![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !
আকাশ জুড়ে সাদা মেঘের ভেলা এক আকাশ মন খারাপ নিয়ে উড়ে চলে ধীর গতিতে
মেঘগুলো ভেসে ভেসে কোনদিকে যায়!
সামনে?
না পেছনে?
পুরনো স্মৃতি, পুরনো বন্ধুর মুখ,
ফেলে আসা জীবন..
সম্মুখে এগিয়ে যাবার সঙ্গে হারিয়ে ফেলি—
হারায় কি?
মধ্যরাতে তাকিয়ে দুরের আকাশে অগুনিত তারা,
আমার মতই একলা জেগে
আমার পানে তাকিয়ে কি?
আবেগ আর অভিমানে হৃদয়ের গভীরে জমা হয় কান্নার যত জল--
হয়ত--ভালোবেসে লীন হওয়ার শেষ ইচ্ছেতেই !
রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে সাগরের গর্জন, তোমার আমন্ত্রণ বুঝি !
কেন জানি ইদানিং হঠাৎ চমকে উঠি,
মনে হয় এই নাম ধরে ডাকলে !
তুমি কেনো ডাকো ?
স্মৃতি হাতড়িয়ে তোমায় খুঁজে পাওয়ার নিরন্তর চেষ্টায়
তোমাতেই হারাই বার বার
প্রচণ্ড শীতকালে তোমার ব্যক্তিগত সন্ধ্যা হতে চেয়েছিলাম,
চাওয়া আর পাওয়ার ব্যবধান আজন্ম হয় কেনো !
সহস্র মাইল দুরের এক শহরে তুমি,
মনে হয় জানালাটা খুলে দিলেই আবার দেখব তোমার সেই চেনা হাসি!
কী দ্রুত বদলে যায় দিন -----
এইতো সেদিন---ভরাট কন্ঠে আবৃত্তি করে যাচ্ছ তুমি
আর খুব কাছেই আপন মনে নিশ্চিন্তে মুগ্ধ আমি--
কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই--- নেই কোন পিছুটান
ঘিরে আছে শুধুই আবেশ!
কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়া সেই সাথে হাল্কা শীতল বৃষ্টির নরম চাদরে
প্রচন্ড শীতের পর আমেরিকায় এখন বসন্ত উৎসব।
লোকাল খবরের কাগজে পড়লাম তোমার কথা--"কবি অনিকেত নিউইয়র্কে এই শনিবারে" ।
ভাবতেই খুব আনন্দ হচ্ছে তুমি তোমার স্বপ্নের চুড়ায় পৌঁছতে পারলে বলে।
শনিবার সকাল সাড়ে এগারটায় তুমি নিউইয়র্ক আসবে সেই সুদুর বঙ্গদেশ হতে!!
মেঘের ফাঁক থেকে সূর্য্য আধো ঘুম নিয়ে চোখ মেলে তাকানো শুরু করছে মাত্র
শিরায় শিরায় অবাক বোধ জাগানিয়া শিহরণে আমি কাঁপতে থাকি আবার তোমায় দেখবো বলে!
সময় গড়িয়ে যায়---
তোমাকে দেখলাম ধীর পায়ে হেঁটে মঞ্চের দিকে এগিয়ে এলে,
আবারও দেখলাম বহু—বছর পর
হাঁটার ভেতর সেই চির চেনা ছন্দ ।
তোমার মাতাল সুগন্ধ —
ঝিকিমিকি রৌদ্রজ্জল হয়ে চারপাশ ছড়িয়ে পড়ছে কি !
তবে, মঞ্চ তুমি ঠিকই উজ্জ্বল করে রেখেছ তোমার অবাক করা ব্যক্তিত্ব দিয়ে !
চেহারাটা অনেক বদলে গেছে তোমার--
একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতার ছাপ স্পষ্ট ,
ঠোঁটে নিকোটিনের দাগ আরও বেশী গভীর,
সিগারটের সাথে ঘণিষ্ঠতা আবার বেড়ে গেলো কি!
একটু রোগা হয়ে গেছো!
আমি তোমাকে দেখছিলাম কিছুটা দূর থেকে---
কল্পনায় তোমাকে নিয়ে ফ্রেম আঁকছিলাম।
কিছুটা আড়াল করে সেল ফোনে অনেক গুলো ছবি তুললাম,
তুমি জানতেই পারলে না কিছু
এই মুহূর্তে চোখ যেন প্রিয় নদী, বয়ে যাচ্ছে বুকের সমান্তরাল হয়ে।
হঠাত অসাবধানে একটুকরো কাগজ খসে পড়ে তোমার হাত গলে,
ব্যস্ত তুমি মাড়িয়ে যেতেই কুড়িয়ে পাওয়া মানিক যেন তুলে নিলাম।
আহ কি প্রশান্তি!
তোমার ছোঁয়া !
পড়ে যাই আবার তোমাকে অনেক দিন পর।।
অবাক আমি আনন্দশ্রুতে ভাসতে থাকি--এ তো দুজনার একসাথে লেখা কবিতা !!
"উতল জলে কেঁপে উঠে ধরিত্রী বলে,
উদ্দেশ্যহীন চলতে গিয়ে তোমার সাথেই শুরু হল
এ জীবনের চাওয়া-পাওয়া
চলো দুজন দুজনার শ্বাস হয়ে বাঁচি"।।
সত্যি এখনো আমায় মনে পড়ে এভাবে?
অলৌকিক আবেশে এপিটাফের সতেজ ফুলের মতই
তোমায় দিয়ে সাজিয়েছি আমার কবিতার পাতা,
"সমর্পণ" কথাটি বুঝেছি তোমাকে ভালোবেসে!!
বাহিরে ভীষন ঝড় বয়ে যাচ্ছে! দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে গাছ,লতা, গুল্ম,
জানালার সার্সি গড়িয়ে নামে বৃষ্টি ঢল!
তোমার অনুভবের অনুভূতিতে বুদ হয়ে অনায়াসে ভালোবেসে যাই তোমায়,
হৃদয়ের অন্তরালে জমতে থাকে কত শত স্মৃতি কথা
রোমন্থনের মাঝেও কোথায় লাগে যেন ভরসা---
মুছে যায় সব হতাশা,
নেশানেশা ভালবাসা কি একেই বলে !
আজকাল মনে হয় তোমাকে ভালোবেসে যাওয়া ছাড়া,
আমার অন্য কোনও পথ আর নেই।
ঘরোয়া আড্ডায় কবিতার আসরে তোমাকে নিয়ে কথা হয়
আমি আনন্দিত হই,
পুলকিত হই।
আবৃত্তি করি অনিকেত কে-
একটি শেষ না হওয়া গল্পের নায়ক,
যে ভালবেসে ছিলো
ভালবাসতে শিখিয়েছিলো ,
না ছুঁয়েও কি করে সারাক্ষণ ছেয়ে থাকা যায় বুঝিয়েছিলো ----
সে আমার অনিকেত !
নৈঃশব্দ্যের নোনাজল
এটার আগের কবিতা
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২
বিজন রয় বলেছেন: কবিতাটি যত এগিয়েছে তত জমাট বেঁধেছে আর ততই ভাল লেগেছে।
বাকহারা!!
আমি ভেবে পাই না মানুষের ভিতর এত সৌন্দর্য, এত কাব্যময়তা কিভাবে থাকে!!
আশ্চর্য!!
আপা, এই কবিতাটি উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে শতকোটি ভালবাসা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শত কোটি ভালোবাসার বিনিময়ে শতসহস্র ভালবাসা ফেরত দিলাম
আমিতো কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম এই ভেবে যে এত দীর্ঘ কবিতা পড়ার ধৈর্য হবে কি? আপনি পুরোটা পড়েছেন জেনে সত্যিই আনন্দ পেয়েছি। কবিতাটি লিখেছিলাম অনেক আগেই । অল্প অল্প করে ফেসবুকে পোষ্ট দিতাম । আজ কি মনে হোল এখানে দিয়ে সংরক্ষণ করি।
আমি ভালো আছি ।
শুভেচ্ছা আপনাকে
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
বিজন রয় বলেছেন: অনেক দিন আপনার সাথে কথা হয় না, আপনার কোন এক পোস্টে বলেছিলাম সময় করে কথা বলবো আপনার লেখা নিয়ে, কিন্তু আমি আজও সেই সময় করে উঠতে পারিনি!!
আশাকরি কিছু মনে করেননি।
এখনো বেঁচে তো আছি!
শুভকামনা রইল আপা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন । যতদিন বেঁচে আছি কথা হবে লেখায় । কথা হবে পথে ।
কথা হবে ।
শুভ কামনা আপনার জন্য অফুরান ।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
বিজন রয় বলেছেন: কবিতাটি একদম দীর্ঘ নয়।
কিছু কিছু লাইনে এত কাব্যময়তা আছে যে কবিতাটি আরো দ্বিগুণ হলেও দীর্ঘ লাগতো না।
প্রিয়তে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু যেহেতু এটি আমার সংকলন পোস্টে যাবে তাই আর চিন্তা কি।
এই কবিতাটি আমাকে অনেকবার পড়তে হবে।
আপা, কাব্য, কাব্যতা নিয়ে আপনি নিবিড়ভাবে ভাবতে পারেন, আপনি অনেক সৌভাগ্যের মানুষ!!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার কথায় আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ জানাই
এই কবিতার আগের কবিতাটি যদি পড়েন তবে এই লেখাটি বুঝতে সুবিধে হবে । তাই আগের কবিতাটি দিলাম
"কবিতাটিতে আবেগী ভাব বেশী লাগছে--ভাষার গভীরতা রেখে যদি আরও একটু সংক্ষেপ করা যেত",
এই বলে কবিতার খাতায় কিছু একটা লেখার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়তে চায় অনি।
পুরোনাম অনিকেত--চশমার নীচে অনেকটা ঢেকে যাওয়া কালির রেখা,
রাত্রী জেগে থাকা লাল দুটি চোখে অবাক করা ভাল লাগা নিয়ে তাকায় সে,
শীতের মিষ্টি বিকেলের আবেশ ছড়িয়ে থাকে যেন তাঁর অবয়বে সারাক্ষণ।
এক সময় প্রচুর সিগারেট খেত তাই ঠোঁটে নিকোটিনের কালো দাগ আলাদা একটা মাধুর্য এনে দেয়।
চুপচাপ বিষাদী মেঘ আর অস্ফুট কিছু বিষন্নতায় শেষ বিকেল গড়িয়ে পড়েছে সন্ধ্যার বুকে।
নিভু নিভু আলোতে এই আবছায়া সময়টা বড়ই অদ্ভুত--আর আমি রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেঁপে যাই অবাক শিহরণে!
অনি আর আমি একই কবিতা ক্লাবের মেম্বার
দুজনেই সমবয়সী,
বয়সের হিসেব আর নাইবা করলাম;
তবে দুর্দান্ত--উচ্ছল যৌবন পেরিয়েছি অনেক আগেই সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
কবিতার সাথে বন্ধুত্ব আমাদের দুজনের।
মাস খানেকের পরিচয়।
সন্ধ্যে নামছে ল্যাম্পপোস্ট ছুঁয়ে প্রাণোচ্ছল এই শহরে;
ধিকিধিকি শ্বাসে জেগে থাকা এই আমি নিজেকে ছুঁড়ে ফেলি
চাওয়া পাওয়ার হিসেবের ভেতরে
তারপর কেটে যায় কিছু বিনিদ্র রাত।
পোড় খাওয়া দুজনের জীবনে আর গদ্য আনতে সাহস করি না কেউ।
চেপে যাই----অনেক না বলা কথা।
বহুদিন আবৃত্তি শুনেছি তাঁর ভরাট কন্ঠে
'বাতাসের ওপারে বাতাস--আকাশের ওপারে আকাশ।......'
অনি কবিতা ভালোবাসতো,
আর আমি অনি কে ।
কবিতা ক্লাবের পাশেই তির তির করে বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ জলের শান্ত নদী।
দুজনেই নিজেদের গাড়ী চালিয়ে আসি দু'কিলোমিটার পথ মাত্র—
দুজনের ভেতরেই যেন না বলা অনেক কথা গুমরে উঠে ।
একদিন অকারনেই দুজনেই নদীর তীর ধরে হাঁটতে থাকি
অনি কি কিছু বলতে চায়?
আমি কি কিছু শুনতে চাই?
হঠাত অনি আমার হাতটা নিজের হাতে তুলে নেয়।
শেষ রাতের কয়েক পশলা বৃষ্টি নামার প্রশান্তি অনুভুত হয়,
কেমন যেন ভিজে গেলাম আমি। ঘোর লাগা আমি তাঁর ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে বুঝলাম
তাঁর বুকেও ডাকছে মেঘ, এবার বুঝি বৃষ্টি নামবে।
সেদিন উচ্ছল চোখে তাঁর মুখের দিকে মুগ্ধ চেয়ে বলেছিলাম
"তোমার চোখে সময়কে যদি আটকে দিতে পারতাম"
অনি হেসে বলেছিলো-- "পাগলী--সময়কে কিভাবে আটকাবে!"
---হ্যাঁ সে ঠিক বলেছিলো। সময় আটকানো যায় না । আমরা পারিনি।
মোহাবিষ্ট আমি আপন মনে শুধু বলতে পারলাম তুষার ঝরুক
সূর্য উঠুক হিমেল হাওয়ায় ধরনী কেঁপে যাক
তাতে কি বা আসে যায় যদি তোমাকে পাশে পাই।
আত্মসমর্পণ অনিবার্য ছিল বুঝেছিলাম তাঁর গভীর আবেগীয় দৃষ্টিতে ।।
আচমকা শহর ছেড়ে চলে যেতে হলো, অনির সাথে দ্যাখা নেই প্রায় দশ বছর।
মানুষের জীবনের পরিসীমা খুব সামান্য—
আরও কি দশ বছর কেটে যাবে বা
তারও বেশী কিছু বা জীবনের শেষ সময়!
তাকে বলা হয়নি কখনো—
তাঁর ভরাট গলায় আমি আবিষ্ট হয়ে পড়তাম।
তাকে বলা হয় না অসাবধানতাবশত শার্টের বোতাম খোলা থাকলে
তাঁর রোমশ বুক দেখে আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়তাম।
কিংবা কি যেন! আমার কাছেই কেবল অদ্ভুত লাগত তার সব কিছু!
মাঝে মাঝে আমার সন্ধ্যেগুলো এতোটা বিমর্ষ হয় বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে যেন এক গাঢ় শূন্যতার হাহাকার!
তখন মধ্যরাতের এই বিশাল নিঃসঙ্গ নিস্তব্দ আকাশটাকে খুব আপন মনে হয়!
ইচ্ছে করে দু'হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরি!
আষ্টেপৃষ্ঠে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলে চিৎকার করে কাঁদি
খুব কাঁদি...!
"অনি আর আমি" এই নামে একটি কবিতা লিখব কিন্তু শেষ করা হয় না।
তুমিও কি এভাবেই আমাকে নিয়ে লিখতে চাও, অনিকেত?
আমার কবিতার সবটাই তো একেকটা চিঠি,
ছন্দহীন গদ্য সব!
তোমাকে না বলা সব কথা !
বলছি শুধু তোমায় অনি--
কবিতার খাতা তোমার নামে করে দিলাম
পাতায় পাতায় ছোঁয়া তোমার স্পর্শ আমার হবে বলে
তোমার আঙুলে জড়িয়ে থাকব ভালবাসার পরশে।।
https://www.somewhereinblog.net/blog/su15/editpost/30132809/blog/0
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখছি আপনাকে!ব্যস্ততা কাটিয়ে ব্লগে এসেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।
কবিতার কথা কি আর বলব।পড়তে পড়তে চরিত্রের ভেতরে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
অনেক ভাল লেগেছে।+++
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: দীর্ঘ কবিতা আপনাকে আচ্ছন্ন করতে পেরেছে সেই খুশিতে আমি আত্মহারা
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১
রাফা বলেছেন: কবিতাটি আসলেই কছুটা বড়।মেঘগুলো যেমন এদিক সেদিক হারিয়ে যায় ।কবিতার পঙতিগুলোও হারিয়ে ফেলার উপক্রম হয় এক প্যারা থেকে পরবর্তি প্যারায় যেতে যেতে।
আমি মনে হয় কবিতা তেমন বুঝতে পারিনা,তাই এমন হয়।
ধন্যবাদ,রা.রাহীম।কেমন আছেন আপনি? নিজেকে নিজে ছুটি দিয়েছিলেন নাকি !!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এই কবিতাটি আমার লেখা অপর একটি কবিতার ২য় অংশ বলা যায়। ক্ষমা চাইছি কনফিউজড করার জন্য। এ কারনেই আপনার কাহে পংতি মেলাতে সমস্যা হয়েছে।
আগের কবিতাটি এটা--
"কবিতাটিতে আবেগী ভাব বেশী লাগছে--ভাষার গভীরতা রেখে যদি আরও একটু সংক্ষেপ করা যেত",
এই বলে কবিতার খাতায় কিছু একটা লেখার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়তে চায় অনি।
পুরোনাম অনিকেত--চশমার নীচে অনেকটা ঢেকে যাওয়া কালির রেখা,
রাত্রী জেগে থাকা লাল দুটি চোখে অবাক করা ভাল লাগা নিয়ে তাকায় সে,
শীতের মিষ্টি বিকেলের আবেশ ছড়িয়ে থাকে যেন তাঁর অবয়বে সারাক্ষণ।
এক সময় প্রচুর সিগারেট খেত তাই ঠোঁটে নিকোটিনের কালো দাগ আলাদা একটা মাধুর্য এনে দেয়।
চুপচাপ বিষাদী মেঘ আর অস্ফুট কিছু বিষন্নতায় শেষ বিকেল গড়িয়ে পড়েছে সন্ধ্যার বুকে।
নিভু নিভু আলোতে এই আবছায়া সময়টা বড়ই অদ্ভুত--আর আমি রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেঁপে যাই অবাক শিহরণে!
অনি আর আমি একই কবিতা ক্লাবের মেম্বার
দুজনেই সমবয়সী,
বয়সের হিসেব আর নাইবা করলাম;
তবে দুর্দান্ত--উচ্ছল যৌবন পেরিয়েছি অনেক আগেই সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
কবিতার সাথে বন্ধুত্ব আমাদের দুজনের।
মাস খানেকের পরিচয়।
সন্ধ্যে নামছে ল্যাম্পপোস্ট ছুঁয়ে প্রাণোচ্ছল এই শহরে;
ধিকিধিকি শ্বাসে জেগে থাকা এই আমি নিজেকে ছুঁড়ে ফেলি
চাওয়া পাওয়ার হিসেবের ভেতরে
তারপর কেটে যায় কিছু বিনিদ্র রাত।
পোড় খাওয়া দুজনের জীবনে আর গদ্য আনতে সাহস করি না কেউ।
চেপে যাই----অনেক না বলা কথা।
বহুদিন আবৃত্তি শুনেছি তাঁর ভরাট কন্ঠে
'বাতাসের ওপারে বাতাস--আকাশের ওপারে আকাশ।......'
অনি কবিতা ভালোবাসতো,
আর আমি অনি কে ।
কবিতা ক্লাবের পাশেই তির তির করে বয়ে যাওয়া স্বচ্ছ জলের শান্ত নদী।
দুজনেই নিজেদের গাড়ী চালিয়ে আসি দু'কিলোমিটার পথ মাত্র—
দুজনের ভেতরেই যেন না বলা অনেক কথা গুমরে উঠে ।
একদিন অকারনেই দুজনেই নদীর তীর ধরে হাঁটতে থাকি
অনি কি কিছু বলতে চায়?
আমি কি কিছু শুনতে চাই?
হঠাত অনি আমার হাতটা নিজের হাতে তুলে নেয়।
শেষ রাতের কয়েক পশলা বৃষ্টি নামার প্রশান্তি অনুভুত হয়,
কেমন যেন ভিজে গেলাম আমি। ঘোর লাগা আমি তাঁর ঠোঁটে আঙ্গুল ছুঁয়ে বুঝলাম
তাঁর বুকেও ডাকছে মেঘ, এবার বুঝি বৃষ্টি নামবে।
সেদিন উচ্ছল চোখে তাঁর মুখের দিকে মুগ্ধ চেয়ে বলেছিলাম
"তোমার চোখে সময়কে যদি আটকে দিতে পারতাম"
অনি হেসে বলেছিলো-- "পাগলী--সময়কে কিভাবে আটকাবে!"
---হ্যাঁ সে ঠিক বলেছিলো। সময় আটকানো যায় না । আমরা পারিনি।
মোহাবিষ্ট আমি আপন মনে শুধু বলতে পারলাম তুষার ঝরুক
সূর্য উঠুক হিমেল হাওয়ায় ধরনী কেঁপে যাক
তাতে কি বা আসে যায় যদি তোমাকে পাশে পাই।
আত্মসমর্পণ অনিবার্য ছিল বুঝেছিলাম তাঁর গভীর আবেগীয় দৃষ্টিতে ।।
আচমকা শহর ছেড়ে চলে যেতে হলো, অনির সাথে দ্যাখা নেই প্রায় দশ বছর।
মানুষের জীবনের পরিসীমা খুব সামান্য—
আরও কি দশ বছর কেটে যাবে বা
তারও বেশী কিছু বা জীবনের শেষ সময়!
তাকে বলা হয়নি কখনো—
তাঁর ভরাট গলায় আমি আবিষ্ট হয়ে পড়তাম।
তাকে বলা হয় না অসাবধানতাবশত শার্টের বোতাম খোলা থাকলে
তাঁর রোমশ বুক দেখে আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়তাম।
কিংবা কি যেন! আমার কাছেই কেবল অদ্ভুত লাগত তার সব কিছু!
মাঝে মাঝে আমার সন্ধ্যেগুলো এতোটা বিমর্ষ হয় বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে যেন এক গাঢ় শূন্যতার হাহাকার!
তখন মধ্যরাতের এই বিশাল নিঃসঙ্গ নিস্তব্দ আকাশটাকে খুব আপন মনে হয়!
ইচ্ছে করে দু'হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরি!
আষ্টেপৃষ্ঠে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলে চিৎকার করে কাঁদি
খুব কাঁদি...!
"অনি আর আমি" এই নামে একটি কবিতা লিখব কিন্তু শেষ করা হয় না।
তুমিও কি এভাবেই আমাকে নিয়ে লিখতে চাও, অনিকেত?
আমার কবিতার সবটাই তো একেকটা চিঠি,
ছন্দহীন গদ্য সব!
তোমাকে না বলা সব কথা !
বলছি শুধু তোমায় অনি--
কবিতার খাতা তোমার নামে করে দিলাম
পাতায় পাতায় ছোঁয়া তোমার স্পর্শ আমার হবে বলে
তোমার আঙুলে জড়িয়ে থাকব ভালবাসার পরশে।।
**** এবার আর সমস্যা হবেনা পংতি মেলাতে অবশ্য যদি ধরয্য থাকে পুরোটা পড়ার
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ওয়াও! আজ ব্লগে এসেই আপনাকে দেখে খুশি হলাম। তারপর কবিতাটি পড়ে নিলাম। এবার একটু দীর্ঘ বিরতি হলেও কবিতাটি পুশিয়ে দিয়েছে। তবে জানতে ইচ্ছে করতে কেমন আছেন? যারা ব্লগটিকে সবসময় আলোকিত করে রাখেন তারেদ কাউকে যদি একটানা অনেকদিন না দেখা যায় কেমন যানি ছায়া নামে। থাকুন আমাদের সাথে সবসময়। কবিতাটি অসাধারণ লিখেছেন। ভাল থাকুন সবসময়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে খুব ।
এই কবিতার আগের লেখাটী এটা
https://www.somewhereinblog.net/blog/su15/editpost/30132809/blog/0
৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর ।
৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
নজসু বলেছেন:
কবিতা দীর্ঘ।
কিন্তু পাঠ করতে কোন ক্লান্তি এলো না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভাল থাকবেন
১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই আমার লেখালেখির খবর রাখার জন্য ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর বুবু!
আহা একটা কবিতা দিলেই তার উত্তর কাব্য!
আবরা! আবার!
তোমার খোঁচাখুঁচিতেইতো প্রাণ পেল কোমায় যাওয়া কাব্যানুভব
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
কি? টা একটু বেশী লাগছে কি?
হারায় কি?
ডাকো কি?
কি জানি! আমার বেশি শ্রান্ত মন হয়তো আবেগের সাথে টিউনড হতে পারেনি
রাফা ভাইয়ের উত্তর পুরোটা দিয়ে ভালই করেছ বুবু
অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাইজান ঠিক বলছেন আপনি । কারেকশন করলাম আবার ।
এইবার চোখ বুলাও
১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: নৈঃশব্দ্যের নোনাজল
১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
+++
১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
বিজন রয় বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোস্ট, কবিতা!
কেমন আছেন?