নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপন্যাস , মৃত্যু নগরী । সাভার ট্র্যাজেডি ধারাবাহিক পর্ব ১

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩



বাস্তব সত্য ঘটনা অবলম্ভনে কথিত উপন্যাস '' মৃত্যু নগরী ''

*************

রচনা

মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি

পরিবেশ বন্ধু কবি

************

২৮ শে বৈশাখ ১৪২০ বাংলা , ১০ ই মে ২০১৩ , শুক্রবার

সাভার ট্র্যাজেডি ঘটনার অন্তরালে ;; কথিত উপন্যাস চরিত্র ও কথা রূপক / কাহিনী বাস্তব ''



উপন্যাস ভুমিকা

**********







সাভার ট্র্যাজেডি ১৭ দিন পর মৃত্যু পুরী থেকে জীবন্ত সানু নামের মেয়েটিকে উদ্ধার , সি এম এইছ সামরিক হাসপাতালে চলছে তার

চিকিৎসা ।

প্রকাশ , রানা প্লাজায় অতিরিক্ত একটি নামাজের রুম ছিল , এবং মেয়েটি এখানেই কাজ করত , দুর্ঘটনা গটার পর চেঞ্চ লেফস হয়ে পড়ে থাকে , যখন জ্ঞান ফিরে চোখ খুলে প্রথমে কিছুই ঠাহর করতে পারেনা , আধারের মধ্য হাত্রিয়ে তার সঙ্গী দুজন কে পায় রক্তাক্ত , ভয়ে

হিম হয়ে যায় , কোরআন শরীফের কথা মনে পড়ে তার , সুরা পড়া শুরু করে , অনেকটা মনোবল ফিরে আসে তার , একমাত্র মোবাইল টিও ভেঙ্গে যায় , বাহিরের দুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন, সাথি

একমাত্র অন্ধকার আর বিশ্রি গন্ধ কুট কাট আওয়াজ ছাড়া আর ২য়

কিছুই নাই ।

অন্ধকার হাতড়ে নিজেকে বাচার তাগিদে ধিরে ধিরে উটে বসে সে , এবং এক পা দুপা করে ভাঙ্গা বিল্ডিঙের িবপদজনক ফাক ফোকর

গলে এগিয়ে যায় নামায পড়ার ঘরে , অনেকটা দম নেয়ার জায়গা ।

এবার খোদার দরবারে শক্রিয়া জানায় ।

সামান্য চিঞ্চিনে ব্যথা কনুইয়ে , ব্লাউজ কামিজ ভিজে সপ সফ তাও রক্তে, নিজের আর অন্যার রক্ত এখানে যেন বর্ণ টা এক সুত্রে গাথা ।

পেটের প্রচণ্ড ক্ষিদে টা মাথা চাড়া দেয় , মনে পড়ে নামায ঘরের পাশেই একটা কেবিন ছিল । হয়ত খাবার কিছু মিলতেও পারে ।

আরও লাছ রক্তের বন্যা আর দুষিত বাতাসের তিব্রতা পেরিয়ে গন্তব্য খুজে বাচার আশায় সে , অজান্তেই পেয়ে যায় বিস্কুট কেক সহ নানা মুখরোচক খাদ্য গোগ্রাসে গিলে নেয় গলায় আটকে যায় ,

পানি পানি ছাড়া এক্ষুনি দম আটকে যাবে , উপায় ,মনে পড়ে কেবিন এর দিকে আবারও হাত বাড়ায় একটা বদনা আবিস্কার করে তার মধ্য মিলে যৎসামান্য পানি একটু খায় বাকিটা রেখে দেয়

ভবিষ্যৎ এর জন্য ।



সে ১৭ দিন এভাবেই প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে টিকেছিল অন্ধকার এক মৃত্যুর গহ্বরে ।

যখন শেষ ক্ষিন প্রানের আশাহীন ব্যর্থ প্রয়াসের শব যাত্রায় সেও

অভিযাত্রি তক্ষনি খোঁদার দয়া থাকে আবার ফিরায়ে দিল পৃথিবীর

আলো বাতাসে বিচরণ করার মুক্ত বাচার অধিকার ।



সাভার ট্র্যাজেডি , ১১ ই মে রাত





সাভার ট্র্যাজেডি ঘটনার অন্তরালে ;; কথিত উপন্যাস চরিত্র ও কথা রূপক কাহিনী বাস্তব ''

**********



আচ্ছা সানু এই যে ভয়াবহ মৃত্যুর অন্ধকার জয় করে ফিরে আসা , তোমার নিকট জগত এখন

কেমন । আমি আসলে নিজেকেই নিজে চিনতে পারতেছিনা মুহূর্তে জগতে আছি না অন্য কোথাও ।

১৭ দিন আটকে ছিলে সাভার রানা প্লাজায় মৃত্যু কুঞ্জে ।

আসলে কি ঘটেছিল ।

আমি , শান্তা , নিশি , গ্রামের সহচর অনিক , মুকিত সহ আমরা ৮ / ১০ জন একসাথে কাজ

পাই ঐখানে , ৭ম শ্রেণী পেরিয়ে সবেমাত্র ৮ম এ পদার্পণ সংসারে একমাত্র উপার্জন শীল বাবা

হটাৎ হৃদ রুগে আক্রান্ত হয়ে ইহধাম ত্যাগ করে ।

৩ ভাই ২ বোন আর মা , ভাই বোনেরা সবাই অবুঝ । মা প্রানান্ত পরিশ্রম করে হাফিয়ে উটে ।

বড় বোন চলে যায় এক ছেলের সাথে গারমেন্সে যৎ সামান্য কিছু টাকা দেয় , তাতে কি সংসার

চলে আমার লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে যায় ।



একদিন মুকিত এসে খবর দেয় আনু চল তোর একটা চাকরি যোগার করেছি ঢাকায় । সেই

সাথে আমাদের গ্রাম থেকে আরও অনেকেই যাবে । আমি প্রথমে দমে গিয়েছিলাম পরে ভাবলাম

কি হবে এখানে পড়ে থেকে না হবে লেখাপড়া না হবে খাওয়া দাওয়া । তার চাইতে এই ভাল

মুকিত এর কথায় সায় দিয়ে মা আর ছোটতিন ভাইকে একমাত্র নানির নিকট রেখে চলে আসি

ঢাকায় ।

গারমেন্সে পার্ট টাইম কাজ করি ১মে কষ্ট হত ধিরে ধিরে মানিয়ে নেই । মাঝে মাঝে টাকা পাঁঠাতাম বাড়িতে , তখন খুব আনন্দ লাগত ।

আমরা ৬/৭ জন এক মেসে থাকতাম । সারাদিন কাজ শেষে মাঝে মধ্য একত্রে গল্প করতাম

এ পর্যন্ত বলেই আনু চউখ মুদল ,ডাক্তার আমাকে বললেন সাহেব পরে আসেন একসময় এখন

পেসেন্ট এর বিশ্রাম প্রয়োজন ।





আচ্ছা তারপর

তারপর একে একে ৪ বছর কাটালুম এখানে , অনেক অভিজ্ঞতা , অনেক চেনাজানা । মুকিত কাজ করত পাশেই একটা ফার্মে , আমি আর মুকিত মিলে দৈনিক অনেক পরিকল্পনা করতাম ।

তো , নিত্যদিনের কাজ কর্ম সেরে আমরা বসে আছি এ সময় অন্তত আমাদের সাথিরা এখানে

মিলিত হই । শান্তা ও নিশি তখনও কাজ করছে , অনিক ঝরের মত ছুটে আসে আপু এই নাও

চিটি মনে অয় বাড়ি থাইকা ।



পত্র পড়ে মনটা খুশিতে ভরে উটল । মুতিন ও স্বপন সমাপনি পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে

সুত্রাপুর থানার মধ্য মেধাতালিকায় ১ম ও ২য় । আনন্দে চোখে জল নেমে এল । মনে মনে টিক

করলাম এদের জন্য ভাল উপহার কি কি নেওয়া যায় ।

আর সবচাইতে আদরের ছোট ভাই মন্তু পড়ে ক্লাশ ওয়ানে ।



অনেকদিন যাবৎ বাড়ী যাওয়া হয়না মিরা খালা আমাকে দেখেই ব্যংচি কাটে নবাবের ঝি বলি

কি আমি সামনের হপ্তায় বাড়ি যামু তয় এইবার বেতন পাইয়া কি করবায় ।

হু খালা আমিও এই তারিখে বাড়ি যামু ।

এবার একটা বিকট শব্দ হয় , কানে আসে লক্ষ কোটি কামানের আওয়াজ । পাশেই বাজ পড়ে

মুখে কথা আসেনা , মনে হচ্ছে সারা ফ্ল্যাটটাই যেন চরকির মত দুলছে ।



মাথায় হটাৎ একটা আঘাত , কানে আসে অনেক মানুষের ভোতা চিৎকার ।

পুনজন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ত এর মধ্য কি হয়েছিল আর মনে নেই ।

নার্স , সানু আপা এই নিন ঔষধ , ট্যাবলেট দুটুঁ গিলে নিন ।



৩ চলবে '''''''''''

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

নানাভাই বলেছেন: চরম

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাস্তব জলন্ত ইতিহাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.