নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কস্তুরী খুঁজে ফিরে তার সুবাস..হায় মৃগ, যদি জানত গন্ধ কার! পাখিও খুঁজে ফিরে শিস--হায়, যদি সে জানত! সুর থাকে ভেতরে, অন্তরে.। চুপটি করে এই তো এখনো ডাকে, ব্যকুল হয়ে - ডাকে আর ডাকে ।।

রাবেয়া রাহীম

মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !

রাবেয়া রাহীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ফেরা

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫০



বাংলাদেশ সময় কাটায় কাটায় রাত দুইটা। জেদদা থেকে ছেড়ে আসা সাউদিয়া এয়ারলাইনসের বিশাল বিমানটি দীর্ঘ ছয় ঘন্টা পর ঢাকা এয়ারপোর্টের মাটি স্পর্শ করল বুকের ভেতরে হাজারো প্রজাপতির নাচানাচি নিয়ে !
আহা! দু'বছর পর নিজের দেশের মাটির স্পর্শ!
চোখে পানি চলে এলো। যদিও তখন পর্যন্ত সিট বেল্ট বাঁধা অবস্থায় প্লেনের সব যাত্রী ।

প্লেন ধীরে ধীরে টার্মিনালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গভীর রাত হওয়াতে জানালা দিয়ে তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বাইরের গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে এয়ার পোর্টের লাইটগুলো শুধু জ্বলে আছে।

কিছুক্ষন পর এক এক করে সবাই বের হয়ে এলাম। পা রাখলাম নিজের দেশের মাটিতে। সে এক ছন্দময় ভালোলাগা! এই অনুভব বলে বোঝানো যাবেনা। শুধুমাত্র যারা দীর্ঘ দিন পর নিজের দেশে ফেরত আসেন তাঁরাই বুঝবেন এই অনুভব। প্লেন থেকে বের হয়ে আসার সময় বিমান বালার হাসি মুখে বাংলায় বিদায় সম্ভাষণ খুব ভালো লাগলো।

যেই মাত্র প্লেন থেকে বের হয়ে এসেছি প্লেনের দরজার মুখে বেশ কিছু লোকের দেখা পেলাম। আগে কখনো এমন দেখিনি। সবার মুখে কমন কিছু প্রশ্ন হেল্প লাগবে কোন? হুইল চেয়ার সাথে ?

নিউ ইয়র্ক থেকে জেদ্দা । জেদ্দায় সাত ঘন্টার যাত্রা বিরতী। আবার জেদ্দা থেকে ঢাকা এই দীর্ঘ ভ্রমনে ক্লান্ত ছিলাম খুব।
একজন অলপ বয়স্ক একটি ছেলে "হেল্প লাগবে ম্যাডাম?" বলতে বলতে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে হাতে ধরে থাকা হ্যানড ট্রলি নিয়ে নিলো। আমিও বোকার মতন তার হাতে আমার হ্যানড ট্রলি দিয়ে দিলাম। অবশ্য তার গলায় ব্যাজ ঝুলানো ছিলো নামসহ। এখন তার নামটি মনে পড়ছে না।

প্লেন থেকে বের হয়ে টানেল ধরে হেটে অনেকটা পথ ইমিগ্রেশনের প্রায় কাছাকাছি এসে গেছি। ঠিক ইমিগ্রেশনে ঢোকার মুখে এক জন অফিসার সেই সাহায্যকারী ছেলে যার হাতে আমার হ্যানড ট্রলি তাকে থামতে বললো । তার কাছে জানতে চাইলো আমি কে ?
সেই ছেলেটি উত্তর করলো আমি নাকি তার কোন অফিসারের আত্মীয় হই।

এমন জেরায় ছেলেটাকে বেশ নার্ভাস লাগলো । আমার তখন সন্দেহ হোল ছেলের আচরনে। মনে হোল কোন ঝামেলা হতে পারে। আমি সাথে সাথে ছেলেটির হাত থেকে আমার ট্রলি নিয়ে ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। অবশ্য সেই অফিসার আমাকে কিছু জিগগেস করেননি।

নিজের দেশের জন্য এতোটা আবেগ নিয়ে প্লেন থেকে বের হয়ে এসে এমন অযাচিত ঘটনায় কিছুটা আহত হলাম বটে। মনে শুধু এক্টাই প্রশ্ন প্লেন থেকে নামার পর ইমিগ্রেশন পর্যন্ত যাওয়ার আগে এমন একটা সেনসেটিভ এলাকায় সেই লোক কেমন করে প্রবেশ করতে পারলো! তাছাড়া সে আমাকে পরিচয় দিচ্ছে আমি এয়ারপোর্টের কোন অফিসারের আত্মীয় !! এটা কেমন করে সম্ভব?

অবশ্য ইমিগ্রাশন পার হয়ে লাগেজ রিসিভ করা পর্যন্ত আর কাউকেই আমার সুটক্যাসে হাত লাগাতে দেইনি। সব লাগেজ আমি একাই বেল্টে থেকে টেনে তুলেছি ।

ট্রলি ঠেলে বাইরে এসে যখন দাড়িয়েছি তখন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে তিনটা।

যাত্রা পথের সব ঝামেলা শেষ করে বাড়ি ফিরে মা আর আত্মীয় স্বজনের মুখ দেখাতেই সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলামম। আজ প্রায় ছয় মাস পর এ কথাটি খুব মনে পড়লো। তাই লিখে ফেললাম । ।

(ছবিটি আমার তোলা জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে)

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

আনমোনা বলেছেন: ফেরার আনন্দের তুলনা নেই। বিদায়ের কষ্টও অবর্ণনীয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০২

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আনন্দ বেদনার কড়চা ভাল লাগলো।
সময়টা ৮/৯ মাস আগের হওয়ার কথা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ফেব্রুয়ারি মাসের সাত তারিখে লিটন ভাই ।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ছেলেটি তার অফিসারের আত্মীয় চিনতে কোনো ভুল টুল করেছিলো কি না?! নাকি তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো?!
ইমিগ্রাশন অফিসার ছেলেটির পরিচয়, ঠিকানা জানতে চায়নি; তার মানে ছেলেটি এয়ারপোর্ট সংশ্লিষ্ট কোনো সেবা সংস্থার কর্মচারী!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পরিচয় জিজ্ঞেস করছিল। জানতে চাইছিল সে কোন ডিপার্টমেন্টে । ছেলেটি আমতা আমতা করছিল । তাই দেখে আমার ভালো লাগেনি। আমি আর সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের কথা শুনিনি। আমি একাই ট্রাভেল করছিলাম।
মনে হোল না যে সে আমাকে চিনতে ভুল করছে। সে আমাকে বলছিল -- হেল্প লাগবে ম্যাডাম ? যদি আমি তাদের কোন অফিসারের আত্মীয় হতাম তবে বলত --"আমাকে অমুক স্যার পাঠিয়েছেন আপনাকে হেল্প করতে"

আমার যা মনে হয়েছে হয়ত বাড়তি কিছু টিপসের জন্য হতে পারে। এমন অবস্থায় আগে কখনো পড়িনি। তাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ছেলেটা থেকে নিজের ট্রলি নিয়ে ফেলার পর, ছেলেটা কোথায় গেলো?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সেই ছেলেটিকে দেখলাম অফিসারের কথার উত্তরে আমতা আমতা করছে। আমি ক্লান্ত ছিলাম। পিছন ফিরে আর দেখিনি। তাছাড়া আমি একা ছিলাম।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিমানবালা বাংলায় বিদায় সম্ভাষণে ঠিক কী কথাটা বলেছিলেন? ঊনি কোন দেশীয় ছিলেন?
খুব কম সময়েই লাগেজ সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি ক্লীয়ার করতে পেরেছিলেন বলে মনে হচ্ছে ( আমাদের দেশের তুলনায়)।
বইমেলায় তো একদিন দেখা হয়েছিল!
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বিমান বালা বাঙ্গালী ছিল । তাছাড়া সৌদি এয়ারলান্স । বিমান বালা বলেছিল-- আল্লাহ হাফেজ , আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ যাইনা। বিদেশী নাগরিকের গেট দিয়ে ইমিগ্রেশনে যাই। অত রাতে সৌদি এয়ারলান্সে বিদেশী নাগরিক আমাকে নিয়ে আর কয়েকজন ছিল। কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক লাইনে দেখলাম অনেক ভীড়। তাই আমার ইমিগ্রেশনে সময় কম লেগেছিল।
সুটক্যাস আসতেই প্রায় এক ঘন্টা সময় লেগে যায়।

আপ্নিও অনেক ভাল থাকবেন,

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশ বিমান বন্দরের বিরম্বনার কথা বলে শেষ করার না। সবচেয় বড় সমাধান প্রতিমুহুর্তে সাবধানে থাকা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আগে অনেকবার বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভ্রমণ করেছি। কিন্তু কখনো এমন অবস্থা হয়নি।
তাছাড়া মুভিতে দেখেছি এমন করে অবৈধ অনেক কিছু যাত্রীর মাধ্যমে ইমিগ্রেশ্ন পার করায়। তাই একটু ঘাবড়ে গিয়েছিয়াম।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



স্মৃতিকথা ভাল লাগলো। দীর্ঘ দিন পরে স্বদেশের মাটি স্পর্ধা করেই আপনার বিব্রতকর অভিজ্ঞতায় দু:খিত। সৈয়দ মুজতবা আলীর অনবদ্য বর্ণনায় উঠে আসা কাবুলের সেই আব্দুর রহমানের মত করে বলতে হয়- 'ইনহাস্ত ওয়াতানম'! 'এইতো আমার স্বদেশ!' হাজারো অব্যবস্থাপনার বেড়াজালে বন্দি প্রিয় স্বদেশ। কবে যে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো এসব থেকে!

বহু দিন পরে আপনার কোনো পোস্টে আসার সুযোগ পেয়ে আনন্দিতবোধ করছি। শুভকামনা সবসময়। +++

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: পেশাগত ব্যস্ততায় লেখলেখি অনেক কমে গিয়েছে। সময় করে ঊঠতে পারিনা ।

মহান রাব্বুল আলামিন রহম করুন আমাদের উপর

অনেক ধন্যবাদ

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছেলেটির উদ্দেশ্য কি ছিল তা জানা গেল না, যাই হোক দেশে ফেরার আনন্দ কেমন সেটা বুঝতে হলে দেশের বাইরে থাকতে হবে । দেশে অবস্থান করার সময়গুলোতো নিশ্চয়ই ভিষণ আনন্দে কেটেছিল?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সেই আনন্দটুকুর জন্যই তো নিজের দেশের ফিরে যাওয়া

অএঙ্ক ধন্যবাদ আপনাকে

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আর কত অন্যের দেশে থাকবেন। নিজের দেশে ফিরে আসুন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: কোথাও একবার থিতু হয়ে গেলে ফিরে যাওয়া খব সহজ কিছু নয়

সহমর্মিতার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ভাবলাম এখনকার ঘটনা। এটা আপনার অতীত অভিজ্ঞতা তাহলে? ভালো লিখেছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ যাওয়ার সময়ের ঘটনা।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন চমৎকারভাবে। অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মানব জীবন্টাই বিশাল এক অভিজ্ঞতার সমষ্টি । ধন্যবাদ আপনাকেও । ভাল থাকবেন অনেক ।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভাবে সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্যও
অনেক ধন্যবাদ

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধ্যনবাদ , ভাল থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.