![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা আর গদ্যে আশ্রয় খুঁজি, খুঁজি প্রশান্তি।
প্রিয় বাবা ও মা,
আমার এই খোলা চিঠি কোন দিন-ই তোমাদের হাতে পৌঁছাবে না, আমি জানি। তবু-ও লিখছি। হয়তো নিজেকে সান্ত্বনা দেবার এ এক অপচেষ্টা।
মা, তোমার মুখেই শুনেছি যে পরপর দুই ছেলে জন্ম দেবার কারণে বাবার মাঝে বদ্ধমূল ধারনা জন্মেছিল যে তার দাদী যেমন একের পর এক ৮ টা ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন, তেমনি আমার মায়ের-ও কেবল ছেলে সন্তান-ই হবে। তাই বাবা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দুই ছেলের পর আর সন্তান নিতে আগ্রহী ছিলেন না। কেবল তোমার জোরাজুরিতেই বাবা তৃতীয় সন্তান নিতে রাজী হলেন। যথারীতি বৈশাখের এক ঝড়ের সকালে আমি এলাম পৃথিবীতে। কেউ কি ভেবেছিলে, তোমাদের একমাত্র মেয়ের জীবনে একের পর এক এমন ঝড়ের আগমন ঘটবে?
বাবা, আমার জন্মতে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটা খুশি হয়েছিল সে হলে তুমি। সবার মুখে শুনেছি ১ মণ মিষ্টি তুমি বিলিয়েছিলে। এমন কি হসপিটালের নার্স আর আয়াকেও নাকি তুমি শাড়ি দিয়েছিলে। আজব্দি কেবল একবার তুমি আমার গায়ে হাত তুলেছো। কোনদিন মুখ ফুটে কিছু চাইতে হয়নি আমার। কি এক অদ্ভুত টেলিপ্যাথির মাধ্যমে তুমি আমার মনের সব কথা বুঝে যেতে, এখনও যাও। কখনও কি ভেবেছিলে, তোমার বুড়িমা কে এত প্রতিকুল পরিস্থির সম্মুখিন হতে হবে?
আমি জানি, তোমরা কিছুটা হলেও বুঝ এবং জানো যে আমি ভাল নেই। কিন্তু কতটা খারাপ আছি, সেই বিষয়ে তোমাদের কোন ধারনা-ই নেই। আমার মত ধৈর্যশীল মেয়ের (পরিচিত সবার ভাষ্যমতে) পক্ষেও আর সহ্য করা সম্ভব নয় এমন মিথ্যের বেসাতিতে মোড়া জীবন। দাদী-নানীদের মত মুখ বুজে সব সহ্য করে যাব সবকিছু, কেনো? ওনাদের না হয় কোন উপায় ছিলনা বলে মাথা নত করে সব সহ্য করে গেছেন। আমাকেও যদি সেই ভাবেই চলতে হয়, তবে কেনো আমাকে দেশের সবচেয়ে ভাল স্কুলে পড়িয়েছিলে, কেনইবা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হতে অনার্স+ মাস্টার্স পাস করিয়েছো? কেনইবা পরবর্তীতে এমবিএ করতে উৎসাহিত করেছিলে? তবে আজ কেনইবা ধৈর্য ধরতে বলো?
সমাজের নিকুচি করি। সমাজের কারনেই আমাকে জোর করে বিয়ে দিলে। এখন সমাজ কি আমার কষ্ট কমাতে এগিয়ে আসছে? নাকি তোমরা পারছো আমার জন্য কিছু করতে পারছো কষ্ট পাওয়া ছাড়া?
তোমরা আমাকে ক্ষমা করো। তোমাদেরকে অনেক ভালবাসি বলেই তোমাদের কাছে কম আসি। কারণ ফোনে আমার কণ্ঠস্বর শুনলেই তোমরা বুঝে যাও যে আমার মন ভাল নেই, মুখটা দেখলেই তো আরও বেশি পরিষ্কার হয়ে যাবে আমার মানসিক অবস্থা। তারচেয়ে এই ভাল।
তোমরা ভাল থেকো, অনেক অনেক ভাল।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: সুমন, কম তো সইলাম না। আর কত?
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০
জারনো বলেছেন: এত কি না বলা কষ্ট তোমার চৈতী !
সংসার জীবন কী কেবল কষ্টের ই হয়?
তা হলে মানুষ কেন সংসার করতে চায়?
তোমার সকল কষ্টের অবসান হোক,
তোমার বাবা যেন কোনও দিনও
জানতে না পারে যে তুমি কষ্টে আছ
তা হলে সে যে কষ্ট পাবে তা তোমার কষ্টকে
ছাপিয়ে যাবে। সুখে থাকো চৈতী। শুভ কামনা তোমার জন্য
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: ধন্যবাদ জারনো।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ঐ যে বললাম, ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা কর এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নাও।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: দোয়া করো। ধৈর্যে আর কুলাচ্ছেনা।
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শূভ্র আকাশ বলেছেন: মনুষের দুংখ-কস্ট থাকবেই, প্রত্যেকের কাছে তার নিজের কস্ট টাকে বড মনে হয় দুংসময় কাটিয়ে উঠেন দেখবেন , অনেক ভাল থাকবেন
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫১
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: দুঃসময় ত পিছু ছাড়েনা। আর কতো সইব?
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪১
মাহমুদডবি বলেছেন: এই পৃথিবীতে ধৈর্য্যশীলরাই জয়ী হয়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৯
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে রে ভাই।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৪
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: নিজের জন্য বাঁচুন। এ সমাজের দিকে তাকানোর দরকার নেই। ঠাণ্ডা মাথায় সাহসী সিদ্ধান্ত নিন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৮
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: নিজের জন্য বাঁচার ইচ্ছে-ও মরে গেছে। আমি সত্যি-ই জানিনা কি করবো।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫
এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: সুখ সুথ বলি কেদনা আর,যতই কাঁদিবে ততই বাড়িবে হৃদয় ভার,ধন্যবাদ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২৭
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: ভাই রে, মানুষ তো...কোনও মেশিন তো না যে সুখ চাইবোনা। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:১৫
নীল ভোমরা বলেছেন:
টাচি লেখা!...ভাল থাকবেন...ভাল থাকার চেষ্টা করবেন...নিরন্তর!
শুভকামনা!
০২ রা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২৬
সুবর্ণা চৈতি বলেছেন: ধন্যবাদ নীল ভোমরা। দোয়া করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নিজের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর, যাতে আল্লাহ তোমার সমস্যা সমাধান করে দেন। নামায পড়ে দোয়া করো, ইনশাল্লাহ তোমার জীবন আবার সুন্দর হবে... আর এই দুনিয়াতে যদি শান্তি নাও পাও, আখিরাতের জন্য নিজেকে ভাল ভাবে তৈরী কর... মনে রেখ, আখিরাতের জীবন অনন্ত, সেই তুলনায় এই জীবন কয়েক মিনিটের সমান, সেই জীবনে যদি ব্যার্থ হও তবে অনেক বেশী ক্ষতি !
দুনিয়া হল পরীক্ষার হল, এখানে পাশ করে যেতে পারাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং তবে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। তোমার যে সমস্যা সেটার সমাধানও অবশ্যই আছে, ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা কর এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নাও।
আল্লাহ তোমাকে ভাল রাখুন, আমিন।