের মুখে চিঠি পাঠাত আর এক
বাদশার কাছে।
আমি একটা টিয়া পাখি পালতাম তাকে
ছেরে দেওয়ার পরে কত দিন পর পর
এসে গাছের ডালে বসে শিখান কথা
বলে ডাকত। বেশ কতগুল বছর এমনি
ফিরে আসত। নিশ্চয় এটা রুপ কথা নয়।
যে পাখির বর্ননা দেওয়া আছে কোরআনে
হুদহুদ পাখি। সুন্দর একটি পাখি যার
দেখতে কাঠঠোকরার মত।
আর কত পাখিইত পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত
হয়েগেছে। তবে চাঁদগাজী কোরআনে যখন
বর্ননা এসেছে। সেটা কখনও কল্পনা
বা রুপক একথা বলার সাহস রাখে
একমাত্র নাস্তিকরা। তবে জামাতে কিছু
নকল মোল্লারা সুফিবাদও দর্শন বিশ্বাস
করেনা। দেখেন আল্লাহ এপৃথিবীর মানুষের
ভার সাম্যতা বজায় রাখার জন্য কালে
ক্রমে এমন কিছু ক্ষমতাবান মানুষ সৃষ্টি
করে যার আদর্শে মানুষ বিকশিত হয়।
হাজার বছর পর রবীন্দ্র নজরুলের গল্প
বল্লে আপনার মত বলবে এসব রুপ কথা।
এখন বলুন,আপনার কি বক্তব্য।
আমরা বলব এ ব্লগে একজন হাজার
বছর আগে চাঁদগাজী ছিল যে সাহস
রাখত ট্রম্পের বিরুদ্ধে বা সৈরশাসকের
বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখত। কেউ
বলবে একথা মিথ্যা। তখন কিকরে
বিশ্বাস করাব বলুন। আপনার মত
একজন সুর্যগাজী জন্ম হোক যে
পৃথিবীর সমস্ত সৈরশাসকে জব্দ করতে
পারে। ধন্যবাদ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হ্যাটস অফ --কানিজ রিনা । আপনার যুক্তি সত্যি ভীষণ প্রশংসনীয় ।
আমি কৃতজ্ঞ --আপ্লুত।
অন্তর থেকে দোয়া রইল, অনেক ভাল থাকবেন,

৩৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@রিদওয়ান হাসান ,

আপনার ছেলেমীর লেভেলে কথা বলছেন।

৩৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম পড়ে ভাল করে পড়ব

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সূরা আল মোতাফফেফিন(১২-১৭)


১২- প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে।

১৩- তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা।

১৪- কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে।

১৫- কখনও না, তারা সেদিন তাদের পালনকর্তার থেকে পর্দার অন্তরালে থাকবে।

১৬- অতঃপর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

১৭- এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।


করুক না দাবী তারা
রূপকথা পূরানে;
কি কি তারা ক'তে পারে
কয়া আছে ক্বোরানে।

''সুমমুম বুকমুন''
এরা বুঝবেনা দাম
হাশরে বুঝবে ঠিকি
উপহাসি পরিনাম।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুমমুম বুকমুন''
এরা বুঝবেনা দাম
হাশরে বুঝবে ঠিকি
উপহাসি পরিনাম।


----- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে নাজাত দান করুন। আমিন

৩৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আচ্ছা, সমস্যাটা কোথায়! চাঁদগাজী ভাই সাহেবের এই পড়ন্ত বেলায়, শেষ বিকেলের কাঁচা সোনা ঝড়া নিরুত্তাপ রোদের ছোঁয়ায় চিকচিক করা সুরমা কপোতাক্ষ আর পদ্মা ভাগীরথীর উপলোপল তীরের বালুকনারাশিতে এখনও এত চমক কেন!!! চাঁদগাজী ভাইকে আমার সাথে কথা বলতে দিন তো! তিনি অবশ্যই আমাদের কথা ফেলে দেয়ার মত ব্যক্তি নন!!! সব ঠিক হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ, বোন তাপসীকে।

৪০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

জাহিদ হাসান বলেছেন: ফরিদ উদ্দিন আত্তার রহ: এর লেখা ‘‘তাজকেরাতুল আউলিয়া’’ বইয়ের বাংলা অনুবাদ পড়েছি ছোটবেলায়।
এই গ্রন্থটি আমার দাদা কোথা থেকে যেন সংগ্রহ করেছিলেন, তা জানিনা ।
তবে এটা আমার পড়া শ্রেষ্ঠ গ্রন্থের মধ্যে একটি।
এখনও এই গ্রন্থটির একটি কপি অামার দাদাবাড়ীতে দাদার কাছেই রয়েছে।
উনার এই গ্রন্থটি সম্পর্কে তথ্যবহুল একটি পোষ্ট আশা করি।

(আগের মন্তব্য মুছে ফেলুন)

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মুছে দিলাম।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৭

শের শায়রী বলেছেন: আমি খুব কম পোষ্ট এত মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত আনন্দ পেয়েছি।

ধন্যবাদ আপনাকে বোন।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুফিজম সাব্জেক্টটাই ভীষণ মজার অপূর্ব আনন্দের । আপনার আনদের পরিমাপ করতে পারছি। সুফিজমের উপর আলাপ আলোচনায় আমি আর ব্লগার বিদ্রোহী ভ্রিগু ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দেই। একবার আপনি সুফিজমের ভেতর প্রবেশ করার চেষ্টা করে দেখুন কি অপার্থিব আনন্দ এতে জড়িয়ে আছে। সাধু , সন্যাসি , দরবেশ ঘর বাড়ী আর সংসারের মায়া ত্যাগ করে কেনইবা স্রস্টার সন্ধানে বের হয়ে যেতেন কোন সে টান কোন সে প্রেম ? একবার যদি অনুভব করার চেষ্টা করতে পারেন তাহলেই জীবনের আসল উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.