![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি
আষাঢ়ে বাদল
************
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
এল আষাঢ়ে বাদল
নদী জলে পড়ে ছায়া
আকাশ তরু ফল
কদম ডালে হলুদ ফুলে
মন কেড়ে নেয় কার
বাঁশীর সুরে হৃদয় খাঁড়ে
সখির নজর ভার
কাশবনে বক হটাৎ ওড়ে
ঝিলের জলে হাঁস
কুলবধু কলসি লয়ে নদে
পুড়ায় মনের আঁশ ।
রঙ ধনু রঙে সাজে
আকাশের গায়ে তায়
রুদ্র ছায়ার ভাসে ফানুস
মাঠের ঐ কিনারায় ।
বাগানে সাজে নতুন কুঁড়ি
মৌ অলিরা ভাসে ফুলে
আষাঢ়ে মেঘ ভিজিয়ে কেশ
আসে বাংলাদেশের কুলে ।
১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই জানি হুশ
সাদা মনের মানুষ
অমত কারও নাই
শুভেচ্ছা তাই
২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১
রোজেল০০৭ বলেছেন: দারুন ছন্দময় বর্ষার কবিতা।
শুভেচ্ছা রাশি রাশি।
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বর্ষা এলে
মনে পড়ে শৈশব
অবাধ সাতার কাঁটা
করে কলরব
ধন্যবাদ নিকে আসার জন্য
শুভ দিন যাক
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুড়ায় মনের আঁশ এটা মনে হয় আশ হবে, কাশবনে বক হটাৎ ওড়ে ,হঠাৎ হবে,বাঁশীর সুরে হৃদয় খাঁড়েএটা কি কাড়ে হবে তাইনা টইপো গুলো ঠিক করা অনুরোধ। সুন্দর ছড়া কবিতায় ১ম ভাল লাগা ।
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ কবি
এডিটে সব টিক হয়ে যাবে
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবিতার বই
*************
বাংলার হৃদয়
***************
কবিতা ক্রম ১
কাল বৈশাখ
***
ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।
ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।
আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।
লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ ।
ম, মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
মিরপুর ১২ , ৪,১, ২০১৩ ইং
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবিতা ক্রম ২
***************
মন রাঙ্গানো ভোরের আলো
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩
আমি যদি ভোরের বেলায় উটে
ধুলির মাঝে আয়েশে যাই ছুটে
সবুজ কানন ডাকবে আমায় দুলে
চৈতি হাওয়া বইবে ফুলে ফুলে
মন পবনে সাঁজায়ে দৃশ্য ঘুড়ি
দূর দিগন্তে উড়ব গগন জুড়ি
পাখির ডানায় আবির রাঙ্গা পালক
ভোরের চিঠি খুজব রবির ঝলক
মুটু মুটু স্বপ্ন ছায়া এঁকে
উড়িয়ে দেব এই বাংলার বুকে
নিত্য তাই নদীর জলে ভেসে
মন রাঙ্গাব ভোরের আলোয় হেসে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবিতা ক্রম ৩
************
তার ছায়া ভাসে হৃদয় আকাশে
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১১ |
কে গো তুমি বনহরিনি
স্বপ্ন ছুয়ে এ মন
ভোরের হাওয়ার মত সৌরভে
ভরিয়ে দাও ক্ষনে আবেশে লগন
নিরব ও পাথারে
ভাসিয়ে বেলা
মন রাঙায়ে
কর হে খেলা
সব ভুলে যাই
তোমারই তরে
আর কত সঙ সেজে
থাক হে হৃদয় জুড়ে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জলসায় মুহূর্ত ক্ষনের কবিতা
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮ |
একটি বিদ্যালয় এবং ছাত্র / ছাত্রি বৃন্দ
***************************
মোহাম্মাদ মাসউদ মিয়া শাহি
কবি ও সাহিত্যিক গবেষক ।
**********************************
কবিতাটি মিরপুর ক্যানটরমেন্ট উচ্ছ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া
এবং পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব ছাত্র / ছাত্রিদের সৌজন্য লেখা
ঁঁঁঁঁঁঁঁ
প্রানভরা চঞ্চলে , কুসুম কোমলে
ফুলেল কুঁড়ি হয়ে বিদ্যালয়ে আসে শিশুদলে
শিক্ষা গুরুদের নজরে
এরা বিদ্যাপ্রদিপ জ্বালে অন্তরে
স্তরে স্তরে পাঠ কত শেখে
আদব নেহান বুঝে অনুকরন দেখে ।
বিনোদন খেলাধুলা সংস্কৃতির সাজে
ওদের কত প্রতিভা ফুটে কারুসাজে
তেমনি বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে
তাদের সাথে মিশে গেলুম জাগরিত মনে ।
শিশুদল অবিকল ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে
যেমন খুশি তেমন সাজে দিল মন ভরায়ে
আমি তখন কবিতার ভাষা খুজে খুজে
উৎসাহ যুগিয়ে প্রান দিলুম সেথা নবসাজে
সবার ভালবাসা আর গুণীজনদের বাহবায়
কত না আনন্দ জাগে এই নব জলসায়
গান হল চিত্তে সাঁরা , নাছল বালিকা ছন্দে
বালক বুড়ূ হাততালি দেয় অজানা আনন্দে
দেখি কত নব নব শিশুর মুখ স্বপ্ন রাশি রাশি
চেতনারি রঙ ফুটাল ছন্দ তালে ভাসি
যখন পায় তায় প্রতিভার পুরস্কার , হয় কত যে খুশি
বিদ্যাশালায় ফুলের বাগান ফুটলে সেথা হাসি ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইসলাম খুজে পাওয়া
**********************
আল্লামা , মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
কবি ও ইসলামি দার্শনিক ।
হে মুসলিম জাতী চিত্তে ভয় জাগে আজি কার
প্রান সঞ্চারে দেখায় যিনি পথ শেখায় চলিবার
সংকটে বেভুলে যিনি জ্বালে জ্ঞানের আলো
মুক্তির বারতায় , অন্ধ পদধলে দেখ সব ভালো ।
জগতের মাঝে কত কারুকাজে যত সৃষ্টি সম্ভার
সকল নিপুনে সুক্ষ অভিযানে চেনায় বান্ধাকে আগুসার ।
তথ্য ও ভাবে পরিবেশ স্বভাবে সাজায়ে এক বাধন
হে বিধাতা কত না ক্ষুত্রতে বান্ধায় হও আপন ।
যুগে যুগে চিনতে তোমায় দিয়েছ বানী কিতাবে
কত নবী রাছুল ভেঙ্গে দিয়ে ভুল দিক দেখায়ে গেল মানবে ।
যারা সত্য বানী আঁকড়ে ধরে নিকটতম পাইল তোমায়
সাধু সজ্জন অলি আউলিয়া তারাই মুমিন সততায় ।
আর নাফরমান শয়তান ভ্রান্তিতে গড়া যার সব কাজ
হৃদয়ে কুহক জাগার অন্ধ অহমিকায় ভাঙ্গে সত্য সমাজ
ইবলিশ থেকে পানাহ চাই ভয়ে খোদার দরবারে লুটাই
দয়াল নবীজীর আদর্শ গড়ি ইসলাম সেথা খুজে পাই ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নববর্ষ বরনে ১লা বৈশাখ এ
বাঙালির প্রানে কত সজিবতা আনে
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭ |
নব দিনের নব বারতায়
আনন্দ উৎসব উচ্ছল দ্বারায়
আবহমান বাংলার কাননে
১লা বৈশাখ আসে প্রানে প্রানে
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বৈশাখ এলে বাংলার প্রানে দুটি কবিতা তাই অভিধানে ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭ |
বাংলা নববর্ষের আগমনে
১লা বৈশাখ উপলক্ষে দুটি কবিতা
হে বৈশাখ
**********
হে বৈশাখ তুমি এলে
নতুন দিনের নব্বারতায়
নব উচ্ছল ও আনন্দ দ্বারায়
নতুন দিনের কুসুম ও কলি
ধরনির বুকে তাই রাঙ্গালে
নব সুখে সৃষ্টিরা হাসে
অনিন্দ্য সুন্দরও উল্লাসে
জাগে নব রূপে বসুন্ধরা
নব দিগন্তের দোয়ার খুলে ঐ
সাজে পত্র পল্লব সজিবতায়
ফুটে পুস্প মল্লিকা অজস্র দ্বারায়
বাজে কত রাগ রাগিণী
নব নবীন হাসে প্রান খুলে
মাঠের বুকে কত বিচিত্রতায়
নতুন ধানের গন্ধ বিলায়
স্বপ্ন ছবি আঁকে কৃষাণেরা
সবুজ আঙ্গিনা ভরিয়ে নিলে
তাই ১লা বৈশাখ এলে
নব নব আনন্দ দ্বারা বহে দিলে ।
কাল বৈশাখী বাংলার বুকে
*************
গুরু গুরু ডাকে
কাল মেঘ পুঞ্জ ঘিরে আকাশটাকে
হটাৎ বহে বায়ু শন শন
বাজে ঘূর্ণি নাছন
লোকালয় তরু দ্বয়ে কাঁপন ধরে
কাঁপে পাতা পত্তর থরথরে
কড় কড় সড়াৎ ক্ষনে পড়ে বাজ
পাহাড়ের গাঁয়ে কভু ভেঙ্গে পড়ে সাজ
বিদ্যুৎ চমকায় এদিক ওদিক
মাঠ ঘাট হতে লোক ছূটে দিক বিদিক
বাড়ি ঘর পাতা খড় ওড়ে টিন চাল
ভেঙ্গে পড়ে হরেক বৃক্ষ লতা ডাল
গরিব নিঃস্বদের নড়ে বড়ে ঘর
ওড়ায় ঘুড়ীর মত , আসে সে খবর
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয় মাঠের ফসল
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে শস্য তরু ফল
ধুয়ার আবেশে ওড়ে শোকনো পাতা
পথিকের উড়ে যায় হাতের ছাতা
পাখীরাও নীড় হারা অশান্ত ডাকে
বাংলার বুকে বজ্রনিনাদ আওয়াজ কাল বৈশাখে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমারও জাগে মরিবার সাধ
***************
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
কবি , সাহিত্যিক
অনেক আধার হল এবার
এখন সাধ শুধুই মরিবার
কবে জানি হয়েছিল ভোর
সেকথাও আজ গেলাম ভুলে
মৃদু মন্দ বাতায়নে জানালার দ্বারে
অশথের ডাল ফুড়ে বারবার
নিশুতি পেঁচার অনাহুত চিৎকার
তবে কি সময় এল ঘনিয়ে
জীবনের হিসাব লুফে নিতে
তন্দ্রাচ্ছন্ন আকাশ গেঁড়া টুপ খুলে
উঁকি দেয় ইন্দ্রাণী শশী
হালকা বাতাসও আজ স্পর্শ করে শিরদাঁড়া
ভুল সবই ভুল
যেকথা জানান দেয় মনে
ক্ষনিকের জগত বড় ভিসময়
অন্ধকার মনে হয়
তবে কেন সাধ নিঃস্বার্থ গমনে
যে ঠিকানা না ফেরার
সেই অমৃত অদৃশ্য লোকে নিজেকে হারাবার ।
দুই
বারে বার চমকে যাই
থমকে দ্বারাই
অপার্থিব উচ্ছন্ন অর্থব এক বাসনায়
মনে হয় কত যুগ যুগান্তর পেরিয়ে
এখনও আমি নিজেরেই খুজে ফিরি
মৃত্যুর ভিড়ে
তবে যে সন্ধ্যায় দেখেছিনু তার ছায়া
হায় অজান্তেই ঘুধুলি বেলার মত
সেও দেখি আমাতে লুকায়
পরিবেশ বন্ধু জন্মদিনের কবিতা
*************
সুদ্ধ শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিনে
জগত তোমায় আজি লয়েছিল চিনে
আকাশ আধার আলো যত স্রিজনি
তোমারি আগমনে হেসেছিল জানি
কেদেছিলে তুমি পেয়ে নয়নে আলো
এই দিন হোক আর সব দিনের মত খুব ভালো ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাভারে শ্রমিকদের মৃত্যু শোক স্মরণে কবিতা
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
আর কত বাড়বে মৃত্যুর মিছিল
*********************
এম , জি , আর , মাসুদ রানা
মৃত্যুর মিছিলে রোধন আওয়াজ
শোণিতের রঞ্জিত কাফনে আবৃত
নিরব শবযাত্রায় এ কেমন সাজ
বাঁধভাঙ্গা অশ্রু কনাও অগ্নিসম ক্ষত ।
দিয়েছ ওদের খোদা মৃত্যুর সাধ
তব আকুল হৃদয়ে গ্রাসে শুধুই বিষাদ
এমন নগ্ন মৃত্যুরে জড়ায়ে
আজি প্রানের যে অজানা গমন
কেউ কি করেছিল এমন আশা
রুদ্ধ শ্রমজীবীদের অনাকাংকিত মরণ ।
হে খোদা বারিতায়ালা তোমার কৃপা
যেভাবেই তাদের তুমি কর ক্ষমা
জান্নাত দিও , দাও মোদের ধরয্য
হে বিধতা সবই তোমার ক্ষুদ্রতি মহিমা ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
ঈমানের জ্যোতি নুর নবী হজরত
**************************
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
১. ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
পরিবেশ বন্ধু
: ঈমানের জ্যুতি নুর নবী হযরত
কহ সত্য সাধক , ঈমানের আলো ফুটে কার হৃদয় মদিনাতে
যার জবানে পবিত্র নাম খুশবো বহে অমিয় মধুর বুলিতে
আযানের ধ্বনি হয়ে যে নাম সুধা ঢালে মুমিনের কানেকানে
মসজিদ পানে ছুটে মুমিন এক পারলৌকিক মহা আহবানে
আল কোরআনের বানী যার নিকট বয়ে আনে জিব্রাইল হেরা গুহায়
সব সৃষ্টিরা তার নামে দরূদ ছালাম ভেজে তাজিমে কত প্রশংসায়
আসমান হতে যত জ্যুতি ফুটে তার চরণ মোবারক চুমি
ধন্য লভিল আরশ মহল্লা আর পদানত যত সৃজিত ভুমি
তার পবিত্র সুবচন ও মাধুর্য আদর্শে এল ইসলাম রবি দুনিয়ায়
রহমত কত ঝরে তার পদস্পর্শে মুমিন লুটায় সেজদায়
আর ফেরেস্তা , হুর গিল্মান তারি তরে জানায় তাজিমে ছালাম
খোদার দুস্ত সেরা নেয়ামত মানবের মুক্তি হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মে দিবস উপলক্ষ্য কবিতা
শ্রমিকের মর্যাদা
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
কত ভালবাসা কত মমতায়
গড়ে উটে জগত তাদের শিল্পছোঁয়ায়
শক্ত কটিন ইট ওরা ভাঙ্গে
পুস্কা পড়ে গাঁয়
ধরে হাল খাটে নিপুন কারিগরে
দুর্বার স্বপ্ন সাজায় ।
ধুকধুক শ্রম কিনাঙ্ক প্রান ভাঙ্গে মরিচিকা
ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা
রুদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ধরনিরে কভু করে বরণীয়া
আর মরে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে
দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন তাও জুটেনা কপোলে ।
ওরা কাজ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে
দেশের তরে নগর শহর বন্দর সাজায়
প্রহর গুনে গুনে
রাঙ্গে ধরণী কভু ওদেরই লৌহ খুনে
শক্ত মুষ্টিতে হাতুড়ি শাবল গাইতি কভু
বং বেরংগের লয়ে হাতিয়ার
দিগ্বিজয়ে দেয় পাড়ি বানায় সামুত্রিক জাহাজ
লঞ্চ স্টিমার আর মহাশূন্যর যাত্রী নানা আবিস্কার ।
ওরাই মাটে সোনা ফলায় বিকিয়ে দিয়ে দেহ
তোমরা কারা স্বার্থ লোভী সুখের স্তব গাহ ।
পরখ করে দেখ
অধিকাংশ তাদের নেই একটু মাথা গুজার টাই
নাই বিছানা , শিতের কাপড় ,
ঔষধ পত্র , ভুগ বিলাসের ঘর
এমনকি কখনও জুটেনা অন্ন দানা তাও ।
ওরাই খাটি সোনার মানুষ তবু দেখি
ওদেরই মুখে স্নিগ্ধ ভরা হাসি
ললাট আভায় দিপ্ত ক্ষনে সাজে
হে প্রিয়জন নিরেট ভালবাসা পাবে ওদের মাঝে
যদি শান্তির স্বর্গ চাও সব ভুলে
মাথানত কর ওদের শ্রদ্ধাভরা কাজে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মৃত্যুর আওয়াজ জাগে মনে ভয়
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১ |
সাভার ট্র্যাজেডি
আর কত মৃত্যুর আওয়াজ
***********************
অবাক জগত নির্বাক সাভার
মৃত্যুর অগ্নিপ্রলয় ভেরি সেথা ভাসে
জনতার বোবাকান্না আর দুর্গতদের আর্ত চিৎকার
মানবের হৃদয়ে বেদনা গ্রাসে ।
লাছের গায়ে লাছ , হটাৎ নড়াছড়া
উদ্ধার কর্মীদের জীবনের সন্ধান
জীবন বাজি রেখে স্বজনদের আকুল নয়ন খুজা
যাদের বাচাতে এ উদ্ধার অভিযান ।
শত শত লাছ স্তুপ লাশ কাটা ঘরে
চিৎকার শুনি আজ লাছের ভিড়ে
সেচ্ছাসেবক আর ডাক্তার মিলে
অনন্ত চেষ্টায় থাকে দুর্গত লাছের প্রান সঞ্চারে
এখানে গেলেও নিথর নিস্তব্দ পুরী
মনে হয় নিজেরেই লাছের ছায়া
হায় হায় রব উটে আত্মার নিরব শব যাত্রায়
আমরাও তাদের মতই কি নই মানব কায়া ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খোদা তোমায় ডাকতে জানিনা
২৭ শে এপ্রিল,
হে দয়াময়
**************
বিপদে সম্মুখে রাখি তোমার মধুর নাম
যে মধুময় নামে ভরা জান্নাতি আঞ্জাম ।
দেহ মরে আত্মার কভু হয়না সে মরন
যেভাবে দাও সত্য দিশা হোক সে মহৎ পন ।
যার যা লেখা কপাল মাঝে ঘটবে তাহা জানি
বিশ্বাস রাখি খোদার লীলা তারই সত্য বানি ।
হে দয়াময় চিনতে তোমায় দাও বুকেতে বল
তোমার করুণা ঝরুক আজি চোখে মোদের জল ।
আর যাওয়ার নাইগো গন্তব্য ছুটি তোমার দিকে
দাও হে ভরসা দয়াল মোদের সুনজরে দেখে ।
দয়াল নবীজীর রহমত ইসলাম , দিও সত্য দিশা
ঈমানেরই সওদা লয়ে দিলে তাজা রাখি আশা ।
হে দয়াময় বারিতায়লা নামটি সদা রাখি স্মরণ
মোদের কলমা নছিব হয় যেন সদা সর্বক্ষণ
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবি ও একজন আত্তাধিক সাধক
বা আউলিয়া কেরাম ।
***************
এস তবে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালি খোদার রহমতে
যার ক্ষুত্রতের শেষ সিমা নেই ব্রহ্মাণ্ড এ জগতে
তারি নিকট জ্ঞান গুনের রত্ন ভাণ্ডার কত রয়
এ দান যার মগজে আসে সেই জগতে ধন্য হয় ।
কবি কহে হে দয়াময় দাও সে জ্ঞান কল্যাণে
মানব মুক্তির দিক চিনাও আজ সত্য মহৎ সন্ধানে
পথহারা সব চিনতে তোমায় ভুল করে রয় আধারে
দাও জ্বালিয়ে জ্ঞান প্রদীপ ভাঙতে ভান্তি বাধা রে
সেই সে পথের অভিযাত্রী কর হে দয়াময়
যে পথ শত পুন্য ভরা যারা তোমার প্রিয় হয় ।
কবি আল্লামা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
সৈয়দ পুর , বাদশাগঞ্জ , ধরমপাশা
বাসা ঢাকা মিরপুর , ১২ ।
রবিবার ১০ ই বৈশাখ ১৪২০ ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নুর নবী হযরত
আমরা তার অনুগত সেরা উম্মত
আল্লাহর পর যার স্থান
সৃষ্টি মুলে কেউ নাই তার সমান
যত নবী রাছুল সবার সর্দার
আমরা তার মুক্তির দাবিদার
আমার দার্শনিক মতামত
সৃষ্টি রহস্য
তিনি আদিতে নিরাকার হে রহমতের ভাণ্ডার
আকার নিলে এসে মানব বেশে
মোহাম্মাদ নামে অবশেষে
আল্লাহর ক্ষুত্রত কামিলে ঝিনুকে ছিলে
প্রলয়ে নুর ফাটিলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সাজিলে
সেই নুর ত্রিভুবনে ভাসে
আরশে সাজরা তুল একিন ডালে ময়ূর বেশে ছিলে
আল্লাহু আল্লাহু রব তুলে সকল রুহ স্রিজিলে
তক্ষনি তারা ছালাম ভেজে এসে
ফেরেস্তা রূপ ধরে শিক্ষা দিলে ফেরেস্তারে
লৌহ কলম খোদার কালাম দিলে এঁকে আরশের উপরে
কালমা তে দিব্য ভাসে
নুর এল আদম আ এর কপালে ক্রমান্বয়ে আব্দুল্লার কপালে
জন্ম নিলেন মা আমেনার কুলে
সেরা আরবের কুরাইশ বংশে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খোদাকে জানি
*********
আমরা সত্যর পথে চলি
মানি কোরআন ও হাদিসের বানী
সমাজ , রাস্ট ও মানুষের কল্যানে
এস হে মুমিন বিধাতাকে চিনি ।
নবীজীর সত্য ইসলাম
যুগে যুগে অন্ধকার করে দূর
দিল মানবের মুক্তির দিশা
আর জ্ঞানের বজ্র কণ্ঠসুর ।
তাই এস মানব কিতাব থেকে জানি
যা সত্য রহস্য বারিতায়লার
সত্য সাধক খুজে পায় ঠিকানা
গুড় রহস্য যা সব রয় অজানার ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আত্তাধিকতা
******************
আত্তাধিক সম্পর্ক অতি উচ্ছ
আল্লাহর নিকট তম বন্ধু হলে
তার সিংহাসন রয়
সুদ্ধ মুমিনের দিলে ।
বহু সাধনায় যদি খাটি সাধক একজন মিলে
লভিও অমুল্য ধন লুটায়ে তার চরন তলে ।
জগত বৈভব আর আনন্দ সুখ
সবি হবে ছাড়
থাকবে সত্ত্বা পরম নিকটে
চিরটি আত্মার বন্ধু হলে তার
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আজকের মাথা খরাপ
************
ভোটের মালিক আমি
আর পাশ করে যে সে দামি
তাই এবার ভাবি
ভোটের বাস্কে চাবি
নির্বাচন এলে আমার খুজে
আর বেলায় থাকে চোখ বুঝে
আমায় নিয়ে আবার ব্যঙ্গ
এই দেব সেই দেব করে রঙ্গ
আমি এবার সজাগ
আর দেবনা কাউরে ভোটের ভাগ
নিজের টা নিজেই লয়ে
খুজব স্বাধীনতা ? পথ ভ্রষ্টদের পায়ে
ভেবে দেখুন সত্য
জনগণ আমি দায়বদ্ধ কেন ? নিত্য ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:২৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
আজ বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মায়ের জন্য মমতা
*********************************
পরিবেশ বন্ধু কবি
মধুর আমার মায়ের হাসি
জগত মাঝে তাই
এমন মায়ের মমতা ছবি
আর যে কোথাও নাই
সুখে দুখে মা যে আমার
স্নেহ মধুর পাই
কষ্ট সয়েও সবসময়ে তার
আচল মাঝে ঠাই ।
যা ছিলনা বুঝতে অভাব
শিখতে ভাষা চলা
ভাল মন্দ , ক্ষুভ আনন্দ
স্বাধীন সত্য বলা
আজ মনে হয় সবই
মোর সাজানো জীবনটাই
তারি ছোঁয়ায় হল গড়া
তুলনা যে নাই ।
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে কবিতা
********************
*মায়ের দোয়া * এমজি,র, মাসুদ রানা
মধু ভরা এমন হাসি কোথা খুজে পাই
জগতে মা তোর তুলনা যে নাই
সকল শুন্য তোমা ছাড়া
তোর হাসি যে চাঁদ তারা
দেখলে একবার হাসির সে মুখ
জুড়ায় যে অন্তরা
আমি দেখব এমন মধু হাসি নয়নে সদাই ।
কাছে থাকলে প্রদিপ জ্বলে
না দেখলে আধার
শুনে তোমার মধুর বানী
প্রানে আঁকি আসার সঞ্চার
থাকলে সাথে মায়ের দোয়া কোথাও ভয় নাই ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
কবিতা, একতার মন্ত্র
*************
মুটূ বা একতায় এস সবে মিলে
দেশ গড়ি স্বপ্ন গড়ি
সাম্যবাদি সত্য আওয়াজ তুলে ।
এক হয়ে সব শ্রমিক কৃষাণ
জীবন সাজাই ভেদাভেদ ভুলে
বাঁচতে শিখি বাঁচার মত
ঘাত প্রতিঘাত ধলে ।
হিংসা , লোভ , ভ্রান্তি ক্ষুভ
নহে ভাল কাজ
পরিবেশ সাজাই স্নেহ মমতায়
গড়ি এস নব মন্ত্রে সুসভ্য সমাজ ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন:
নজরুল বঙ্গে বিশ্ব সাহিত্য তার অঙ্গে
***** জাতীয় কবি র জন্মদিনে শ্রদ্ধা
কম বুঝ সম্পন্ন এক মুল্লা নজরুল কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন । বলতেন মুসলিম কাজী পরিবারের ছেলে উচ্ছন্নে গেল ।
বাঁশি বাজায় বেলা অবেলায় , গান গায়
পালামঞ্চে নাছে আর কয় পদাবলি
আর সব বুদাই মানুষ যায় তার সাথে চলি ।
একদিন অনেক মানুষকে লয়ে কাজী নজরুল কে
করতে জব্দ ,পথিমধ্য দিল বাধা ।
মুল্লা বাহিনী ,দাড়াও কাজীর বেটা
আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও নয় দেশ ছেড়ে পালাও ।
নজরুল ,সুজা কি কথা তাই যাও কহে
নয় পড়ে গেঁড়া কলে মরবে দহে ।
মুল্লা , সারাটি পথ হাঁটি গাছের তলে মেল ছাতা
সূর্যের ঝাজ পড়ে মুখে ,উলটুঁ কেন তা ।
নজরুল , মুক্ত আকাশ নহে তাতে কোন ক্ষতি
যাব মসজিদে পাখিরা অযু ভঙ্গ করে যদি ।
বিষ্ঠা দিয়ে করে যদি যাত্রা ভঙ্গ
রইবে ক্ষুভ আশা থাকবে কি প্রভুর ন্যায় সঙ্গ ।
মুল্লা , সত্য কথা নহে মিছে অনু পরিমান
আচ্ছা এবার শুনি , সারাটি পথ চালিয়ে রথ
জুতা জুড়া লয়ে , যেথা কাদা সেথা কেন বাড়ালে ইজ্জত ।
নজরুল , হা হেসে কহে ভাল রাস্তা চোখে দেখে যাই
কাদাময় পথে থাকে যদি কাঁটা সেথায় দেই পায় ।
তবে থাকবেনা ভয় , হয়ে নিরাপদ
শত ক্রুশ দিয়ে পাড়ি মিলিবে ভুত ভবিষ্যৎ ।
মুল্লা জীবে দাগ কাটি মাথা নত করে
ছালাম দিল তারে জবাবের তরে ।
চিনের গভর্নর এলেন বাংলাদেশে কবিকে দেখতে , পথিক পথ
দেখালে রাজকিয় বেশভুসায় দেখল বনের কুটির এক ।
নজরুল তখন মিষ্টি গলা কুলে গাচ্ছিল গান ,।
গভর্নর নজরুল কে দেখে জিজ্ঞাসে কোথায় নজরুল
বিশ্ব কাঁপিল যার কণ্ঠের বজ্র ধ্বনিতে
মুচকি হাসি কহে নজরুল পার কিনা দেখ চিনিতে
থাকলে নয়ন সাথে।
কুর্ণিশ আর অভিবাদনে মিলিত হয় দুজন
চলে আলাপন ।
গভর্নর , বন্ধু কেন কুঁড়েঘরে পড়ে রও
তোমার দেব স্বর্গের রাজ প্রাসাদ
দেব মিটিয়ে যত রয় জগতের সাদ
যদি রাজি হও ।
নজরুল , বন্ধু সবি মিছে রয় যত স্বপ্ন
যাবে একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে
এই মাটির ধুলিকনা স্বর্গের চাইতেও বেশি প্রিয়
জেনে নিও ,এই মাটিতে মিশে্ , সবি যাবে ক্ষয়ে ।
জবাবে মাথা নিচু করে
দিল ছালাম পৌঁছায়ে জবাবের তরে ।
একদিন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী এল কবিকে দেখতে ।
কি হে মহারথি আজি নিরব কেন হায়
তোমার রন হুংকারে ডাক ডুল বাজে
প্রেরনা জুগায় সৈনিকের গুড় রন সাজে
উট আবার গেয়ে সেই শিখল ভাঙ্গার গান এই অবেলায়
নজরুল নির্বাক চাহিয়া ক্ষনিকের তরে
ঝাড়িল কিছু সঞ্চিত অশ্রু বন্ধুর নেত্র হরে
নিরব রন সজ্জা নিরেট ভালবাসায়
লভিল ছালাম বীরের জাগ্রত ভাষায় ।
বাংলার বন্ধু আর যত বিদেশী আগত রাস্ট নায়ক
দিল সম্মান প্রান যখন লুটাইল খোদার দরবারে
লক্ষ কোটি প্রান তার আত্তার গমনে
রাসটীয় মর্যাদায় জাতীয় কবি দিয়ে স্বীকৃতি
বিনম্রে ছালাম ভেজে তার বিদ্রোহী আত্মায় । । যবনিকা ।।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বপ্ন খুজে
*********************
একদিন স্বপনে সে এল হৃদকাননে
যে দিল ভালবাসার ছুঁয়া
ঘুম থেকে জেগে বড্ড রেগে
ভাবলুম তারে ক্যামনে যাবে পাওয়া
ছুটি মেটূ পথ ধরে বাসনা অন্তরে
যদি মিলে যায় দেখা
কব কথা প্রান খুলে রঙিন স্বপ্ন দুলে
ফাল্গুনে জাল বুনি সেথায় একা ।
হেঁড়ে গলা ছেড়ে গান গাই জুড়ে
কোকিলের সুরে নিজে চুপসে যাই
দেখি কলসি লয়ে এক বালিকা ভয়ে
খুজিল কি যেন মনে ছুট পাই
নাম কি খুকি সুধাই তারে
বাঁকা নয়নে নজর কাঁড়ে
মিষ্টি ভাষায় কহে বসন্ত
আকাশে বাতাসে ওড়ায় পাখাসে
বাতায়নে লাগে দুলা বেজায় অনন্ত ।
২ ,
তার ঠিকানায়
********
সখি ভাবি বসে একা
কত রঙ মেখে
পাখির ডানায় এঁকেছি এ মন
ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেঘ
হাওয়ায় হাওয়ায়
মাঠ আর পাঠে লভেছি জীবন
বৃষ্টির ছন্দে প্রান সজিব
নদী ও বনে মিশে যাওয়া ক্ষন
সূর্যের তাপ রঙিন ঘামে
বিজলী ও বজ্রে পড়েছি বসন ।
লুকুচুরি ছিল চাঁদের জোছনায়
ঝিলমিল জোনাকির আলোয়
পথটারে খুজা
তারা গুনে গুনে
সেই সে লগনে
আজও মন ছুটে শৈশব আঙ্গিনায়
ফুলে ফুলে তারে
কত না প্রহরে
ঘুধুলি বেলায় মন আবেশে হারায়
তার ঠিকানায় ।
তার ছবি আঁকা
************
আধারের বক্ষ থেকে ছিনায়ে তারে
এনেছি এ মন
আলোক সজ্জা কোথায় তবে
যার ছবি আঁকা ফাল্গুনী ক্ষন
বেনুবনে গান গাওয়া হল সাড়া
ভাবুক সত্ত্বায় তায় নজর ভারী
কেন তবে অন্তর
প্রিয়বেলা যতনে দিতে চায় পারী ।
আর যদি তারে
রেখে নজরে
অধর চুম্ভনে কিছু লভে উপহার
সেকি জানবে ফিরায়ে দিতে
মোর অধিকার ।
যাক বয়ে বেলা
তব শান্ত্রনা
মান অভিমান যত
পুস্প স্তব ঝরবে তত
তব জানি সেই কথা
অচেনায় ঢাকা
মনের অজান্তেই সত্য সায়রে
এই মনে চিরদিন রবে
তার ছবি আঁকা ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিশ্ব বাবা দিবসে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৮ |
এক , আজ বিশ্ব বাবা দিবস
বাবার প্রতি মমতা
*************
অনেক উচ্চ বাবার আসন
এই জগতের মাঝে
সুদ্ধ চিত্ত গড়ে উটে
তারি স্নেহ সাজে ।
বাবা খুশি বিধাতা খুশি
নুর নবীজীর বানী
বাবার প্রতি শ্রদ্ধা অতি
তাই মোরা জানি ।
দুই
বাবা তার স্নেহে
সন্তানের ছায়া
গভীর শ্রদ্ধায়
বাড়ায় মায়া ।
দিন দিন ক্ষয়ে
সে যে অন্ন জুটায়
ভারী নিঃশ্বাসে মধু
হাসিতে যাদু বুকে আনে সাহস
তাই শ্রদ্ধা জানি
লুটায়ে বাবার পায়
বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
পরিবেশ বন্ধু কবি
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আষাঢ়ে কবিতা
১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২২ |
আষাঢ়ে বাদল
************
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
এল আষাঢ়ে বাদল
নদী জলে পড়ে ছায়া
আকাশ তরু ফল
কদম ডালে হলুদ ফুলে
মন কেড়ে নেয় কার
বাঁশীর সুরে হৃদয় খাঁড়ে
সখির নজর ভার
কাশবনে বক হটাৎ ওড়ে
ঝিলের জলে হাঁস
কুলবধু কলসি লয়ে নদে
পুড়ায় মনের আঁশ ।
রঙ ধনু রঙে সাজে
আকাশের গায়ে তায়
রুদ্র ছায়ার ভাসে ফানুস
মাঠের ঐ কিনারায় ।
বাগানে সাজে নতুন কুঁড়ি
মৌ অলিরা ভাসে ফুলে
আষাঢ়ে মেঘ ভিজিয়ে কেশ
আসে বাংলাদেশের কুলে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নুর নবীজীর শানে নাত
**************
ম মাসুদ মিয়া সৈয়দ শাহি
****************
আমার জিন্দা নবী আছেন মদিনায়
আমার দয়াল নবী আছেন মদিনায়
অলিগনে সদায় দেখে তার দিলের ও আয়নায়
দয়াল নবীজী কামলে ওয়ালা
উম্মতের লাগি কান্দিলা
শাফায়াত করিবেন উম্মতেরে
কবর , হাসর , মিজান , পুলছেরায়
রবি , শশি , গ্রহ তারা
দয়াল নবীজীর নুরের ইশারা
জীন , ইন্সান , আর ফেরেস্তারা
সদায় ছালাম ভেজে মোবারক রওজায়
যত নবী অলি , মুমিন , সাধু
লভিল সে নামের মধু
নামে ভরা রয় যাদু
ভেজে দরুদ সয়ং মাওলায়
কবি কহে হে রহমতের ভাণ্ডার
যেন মিলে রহমতি দিদার
নুর তোমার বধন মোবারক আনোয়ার
শান্তি দাও মোর কলিজায়
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কবিতার বই
*************
বাংলার হৃদয়
***************
কাব্য ভুমিকা , সহজ সরল ভাষায়
আমার কবিতার স্রিজনি
পাঠকের আনন্দ দেবে কি ?
তবুও আমি সৃষ্টি সুখের মালা গেঁথে যাই
আমার মাতৃভাষায় ।
ভাষার ফুল , গানের সুর
আর মুক্ত জগতের লিলাখেলায় ,
বৈচিত্র্য কাব্য রসে
আমি বর্ণমালার স্রস্টা ।
ক্ষনে , আর জাগরনে , চেতনার বজ্র কণ্ঠসুর
থাকবে ইতিহাসে যুগ যুগান্তরে
সকলের পঠনে , বিদ্যাঅভিধানে
পাঠক হৃদয়ে জানাই অবারিত অভিনন্দন ।
উৎসর্গ , আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্মরণে ।
সব পাঠকের হৃদয়ে ।।
এম , জিল্লুর রহমান মাসুদ রানা
কবি ও সাহিত্যিক
জন্মতারিখ , ৬/১০//১৯৭৭ ইং
পিতা * মোঃ দেওয়ান আলী
মাতা * মোছা ঃ শামছুননাহার মাহমুদ ।
গ্রাম, সৈয়দ পুর ।
ইউনিয়ন , বাদশাগঞ্জ ।
উপজেলা , ধরমপাশা <> সুনামগঞ্জ ।
বিভাগ <> সিলেট । ঢাকা <> বাংলাদেশ ।
কাব্য সমালোচনায় "" আলহাজ আল্লামা মুফতি ছদরুল আমিন রেজভি
সম্পাদক , মাসিক আলঈমান ।
প্রধান উপদেষ্টা , তরিকত এক্য বাংলাদেশ ।
পুস্তিকা , লেখক কর্তৃক সর্বস্বতঃ সংরক্ষিত ।
লেখা নকল করা , বা অন্য নামে প্রকাশ
বিশ্ব বুক মার্ক আইনে সবুচ্ছ শাস্তির বিধান ।
এছাড়া লেখকের আরও বই , কবিতার বই সত্যর মুক্তি , ফুলেল সুভাস , অচেনা ভারি মুখ , বাংলার হৃদয় ।
উপন্যাস , প্রিয়তার ছায়া , ভাঙ্গা গড়া এ সমাজ ।
নাটক , দেশ গড়ার সংগ্রাম ।
গিতিকাব্য , গ্রামিন লোকজ কথা ।
কাব্য , মন মহুয়া ।
গবেষণা গ্রস্থ , ইসলাম ও সমাজ মানবের মুক্তি । নুর নবী হযরত এবং আউলিয়া কেরামের হেদায়েত প্রসঙ্গ ।
বাংলার লোকগাথা , ও গ্রামবাংলার গল্প সমগ্র সহ নানা বিষয়ে ।
সম্পাদক <> একুশে ম্যাগাজিন " উদ্ঘাটন ও সুচেনা বার্তা ।
আহবায়ক সংঘটক , কবি সমাজ বাংলাদেশ ।
সংশ্লিষ্ট , জাতীর প্রেস ও ইন্টারন্যাট অনলাইন অফলাইন সমন্বয়
কমিটি ।
*********কাব্য , বাংলার হৃদয় ।।
**************
কবিতা ক্রমানুসারে লিপিবন্ধ ।
কবিতা ক্রম ১
কাল বৈশাখ
***
ঝড়ের সে কি তাণ্ডব
আকাশ মৃত্তিকায় বাধে ধা ধা
বাজ পড়ে ক্ষনে ক্ষনে
ধরণির ঘুম ভাঙ্গে বাতাসে বিদ্রোহী বাধা ।
ভাবনা ধরে ওসব জীন পরীর খেল
ঝমঝম বৃষ্টি সাথে বিজলির হাসি
লাল নীল দ্যুতি ছড়ায়
নামে আকাশের মেধদুত জমিনে আসি ।
আলোর নাছন , কভু গ্রাসে আধার
আতংকে মানবের কেঁপে উটে বুক
বজ্রনিনাদে প্রচণ্ড সৃষ্টির উল্লাস
ওড়ায়ে কত স্বপ্ন বয়ে আনে শোক ।
লাগামহিন ছুটে অসীমের উগ্রতায়
বাজে ভেরি ধংশের বিপন্ন শাখ
আচমকা ধেয়ে আসে , অভিসম্পাত হয়ে
নারকিয় শক্তিতে কাল বৈশাখ ।
ম, মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
মিরপুর ১২ , ৪,১, ২০১৩ ইং
কবিতা ক্রম ২
***************
মন রাঙ্গানো ভোরের আলো
আমি যদি ভোরের বেলায় উটে
ধুলির মাঝে আয়েশে যাই ছুটে
সবুজ কানন ডাকবে আমায় দুলে
চৈতি হাওয়া বইবে ফুলে ফুলে
মন পবনে সাঁজায়ে দৃশ্য ঘুড়ি
দূর দিগন্তে উড়ব গগন জুড়ি
পাখির ডানায় আবির রাঙ্গা পালক
ভোরের চিঠি খুজব রবির ঝলক
মুটু মুটু স্বপ্ন ছায়া এঁকে
উড়িয়ে দেব এই বাংলার বুকে
নিত্য তাই নদীর জলে ভেসে
মন রাঙ্গাব ভোরের আলোয় হেসে ।
কবিতা ক্রম ৩
************
তার ছায়া ভাসে হৃদয় আকাশে
কে গো তুমি বনহরিনি
স্বপ্ন ছুয়ে এ মন
ভোরের হাওয়ার মত সৌরভে
ভরিয়ে দাও ক্ষনে আবেশে লগন
নিরব ও পাথারে
ভাসিয়ে বেলা
মন রাঙায়ে
কর হে খেলা
সব ভুলে যাই
তোমারই তরে
আর কত সঙ সেজে
থাক হে হৃদয় জুড়ে ।
বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জলসায় মুহূর্ত ক্ষনের কবিতা
একটি বিদ্যালয় এবং ছাত্র / ছাত্রি বৃন্দ
***************************
মোহাম্মাদ মাসউদ মিয়া শাহি
কবি ও সাহিত্যিক গবেষক ।
**********************************
কবিতাটি মিরপুর ক্যানটরমেন্ট উচ্ছ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া
এবং পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব ছাত্র / ছাত্রিদের সৌজন্য লেখা
ঁঁঁঁঁঁঁঁ
প্রানভরা চঞ্চলে , কুসুম কোমলে
ফুলেল কুঁড়ি হয়ে বিদ্যালয়ে আসে শিশুদলে
শিক্ষা গুরুদের নজরে
এরা বিদ্যাপ্রদিপ জ্বালে অন্তরে
স্তরে স্তরে পাঠ কত শেখে
আদব নেহান বুঝে অনুকরন দেখে ।
বিনোদন খেলাধুলা সংস্কৃতির সাজে
ওদের কত প্রতিভা ফুটে কারুসাজে
তেমনি বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে
তাদের সাথে মিশে গেলুম জাগরিত মনে ।
শিশুদল অবিকল ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে
যেমন খুশি তেমন সাজে দিল মন ভরায়ে
আমি তখন কবিতার ভাষা খুজে খুজে
উৎসাহ যুগিয়ে প্রান দিলুম সেথা নবসাজে
সবার ভালবাসা আর গুণীজনদের বাহবায়
কত না আনন্দ জাগে এই নব জলসায়
গান হল চিত্তে সাঁরা , নাছল বালিকা ছন্দে
বালক বুড়ূ হাততালি দেয় অজানা আনন্দে
দেখি কত নব নব শিশুর মুখ স্বপ্ন রাশি রাশি
চেতনারি রঙ ফুটাল ছন্দ তালে ভাসি
যখন পায় তায় প্রতিভার পুরস্কার , হয় কত যে খুশি
বিদ্যাশালায় ফুলের বাগান ফুটলে সেথা হাসি ।
ইসলাম খুজে পাওয়া
**********************
আল্লামা , মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
কবি ও ইসলামি দার্শনিক ।
হে মুসলিম জাতী চিত্তে ভয় জাগে আজি কার
প্রান সঞ্চারে দেখায় যিনি পথ শেখায় চলিবার
সংকটে বেভুলে যিনি জ্বালে জ্ঞানের আলো
মুক্তির বারতায় , অন্ধ পদধলে দেখ সব ভালো ।
জগতের মাঝে কত কারুকাজে যত সৃষ্টি সম্ভার
সকল নিপুনে সুক্ষ অভিযানে চেনায় বান্ধাকে আগুসার ।
তথ্য ও ভাবে পরিবেশ স্বভাবে সাজায়ে এক বাধন
হে বিধাতা কত না ক্ষুত্রতে বান্ধায় হও আপন ।
যুগে যুগে চিনতে তোমায় দিয়েছ বানী কিতাবে
কত নবী রাছুল ভেঙ্গে দিয়ে ভুল দিক দেখায়ে গেল মানবে ।
যারা সত্য বানী আঁকড়ে ধরে নিকটতম পাইল তোমায়
সাধু সজ্জন অলি আউলিয়া তারাই মুমিন সততায় ।
আর নাফরমান শয়তান ভ্রান্তিতে গড়া যার সব কাজ
হৃদয়ে কুহক জাগার অন্ধ অহমিকায় ভাঙ্গে সত্য সমাজ
ইবলিশ থেকে পানাহ চাই ভয়ে খোদার দরবারে লুটাই
দয়াল নবীজীর আদর্শ গড়ি ইসলাম সেথা খুজে পাই ।
** নববর্ষ বরনে ১লা বৈশাখ এ
বাঙালির প্রানে কত সজিবতা আনে
নব দিনের নব বারতায়
আনন্দ উৎসব উচ্ছল দ্বারায়
আবহমান বাংলার কাননে
১লা বৈশাখ আসে প্রানে প্রানে
বৈশাখ এলে বাংলার প্রানে
দুটি কবিতা তাই অভিধানে ।
বাংলা নববর্ষের আগমনে
১লা বৈশাখ উপলক্ষে দুটি কবিতা
হে বৈশাখ
**********
হে বৈশাখ তুমি এলে
নতুন দিনের নব্বারতায়
নব উচ্ছল ও আনন্দ দ্বারায়
নতুন দিনের কুসুম ও কলি
ধরনির বুকে তাই রাঙ্গালে
নব সুখে সৃষ্টিরা হাসে
অনিন্দ্য সুন্দরও উল্লাসে
জাগে নব রূপে বসুন্ধরা
নব দিগন্তের দোয়ার খুলে ঐ
সাজে পত্র পল্লব সজিবতায়
ফুটে পুস্প মল্লিকা অজস্র দ্বারায়
বাজে কত রাগ রাগিণী
নব নবীন হাসে প্রান খুলে
মাঠের বুকে কত বিচিত্রতায়
নতুন ধানের গন্ধ বিলায়
স্বপ্ন ছবি আঁকে কৃষাণেরা
সবুজ আঙ্গিনা ভরিয়ে নিলে
তাই ১লা বৈশাখ এলে
নব নব আনন্দ দ্বারা বহে দিলে ।
কাল বৈশাখী বাংলার বুকে
*************
গুরু গুরু ডাকে
কাল মেঘ পুঞ্জ ঘিরে আকাশটাকে
হটাৎ বহে বায়ু শন শন
বাজে ঘূর্ণি নাছন
লোকালয় তরু দ্বয়ে কাঁপন ধরে
কাঁপে পাতা পত্তর থরথরে
কড় কড় সড়াৎ ক্ষনে পড়ে বাজ
পাহাড়ের গাঁয়ে কভু ভেঙ্গে পড়ে সাজ
বিদ্যুৎ চমকায় এদিক ওদিক
মাঠ ঘাট হতে লোক ছূটে দিক বিদিক
বাড়ি ঘর পাতা খড় ওড়ে টিন চাল
ভেঙ্গে পড়ে হরেক বৃক্ষ লতা ডাল
গরিব নিঃস্বদের নড়ে বড়ে ঘর
ওড়ায় ঘুড়ীর মত , আসে সে খবর
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয় মাঠের ফসল
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে শস্য তরু ফল
ধুয়ার আবেশে ওড়ে শোকনো পাতা
পথিকের উড়ে যায় হাতের ছাতা
পাখীরাও নীড় হারা অশান্ত ডাকে
বাংলার বুকে বজ্রনিনাদ আওয়াজ কাল বৈশাখে ।
জাগে মরিবার সাধ
***************
এম , জি, আর , মাসুদ রানা
কবি , সাহিত্যিক
অনেক আধার হল এবার
এখন সাধ শুধুই মরিবার
কবে জানি হয়েছিল ভোর
সেকথাও আজ গেলাম ভুলে
মৃদু মন্দ বাতায়নে জানালার দ্বারে
অশথের ডাল ফুড়ে বারবার
নিশুতি পেঁচার অনাহুত চিৎকার
তবে কি সময় এল ঘনিয়ে
জীবনের হিসাব লুফে নিতে
তন্দ্রাচ্ছন্ন আকাশ গেঁড়া টুপ খুলে
উঁকি দেয় ইন্দ্রাণী শশী
হালকা বাতাসও আজ স্পর্শ করে শিরদাঁড়া
ভুল সবই ভুল
যেকথা জানান দেয় মনে
ক্ষনিকের জগত বড় ভিসময়
অন্ধকার মনে হয়
তবে কেন সাধ নিঃস্বার্থ গমনে
যে ঠিকানা না ফেরার
সেই অমৃত অদৃশ্য লোকে নিজেকে হারাবার ।
দুই
বারে বার চমকে যাই
থমকে দ্বারাই
অপার্থিব উচ্ছন্ন অর্থব এক বাসনায়
মনে হয় কত যুগ যুগান্তর পেরিয়ে
এখনও আমি নিজেরেই খুজে ফিরি
মৃত্যুর ভিড়ে
তবে যে সন্ধ্যায় দেখেছিনু তার ছায়া
হায় অজান্তেই ঘুধুলি বেলার মত
সেও দেখি আমাতে লুকায়
পরিবেশ বন্ধু জন্মদিনের কবিতা
*************
সুদ্ধ শুভেচ্ছা শুভ জন্মদিনে
জগত তোমায় আজি লয়েছিল চিনে
আকাশ আধার আলো যত স্রিজনি
তোমারি আগমনে হেসেছিল জানি
কেদেছিলে তুমি পেয়ে নয়নে আলো
এই দিন হোক আর সব দিনের মত খুব ভালো ।
: সাভারে শ্রমিকদের মৃত্যু শোক স্মরণে কবিতা
আর কত বাড়বে মৃত্যুর মিছিল
*********************
এম , জি , আর , মাসুদ রানা
মৃত্যুর মিছিলে রোধন আওয়াজ
শোণিতের রঞ্জিত কাফনে আবৃত
নিরব শবযাত্রায় এ কেমন সাজ
বাঁধভাঙ্গা অশ্রু কনাও অগ্নিসম ক্ষত ।
দিয়েছ ওদের খোদা মৃত্যুর সাধ
তব আকুল হৃদয়ে গ্রাসে শুধুই বিষাদ
এমন নগ্ন মৃত্যুরে জড়ায়ে
আজি প্রানের যে অজানা গমন
কেউ কি করেছিল এমন আশা
রুদ্ধ শ্রমজীবীদের অনাকাংকিত মরণ ।
হে খোদা বারিতায়ালা তোমার কৃপা
যেভাবেই তাদের তুমি কর ক্ষমা
জান্নাত দিও , দাও মোদের ধরয্য
হে বিধতা সবই তোমার ক্ষুদ্রতি মহিমা ।
ঈমানের জ্যোতি নুর নবী হজরত
**************************
: ঈমানের জ্যুতি নুর নবী হযরত
কহ সত্য সাধক , ঈমানের আলো ফুটে কার হৃদয় মদিনাতে
যার জবানে পবিত্র নাম খুশবো বহে অমিয় মধুর বুলিতে
আযানের ধ্বনি হয়ে যে নাম সুধা ঢালে মুমিনের কানেকানে
মসজিদ পানে ছুটে মুমিন এক পারলৌকিক মহা আহবানে
আল কোরআনের বানী যার নিকট বয়ে আনে জিব্রাইল হেরা গুহায়
সব সৃষ্টিরা তার নামে দরূদ ছালাম ভেজে তাজিমে কত প্রশংসায়
আসমান হতে যত জ্যুতি ফুটে তার চরণ মোবারক চুমি
ধন্য লভিল আরশ মহল্লা আর পদানত যত সৃজিত ভুমি
তার পবিত্র সুবচন ও মাধুর্য আদর্শে এল ইসলাম রবি দুনিয়ায়
রহমত কত ঝরে তার পদস্পর্শে মুমিন লুটায় সেজদায়
আর ফেরেস্তা , হুর গিল্মান তারি তরে জানায় তাজিমে ছালাম
খোদার দুস্ত সেরা নেয়ামত মানবের মুক্তি হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম ।
: মে দিবস উপলক্ষ্য কবিতা
শ্রমিকের মর্যাদা
*******************
এম, জি,আর, মাসুদ রানা
কত ভালবাসা কত মমতায়
গড়ে উটে জগত তাদের শিল্পছোঁয়ায়
শক্ত কটিন ইট ওরা ভাঙ্গে
পুস্কা পড়ে গাঁয়
ধরে হাল খাটে নিপুন কারিগরে
দুর্বার স্বপ্ন সাজায় ।
ধুকধুক শ্রম কিনাঙ্ক প্রান ভাঙ্গে মরিচিকা
ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা
রুদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে
ধরনিরে কভু করে বরণীয়া
আর মরে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে
দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন তাও জুটেনা কপোলে ।
ওরা কাজ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে
দেশের তরে নগর শহর বন্দর সাজায়
প্রহর গুনে গুনে
রাঙ্গে ধরণী কভু ওদেরই লৌহ খুনে
শক্ত মুষ্টিতে হাতুড়ি শাবল গাইতি কভু
বং বেরংগের লয়ে হাতিয়ার
দিগ্বিজয়ে দেয় পাড়ি বানায় সামুত্রিক জাহাজ
লঞ্চ স্টিমার আর মহাশূন্যর যাত্রী নানা আবিস্কার ।
ওরাই মাটে সোনা ফলায় বিকিয়ে দিয়ে দেহ
তোমরা কারা স্বার্থ লোভী সুখের স্তব গাহ ।
পরখ করে দেখ
অধিকাংশ তাদের নেই একটু মাথা গুজার টাই
নাই বিছানা , শিতের কাপড় ,
ঔষধ পত্র , ভুগ বিলাসের ঘর
এমনকি কখনও জুটেনা অন্ন দানা তাও ।
ওরাই খাটি সোনার মানুষ তবু দেখি
ওদেরই মুখে স্নিগ্ধ ভরা হাসি
ললাট আভায় দিপ্ত ক্ষনে সাজে
হে প্রিয়জন নিরেট ভালবাসা পাবে ওদের মাঝে
যদি শান্তির স্বর্গ চাও সব ভুলে
মাথানত কর ওদের শ্রদ্ধাভরা কাজে ।
মৃত্যুর আওয়াজ জাগে মনে ভয়
সাভার ট্র্যাজেডি
আর কত মৃত্যুর আওয়াজ
***********************
অবাক জগত নির্বাক সাভার
মৃত্যুর অগ্নিপ্রলয় ভেরি সেথা ভাসে
জনতার বোবাকান্না আর দুর্গতদের আর্ত চিৎকার
মানবের হৃদয়ে বেদনা গ্রাসে ।
লাছের গায়ে লাছ , হটাৎ নড়াছড়া
উদ্ধার কর্মীদের জীবনের সন্ধান
জীবন বাজি রেখে স্বজনদের আকুল নয়ন খুজা
যাদের বাচাতে এ উদ্ধার অভিযান ।
শত শত লাছ স্তুপ লাশ কাটা ঘরে
চিৎকার শুনি আজ লাছের ভিড়ে
সেচ্ছাসেবক আর ডাক্তার মিলে
অনন্ত চেষ্টায় থাকে দুর্গত লাছের প্রান সঞ্চারে
এখানে গেলেও নিথর নিস্তব্দ পুরী
মনে হয় নিজেরেই লাছের ছায়া
হায় হায় রব উটে আত্মার নিরব শব যাত্রায়
আমরাও তাদের মতই কি নই মানব কায়া ।
: ** খোদা তোমায় ডাকতে জানিনা
হে দয়াময়
**************
বিপদে সম্মুখে রাখি তোমার মধুর নাম
যে মধুময় নামে ভরা জান্নাতি আঞ্জাম ।
দেহ মরে আত্মার কভু হয়না সে মরন
যেভাবে দাও সত্য দিশা হোক সে মহৎ পন ।
যার যা লেখা কপাল মাঝে ঘটবে তাহা জানি
বিশ্বাস রাখি খোদার লীলা তারই সত্য বানি ।
হে দয়াময় চিনতে তোমায় দাও বুকেতে বল
তোমার করুণা ঝরুক আজি চোখে মোদের জল ।
আর যাওয়ার নাইগো গন্তব্য ছুটি তোমার দিকে
দাও হে ভরসা দয়াল মোদের সুনজরে দেখে ।
দয়াল নবীজীর রহমত ইসলাম , দিও সত্য দিশা
ঈমানেরই সওদা লয়ে দিলে তাজা রাখি আশা ।
হে দয়াময় বারিতায়লা নামটি সদা রাখি স্মরণ
মোদের কলমা নছিব হয় যেন সদা সর্বক্ষণ
কবি ও একজন আত্তাধিক সাধক
বা আউলিয়া কেরাম ।
***************
এস তবে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালি খোদার রহমতে
যার ক্ষুত্রতের শেষ সিমা নেই ব্রহ্মাণ্ড এ জগতে
তারি নিকট জ্ঞান গুনের রত্ন ভাণ্ডার কত রয়
এ দান যার মগজে আসে সেই জগতে ধন্য হয় ।
কবি কহে হে দয়াময় দাও সে জ্ঞান কল্যাণে
মানব মুক্তির দিক চিনাও আজ সত্য মহৎ সন্ধানে
পথহারা সব চিনতে তোমায় ভুল করে রয় আধারে
দাও জ্বালিয়ে জ্ঞান প্রদীপ ভাঙতে ভান্তি বাধা রে
সেই সে পথের অভিযাত্রী কর হে দয়াময়
যে পথ শত পুন্য ভরা যারা তোমার প্রিয় হয় ।
কবি আল্লামা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহি
সৈয়দ পুর , বাদশাগঞ্জ , ধরমপাশা
বাসা ঢাকা মিরপুর , ১২ ।
রবিবার ১০ ই বৈশাখ ১৪২০ ।
আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি নুর নবী হযরত
আমরা তার অনুগত সেরা উম্মত
আল্লাহর পর যার স্থান
সৃষ্টি মুলে কেউ নাই তার সমান
যত নবী রাছুল সবার সর্দার
আমরা তার মুক্তির দাবিদার
আমার দার্শনিক মতামত
সৃষ্টি রহস্য
**************
তিনি আদিতে নিরাকার হে রহমতের ভাণ্ডার
আকার নিলে এসে মানব বেশে
মোহাম্মাদ নামে অবশেষে
আল্লাহর ক্ষুত্রত কামিলে ঝিনুকে ছিলে
প্রলয়ে নুর ফাটিলে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সাজিলে
সেই নুর ত্রিভুবনে ভাসে
আরশে সাজরা তুল একিন ডালে ময়ূর বেশে ছিলে
আল্লাহু আল্লাহু রব তুলে সকল রুহ স্রিজিলে
তক্ষনি তারা ছালাম ভেজে এসে
ফেরেস্তা রূপ ধরে শিক্ষা দিলে ফেরেস্তারে
লৌহ কলম খোদার কালাম দিলে এঁকে আরশের উপরে
কালমা তে দিব্য ভাসে
নুর এল আদম আ এর কপালে ক্রমান্বয়ে আব্দুল্লার কপালে
জন্ম নিলেন মা আমেনার কুলে
সেরা আরবের কুরাইশ বংশে ।
খোদাকে জানি
*********
আমরা সত্যর পথে চলি
মানি কোরআন ও হাদিসের বানী
সমাজ , রাস্ট ও মানুষের কল্যানে
এস হে মুমিন বিধাতাকে চিনি ।
নবীজীর সত্য ইসলাম
যুগে যুগে অন্ধকার করে দূর
দিল মানবের মুক্তির দিশা
আর জ্ঞানের বজ্র কণ্ঠসুর ।
তাই এস মানব কিতাব থেকে জানি
যা সত্য রহস্য বারিতায়লার
সত্য সাধক খুজে পায় ঠিকানা
গুড় রহস্য যা সব রয় অজানার ।
** : আত্তাধিকতা
******************
আত্তাধিক সম্পর্ক অতি উচ্ছ
আল্লাহর নিকট তম বন্ধু হলে
তার সিংহাসন রয়
সুদ্ধ মুমিনের দিলে ।
বহু সাধনায় যদি খাটি সাধক একজন মিলে
লভিও অমুল্য ধন লুটায়ে তার চরন তলে ।
জগত বৈভব আর আনন্দ সুখ
সবি হবে ছাড়
থাকবে সত্ত্বা পরম নিকটে
চিরটি আত্মার বন্ধু হলে তার
আজকের জনগন
************
ভোটের মালিক আমি
আর পাশ করে যে সে দামি
তাই এবার ভাবি
ভোটের বাস্কে চাবি
নির্বাচন এলে আমার খুজে
আর বেলায় থাকে চোখ বুঝে
আমায় নিয়ে আবার ব্যঙ্গ
এই দেব সেই দেব করে রঙ্গ
আমি এবার সজাগ
আর দেবনা কাউরে ভোটের ভাগ
নিজের টা নিজেই লয়ে
খুজব স্বাধীনতা ? পথ ভ্রষ্টদের পায়ে
ভেবে দেখুন সত্য
জনগণ আমি দায়বদ্ধ কেন ? নিত্য ।
আজ বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে
মায়ের জন্য মমতা
*********************************
পরিবেশ বন্ধু কবি
মধুর আমার মায়ের হাসি
জগত মাঝে তাই
এমন মায়ের মমতা ছবি
আর যে কোথাও নাই
সুখে দুখে মা যে আমার
স্নেহ মধুর পাই
কষ্ট সয়েও সবসময়ে তার
আচল মাঝে ঠাই ।
যা ছিলনা বুঝতে অভাব
শিখতে ভাষা চলা
ভাল মন্দ , ক্ষুভ আনন্দ
স্বাধীন সত্য বলা
আজ মনে হয় সবই
মোর সাজানো জীবনটাই
তারি ছোঁয়ায় হল গড়া
তুলনা যে নাই ।
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে কবিতা
********************
*মায়ের দোয়া * এমজি,র, মাসুদ রানা
মধু ভরা এমন হাসি কোথা খুজে পাই
জগতে মা তোর তুলনা যে নাই
সকল শুন্য তোমা ছাড়া
তোর হাসি যে চাঁদ তারা
দেখলে একবার হাসির সে মুখ
জুড়ায় যে অন্তরা
আমি দেখব এমন মধু হাসি নয়নে সদাই ।
কাছে থাকলে প্রদিপ জ্বলে
না দেখলে আধার
শুনে তোমার মধুর বানী
প্রানে আঁকি আসার সঞ্চার
থাকলে সাথে মায়ের দোয়া কোথাও ভয় নাই ।
কবিতা, একতার মন্ত্র
*************
মুটূ বা একতায় এস সবে মিলে
দেশ গড়ি স্বপ্ন গড়ি
সাম্যবাদি সত্য আওয়াজ তুলে ।
এক হয়ে সব শ্রমিক কৃষাণ
জীবন সাজাই ভেদাভেদ ভুলে
বাঁচতে শিখি বাঁচার মত
ঘাত প্রতিঘাত ধলে ।
হিংসা , লোভ , ভ্রান্তি ক্ষুভ
নহে ভাল কাজ
পরিবেশ সাজাই স্নেহ মমতায়
গড়ি এস নব মন্ত্রে সুসভ্য সমাজ ।
** নজরুল বঙ্গে বিশ্ব সাহিত্য তার অঙ্গে
***** জাতীয় কবি র জন্মদিনে শ্রদ্ধা
কম বুঝ সম্পন্ন এক মুল্লা নজরুল কে নিয়ে নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন । বলতেন মুসলিম কাজী পরিবারের ছেলে উচ্ছন্নে গেল ।
বাঁশি বাজায় বেলা অবেলায় , গান গায়
পালামঞ্চে নাছে আর কয় পদাবলি
আর সব বুদাই মানুষ যায় তার সাথে চলি ।
একদিন অনেক মানুষকে লয়ে কাজী নজরুল কে
করতে জব্দ ,পথিমধ্য দিল বাধা ।
মুল্লা বাহিনী ,দাড়াও কাজীর বেটা
আমাদের প্রশ্নের উত্তর দাও নয় দেশ ছেড়ে পালাও ।
নজরুল ,সুজা কি কথা তাই যাও কহে
নয় পড়ে গেঁড়া কলে মরবে দহে ।
মুল্লা , সারাটি পথ হাঁটি গাছের তলে মেল ছাতা
সূর্যের ঝাজ পড়ে মুখে ,উলটুঁ কেন তা ।
নজরুল , মুক্ত আকাশ নহে তাতে কোন ক্ষতি
যাব মসজিদে পাখিরা অযু ভঙ্গ করে যদি ।
বিষ্ঠা দিয়ে করে যদি যাত্রা ভঙ্গ
রইবে ক্ষুভ আশা থাকবে কি প্রভুর ন্যায় সঙ্গ ।
মুল্লা , সত্য কথা নহে মিছে অনু পরিমান
আচ্ছা এবার শুনি , সারাটি পথ চালিয়ে রথ
জুতা জুড়া লয়ে , যেথা কাদা সেথা কেন বাড়ালে ইজ্জত ।
নজরুল , হা হেসে কহে ভাল রাস্তা চোখে দেখে যাই
কাদাময় পথে থাকে যদি কাঁটা সেথায় দেই পায় ।
তবে থাকবেনা ভয় , হয়ে নিরাপদ
শত ক্রুশ দিয়ে পাড়ি মিলিবে ভুত ভবিষ্যৎ ।
মুল্লা জীবে দাগ কাটি মাথা নত করে
ছালাম দিল তারে জবাবের তরে ।
চিনের গভর্নর এলেন বাংলাদেশে কবিকে দেখতে ,
পথিক পথদেখালে রাজকিয় বেশভুসায়
দেখল বনের কুটির এক ।
নজরুল তখন মিষ্টি গলা কুলে গাচ্ছিল গান ,।
গভর্নর নজরুল কে দেখে জিজ্ঞাসে কোথায় নজরুল
বিশ্ব কাঁপিল যার কণ্ঠের বজ্র ধ্বনিতে
মুচকি হাসি কহে নজরুল পার কিনা দেখ চিনিতে
থাকলে নয়ন সাথে।
কুর্ণিশ আর অভিবাদনে মিলিত হয় দুজন
চলে আলাপন ।
গভর্নর , বন্ধু কেন কুঁড়েঘরে পড়ে রও
তোমার দেব স্বর্গের রাজ প্রাসাদ
দেব মিটিয়ে যত রয় জগতের সাদ
যদি রাজি হও ।
নজরুল , বন্ধু সবি মিছে রয় যত স্বপ্ন
যাবে একদিন ধুলিস্যাৎ হয়ে
এই মাটির ধুলিকনা স্বর্গের চাইতেও বেশি প্রিয়
জেনে নিও ,এই মাটিতে মিশে্ , সবি যাবে ক্ষয়ে ।
জবাবে মাথা নিচু করে
দিল ছালাম পৌঁছায়ে জবাবের তরে ।
[একদিন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক
এম এ জি ওসমানী এল কবিকে দেখতে ] ।
কি হে মহারথি আজি নিরব কেন হায়
তোমার রন হুংকারে ডাক ডুল বাজে
প্রেরনা জুগায় সৈনিকের গুড় রন সাজে
উট আবার গেয়ে সেই শিখল ভাঙ্গার গান এই অবেলায়
নজরুল নির্বাক চাহিয়া ক্ষনিকের তরে
ঝাড়িল কিছু সঞ্চিত অশ্রু বন্ধুর নেত্র হরে
নিরব রন সজ্জা নিরেট ভালবাসায়
লভিল ছালাম বীরের জাগ্রত ভাষায় ।
বাংলার বন্ধু আর যত বিদেশী আগত রাস্ট নায়ক
দিল সম্মান প্রান যখন লুটাইল খোদার দরবারে
লক্ষ কোটি প্রান তার আত্তার গমনে
রাসটীয় মর্যাদায় জাতীয় কবি দিয়ে স্বীকৃতি
বিনম্রে ছালাম ভেজে তার বিদ্রোহী আত্মায় ।
। যবনিকা ।।
** বপ্ন খুজে
*********************
একদিন স্বপনে সে এল হৃদকাননে
যে দিল ভালবাসার ছুঁয়া
ঘুম থেকে জেগে বড্ড রেগে
ভাবলুম তারে ক্যামনে যাবে পাওয়া
ছুটি মেটূ পথ ধরে বাসনা অন্তরে
যদি মিলে যায় দেখা
কব কথা প্রান খুলে রঙিন স্বপ্ন দুলে
ফাল্গুনে জাল বুনি সেথায় একা ।
হেঁড়ে গলা ছেড়ে গান গাই জুড়ে
কোকিলের সুরে নিজে চুপসে যাই
দেখি কলসি লয়ে এক বালিকা ভয়ে
খুজিল কি যেন মনে ছুট পাই
নাম কি খুকি সুধাই তারে
বাঁকা নয়নে নজর কাঁড়ে
মিষ্টি ভাষায় কহে বসন্ত
আকাশে বাতাসে ওড়ায় পাখাসে
বাতায়নে লাগে দুলা বেজায় অনন্ত ।
২ ,
** তার ঠিকানায়
********
সখি ভাবি বসে একা
কত রঙ মেখে
পাখির ডানায় এঁকেছি এ মন
ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেঘ
হাওয়ায় হাওয়ায়
মাঠ আর পাঠে লভেছি জীবন
বৃষ্টির ছন্দে প্রান সজিব
নদী ও বনে মিশে যাওয়া ক্ষন
সূর্যের তাপ রঙিন ঘামে
বিজলী ও বজ্রে পড়েছি বসন ।
লুকুচুরি ছিল চাঁদের জোছনায়
ঝিলমিল জোনাকির আলোয়
পথটারে খুজা
তারা গুনে গুনে
সেই সে লগনে
আজও মন ছুটে শৈশব আঙ্গিনায়
ফুলে ফুলে তারে
কত না প্রহরে
ঘুধুলি বেলায় মন আবেশে হারায়
তার ঠিকানায় ।
** তার ছবি আঁকা
************
আধারের বক্ষ থেকে ছিনায়ে তারে
এনেছি এ মন
আলোক সজ্জা কোথায় তবে
যার ছবি আঁকা ফাল্গুনী ক্ষন
বেনুবনে গান গাওয়া হল সাড়া
ভাবুক সত্ত্বায় তায় নজর ভারী
কেন তবে অন্তর
প্রিয়বেলা যতনে দিতে চায় পারী ।
আর যদি তারে
রেখে নজরে
অধর চুম্ভনে কিছু লভে উপহার
সেকি জানবে ফিরায়ে দিতে
মোর অধিকার ।
যাক বয়ে বেলা
তব শান্ত্রনা
মান অভিমান যত
পুস্প স্তব ঝরবে তত
তব জানি সেই কথা
অচেনায় ঢাকা
মনের অজান্তেই সত্য সায়রে
এই মনে চিরদিন রবে
তার ছবি আঁকা ।
: বিশ্ব বাবা দিবসে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
** , আজ বিশ্ব বাবা দিবস
বাবার প্রতি মমতা
*************
অনেক উচ্চ বাবার আসন
এই জগতের মাঝে
সুদ্ধ চিত্ত গড়ে উটে
তারি স্নেহ সাজে ।
বাবা খুশি বিধাতা খুশি
নুর নবীজীর বানী
বাবার প্রতি শ্রদ্ধা অতি
তাই মোরা জানি ।
দুই
বাবা তার স্নেহে
সন্তানের ছায়া
গভীর শ্রদ্ধায়
বাড়ায় মায়া ।
দিন দিন ক্ষয়ে
সে যে অন্ন জুটায়
ভারী নিঃশ্বাসে মধু
হাসিতে যাদু বুকে আনে সাহস
তাই শ্রদ্ধা জানি
লুটায়ে বাবার পায়
বাবার প্রতি শ্রদ্ধা
পরিবেশ বন্ধু কবি
** আষাঢ়ে কবিতা
আষাঢ়ে বাদল
************
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
এল আষাঢ়ে বাদল
নদী জলে পড়ে ছায়া
আকাশ তরু ফল
কদম ডালে হলুদ ফুলে
মন কেড়ে নেয় কার
বাঁশীর সুরে হৃদয় খাঁড়ে
সখির নজর ভার
কাশবনে বক হটাৎ ওড়ে
ঝিলের জলে হাঁস
কুলবধু কলসি লয়ে নদে
পুড়ায় মনের আঁশ ।
রঙ ধনু রঙে সাজে
আকাশের গায়ে তায়
রুদ্র ছায়ার ভাসে ফানুস
মাঠের ঐ কিনারায় ।
বাগানে সাজে নতুন কুঁড়ি
মৌ অলিরা ভাসে ফুলে
আষাঢ়ে মেঘ ভিজিয়ে কেশ
আসে বাংলাদেশের কুলে ।
২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:
: নুর নবীজীর শানে নাত
**************
ম মাসুদ মিয়া সৈয়দ শাহি
****************
আমার জিন্দা নবী আছেন মদিনায়
আমার দয়াল নবী আছেন মদিনায়
অলিগনে সদায় দেখে তার দিলের ও আয়নায়
দয়াল নবীজী কামলে ওয়ালা
উম্মতের লাগি কান্দিলা
শাফায়াত করিবেন উম্মতেরে
কবর , হাসর , মিজান , পুলছেরায়
রবি , শশি , গ্রহ তারা
দয়াল নবীজীর নুরের ইশারা
জীন , ইন্সান , আর ফেরেস্তারা
সদায় ছালাম ভেজে মোবারক রওজায়
যত নবী অলি , মুমিন , সাধু
লভিল সে নামের মধু
নামে ভরা রয় যাদু
ভেজে দরুদ সয়ং মাওলায়
কবি কহে হে রহমতের ভাণ্ডার
যেন মিলে রহমতি দিদার
নুর তোমার বধন মোবারক আনোয়ার
শান্তি দাও মোর কলিজায়
যবনিকা >> <<
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
ছন্দ হয়েছে চমৎকার,
এই ব্যাপারে অমত কার ?