![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মন বুঝে, সাধ্য আছে কার ! কখনো আবেগী গাঁথুনিগুলো যেন নিরেট কনক্রিট কখনো আবার গভীরে সাজানো আবেগগুলো- সৌরভে সুবাসিত হয়ে আনন্দে লীন !
বাড়ীর পেছনের পাইন বন ধরে বা’দিকে কিছুটা হেটে গেলে গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা কাঠের একতলা বাড়িতে সে থাকে। এ বছর জানুয়ারী ফেব্রুয়ারী মাসে শীতের তীব্রতা এতো বেশী ছিলো যে পাইন বনের ভেতরের পিচঢালা মসৃন পথটি বরফে ঢাকা ছিলো। তুষারাবৃত পথটি মাইনাস ঠান্ডায় পিচ্ছিল হয়ে যাওয়াতে এই মৌসুমে সে আর এদিকটায় আসেনি । সেকারনে এবারের শীতে দেখা হয়নি তাঁর সাথে।
হিমাংকের নীচে তাপমাত্রায় বয়ে যাওয়া হু হু বাতাস নিজের ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে মোহ মুক্তির জন্য নির্লীপ্ত থেকে বুকের গভীরে কালশিটে কিছু দাগ জমিয়ে অনুভব করেছি। বাহিরে বের হওয়ার সাহস আমারও হয়নি।
তার পছন্দের ফল চেরি। শীতের আগেই কিছু চেরি এনে রেখেছিলাম। সেই সাথে এক বোতল রেড ওয়াইন। রান্না বা ঘরকন্যাতে কখনোই মনোযোগী ছিলাম না। তারপরেও তাকে যত্ন করে খাওয়াবো বলে রান্না করেছিলাম মোৎজরলা চিজ ও টমেটো সসে সাদা পাস্তা।
খুব সম্ভবত সে ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বেরসিক আর আবেগ বর্জিত পুরুষ।হুট করে এমন একটি পুরুষের প্রেমে অযাচিতভাবে পড়েছিলাম বলা যায়।
পরিচয়ের শুরুটা ছিলো বেশ অদ্ভুত । পাইন বনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা পাহাড়ী নদীটি আমাকে অদ্ভুত আকর্ষণ করতো। পাইনের পাতা ছুয়ে মৃদুমন্দ বাতাস নদীর বুকে জেগে উঠা তিরতির ঢেউ আমার হৃদয় মথিত করে কেমন যেন এক শিহরন শরীর জুডে খেলা করতো।
একদিন আনমনে নদীর পাড়ে বসে কবিতা পাঠে মগ্ন । হঠাৎ দৃষ্টি গেলো এক ছায়ামূর্তির দিকে । ছায়া মূর্তি বলছি এ কারনে যে, সে আমার থেকে বেশ কিছুটা দূরে থাকায় আমি তাকে খুব অস্পষ্ট দেখছিলাম। তাছাড়া সে দাডিয়ে ছিলো উঁচু এক চেরি গাছের নীচে কিছুটা ঢালু জায়গায়।চেরি গাছটি তাকে অনেকটা আড়াল করে রেখেছিলা। দূর থেকে আমার মনে হলো সে আত্মহত্যা করতে চাইছে ।
ঐ মূহূর্তে একটাই ভাবনা তাকে বাঁচাতে হবে।
কবিতার বই দ্রুত বন্ধ করে দৌড়ে তার পাশে যেয়ে দাঁড়ালাম। তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললাম
“এ কি করছেন ? সরে আসুন “
সে ঘুরে দাঁড়ালো । মুচকি হাসলো । বললো “ভেবেছিলেন আমি আত্মহত্যা করছি “? উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো ।
আমি অপ্রস্তুত হলাম। নিজেকে কি ভীষণ বোকা বোকা মনে হলো!
সে বললো “আমি মাছ ধরছিলাম হুইল বড়শি দিয়ে। মনে হচছে মাছ বড়শি গিলেছে। বড়শি নিয়ে পালাচ্ছে । আমি ধরার চেষ্টা করছিলাম । আপনার হৈ চৈ তে আমার মাছ ও বড়শি দুই-ই চলে গেলো “।
এবার আমি ভীষণ লজ্জা পেলাম । দাঁত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে বললাম “সরি । ভীষণ দু:খিত“।
সে আবারও হাসলো । খেয়াল করলাম কি অদ্ভুত সে হাসি ! আমার খুব ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করলো সে হাসি । আমি তার প্রেমে পড়লাম ।
শুরুটা ছিলো এভাবে বেশ কয়েক বছর আগে।
একদিন সন্ধ্যায় কনিয়াক একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছিল। তরল নেশায় তখন সে বুঁদ।হেসে উঠে নিজে থেকেই আমার প্রিয় রঙ জানতে চাইলো। একেবারেই বাস্তব কিছু অনুভব নিয়ে তখন বলতে চেয়েছিলাম তাকে যে ভালোবাসবে তার কাছে যেনো কখনো মিথ্যা না বলে। বা কিছু গোপন না করে। তবুও এই বাস্তব কথাটুকু সে সময় বলা হয়নি।
শোন, কেউ কিছু বললে তার উত্তর দিতে হয়। কথা প্যাচিয়ে অন্য কিছু বললে বিরক্ত লাগে। যদিও আমার বিরক্তি তোমার কাছে মূল্যহীন । তবুও বললাম।
কত কথাই তো বলেছি। কিছুই রাখোনা ।
নেশা কেটে যাওয়ার পর বল, "সব কী রাখা জরুরী"?
না সব জরুরী নয়।
আচ্ছা তুমি এমন কেন?
তারপরেও কেনো শুনশান পাইন বনের রাস্তায় তোমার পায়ের শব্দ শুনতে চাই!!
--রাবেয়া রাহীম
২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৩৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হা হা হা হা
পাস্তা বাদামী আর সাদা দুটোই হয়। যেমন বাদামী চাল। বাদামী চালের মতন বাদামী পাস্তা লো ক্যালরি হয়ে থাকে।
আসলে লেখার সময় অনেক কিছুর উপর ভরদিয়ে লিখে যাই। পাঠক মনে করুক না তার ইচ্ছেমত ।
সাদা পাসতায় লাল টমেটো সস মানে হলো বেরং এ রংগীন করা।
২| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১৪
আমি সাজিদ বলেছেন: পড়তে খুব চমৎকার লেগেছে।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: হাসি ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেটা বেশ ভাল লেগেছে, চমৎকার অভিব্যক্তি!
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মন জকন মন চুয়ে যায় তখন হাসিও ছুঁতে ইচ্ছে করে
ধন্যবাদ খায়রুল ভাই ।
৪| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হৃদয়ে ভালোবাসার ফুল ফোটে আপনার থেকেই, ইহা অন্য পক্ষের সাড়ার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে না।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: কঠিন শক্তের আবরণে আপনি ভীষণ রোমান্টিক একজন তা আপনার করা কমেন্টেই বুঝা যায় । গতরাতে যেই কমেন্ট অনিচ্ছাকৃত ভুলে মুছে ফেলেছিলাম সেই কমেন্ট মিস করছি খুব। আসলে প্রথম অভিব্যক্তির তুলনা শুধু প্রথমেই ।
আপনার ভেতর ত অনেক কবিতার বাস ।
ধন্যবাদ আপনাকে । সুস্থ থাকবেন। ভাল থাকবেন ।
৫| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুক্ষ্ম অনুভবতার প্লট।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ
৬| ২৮ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর আবেগ। সুন্দর আবেগ থেকে সুন্দর লেখা।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১২
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যাবাদ
৭| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাবেয়া রাহীম,
সময় বয়ে যায় । এক শীত যায় তো আরেক শীত আসে। পাইনের বন বরফে ঢেকে যায় বারেবার তবু অপেক্ষার পালা শেষ হয়না.............
লেখা সুন্দর।
২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মানব জীবন অপেক্ষাতেই কেটে। অবচেতনে আসলে আমরা মৃত্যুর জন্যই অপেক্ষা করে থাকি । অপেক্ষার অবসান হয় একদিন
অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জি এস
৮| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভালো লিখেন। তাই আপনার নিয়মিত লেখা দরকার।
২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৩১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: নিয়মিত লেখার জন্য সময়ের দরকার হয় । পেশাগত , সংসার সবদিক দিয়েই খুব ব্যস্ত থাকতে হয় ।
অনেক ধন্যবাদ
৯| ৩০ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:১৫
সোহানী বলেছেন: লিখাটা কি আগে পড়েছিলাম?
৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:০৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হুমম ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম কয়েকবার।
লেখাটা কেমন লাগলো সেটা তো বললেনা
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কেমন আছেন আপনি।
এতদিন চুপ ছিলেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমি ভালো আছি । ঠিক চুপ না ব্যস্ত থাকি অনেক ।
আপনি ভালো আছেন তো ? মনে রেখেছেন এটাই ভালো লাগা
অনেক ধন্যবাদ
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: মাঝখানে আপনাকে নিয়ে একটা গুজব রটেছিল। আপনি মারা গেছেন এই টাইপের।
আমার ভুলও হতে পারে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ওটা ভূল কথা ছিলো
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনবদ্য।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
চমতকার একটি প্রেমের গল্প ।
প্রায়ই যেতেন নদীর ধারে পাইন বনে।
একদিন নদীর কুলে পাইন বনের ছায়াতলে বসে লিখছিলেন কবিতা ।
হঠাত করে দৃষ্টি গেল দুরে এক ছায়া মুর্তীর দিকে, হল কিছু কথোপকথন ।
এটুকু লেখা পাঠের পরে আরো একটু এগিয়ে গেলে মনে পড়ল এদেশের
একটি বহুল পরিচিত চন্ডিদাস রজকিনির প্রনয় কাহিনীর কথা ।
প্রেমিক প্রেমিকার পবিত্র মনের ভালোবাসার বন্ধন যে কেমন হতে পারে তা
এরা শিখিয়ে গেছেন। এই চণ্ডীদাস আর রজকিনীর প্রেমকাহিনী কোনো
কিংবদন্তি নয়, সেটিও নাকি ছিল একটি সত্য ঘটনা ।
জনশ্রুতি আছে ১৪ শতকের শেষ ভাগের দিকের ঘটনা। চণ্ডীদাসের বাবা ছিলেন এলাকার
একজন ছোটখাটো ব্রাহ্মণ জমিদার আর রজকিনী ছিল ধোপার মেয়ে (এখানে বলে রাখি এ
গল্পের নায়িকা অবশ্যই একজন সমভ্রান্ত বংশীয় রমনি) । অপরূপা রজকিনীকে দেখে চণ্ডীদাস
জাতপাত ভুলে তার প্রেমে পড়ে যায়। তাদের দুজনের বাড়ির কাছ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা নদী।
রজকিনী নদীর ঘাটে কাপড় ধুতে আসলে চণ্ডীদাস মাছ ধরার ছলে বড়শি নিয়ে বসে তাকে দেখত।
রাজপুত্র চন্ডিদাস ছিপ ফেলে বসে আছে । একে একে বারো বছর! প্রতিদিন নদীতে ছিপ ফেলে বসে থাকে
রাজার পুত্র চন্ডিদাস। কদিন, দু'দিন নয়, দিনের পর দিন.....মাসের পর মাস.....একে একে বারো বছর!
ওদিকে....নদীর পাড়ে ধোপার মেয়ে রজকিনী......... কাপড় কাঁচতে আসে প্রতিদিন...একদিন, দু'দিন নয়..
..প্রতিদিন, বারো মাস, বারো বছর.....প্রতিদিন-ই সে খেয়াল করে নদীর কিনারে রাজপুত্র ছিপ ফেলে বসে
থাকে....নিত্যদিন!
চন্ডিদাসের ধৈর্যের শেষ নাই.....কিন্তু, রজকিনীর কৌতুহলের-তো শেষ আছে.... রাজারপুত্র বারো বছর অদুরে
ছিপ ফেলে বসে আছে কিসের আশায়?!.... রজকিনী একদিন আর কৌতুহল চেপে রাখতে পারলো না, সে দুর
থেকেই গলা চড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো.....'' চন্ডিদাস, বারো বছর-তো পার হয়ে গেল...কোন মাছে টোকা দিল কি?''
.... চকিতে সম্বিত ফিরে পেয়ে চোখ তুলে চন্ডিদাস দুর থেকেই জবাব দিল.....'এইমাত্র একটি টোকা দিল!''
তারপর?...তারপর .....লাগুক মাস , বছর......
ঠিক তেমনি করে দেখা যায় ছিপ ফেলে বসে থাকা ছায়া মুর্তীর সাথে প্রেম পর্ব শুরু হওয়ার পরে বছর ধরে
একটি দারুন প্রেম জমে উঠেছিল এ গল্পের কাহিনীতে ।
প্রথম দিকে ভালই চলছিল শেষে এসে গল্পের কথা ও কাহিনী কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে।
যেমনটি প্রেমর সফল পরিনতির তরে চন্ডিদাস রজকিনিও গিয়েছিল অনন্ত ধামে ।
লেখাটি ভাল লেগেছে ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: পড়লাম- রোমান্টিকতা কম বলেই প্রেমটা কেমন খাপছাড়া!
সম্ভবত দুজনেই নিঃসঙ্গ এবং যৌবনের প্রথম ভাগ ভাগ করে এসেছে।
আচ্ছা মোজোরোলা চিজ আর টমেটো সসে তৈরি পাস্তা কি সাদা হয়? নাকি পাস্তার রং সাদা দেখে সাদা পাস্তা বলেছেন?