![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !
সরকারী নাম সিটি অফ নিউ ইয়র্ক। প্রচলিত নাম নিউ ইয়র্ক সিটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দর শহর। হাডসন নদীর শহর। স্ট্যাচু অফ লিবার্টির শহর। নায়গ্রা জলপ্রপাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সম্পদশালী শহর।
এমনও আরো শত আকর্ষণের শহর এটি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আমিরাতের ডাবল ডেকার ফ্লাইটটি আকাশ থেকে ৩৫ হাজার ফুট নীচের দিকে আস্তে আস্তে নেমে আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটি স্পর্শ করবে। সুতি সালোয়ার কামিজের উপর পাতলা জ্যাকেট গায়ে ঘুম ঘুম চোখে জানালার পাশে বসে আছে রজনী। ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক। প্রথমবার বিদেশে একা আসা।
হঠাত বাইরের দিকে তাকাতেই মুগ্ধ বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যায় সে । বাংলাদেশের পরিষ্কার আকাশে তারার বাগান দেখেছে সে অনেক। আজ আকাশ থেকে মাটিতে সেই বাগান দেখে আনন্দে দেশ ত্যাগ করার কষ্ট কিছুক্ষণের জন্য ভুলে যায় ।
ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ ভোর ৬টায় জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে রজনী। আমেরিকার প্রেসিডেন্টে জন এফ কেনেডির নামে বিখ্যাত এই বিমানবন্দর। ইমিগ্রাশনের ঝামেলা শেষ করে ট্রলি ঠেলে বাইরে এসে দাঁড়ায় । নানান দেশের হাজারো অচেনা মানুষের ভিড়ে খুব অসহায় লাগে তাঁর। চারপাশে অসংখ্য মানুষ সবাই অপরিচিত। আশেপাশের ব্যস্ততা, শোরগোল আর ভিড়ের মাঝে নিজেকেও অপরিচিত লাগে রজনীর।
কথা ছিল এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়েই সে কবিরকে দেখবে। কবির আহমেদ রজনীর স্বামী। নতুন বিবাহিত জীবন তাঁদের। বিয়ের পর দেড় মাস এক সাথে থাকার পর কবির তাঁর কর্মক্ষেত্র নিউইয়র্ক ফিরে যায়।
উৎসুক চোখে সে এদিক সেদিক খুঁজতে থাকে স্বামীকে। আকাশ পথে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তিতে শরীর একটু দোলে উঠে।
বুক ভরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে হাল্কা করার চেষ্টা করে সে। আট মাস পর দুইজন আবার একসাথে হবে। নতুন সংসার গোছাবে । সেই কল্পনায় কত যে রঙ্গীন হয়েছে রজনী।
নাহ, কোথাও খুঁজে পায়না তাঁকে। ভিড় ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। খুঁজতে থাকে । কোথাও পায়না। এয়ারপোর্টের ভেতরেই বেশ কিছু কফি শপ, ফার্স্ট ফুড শপ , ম্যাগাজিনের দোকান । সব জায়গাতে চোখ বুলিয়ে নেয় একবার।
ক্লান্ত , শ্রান্ত রজনী অসহায়ের মত আশে পাশে তাকায়, মনে পড়ে এই দেশে স্বামী ছাড়া তাঁর চেনাজানা কেউ নেই। অভিমান দুই চোখ বেয়ে নামতে থাকে। এয়ারপোর্টের পুরোটা স্বচ্ছ কাঁচের ঘেরা দেওয়া। কফি শপের টুলে বসে কাঁচের মধ্যে দিয়ে বাইরের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে।
প্রায় এক ঘন্টা পর দূর থেকে দেখতে পায় হাসি মুখে তাঁর স্বামী এগিয়ে আসছে। দীর্ঘ দিন আমেরিকা থাকার ফলে ইংরেজীটাই বেশী রপ্ত করেছে কবির বাংলার চেয়ে।
-ওয়েলকাম টু ইউএসএ -- হানি, বলেই জড়িয়ে ধরে তাকে। এতক্ষণে অভিমানের কান্না সুখের কান্নায় রূপ নেয়। স্বামীর বুকে মুখ লুকিয়ে গভীর আশ্রয় খুঁজে পায় রজনী।
নিউইয়র্ক সিটিতে সাজানো গোছানো পরিপাটি একটি ফ্ল্যাটের বিশাল খাটে শুয়ে আছে রজনী। নিজের অবস্থান বুঝতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে তাঁর। আজ চারদিন হোল আমেরিকাতে। স্বামীর সংসারে । জেট লগ পুরোপুরি আছে। শরীর এখনো বাংলাদেশের সময় মেনে চলছে। ঘুম ভাঙ্গার পর বাড়ীটা খুব নির্জন লাগছে। কোন সাড়া শব্দ নেই। জানালার পর্দা সামান্য ফাঁক হয়ে আছে । সেই ফাঁক দিয়ে বাইরের ঝকঝকে রোদ দেখে আনন্দে মন ভরে যায় তার।
অস্ফুটে বলে " কি সুন্দর রোদ! একদম বাংলাদেশ যেন"!
মাথার কাছে বিশাল জানালাটা খুলে দিতেই প্রচণ্ড বাতাস আর কনকনে শীতে মুহুর্তের মধ্যেই হুল ফুটিয়ে দেওয়া ঠান্ডায় শরীর হিম হয়ে যায় তার। দাঁতে দাঁত লেগে ঠক ঠক আওয়াজ হতে থাকে।
জানুয়ারি মাসের ঠান্ডার কথা শুনেছিল আজ টের পেলো। তড়িৎ জানালার গ্লাস নামিয়ে দেয় রজনী। অবাক চেয়ে দেখে জানালায় কোন গ্রীল নেই!
শোবার ঘরটি বেশ বড় । দেয়ালে লাগানো বড় আয়নার ড্রেসিং টেবিল। জানালা বন্ধ করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুলে চিরুনী চালাতে যেয়ে খেয়াল করে চোখ বেশ ফোলা । তারমানে অনেকক্ষন ঘুমিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দিনরাতের হিসেব ঠিক মতন করতে পারছেনা। দিনের অর্ধেকটা সময় ঘুমিয়ে কাটায় রজনী। আবার রাতে কবীর যখন গভীর ঘুমে সে জেগে থাকে। ড্রয়িং রুমে সাউন্ড কমিয়ে নেটফ্লিক্সে মুভি দেখে।
আয়নার ভেতর দিয়ে দেয়াল ঘড়িতে চোখ যায় তাঁর।সকাল দশটা বেজে ১৫ মিনিট। ঘড়িটি বেশ সুন্দর। মনে মনে কবিরের রুচির প্রশংসা করে।
কবিরের কথা মনে হওয়াতে তাঁর খোঁজে বেডরুম থেকে বের হতে যেয়ে মনে পড়ে কবির এখন অফিসে। তাইতো পুরো ফ্ল্যাট খুব নির্জন লাগছে। কোন সাড়া শব্দ নেই। হঠাত তাকে খুব একাকিত্ব পেয়ে বসে । এতোটা একা সে কখনো হয়নি।
বাংলাদেশে একান্নবরতী পরিবারে বড় হওয়া মানুষ সে। অনেক মানুষের সাথে বসবাসে অভ্যাস তার। বাড়িতে কখনো কেউ না থাকলেও ঘরে কাজের লোক থাকতোই। তাদের সাথে গল্প করেও অনেক সময় চলে যেতো। কখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দিয়ে লোকজনের যাতায়াত ফেরিওয়ালার ব্যস্ততা দেখেও অলস সময় কেটে যেতো। এমন করে একা হওয়া হয়নি কখনো।
বারান্দার কথা মনে হওয়াতে জানালার পর্দা সরিয়ে দেখতে পায় ছোট সরু একটা সিঁড়ী নীচের দিকে নেমে গেছে । কবির একদিন বলেছিল ওটা নাকি ফায়ার স্কেপ। বাড়ীতে আগুন লাগলে বা জরুরী ভিত্তিতে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে এই সিঁড়ি ব্যবহার করতে হয়। সিঁড়ির গা ঘেঁষে বিশাল এক পাতা শূন্য গাছ। আপন মনে বলে উঠে “ হে অচিন বৃক্ষ কি নাম তোমার "।
হঠাত কেমন গা ছম ছম করে উঠে তাঁর। বাংলাদেশে নিজের আত্মীয় স্বজনের কথা মনে পড়ে যায়। বুকের ভেতর হুহু করে উঠে।
ঘড়ির দিকে চোখ রেখে আঙ্গুলের কড়ায় গুনে বাংলাদেশের সময়ের সাথে সময় মিলিয়ে নেয় । বাংলাদেশে এখন রাত ৯টা ১৫ মিনিট। কলিং কার্ড দিয়ে বাংলাদেশে কেমন করে কল করতে হয় কবির শিখিয়ে দিয়েছে।
বেডরুম থেকে বের হয়ে বাথরুমে ঢুকে চোখে মুখে পানির ঝাপ্টা দিয়ে বের হয়ে আসে। খুব কফির তেষ্টা পেয়ে বসে। গতকাল রাতে কবির তাঁকে সব চিনিয়ে রেখেছিল ঘরের কোথায় কি আছে বিশেষ করে রান্নাঘরে।
কফির ব্র্যান্ড দেখে খুশী হয়ে যায় রজনী। তাঁর প্রিয় ব্রান্ডের কফি ঠিক রেখে দিয়েছে কবির। স্বামীর প্রতি গভীর আনন্দ আর কৃতজ্ঞতা অনুভব করে। ঝকঝকে সাদা কাপে ঘোর কৃষ্ণবর্ণের কফি, অসাধারণ সুবাস! কফিতে চুমুক দেয় সে, ঘ্রাণে মন সতেজ হয়ে যায়।
রজনীর ফ্ল্যাটটি মেইন রোডের পাশে । কফি কাপ হাতে জানালার পাশে এসে বাইরের দিকে মনযোগ দেয়। দামী ব্র্যান্ডের নানান মডেলের গাড়ী রাস্তা দিয়ে ছুটে যাচ্ছে কিন্তু কোন শোরগোল নেই । কোন হর্ন নেই। খুব অবাক হয়ে চেয়ে থাকে সে। বাড়ীর বাইরের চারপাশ খুব ব্যস্ত মনে হয় তাঁর কাছে।
ফেব্রুয়ারী মাস শুরু হয়েছে তুষারপাত দিয়ে। সময়ে অসময়ে তুষার ঝরে চলছে। শীতের তীব্রতা খুব বেড়ে গেছে । বাড়ির বাইরের তাপমাত্রা হিমাংকের অনেক নীচে থাকলেও ঘরের ভেতরটায় হিটার সারাক্ষণ চালু থাকায় বেশ আরামদায়ক।
ভারি মাত্রার বরফ কুচি ঝুর ঝুর করে ঝরে চলছে । সাদা বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা চারপাশ। সম্পূর্ণ একটি নতুন পরিবেশ খুব আগ্রহ নিয়ে দেখে যায় রজনী। সন্ধ্যায় জানালার ভারি পর্দা ফেলে দেয়। যাতে কোন রকম ঠান্ডা হাওয়া বাইরে থেকে ঘরে ঢুকতে না পারে। গায়ে ভারী ওলেন চাপিয়ে পায়ে মোজা পরে নেয়। গলা কান মাফলার দিয়ে সযতনে পেঁচিয়ে নেয়।
শীতের তীব্রতা আর তাকে ছুঁতে পারেনা। হিউমিডিফায়ারে পানি ভরে নেয়। পুরো ব্যাপারটাই তার কাছে খুব নতুন অভিজ্ঞতা আর অচেনা। ভেতরে বেশ উত্তেজনা অনুভব করে সে।
দিনরাত শুয়ে বসে ঘরের আসবাব ঝাড়া মোছা, গুছিয়ে সময় কেটে যাচ্ছিল তার। কবির সকালে বেরিয়ে যায় ঘরে ফেরে সেই রাতে। কোন কোন দিন এমনও হয় রজনী শুয়ে আছে কবির উঠে চলে যায়। আবার রজনী রাতে গভীর ঘুমে কবির বাড়ি ফেরে। তাঁর সাথে দেখাও হয়না ঠিকমত ।
সারাদিন একা একা!
খুব ইচ্ছে করে বাহিরের খোলা আকাশে হাত পা ছড়িয়ে একটু বসতে। প্রচন্ড ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হবার কথা ভাবতে পারেনা।
দিন গড়িয়ে মাস যায়। ঠান্ডা কিছুটা কমে এসেছে এখন। নিউইয়র্কে শহরের আশে পাশে পায়ে হেঁটে একা একাই ঘুরে বেড়ায় রজনী। এলাকাটা বেশ চিনে ফেলেছে। নতুন শহর খুঁটিয়ে দেখার পথশ্রম ভালোই লাগে তাঁর। ঢাকার অভিজাত এলাকার কথা মনে পড়ে যায়।
নিউইয়র্ক শহরের বাড়ি গুলো শত বছরের পুরনো হলেও রক্ষণাবেক্ষণ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। নিউইয়র্কের রাস্তায় পর্যাপ্ত মানুষও আছে। রাস্তায় মানুষের ভীড় থাকলেও খুব সুসংবদ্ধ, শৃঙ্খলিত। শপিংমল, বড় বড় হোটেল, অফিস কাছারি সব আছে । ঘিঞ্জি হলেও খুব সাজানো।
অবাক চোখে চেয়ে দেখে নিউইয়র্ক মহানগরের কোলাহল মুক্ত মেট্রোরেলের জনস্রোত। কিন্তু নেই কোন হৈচৈ-হট্টগোল। অতি সুন্দর, ঝকঝকে পথঘাট, কোথাও কোন নোংরা-ময়লা চোখে পড়েনা।
পাশের বাড়ির সাদা চুলের বয়স্ক মহিলাটির সাথে প্রায় দেখা হয় কিন্তু তেমন কথা হয়না কখনো। স্মিত হাসি দিয়েই চলে আসে। মনে পড়ে যায় নিজের দেশের বৃদ্ধদের কথা। এখানকার বুড়োরা কি সুন্দর করে বাঁচতে জানে! কত প্রাণবন্ত এরা!
আজকে বৃদ্ধাটি বেশ উৎফুল্ল লাগছে। পোষা কুকুরটিকে আদর করতে করতে জানতে চায়---
"হ্যালো, কেমন আছো তুমি? তোমার কথা তোমার স্বামী আমাকে বলেছিল । কথা হয়ে উঠেনি কখনো তোমার সাথে। কেমন লাগছে এই দেশ"?
-আজ তাঁর সাথে বেশ গল্প করে রজনী। মনে মনে বয়স হিসেব করে কত হতে পারে বৃদ্ধাটির?
মহিলাটি খুব আগ্রহ নিয়ে জানায় তার বয়স পঁচাত্তর। পূর্ব পুরুষের বাড়ি ডোমিনিকান ।
বৃদ্ধাটিকে কেমন যেন আপন আপন লাগে। কথা বলতে ভালোই লাগে। বেশ ভাব হয়ে যায় তাঁর মহিলাটির সাথে। মহিলাটির দুই মেয়ে অন্য স্টেটে থাকে। তবে মাদারস ডে আর ক্রিসামাসে নিয়মিত তাকে দেখতে আসে। সরকারি সাহায্যেই চলে সে এখন। নিঃসঙ্গ উদাসী বয়স্ক মানুষটার জীবনের গল্প শুনতে থাকে সে খুব আগ্রহ নিয়ে। একটা কুকুর আর দুইটা বেড়াল তাঁর সব সময়ের সঙ্গী।
হঠাৎ বমি ভাবের দমকে ঘুম ভেঙ্গে যায় রজনীর। বিছানা ছেড়ে উঠতে যেয়ে মাথটা চক্কর দিয়ে উঠে তাঁর। কিছুক্ষণ যেন নিঃশ্বাস আটকে থাকে । জোরে শ্বাস নেয়। কি ঘটছে নিজের শরীরে বুঝতে কিছুক্ষণ সময় নেয়। মনে পড়ে যায় এই মাসের মাসিক চক্রটা সে মিস করেছে। শরীরের ভেতরে আরও একটি শরীর এসেছে এটা তাঁরই জানান। ঘড়িতে সময় দেখে নেয়। ভোর ছটা। আনন্দে শিহরিত হয় বার বার । একটা শিশু ! নতুন একটা জীবন! কিযে আনন্দ!
তাঁরই পাশে কবির অঘোরে ঘুমাচ্ছে। খুব মায়া ভরে স্বামীর দিকে চেয়ে থাকে কিছুক্ষণ তারপর নিজেও এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে।
(প্রথম পর্ব শেষ হোল )
(ছবিটি প্লেনের জানালা দিয়ে আমার নিজের তোলা )
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ঠিক বলেছেন জেট ল্যাগ, ট্রানজিট বড্ড জ্বালায় এই দুইটির জালায় বাংলাদেশ যাওয়া আসা ভীতিকর লাগে।
অনেক ধন্যবাদ
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: নাহ, আপুর সৌন্দর্যের প্রশংসা না করে পারলুম না!
ছবিটা যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি গল্প। আমি তো এক শ্বাসে পড়ে ফেললাম। দেখা যাক, রজনী সায়ারাদিন একা একা স্বামীর অপেক্ষায় সময় কাটায় নাকি অফিসটফিস করে। তবে এখন যেমন রজনীতে বাঙালি নারীর শৈল্পিকতা রয়েছে ঠিক শেষ পর্যন্ত সেটা কতটুকু টিকে থাকে সেটাও দেখার বিষয় বটে।
অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন আপু।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যাবাদ ।
খুব ভাল থাকবেন।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথম পর্ব নাকি আপু?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হ্যা প্রথম পর্ব শুরু করলাম
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।
অনেকটা তাই। এই দেশে আসার পর দীর্ঘ সময়ে কত দেশের কত মানুষ দেখার ভাগ্য যে হয়েছে তাদের থেকে কিছুটা মাত্র যদি তুলে ধরতে পারি তবে বই আকারে বের করা সম্ভব হবে।
অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।
ভাল থাকবেন
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৯
হাবিব বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা ..........
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সুপ্রভাত
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! অনেকদিন পরে ব্লগে এলেন !
সাথেই আছি পরের পর্বের জন্য
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভালোবাসা তোমায়
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৯
হাবিব বলেছেন:
সুপ্রভাত ... ..... .....
বুঝলাম এখন আপনার ওখানে সুপ্রভাত........
আপনার লেখা অনেকদিন পরে পেলাম......
আপনার লেখা এখনো পড়িনি, পড়ে আবার মন্তব্যে আসবো ইনশাআল্লাহ.......
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৭
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
ল বলেছেন:
পরের পর্বের অপেক্ষায় ---
দেখা যাক কেমন হ জীবনযাত্রা ---
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যাবাদ ।
খুব ভাল থাকবেন।
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:০৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
কেএসরথি বলেছেন: আমিও শুরু করেছিলাম, বাট চালিয়ে যেতে পারিনি। হয়ত আপনি পারবেন!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
আমি চেষ্টা করছি দেখি বিদেশের রুড় বাস্তবতা কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারি
১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২
হাবিব বলেছেন:
আসসালামুআলাইকুম, প্রথমেই আপনার ছবিটি খুব ভালো লেগেছিলো......
সুন্দর সাবলীল বর্ণনা পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হলো টের পাইনি......
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম.....
সতত সুস্থ থাকুন আপু.......
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপ্নিও খুব ভালো থাকবেন
১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গল্প সুন্দর জমে উঠেছে। ... চলুক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
শিখা রহমান বলেছেন: প্রথম পর্ব ভালো লেগেছে। আমেরিকাতে থাকার কারণে আপনার গল্পের অনেক কিছুর সাথেই একাত্মবোধ করছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম প্রিয় আপু ও প্রিয় কবি-লেখক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫২
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এইবার শেষ করতেই হচ্ছে
শত ব্যস্ততার ফাকে ফাকে অল্প অল্প লিখে থাকি
ভালোবাসা প্রিয় শিখা
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১২
ফয়সাল রকি বলেছেন: শুরুটা ভালই, তবে আরেকটু বড় হলে ভাল হতো। শুরু করতেই শেষ হয়ে গেলো।
+++
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনলাইনে বড় লেখা পড়ার মতন ধৈর্য মানুষের হয় না তাই ছোট করে দিয়েছি
ধন্যবাদ আপনাকে
১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
প্রথম পর্ব পড়লাম। ভালোই লাগলো। রজনীর বিদেশে প্রথম অনুভুতির সময়কালটা মনে হয় বেশ ছোট হয়েছে। আরেকটু বড় করলে কেমন হতো? পর্ব হিসেবেও বেশ ছোট হয়ে গেছে.....
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণীত হলাম ।
বড় লেখা পড়ার সময় হয়না পাঠকের । তাই ছোট করে দেওয়া ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
গল্পে, কবীরকে ১ ঘন্টা লেইটে এয়ারপোর্টে আনলেন, উহাতে কি কোন কিছু আছে, নাকি যা মনে আসে তাই লেখা?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: লেখকের সব বর্ণনার পেছনে কিছু না কিছু কারন থাকে।
অপেক্ষা করুন জানতে পারবেন ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিরোনাম দেখে আকৃষ্ট হলাম।
গল্প বেশ জমবে বলে মনে হচ্ছে!!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
রজনী
পোহালো না পোহালো না সজনী
সুজন ভজন, রইল গোপন
যাপিত জীবন শুধুই সাজানো কাহিনী
গল্প পড়ে লাইন গুলো মনে এল
সিরিজে ট্যাগড হইলাম
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: রজনী
পোহালো না পোহালো না সজনী
সুজন ভজন, রইল গোপন
যাপিত জীবন শুধুই সাজানো কাহিনী --দারুন লাইন
ট্যাগানির জন্য ধন্যবাদ
১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:১০
এম এ কাশেম বলেছেন: রোদ বাংলাদেশের মতো বটে , শীত কিন্তু নয়
দেখি রজনী শীতের সাথে কি ভাবে মানিয়ে নেয়,
২য় পর্বের অপেক্ষায়.....
আজ রাতে কিন্তু প্রচুর শীত পরবে
শীতের শুভেচ্ছা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শীতময় শুভেচ্ছা আপনাকেও
২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০২
রাফা বলেছেন: চমৎকার ,পরিপক্ক লেখা।
বাস্তব অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর রয়েছে প্রতিটি পারিপার্শিক বর্ণনার।
যে শহর কখনও ঘুমায়না তেমনি একটি শহর ও তার কিছু বাসিন্দাদের কথা লিখছেন বলেই আমার মনে হলো।(এটা শুধুই আমার ধারনা) চলুক লেখা……
অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম।কেমন আছেন আপনি? ধন্যবাদ,রা.রাহীম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাফা
আমি ভাল আছি । আপনার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জেট ল্যাগ, ট্রানজিট বড্ড জ্বালায়
দেখি কি হয়...
পরের পর্বের অপেক্ষায়.....