নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের নুর এবং মুজেজা ও কারামত // বইটি সহজ বাংলায় পড়ার উপযোগী <>

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

আল্লাহর ক্ষুত্রত

অলি আউলিয়াগনের আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ও হেদায়েত এর নুর

****************************

******************************





রচনা , ডঃ আল্লামা মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহী

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

*************



আত্তাধিক উত্তম জীবন আদর্শ

***********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

: আউলিয়াগনের আল্লাহ্‌ প্রদত্ত ক্ষমতা ও মর্যাদা ।





আউলিয়াদের আল্লাহ্‌ প্রদত্ত ক্ষমতা এবং রহমত

******************************************

নবীজীর মুজেজা এবং আউলিয়া কেরামগনের কারামত আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব মুক্তির দিশা ।



আল্লাহর ক্ষুত্রত নবীজী ও আউলিয়াদের রূহানী শক্তি মুসলমানদের জন্য মস্তবড় রহমত ।

********************************



আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা





عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]



নবীজীর আদর্শ জীবনী ও মুজেজা থেকে

শিক্ষা

******************************

মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।

*******************************



মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখা

খননে ব্যস্ত , শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি

মাথায় বহন করে শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত

থেকে রক্ষা করতে খাল খননে ব্যস্ত ।



নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর পেটে পাথর বাধা ,

পেট মোবারক ইশদ কুঞ্জিত ।



সাহাবী নবীজীর শুকনো মুখ মোবারকলক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে



একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি

বানাতে তাগদা দেয় ।

নবীজীর কানে কানে দাওয়াত দেয় সাহাবী , নবীজী তাৎক্ষনিক

সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে তাগদা দেন ।



সাহাবী দাওয়াত দেন সবাইকে

যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ।

আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের

আর লোক ৪ হাজারের অধিক হবে ।



নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক

মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন ।



সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার

পরও আরও খাবার বারন্ত রইল ।



এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী তোমার ২ সন্তান কোথায়

ডেকে নিয়ে এস । উল্লেখ্য আবু আইয়ুব রা এর ২ ছেলে কে নবীজী খুব স্নেহ করতেন এবং যখনি আসতেন তারা দূর থেকে

নবীজীর নিকট দৌড়ে যেতেন ।

সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন

হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা আমার নিকটে এস । আমি তোমাদের রেখে কখন ও কিছুই মুখে দেয়নি । ডাকের সাথে সাথে

ঘরের কোনে চাদর দিয়ে মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর

পাশে চলে এল এবং জবাব দিল আনন্দে নবীজীর ললাট মোবারকে খুশি প্রকাশ পাইল ।



ঘটনা ক্রমে দুভাই পিতার মেষ জবাই দেখে চুরি লয়ে পাশের জংগলে চলে যায় এবং একে অপর জনকে ছাগল জবাই করার মত খেলাচ্ছলে চুরি চালিয়ে দেয় এবং জবাই করে বসে ।

অন্য ভাই ভয় পেয়ে ঘরের ছাঁদে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকে ভয় ও অনুসুচনায় লাফিয়ে সেও মারা যায় । অথচ

কেমন সাহাবা ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য

এতবড় শোক ভুলে ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন

ঘরের কোন এক স্থানে ।

নবীজী তাদের নাম ধরে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে তারা দিব্বি

জিন্দা হয়ে নবীজীর সাথে বসে খানা খায় এবং কথা বলেন ।



আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন



নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে চলে গেলেন তার

প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে ।

আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।



পরের দিন ১০০ শত নব্য সাহাবি কালমা পাঠ করেন ।

লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।



মুজেজা নবিজিরপ্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।

হাদিস সংকলন থেকে ।

সালতানাত নুর নবী সাল্লাল্লাহু আ কে দেখতে চান ?



বিশিষ্ট সাহাবা গনের অভিমত ।

হযরত আবুবকর রা আনহু কবি ও সুবক্তা ছিলেন । তিনি এক রেওয়াতে ফরমান নবীজী কে তখনকার আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই ভালবাসতেন এবং আলামিন নামে ডাকতেন । দূর দেশের

এক পথিক ইসলাম গ্রহন করলে ঐ সাহাবা ফরিয়াদ করলেন ইয়া

রাছুলাল্লাহ আমার একটি মাত্র মেয়ে তাও বোবা আপনার যদি

দয়া মিলে । নবীজী বললেন বাড়ী ফিরে যাও । অনেকেই আশ্চর্য্য

হলেন । লোকটির বাড়ী হাজার মাইল দূরে আবিসিনিয়ায় । ২য়

বছর ঐ লোকটির সাথে আবুবকর রা এর সাথে বানিজ্য সাক্ষাৎ

হে বন্ধু তোমার মেয়ের খবর জানতে চাই । আল্লাহর কসম

আমি বাড়ি গিয়ে আমার মেয়েকে কথা বলতে শুনেছি । এবং তার

মুখে নবীজীর পবিত্র নাম ও দরুদ শুনেছি । প্রস্ন করলাম দরুদ কে

শেখাল । উত্তর এক সুন্দর লোক আমার মাথায় হাত বুলাল ।আমার জবান খুলে গেল এবং আমাকে এই দরুদ শিখাল । ছুব হান আল্লাহ । আমি যখনি লোকটিকে দেখবার ইচ্ছা রাখি ১০০০

বার দরুদ পড়ে ডান কাঁতে শুয়ে থাকি তন্দ্রার মধ্য তিনি সাক্ষাৎ দেন ।

ছহি মুসলিম । দুনিয়াতে একবার যার ভাগ্য দয়াল নবীজীর দিদার মিলবে হযরত আলী কাররামুল্লাহ বলেন তার জন্য

দুযখের আগুন হারাম এবং বেহেস্ত অয়াজিব । ফারুকে আজম

ওমর রা বলেন নবীজীর দরুদ ব্যথিত কোন এবাদতেই আল্লাহর

দরবারে কবুল হয়না । ও সমান গনি রা বলেন যারা তার প্রানের

চাইতে নবীজীকে ভাল না বাসে ততক্ষণ সে ইমানদার নয় ।

হযরত আবু হুরাইরা রা বলেন যে নবীজীর উপর একবার দরুদ

পাট করে আল্লাহ বদৌলতে দশবার রহমত বর্ষণ করেন দশ গোনাহ মাফ করে দেন্ দশ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন । হযরত ইবনে

মাস উদ রা বলেন আল্লাহর কতক ফেরেস্তা পৃথিবীতে ভ্রমন করে

এবং আমার উম্মতের ছালাম আমার নিকট পৌঁছায় ।নাসায়ি ও

দারেমি / মুসলিম শরিফ ।



নবী পাক সা আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আরশ মহল্লা ধন্য হয়েছিল ।

******************

মেরাজে গমন বোরাকে চড়ে আল্লাহর দরবারে যান মহানবী হযরত

মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম । জিবরাঈল আ সফর সঙ্গি আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় । লক্ষ কোটি ফেরেস্তা দরুদ ছালাম ভেজে নবীজীকে স্বাগতম জানায় । ১ম আকাশে আদি

পিতা আদম আ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন । ২য় আকাশে মুসা আ ,৩য় আকাশে হারুনইদ্রিস আ ৪রথ আকাশে ইশা আ ৫ম আকাশে ইয়াকুব ৬স্ত আকাশে নুহ লুত আ ৭ম আকাশে ইব্রাহিম আ সবারসাথে ক্রমান্বয় সাক্ষাৎ লাভ করেন । ৭ম আকাশ পাড়ি দেবেন জিব্রাইল আ বিদায় আরজ করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার

আর তিল পরিমান অগ্রসর হওয়ার সাধ্য নাই । যদি হই আমার সারে ৬ শত নুরের পাখা জ্বলে ভস্ম হয়ে যাবে । নবীজী একাই রব রবে আরোহণ করলেন । সিদ্রাতুল মুন্তাহা নামক আরশ মহল্লায়

পদার্পণ করলেন । তিনি জুতা মোবারক খুলবেন কি খুলবেন না ইতস্ত মনোভাব ।গাইবি আওয়াজ আসল হে আমার প্রিয় মাহবুব

আপনি যেমন অতি পবিত্র আপনার জুতা মোবারক আমার দরবারে তেমনি পবিত্র ছুবাহান আল্লাহ । আর দুনিয়ার জমিনে

তার উম্মতের নাজাতের জন্য মদিনার মাটিতে শুয়ে ইয়া হাব্লি

উম্মতি অর্থাৎ হে আল্লাহ আমার উম্মত কে বাচাও ।নাজাত দাও

প্রভৃতি আরজ করে কাদছেন । আজ আমরা তার কেমন ইমানদার উম্মত হয়েছি । কবি আল্লামা মাওলানা রুম বলেন

আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের জ্যুতি ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আর বেঈমান বেদীন কাফের মুস্রেক গন নবীজিকে লয়ে ছবি বানিয়ে

বিক্রিত করে তার মহান শান কে । আল্লাহ পাক বলেন হে মানব

ইচ্ছা করলে আমার হাবিবের খাতিরে আমি সমস্ত জাতিকে মাফ

করে দিতে পারি কিন্তু আমি তা করবনা যতক্ষন আমার দুস্ত আমাকে না বলবে । আল্লাহ সবাই কে হেদায়েত ও রহমত দিন ।

দয়াল নবীজির উপর আমাদের অজস্র দরুদ ও ছালাম আচ্ছালামু

আলাইয়েকা ইয়া রাছুলুল্লাহ তাজ দারে মদিনা দুজাহান কা সুলতান । আমাদের জন্য আপনার দয়া দৃষ্টি হোক । আমিন ।







<নবীজীর রওজা মোবারক মদিনায় আর হাজি গন ছুটে মক্কায়

*********************

নেকি বেশি কোথায় । নবীজীর জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় যদি আল্লাহর আরশ মহল্লা ধন্য হয়ে থাকে । তিনি পৃথিবীতে আরবের

মদিনার জমিনে শুয়ে । এজগত তার নুরানি চেহারা মোবারকের

সংস্পর্শে ধন্য হয় নাই । কোরআন পাকের আয়াত অয়ামা আর ছালনাকা ইল্লা রাহ মাতাল্লিল আলামিন । আল্লাহ পাক বলেন আমি

আমার হাবিব কে সমগ্র জাহানের রহমত হিসাবে পাটিয়েছি । আলম অর্থ জগত আলামিন বহুবচন মানে জগত সমূহ । বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে এইরূপ ৮০ হাজার জগতের কথা হাদিস শরিফে উল্লেখ্য ।



মক্কা বিজিত হলে হজরত বেলালের উপর আযানের ভার দেন নবীজী । বেলাল রা কানায়ে কাবার ছাদে দাড় হয়ে নবীজীকে প্রস্ন

রাখলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ কোন দিকে মুখ রাখব তৎক্ষণাৎ নবীজী

বললেন আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে আজান দাও । সাথে সাথে কার্যকর হল । ছুবাহান আল্লাহ । আল্লাহু বলেন আমার দুস্তের সাক্ষ্য ব্যতিত কাউকে বেহেস্তে প্রবেশ করান হবেনা । সেই দয়াল

নবীজীর ছোঁয়ায় কাল পাথর ও গোনাহ গারদের জন্য নাজাতের

অবলম্বন । ওগো দয়াল নবীজী তুমি আমাদের কে রহমতের

নজরে রাখ ।







************

হজরত বড় পীর অলিকুল শিরমনি শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল

কাদির জিলানী রা এর কেরামত থেকে যা পাই

*********************************





হযরত বড় পীর শাহ সৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদের জিলানি রা

তার আত্তাধিক রুহানি শক্তি প্রাথমিক সময় এত টুকু প্রবল ছিল

অপবিত্র কুটিল মনে কেহ দূর থেকে তার বিরুদ্ধে বেয়াদবি করলে

সাথে সাথে বেয়াদবের শীর আল্লাহর ক্ষুত্রতে মস্তক বাঁকা

হয়ে যেত ।



একদিন আল্লাহর পক্ষ থেকে গাইবি আওয়াজ আসল হে আমার প্রিয় খাস বান্ধা তুমি কি জান একটা জীব সৃষ্টি করতে আমার কি পরিমান ক্ষুত্রতি কৌশল প্রয়োজন পড়ে , তুমি এহেন তাজাল্লি

রহিত কর , তাদের নিকট সহজ ভাবে হেদায়াত পৌঁছে দাও

মুলত তারা অজ্ঞ /



একদিন বালক আব্দুল কাদির প্রাত কালে নদী তিরে গমন করলে ।

এক বৃদ্ধাকে রোধন করে কাদতে দেখে , জিজ্ঞাসে হে বুড়ি কাদ কেন ?

বাবা বার বছর আগে আমার একমাত্র আদরের দুলাল কে বিয়ে

করানোর উদ্দ্যশ্য অনেক বড় যাত্রি সহ আনন্দ উৎ সব পরিবেশে

এই নদীতে শ্বশুরালয়ে পাটিয়েছিলাম , কিন্তু ভাগ্যর কি পরিহাস

বউ লয়ে আসার সময় ঝড়ের কবলে সবাই সলিল সমাধি

লাভ করে ।

ৎবালক আব্দুল কাদির কান্না সহ্য করতে না পেরে

সিজদায় পড়ে আল্লাহর নিকট হাত তুলে হে আল্লাহ বুড়ীর ছেলেকে ফিরিয়ে দাও । অদৃশ্য আওয়াজ এল , তারা কবেই পানিতে

মাটিতে মিশে গেছে তাদের অস্তিত্ত নাই ।

হে আল্লাহু তোমার ক্ষুত্রত অসিম তোমার গোপনীয়তা আমি জানি কোটি কোটি বছর পড়ে হাসরের মাঠে নিশ্চিহ্ন মানুষকে

ক্ষুত্রতি কৌশলে যদি একত্র করতে পার তবে সামান্য বিষয় নিয়ে

আমার ও বুড়ির ফেরেসান দূর করা তোমার জন্য সামান্য । যদি আরজি না শুনবে ততক্ষণ আমি তোমার দরবার হইতে মাথা উত্তোলন করবনা ।



আল্লাহর লিলা বুঝা বড় দায়

বার বছর পূর্বে যেভাবে বুড়ি সাজায়ে নাও পাটাইয়েছিল বড় যাত্রি সহ আনন্দ ঘন পরিবেশ টিক

সেভাবেই জীবন্ত হয়ে গেল সব । বুড়ি তার ছেলে সদ্য বিবাহিত বউ ও সবাইকে

লয়ে ঘরে ফিরল ।



এমন বহু ঘটনা অলি আউলিয়াগনের জীবনীতে পাওয়া যায়



আর বর্তমান সময়

কারও মানুষের প্রতি এত টুকু সহমর্মিতা নেই যে

তারা অন্যকে বাচাবে । বরং নিজেদের প্রান নিয়েই টানাটানি ।



আউলিয়া কেরাম ও মুমিনদের প্রকৃত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর নিকট থেকে

আসে । আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফিক ও হেদায়েত দিন

আমিন ।







পীর মুর্শিদ অলি আউলিয়া দের শানে বেয়াদবি করা মানে আল্লাহ রাছুলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা

***************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





যারা নুর নবী হজরত সা কে মানেনা , অলি আউলিয়াদের মানেনা

তারা মুলত কোরআন না বুঝে আল্লাহকেই মানেনা ।

আলা আউলিয়া আল্লাহু লা কাউফুন অয়ালাইয়াহযানুন ।

অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধু বা অলিদের ভয় নেই দুনিয়া ও আখেরাতে ।

কোরআন ।

এখন অলি কারা , হজরত বড় পীর শাহসৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী রা , বায়েজিদ বোস্তামি , খাজা মাইন উদ্দিন চিশতী ,

হজরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা , হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি রা , , হজরত নিযাম উদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ গন আল্লাহর অলি , আউলিয়া বা আল্লাহর বন্ধু ।

নবীজী বর্ণনা করেছেন , আল্লাহ বলেন আমার বন্ধু বা অলি যারা

তারা আমার জোব্বার চাইতেও নিকটে এবং অলিদের বিরুদ্ধে

অবস্থান নিলে আমি সয়ং মাবুদ যুদ্ধ ঘোষনা করি , হাদিস বায়হকি ।

পীর মুর্শিদ অমান্য করে তারা আল্লাহ ও তার রাছুল কে অমান্য

করে এবং তারাই মাঝার বা অলিদের মর্যাদা পূর্ণ পবিত্র সমাধি

ধংশ কারি ।

পীর অর্থ পথ দেখানো ওয়ালা / মুর্শিদ অর্থ দিক চিনানো ওয়ালা

নবীজী বলেন আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়া গনের মর্যাদা অতি উচ্ছ ,

তারাই আখেরি নবীর ইসলামকে জিন্দা রাখবে তার শাশ্বত কল্যানে ।

হাদিস , দুররে ছমিন । ৫১ কথিকা ।

কোরআনের আয়াত

যারা বায়াত হয় বা মুরিদ হয় তাদের হাত রাছুলের হাতের উপর আর রাছুলের হাত আল্লাহর হাতের উপর । নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা শীল ।

কোরআনের একটি অক্ষর বা আয়াত কে অস্বীকার কারী আল্লাহকে অস্বীকার কারী , আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে

তারা নাস্তিক , তাদের ধর্ম কর্ম , এবাদত , আল্লাহর নিকট গ্রহণীয়

নয় ।

সয়ং নবীজী ইসলামের মুর্শিদ

*************************

তৌহিদেরও মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম

অলি আউলিয়াদের মাজার প্রসঙ্গ এবং তার হেফাজত

*************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



মাঝার প্রসঙ্গ

কবর ৩ প্রকার

১ সাধারন মানুষের সমাধি

২ অলি আউলিয়া গন বা আল্লাহর বন্ধুগনের মাঝার বা পবিত্র সমাধি

৩, দয়াল নবীজী সা এর রওজা মোবারক ।

আল্লাহর পরে যার স্থান তার রওজা শরিফের নাম নিতে হলে মোবারক শব্দটি তাজিমের সহিত ব্যবহার করতে হবে ।

সৃষ্টি জগতে তার রওজা মোবারকের সহিত আর কারও কিছু র

তুলনা করা বেদাত ।



মাঝার হল আল্লাহর বন্ধুগন যারা অতি পবিত্র আত্মা তাদের পবিত্র

সমাধি ।

একটি উদাহারন

খাজা মাইনুদ্দিন চিশ্তি রা এর মাঝার শরিফ আজমির

বাদশা আওরংগ জেবের আমলে এক দল লোক বাদশাহের দরবারে ফরিয়াদ জ্ঞাপন করেন , বাদশা নামদার মাঝারে গান বাজনা হয় এবং তা ইসলামে বেদাত যদি মাঝারটা ভেঙ্গে ফেলতেন উপকার হত ।

বাদশা নিজের মাঝারের সম্মুখে উপস্থিত । হে খাজা মাইন উদ্দিন

চিশ্তি রা আপনি যদি আল্লাহর সত্য অলি হয়ে থাকেন তাহলে

আমার ছালামের উত্তর দিন আর যদি মিথ্যাবাদি হন তাহলে

ভেঙ্গে ফেলব । একবার দুইবার তিন বার চারবার , চার বারের

সময় উত্তর আসল অয়া আলাইকুম ছালাম ইয়া বাদশা আওরংগ

জেব ।

বাদশা , হুজুর আমি চার বার ছালাম দিলাম বাকি ৩টি ছালামের সময় আপনি কোঁথায় ছিলেন ।

হে বাদশা আমি ১ম ছালামের সময় ছিলাম আল্লাহর দরবারে

২য় ছালামের সময় ছিলাম

নবীজীর রওজা মোবারকে

এবং ৩য় ছালামের সময় ছিলাম বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী

রা এর হেরেম শরিফে

এবং ৪তুরথ বার এসে উত্তর দিলাম ।

বাদশা ভয়ে কম্পমান হয়ে তার সমাধিকে কোটি টাকা খরচ করে

উজ্জ্বল আদর্শ সৃষ্টি করলেন ।

মৃত্যুর পর আউলিয়াদের রুহ আত্তাধিক রহমতে আরও প্রবল হয় ।একটি আউলউকিক

এই মাঝারের খাদেম আল বিরুনি , তার বাবা ১২ বছর পরে তাকে

আল্লাহর কৃপায় লাভ করেন ।

তারা শোকরিয়া এবং মানত অভিপ্রায়ে মাঝারে আসে

পাশেই ঘরম পিরের মাঝার তার নিকটে গেলে বাচ্চাটি প্রশ্রাব করে

দেয় , সাথে সাথে শিশুটি মারা যায় । শিশুটির পিতামাতা মৃত

লাছ টিকে খাজা মাইনউদ্দিন চিশতীর মাজারে নিক্ষেপ করে , এবং ফরিয়াদ জানায় এতদিন পর আমাদের আশা জীবিত পুত্রকে

নিয়ে এসেছিলাম আজ এখানেই মরল তাই লাছটিও তোমার

পায়ে রেখে গেলাম ।

মাঝারের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই বাচ্চাটি জিন্দা হয়ে কাদতে লাগল ।



নবীজীর বানী

তোমরা দুনিয়ার চাইতে কবরকে বেশি ভালবাসবে এবং হেফাজত

করবে এতে পুন্যর কাজ ।

হাদিস বায়হকি ।







.. আল্লাহকে দেখার অভিপ্রায়ে অলির দরবারে এক ইহুদির মুসলমান হওয়া

*******************

আল্লাহর অলি আত্তাধিক মহামানব বায়েজিদ বোস্তাম রা ,

ইরানের কোন এক মসজিদে ভক্তদের নিয়ে আল্লাহর গুন কীর্তন

গাইছিলেন । হটাৎ এক ইহুদি এসে তার কথা বন্ধ করে দিয়ে বললেন

হে জ্ঞান তাপস যদি এই মুহূর্তে আল্লাহকে দেখাতে পারেন আমি

তওবা করে মুসলমান হয়ে যাব ।

আল্লাহর অলি লোকটি কে বললেন পাহাড়ে যাও , লোকটি কথামত

পাহাড়ে অবস্থান করলেন , হটাৎ এক মস্ত বড় ভাগ হুংকার ছেড়ে

সামনে দাঁড়াল , লোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে অলির দরবারে

আরজি রাখল হুজুর আমাকে বাঘের দাড়ে পাটালেন আরেকটুঁ হলে

আমাকে খেয়েই ফেলত ।

এবার আল্লাহর অলি বললেন এই বাঘ টির মালিক আল্লাহ , তাকে ভয় কর ।

না হুজুর সে আমি মানিনা , আমি আল্লাকেই দেখতে চাই ।

এবার একটি গাছ দেখিয়ে বললেন এখানে যাও , লোকটি গাছে

আরোহণ করতেই দেখতে পাইলেন এক প্রকাণ্ড সাপ হা করে

আছে , এবার লোকটি আরও ভয়ে কম্পমান হয়ে এল এবং বলল

হুজুর সাপ আমাকে গিলেই ফেলত ।

আল্লাহর অলি বললেন এই সাপের মালিক আল্লাহ

এবার লোকটি বলল না হুজুর আমি আল্লাহকে নিজের চউখে না দেখে আর ফিরছিনা ।

আল্লাহর অলি এবার ইশারা করল দেখত

এবার সবাই দেখতে পাইল এক বৃদ্ধ লোক বাঘের পিষ্টে চড়ে

সাপটিকে হাতের লাটি বানিয়ে এদিকেই আসছে , হুজুর এ আবার কে

বায়েজিদ বোস্তাম রা বললেন এই লোকটি একজন মুমিন বান্ধা

সে আল্লাহকে না দেখে ভয় পায় এজন্য বাঘ এবং সাপ[ ঐ

লোকটি কে ভয় পায় ।

এবার ইহুদি তওবা করে মুসলমান হয়ে গেল এবং আর সবাই

আল্লাহর ক্ষুদ্রতি পায়ে লুটায়ে পড়ল ।

আল্লাহ ও রাছুল সা কে না দেখে বিশ্বাস করার মধ্যই মুমিন বান্ধার পরিচয় ও কল্যান ।

লাইলাতুল বরাতের রাত হোক সমগ্র জাতীর জন্য রহমত ।

এস সবে লুটায়ে পড়ি খোদার খুত্রতি পায়ে

শান্তি ও কল্যান আসুক সব মানুষের হৃদয়ে ।

নুর নবীজীর আদর্শ জীবন থেকে লই রহমত শিক্ষা

সত্য ও পুন্যপথে চলি হে মানব লই ব্রত দিক্ষা ।



বড় ঈদ ও দয়াল নবীজীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন ।

*****************

প্রতি বছর ঘুরে ফিরে আসে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর নিকট বড় ঈদ ,

বা ঈদুল আযহা ।

আমাদের নবীজীর দুনিয়ায় আসার আগমন সংবাদ বিশিষ্ট নবী

রাছুল গন কিতাবের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন ।



এখন প্রশ্ন হল ঈদ কি ইব্রাহিম আ এর সময়ে শুরু হয়েছিল , তদীয়

পুত্র ইসমাইল আএর পরীক্ষা মুলক কোরবানির মাধ্যমে ।



ঈদ মানে আনন্দ /খুশি প্রকাশ /

আসলে কি ?

হযরত আদম আ তার সন্তান দের একত্র করে মাঝে মধ্য পশু কোরবানি দিতেন এবং খুব খুশি হয়ে আল্লাহর নিকট শক্রিয়া আদায় করতেন , তাদের নানা উপদেশ দিতেন ।



নুহ আ , দাউদ আ , সুলায়মান আ, তাদের জীবনীতেও এরূপ

বহু ঘটনার বিশদ বিবরন পাওয়া যায় ।



নবী করীম সা এর একটি ঘটনা এমন হুদাবিয়ার সন্দির মুহূর্তে

১৪ শত সাহাবা নিয়ে হজ্ব আদায় করতে গিয়ে হুদাবিয়া নামক

স্থানে তারা সবাই শিবির নির্মাণ করে অবস্থান নেয় এবং মক্কার

কুরাইশরা ভয় পায় । নানা হুমকি আসে তাদের পক্ষ থেকে , তারা মনে করছিল নবীজী যুদ্ধে লিপ্ত হবে । কিন্তু নবীজীর পক্ষ থেকে

উসমান গনি রা কে তাদের নিকট পাটানো হয় , কিছুক্ষন পর

মুসলিম শিবিরে সংবাদ আসে উসমান রা কে হত্তা করা হয়েছে ।



সাথে সাথে নুর নবীজী সব সাহাবাকে শপথ বাক্য পাঁট করান এবং

উট কোরবানির নির্দেশ দেন । সাহাবা গন একে একে ৭০ টি উট

কোরবানি দেন । উটের রক্তে হুদাবিয়া রঞ্জিত হয়ে ছিল ।



এই খবর কুরাইশগন অনুধাবন করে উসমান রা কে সসম্মানে

ছেড়ে দেন এবং সন্দি স্থাপনে এগিয়ে আসে ।



কুরআনের আয়াত নাজিল হয় হে আল্লার হাবিব সন্দি স্থাপনে

তাদের বন্ধু ভাব এটা নিশ্চয় আপনার জন্য প্রকাশ্য বিজয় ।



সন্ধির শর্ত অনুযায়ী ২ বছর পরেই ১০ হাজার সঙ্গী সাথি লয়ে

মক্কা বিজয় করছিলেন ।



সেই থেকে হজ্বের সম্পূর্ণ নিয়ম কানুন দয়াল নবীজীর নির্দেশিত

পন্তায় চলে আসছে , কেয়ামত পর্যন্ত এই নিয়মের বহির্ভূত হবেনা ।



আদম আ এর সাথে হাওয়া আ এর মিলন হয়েছিল এই আরাফাতে

এবং কানায়ে কাবা আদম আ এর দোয়ায় আল্লাহ পাক আরশের

মসজিদ বায়তুল মামুরের আদলে ফেরেস্তাগন বানিয়ে ছিল ।



বহু বছর পরে নুহ আ সংস্কার করে এবং মহা প্লাবনে ডুবে যায় ।

ইব্রাহিম আ এবং ইসমাইল আ মাটি কুঁড়ে বের করে সংস্কার করে ,

এবং হজরত মোহাম্মদ সা এর সময় তা পরিপূর্ণতা পায় । এজন্য

প্রথম এবং শেষ নবীর নিদর্শন আল্লাহর মহান অনুকম্পা সব মিলিয়ে হজ্ব , যা মুসলমানদের জন্য ফরজ । আর যাদের হজ্বে যাওয়ার মত সমর্থ নেই তাদের জন্য খুলা আকাশের নিচে একত্র

হয়ে খোদার দরবারে শক্রিয়া আদায় এবং তার নিকট ক্ষমা প্রাথনা

করা হজ্বের সমতুল্য । এবং পশু কোরবানি করা অয়াজিব ,



কোরবানির মাংস সমান ৩ ভাগ করে ১ভাগ আত্মীয় কে ১ভাগ গরিবকে ১ভাগ নিজে খাওয়া /অন্যকে তামেদারি করা ছুন্নত ।





লাইলাতুল বরাত বিশ্ব মুসলিমের জন্য ভাগ্য রজনী , আল্লাহ আমাদের সহায়

;

শবেই বরাত মুসলমানদের জন্য ভাগ্যরজনী



**************

দয়াল নবীজী মসজিদে নববিতে বেশ কয়েকজন সাহাবা কে লয়ে ,

গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়ে নূরানি মোবারক দিক নির্দেশ দিচ্ছিলেন ।

উল্লেখ্য এমন সময় এক সাহাবা নবীজীকে প্রশ্ন রাখলেন , ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমরা কম আয়াত নিয়ে পৃথিবীতে আসিয়াছি । অন্যান্য যুগের নবীগনের উম্মতেরা বেশি দিন বাঁচত এবং তারা

বেশিদিন এবাদত করার সুযোগ পাইত । আল্লাহপাক কি আমাদের কে

কম সময়ে তাদের এবাদত এর সমান ছওয়াব দিবেন ।

সাথে সাথে জিব্রাইল আ নবীজীর নিকট হাজির ।

নবীজী বর্ণনা করেন হে আমার প্রিয় সাহাবাগন শুনে রাখ

ইশা আ কুষ্ঠ রোগীকে হাত বুলিয়ে দিত রোগ ভাল হয়ে যেত , এবং মৃত কে জীবিত করে ভাল মন্দের খুজ লইত ।

এহেন ঘটনা অবলোকন করে তখনকার সময়ের মানুষ জন ঈশা

আ কে খুব সমিহ করত এবং তার উচ্ছ প্রশংসা করত । এতে ইশা আ নিজেকে যামানার সবচাইতে বড় বুজুর্গ ভাবত । একদিন

আল্লাহ বলেন হে ইশা নিজেকে এত বড় বুজুর্গ ভাবিওনা ।

মুহূর্তে সাগরের কিনারায় যাও এবং হাতের লাটি সাগরে নিক্ষেপ কর । ইশা আ সাগর তীরে গেলেন এবং সাগরে তার লাটি নিক্ষেপ

করলেন তাৎক্ষনিক একটা সুড়ঙ্গ দেখতে পাইলেন ।

আল্লাহ পাক বলেন গভিরে যাও , তিনি তথায় গমন করলে একটি

বৃহৎ পাথর খণ্ড দেখতে পাইলেন ।

আল্লাহ পাক বলেন পাথরে আঘাত কর , তিনি তাই করলেন

এবং দেখতে পাইলেন পাথরের ভিতরে এক জইফ বৃদ্ধ লোক

আল্লাহর জিকিরে মশগুল ।

ইশা আ অবাক হয়ে বললেন হে তাপস আপনি কে ,আর কত দিন যাবত এই সাগরের সুরঙ্গে পাথরের মধ্য আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন । লকটি ছালামের উত্তর দিয়ে বলল হে ইশা নবী আমি ঠিক

জানিনা কতদিন যাবত এই খানে তবে ইলিয়াস আ কে আমি

দেখেছি । ইশা আ হিসাব করে দেখেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বছর

অতিক্রান্ত হয়ে গেছেন । ইশা আ আবার সুধালেন হে তাপস

নিশ্চই আমি ইশা আ এর চাইতে আপনার বুজুর্গি বেশি ।

বৃদ্ধ লোকটি সাথে সাথে তকবির দিয়ে বললেন হে ইশা আ

যা ভাবছ তা সঠিক নয় বরং আখেরি যামানায় যে নবী পাক সা

জগতে আসবেন তার উম্মতেরা এত ভাগ্যবান যে সে সময়ে

ঐ নবী পাক সা এর উম্মতের একটা রাতের মর্যাদা আমার

তামাম এবাদতের সমান হবেনা ।

ইশা আ প্রশ্ন করলেন কে সেই আখিরি নবী

লোকটি বললেন আল্লাহর পেয়ারা হাবিব সমস্ত উম্মতের কাণ্ডার

সমস্ত নবীদের সর্দার হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লাম ।

ইশা আ আল্লাহর খুত্রতি পায়ে লুটাইলেন হে আমার মাবুদ

আমাকে যদি নবী না বানিয়ে ঐ যামানার দয়াল নবীজীর উম্মত

হিসাবে কবুল কর তাইলে খুশি হব ।

আর মহান ভাগ্যবান সারা জাহানের রহমত সেই নবীজীর উম্মত হয়ে আমরা চলি বিপথে

আল্লাহ ইশা আ এর দোয়া কবুল করেছিল এবং তাকে জিন্দা

আকাশে উটায়ে নিয়েছিল আবার শেষ যামানায় আমাদের দয়াল

নবীজীর উম্মত হিসাবে আসবেন ।



হে মুমিন গন ভেবে দেখা প্রয়োজন । নবীজী বলেন এই সমস্ত

পবিত্র রাতে সয়ং আল্লাহ পাক নিকট তম আসমানে চলে আসেন

এবং মুমিন বান্দাদের দোয়া কবুল করে থাকেন । ফেরেস্তাদের

ছুটি দেন এবং আল্লাহ পাক বলেন হে ফেরেস্তারা সাক্ষি থাক

যারা এই রহমতের রাত্রিতে ঘুম হারাম করে এবাদতে মশগুল

থাকবে আমি নিজে আল্লাহ তাদের মুক্তির সাফায়াত হয়ে যাব ।

নবীজী বলেন এই সমস্ত এবাদতের রাত্রি মুমিনদের জন্য হাজার

মাস এর চাইতেও উত্তম ।

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন রাছুল সাল্লালাহু আলাহেয়াচ্ছাল্লামের প্রতি যেন আমাদের দরুদ ও ছালাম হয়

রহমত ও মুক্তির পাথেয় ।

আমিন ।





: আল্লাহ এবং আউলিয়া গন কে চেনা মানবের মুক্তি ।

*****************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ







শুভ বার্তা আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষের কল্যান

আর সেই আল্লাহর অলি

যে মিশে রয় তারি প্রেম জ্বালি

জগতে আনে তারা মানবের মুক্তির সন্ধান ।











** আল্লাহকে চেনা



হে মানব কিসের লাগি হয়ে বিভাগি

নিজ মনে অনুক্ষন দাও যাতনা

সহসা তারে ভুলে

ভুল পথে যাও চলে

নহে চিন তারে সেই বিধাতারে

যার নিকট চাইতে জানলে পুড়ায় বাসনা ।



তোমাতে অভাব কত

যে দিকেই তাকাও

সাধ্য কি , যাই চাহে এ হৃদয়

তা কি যথেচ্ছা পাও

আকাশের দিকে দেখ দৃষ্টি হেনে

ব্যর্থ ক্লান্ত হয়ে তাই বারে বারে

ফিরিবে নিমিষে

তোমারই তরে



তাই চিত্ত বিধাতার পানে রাখ এক মনে

ফলিবে সুফল কত

রহমতে অবিরত

আকুল হৃদয় খুলে চাইতে যে জানে ।





এম জি আর মাসুদ রানা

কবি / সাহিত্যিক / ও গবেষক ।

হজরত শাহজালাল রা এর ইসলাম প্রচার এবং শানে আত্তাধিক মহত্ত

**************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



এখন থেকে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে আরবের বিখ্যাত ইয়েমেন প্রদেশে

তিনি জন্ম গ্রহন করেন । মহিউদ্দিন সালামাত তার পিতা এবং উম্মে

সালতা বিন ফাতেমা নাম্নি তার আম্মা ।

পিতার বংশ আবুবকর রা এর সিলসিলা এবং মাতার বংশ ইমাম

হুসাইন রা এর শেষ ছইয়দ প্রদীপ কারবালা প্রান্তর হইতে একমাত্র

বেচে যাওয়া পুত্র জয়নাল আবেদিন রা এর বংশধর ।



শাহ জালাল রা এর মামা সায়েক বাহাউদ্দিন রা তখন খার সময়ে একজন দরবেশ বুজুর্গ ছিলেন । অল্প বয়স থেকে তিনি তার মামার নিকট ইসলামী এবং আত্তাধিক শিক্ষায় সিদ্ধ লাভ করেন ।



শিক্ষা কত টুকু সিদ্ধ হল পরীক্ষা করার জন্য মামা শাহ জ্বালাল রা

কে ডেকে পাশের জঙ্গলে অবস্থান করার জন্য তাগিদ দেন ।

শাহ জালাল রা নির্দেশিত স্থানে গমন করেন । একটি হরিন কান্না জড়িত কণ্ঠে মানুষের ভাষায় ফরিয়াদ করতে লাগলেন ।

হুজুর বিচার করুন , আমার সদ্য প্রসব দুই টি বাচ্ছা কে বনের

লোভী বাঘ খেয়ে ফেলল ।

শাহ জালাল রা হুংকার ছেড়ে বনের বাঘ কে ডাক দিলেন ।

ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাঘ এসে তার পায়ে হাজির ।

এই নির্দয় সদ্য জাত হরিণের বাচ্ছাকে গ্রাস করতে তোর হৃদয় কি

একটু বিগলিত হলনা , জংগলে কি খাবারের অভাব ছিল ।



মাথা নিচু করে বলল হুজুর আমার এহেন বেয়াদবি মাফ দিন ,

আমি আজ থেকে মাসেক ক্ষন পর্যন্ত অসুস্থতায় ভুগছিলাম , পেটে

ছিল ধারুন ক্ষুধার তাড়না , তাই সম্মুখে এদের পেয়ে গিলে ফেলেছি , রাগে শাহ জালাল রা বাঘের গালে কষে থাপ্পর লাগালেন ,

সাথে সাথে ভুমি করে হরিনের শাবক দুটি কে উগ্রে দিল এবং জংগলে চলে গেল ।

শাহ জালাল রা আল্লাহর নিকট মুনাজাত করলে হরিন দুটি জিবন্ত

হয়ে গেল , মা হরিনি খুব খুশি হল ।



আর তার মামা আড়াল থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বুঝলেন শাহ জালাল রা একজন কামেল আত্তাধিকতায় সিদ্ধ হয়েছেন , তখন তার বয়স মাত্র ১২ বছর ।



তার আশ্চয্য খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল সারা আরব ভুখণ্ডে ।

মামা একদিন তাকে ডেকে বললেন বাবা এবার তোমাকে অন্ধকার

থেকে ইসলাম কে জিন্দা করার জন্য মানুষের মুক্তির হেদায়েতের

বার্তা লয়ে দূর দেশ ভ্রমন কর । ইনশাল্লাহ আল্লাহই তোমার

সাহায্যকারী ।



দেশ ভ্রমন এবং বাংলায় পদার্পণ

************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ





শাহ জালাল রা প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে উল্ল্যখ সংখ্যক লোক জুটায়ে

আল্লাহর নামে বেড়িয়ে পড়লেন ।

মামা তার নিকট এক মুষ্টি মাটি দিয়ে বললেন পৃথিবী পরিভ্রমণ করে যেখানে এই মাটির সহিত মিল পাবে সেখানেই যেন হয়

তোমার আস্তানা ।



শাহজালাল রা ধিরে ধিরে বহু দেশ পরিভ্রমণ করে বহু জমিদার এবং রাজা বাদশাহের সমাদর লাভ করেন , এবং তার আশ্চয্য

কোরআন পাঠে , আল্লাহর মহত্তে হেদায়েতের বারি দ্বারায় সিক্ত হয়ে ইসলাম গ্রহন করেন , এবং কেউ কেউ ইসলামের জন্য , আল্লাহর রাজি খুশি এবং শাহ জালাল রা এর সাথে আসার ইচ্ছা

ব্যক্ত করলে তিনি শেষ তক অনুমতি দেন ।

ক্রমান্বয়ে তার সাথি বাড়তে বাড়তে ৩৬০ জন হয় , উল্লেখ্য এদের

মধ্য ভারতের বাদশা নাসির উদ্দিন , চিনের গভর্নর ফতেহ লহানি

মিসরের জমিদার শাহ মখদুম রা ও সঙ্গি হয়েছিলেন ।



তখন বাংলা ভারতের কিছু অঞ্চলের প্রতাব শালি হিন্দু রাজা গউরগবিন্দের রাজধানী ছিল শ্রিহট্রয় বা বর্তমান সিলেট ।



এখানে একঘর খাটি মুসলমান বাস করত , তারা সম্ভবত আরব হতে এসে অনেক আগেই বসতি স্থাপন করেছিল ।

তার নাম ছিল বুরহান উদ্দিন , তিনি বার বছর যাবত সন্তান লাভের

আশায় আল্লাহর নিকট কানা কাটি করলে তার সুন্দর একটি ফুট ফুটে সন্তান লাভ করে ।

আনন্দে আত্তহারা হয়ে ছেলের ৭ দিনের দিন লুকিয়ে আকিকা

দেয় গরু কুরবানি , কিছু মাংস রেখে বাদ বাকি মাংস মাটিতে পুতে

রাখলে । এক টুকরা মাংস পাখি কর্তৃক হিন্দু রাজার মন্দিরে চলে

যায় ।

রাজা সংবাদ পেয়ে বুরহান উদ্দিনের পরিবার কে ধরে নিয়ে যায় এবং মা বাবার সামনেই কচি সদ্য জাত সন্তান কে হত্তা করে , এবং

বুরহানুদ্দিন কে অত্যাচার করে শিকল দেন ।

বুরহান উদ্দিন সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং সেই সময়ে ভারতের নদিয়ায় শাহ জালাল রা এর নিকট সাক্ষাৎ সমস্ত জানিয়ে

বিচার দেন ।



আউলিয়া সর্দার সঙ্গী সাথি সহ দ্রুত বাংলাদেশে প্রবেশ করেন

**************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



এবং সুরমা নদীর দক্ষিন সিমান্তে আস্তানা নেয় ।

খবর পেয়ে রাজা বহু গুপ্তচর নিয়োগ করে , এবং নদী যেন না পাড়ি

দিতে পারে সব নৌকা যান চলাচল বন্ধ করে দেন ।

আল্লাহর সাহায্য কামনা চাইলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে জায়নামাজ

বিচিয়ে তার মধ্য ভেসে সুরমা নদী পাড়ি জমান ।



অপর প্রান্ত থেকে তির ছুঁড়তে থাকে রাজার লোকেরা , আল্লাহর

ক্ষুত্রতে যারা বিষের তীর ছুঁড়েছিল তাদের বুকেই উলটো বিধতে

লাগল ।

পাড়ে ভিড়বে পাহাড়ের উপর থেকে ভারি পাথর নিক্ষেপ করতে

থাকে , শিল হট উচ্ছারন করেন শাহ জালাল রা শিল অর্থ পাথর

হট অর্থ উপরে যাও । আল্লাহর ক্ষুত্রতে তাও উলটু ভাবে গড়াল ।



রাজা সন্য সামন্ত হারিয়ে প্রাসাদে লুকালেন ।

আল্লাহর প্রতিনিধিরা প্রাসাদ অভিমুখে রওয়ানা দিলেন । রাজা সন্ধি প্রস্তাব দিল , আমার প্রাসাদে ২৮ মন ওজন একটা ধনুক

আছে তোমাদের মধ্য যদি কেহ এই ধনুকে তির যোজনা করতে

পার তাহলে আমি রাজা ইসলাম গ্রহন করব ।



শাহ জ্বালাল রা সঙ্গিদের মধ্য বললেন কেহ এমন আছ কি যে

কোন সময় তার আছরের নামায কাযা হয়নাই । ভারতের মুসলমান বাদশা

নাসির উদ্দিন বললেন , সেই লোক সম্ভবত আমি ।

বেশ তাহলে যাও আল্লাহর নামে প্রাসাদে গিয়ে ধনুকে তীর যোজনা

কর ।

নাসির উদ্দিন একটানে তা করে বসলেন ।

রাজা তাদের ঐশী শক্তি প্রত্যক্ষ করে গুপ্ত পথে পালিয়ে গেল ।



মাটির সাথে মাটি মিলিয়ে শাহ জালাল রা সেথা আস্তানা বা

বসতি গড়ে তুললেন ।

*****************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

এবং প্রকাশ্য আযান দিলেন ।

সাথে সাথে গৌড় গোবিন্দের সাত তালা মনোরম প্রাসাদ ভেঙ্গে

ধুলিস্যাত হয়ে গিয়েছিল ।

রাজার বোন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিল । এবং সারা ভারত

বাংলায় আল্লাহর অলিগন ছড়িয়ে পড়েন এবং ইসলামের নিশান

উড়িয়ে দেন । সেই হেদায়েতে বর্তমান মুসলিম সংখ্যা

হবে সারা দক্ষিন এশিয়ায় ৭০ কোটির উপরে ।











*********************

******************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ ণ

হযরত শাহ জালাল রা এর বাকি অংশ [কেরামতি ]





হজরত শাহ জালাল রা এর আশ্চর্য কেরামতের সংকিপ্ত বাকি অংশ



গউর গবিন্দ রাজ্য প্রতাব প্রতিপত্তি সব হারিয়ে এবার ছলনার আশ্রয় নিল । শাহ জাজাল রা কে একনজর দেখার জন্য এক সাপুড়ে টিক করে সাপের বাক্স মধ্য লুকিয়ে রইল । সাপুড়ে যে খানে মুসলিম ঘাটি বর্তমান মেজর টিলা সেথা অবস্থান নিয়ে সাপ খেলা দেখাতে লাগল । শাহ জাজাল রা দূর থেকে ডাক দিলেন হে রাজা ছলনা পরিত্যগ করে

বেরিয়ে এস ।

রাজা অবাক হলেন , কেমন মানুস তিনি যে না দেখেই সব আচ করে ফেলল । গুর গুবিন্দ আবার ভয়ে পালাল ।

*******



হজরত শাহ জালাল রা একটি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিলেন । এবং সেথা আস্তানা বা থাকার উপযোগী আবাস্থল নির্মাণ করে সেথা ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করলেন ।

তিনি অযু বানানোর জন্য পাশের বিশাল এক দিঘি ছিল সেথা অবস্থান নিলে গউর গবিন্দের লোকেরা এক রমনিকে

উলঙ্গ করে রাখে , তিনি আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ জানান , সাথে সাথে উলঙ্গ রমনি সহ বালু কনা এসে পুকুর টি ভরাট

হয়ে যায় । এ ঘটনায় শত শত হিন্দু অধিবাসি হেদায়েত এবং মুসলমান হয় ।



************



সিলেটে এসেই হযরত শাহজালাল রা জানলেন ভারতের কোন এক প্রদেশে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার আস্তানা । তিনি দুত

মারফত অলিত্তের চিহ্ন পাটান , এক টুকরা তুলার ভিতরে একটা জলন্ত অঙ্গার পুড়ে সেথা পাটিয়ে দেন , জবাবে নিজাম উদ্দিন আউলিয়া শাহজালাল ইয়েমেনই রা নিকট এক জুড়া কবুতর ও নানা রসদ মসলা পাটিয়ে তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন

করেন ।



********

অলির সান্নিধ্য অলি হয় , তার ভাগ্নে শাহ পরান রা একদিন তার মামার অবর্তমানে কবুতর জুড়া খেয়ে ফেলল । কবুতরের খুজ নিলে ভাগ্নে শিকার করে যে জবাই করে খিদে মিটানোর কথা । মামা উপহার সামগ্রি কথা জানালে

ভাগ্নে রাগে কবুতরের পাখা সংগ্রহ করে তাতে ফু দেয় । আল্লাহর রহমতে হাজার হাজার কবুতর সৃষ্টি হয়ে আকাশে

উড়তে থাকে । এবং তারনাম দেওয়া হয় জালালি কবুতর ।



************



চিনের গভর্নর শাহ জালাল রা এর নিকট একটি সুন্দর জামা প্রস্তুত করে উপহার দেন । কিন্তু পথিমধ্য জামাটি লুটতরাজের হাতে হস্তগত হয়ে ইরান চলে যায় । আল্লাহর ক্ষুত্রতে এক বছর পর আবার শাহ জ্বালাল রা এর দরবারে

চলে আসে এবং সেই দিন চিনের গভর্নর শাহ জালাল রা এর দরবারে উপস্থিত ছিলেন । ঘটনার তাৎপর্য জানতে চাইলে আল্লাহর অলি বলেন নিশচই উপহার দাতা নিজে যখন আসলেন তখন উপহার টিও ততদিন সফরে ছিল এবং আজি

তার মালিকের হস্তে সেটা আমার নিকট এল ।



*****************





এক হয যাত্রি শাহ জালাল রা এর সমাধি তে এসে যমযম কুপের উৎস খুজে পান এবং পরীক্ষা মুলক ভাবে ঐ কুপে ১০০ স্বর্ণ মুদত্রা বেধে সেথা নিক্ষেপ করে হযে চলে যায় ।

হজে গিয়ে সেথা ৫০ টি স্বর্ণ মুদ্রা আবার যম যমে নিক্ষেপ করে । দেশে ফিরে আসে ।

১১ মাস পর আবার কুপে নেমে দেখে মক্কা থেকে নামাংকিত আশ্রি বা স্বর্ণ মুদ্রাগুলু অবিকল এখানে পাওয়া গেল । কিন্তু এখানের পুতলাটি পাওয়া যায় নি । এতে বুঝা যায় মক্কার যমযম কুপের সাথে এ কুপের সরাসরি যোগাযোগ বা মিল ছিল । বর্তমানে হয়ত উৎস মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে ।

বি দ্র হজরত শাহ জালাল রা

এর কেরামত ও তার জীবনী থেকে সংকলিত ।





মাযহাব অর্থ ধর্ম নয় ।

******************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

এর প্রকৃত অর্থ মতাদর্শ বা যিনি প্রকৃত সটীক ছহি সুদ্ধ মত প্রকাশ

করে থাকেন ।

ইসলামের প্রধান রক্ষন শীল হাতিয়ার মুলত দুইটি এক কোরআন

এবং ২য় হাদিস ।

নবীজী বিদায় হজের ভাষণে শেষ যে দিক নির্দেশনা দেন তা হল

মুক্তির লক্ষ্য আল্লাহর কোরআন এবং হাদিস কে যারা আঁকড়ে ধরে

রাখবে তারাই দুনিয়া এবং আখেরাতে মুক্তি প্রাপ্ত ।



নবীজীর প্রধান চার খলিফা এবং সাহাবাগন , ইমাম গন , অলি আউলিয়া গন এবং বুজুরগানে আলেম গন কোরআন হাদিস অনুযায়ী



চলতেন , হক বিচার করতেন , এবং সমাজ ও রাস্ট পরিচালনা করতেন ।



একদা এক লোক নামাযের অযু লয়ে মহা প্যাঁকরা বাজিয়ে দিল ।

অবশেষে সটীক ফয়ছালা বা সমাধানের আশায় শত মাইল পাড়ি দিয়ে

ইমাম শাফেয়ী রা এর নিকট আসে

জানতে চাইলে বলে হুজুর অযুর ফরজ আদায় করব মাথা মাছেহ

কয় ভাগে করব ।

তিনি উত্তর দিলেন দুই ভাগের এক ভাগ করলেই চলবে ।



কিছুদিন যাওয়ার পর আবার সন্দেহ জাগল এলেন ইমাম হাম্বল রা

এর নিকট তিনি বললেন তিন ভাগের এক ভাগ , আবার দিন গড়াল

এবং মতভেদ দেখা দিল এলেন ইমাম মালেক রা নিকট তিনি বললেন

চার ভাগের এক ভাগ করলেই চলবে , আবার মতভেদ দেখা দিলে

ইমামে আযম আবু হানিফার দরবারে এলেন , তিনি সব শুনে চিন্তিত

হলেন এবং এমন সমাধান দিলেন যে সমস্ত ইসলামি দুনিয়ায় আর কোন মতভেদ রইলনা ।

তিনি বললেন সমস্ত মাথা মাছেহ করা অয়াজিব কারন নবীজী মাঝে মধ্য তাই করতেন ।



সেই আমল আর বর্তমান সময় এক নয় ।

তখনকার আলেম দের মর্যাদা এত বেশি ছিল যে রাজা বাদশা গনও

তাদের ফয়ছালার বাইরে কোন কাজ করতেন না । আর বর্তমান চিত্র

সম্পূর্ণ বিপরিত । কারন উন্নত শিক্ষা দিক্ষা , দলীয় করন এবং আলেমের সংখ্যা এত বেশি , এত মতাদর্শী

যে সবাই সবাইকে ভুল ধরতে উস্তাদ কিন্তু ভুল সংশোধন করতে এবং

ইসলামী জিন্দেগিতে ঈমান ধংশ কার্যক্রমে স্বীকৃতি মিলে কিন্তু নিজের

ভুল স্বীকার করে সংশোধনে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ।

তা থেকে মুখ ফেরানোই একমাত্র মুক্তি । এত এব আত্তসংযমে আত্তসুদ্ধিতার মাযহাব বা মতাদর্শে নিজেকে গড়ি , আল্লাহ অবশ্যই

তার বান্ধার বাসনা কৃত গোনাহ ক্ষমা করে দেন ।



আউলিয়া কেরাম গন তদ্রুপ আত্তাধিক সমাধান দিয়ে থাকেন ।

নবীজীর নিকট কবি এবং তার ঈমানি চেতনা ।

********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন ।

*****************************************

কবি কে নবীজী আল্লাহর হস্ত উপাধি দিয়েছিলেন ।

****************************************

আল্লামা কবি ডঃ মোহাম্মদ মাসুদ মিয়া ।



একদা এক কবি ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলে বাস করতেন এবং আরবের তাৎক্ষণিক বহুল আলোচিত ঘটনা সুন্দর ভাবে জনসমক্ষে

প্রকাশ করতেন । এজন্য সারা আরবে ও অন্যান্য বিদেশী লোকজনের নিকট খুবই সমাদৃত ছিলেন ।



একদিন ইহুদিগন কবিকে ফুসলিয়ে নবীজীর বিরুদ্ধে কবিতা লেখালেন এবং তা জন সম্মুখে প্রচার করলে নবীজীর অনুসারি এবং যারা নবীজীকে ভালবাসতেন তারা তাকে বিদ্রুপ করল।

এতে মনে মনে পন করল কে সেই ব্যক্তি যে আমার চাইতেও

জন গন তারে বেশি সমিহ করে , অবশ্যই খুজ লইব । একদিন

নবীজী সুললিত সুরে মদিনায় আবু আইয়ুব আনসারির গৃহে

কোরআন পাট করছিলেন , এদিক দিয়ে কবি আসেন এবং কিছুক্ষন দাড়িয়ে কোরআন শুনেন । একপর্যায়ে নবীজীর সম্মুখে

গিয়ে ছালাম দিলেন হে আল্লাহর বার্তা বহ এতক্ষন আপনি যা

পাট করছিলেন তা এক আল্লাহ ব্যতিত আর কারও বানি হইতে

পারেনা । আপনার প্রতি এতদিন আমার ভুল ধারনা ছিল । আপনি আমাকে এক্ষনি সুদ্ধ করে লন । আমিই সেই অধম কবি

ইহুদিদের কথায় আপনার বিরুদ্ধে লিখেছিলাম ।



নবীজী কবিকে বুকে টেনে নিলেন এবং ইসলামের পক্ষে কবিতা

লেখার জন্য তাগিদ দিলেন ।



কবি এমন কবিতা লিখলেন এবং তা জনসম্মুখে পাট করলেন

সাথে সাথে অই দিন তার কবিতা শুনে ৩০০ মানুষ ইসলামে

দিক্ষিত হয়েছিল ।



শুক্রবারে জুমার নামাজে কবিকে নবীজী আল্লাহর হস্ত উপাধি দেন এবং নবীজী যেথায় বসে খুতবা দিতেন সেথায় বসিয়ে সম্মানিত করেছিলেন ।



ইতিহাস থেকে শিক্ষা

**********************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ

মিথ্যা অপবাদে কখনও কোন জাতিকে হেও করা / ও মানুষ কে ঘৃণা করা উচিৎ নয় ।



কবি শেখ সাদি সাধারন পোশাক পরিধান করে গিয়েছিলেন

বাদশাহের দরবারে । খবর শুনে এবং সাধারন পোশাকের জন্য

অতি সাধারন মানুষ মনে করে ,যৎসামান্য আপ্যায়নের ব্যাবস্থা

করলেন । তাও চাকর বাকরদের দিয়ে । চলে এলেন দরবার ত্যাগ

করে তিনি অগোচরে । বেশ কিছুদিন পর আবার ঝাক জমক ও

জরির পোশাক পড়ে বাদশাহের দরবারে উপস্থিত ।

পরিচয় জেনে বাদশা আমির ওমরাহ্‌ তার অমাত্যগন বিপুল ভাবে

যত্ন আত্তি করতে লাগলেন এবং কবির আগমন সংবাদে বিরাট

ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করলেন । সয়ং বাদশা এটা অটা এগিয়ে

দিতে লাগলেন ।উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে কবি খানা দানা তার পোশাকের পকেটে ভড়তে লাগলেন ।



বাদশা নিরব থেকে অবশেষে বললেন বেয়াদবি মাফ হয় , এমন কি

ভুল আমাদের হল যে এই আচরন জানতে চাই দয়া করে ।



কবি এবার উটে দ্বারায় বাদশা নন্দন বেশ কিছুদিন আগে সাধারন

পোশাকে এই আমিই এসেছিলাম মুল্যায়ন ছিল অনেক অনেক

কম

আর সেই আমি দামি পোশাকে কতই না কদর , তাইলে খানা

আমি কেন ? আমার পোশাকের খাওয়া উচিৎ ।

সকলেই এবার মাথা নত করলেন ।



আমরাও ইতিহাস থেকে একটা মস্ত শিক্ষা পেলাম ।

পোশাকে মানুষের পরিচয় নয় । কর্মই তার সটীক গন্তব্য এগিয়ে

নিয়ে যায় ।এবার আমার কথা কেউ কাউকে ছোট চোখে

দেখবেন না । যার যে ওজন তার তেমন সমাজে স্থান ।



যুদ্ধ নয় বিভ্রান্তি নয় শান্তি চাই শান্তি শুধুই শান্তি ।

;;

মানুষের হৃদয় আল্লাহ্‌র সেরা দান

নহে তা অন্য কিছুর সমান

বিবেক সম্পদ সেথা মহা রত্ন

রাখলে অতি মুল্যাবান করে যত্ন

বুদ্ধি তার সহচর ভাল আর মন্দে

জ্ঞান তার মন্ত্রী চালিকার রন্দে

সাহস তার সেনাপতি , জীবনের শক্তি

ধরয্য তার ঢাল হয় সুচিন্তায় মুক্তি ।''

মোহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ বিশেষ ঘটনা ও তাৎপর্য ।

**************************

ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম



১ মহররম আরবি শব্দ , বাংলা অর্থ ১নম্ভর হিরা বা দামি , তুলনা যার

নাই এমন বস্তু ।

তাৎপর্য ও গুরুত্ত



সমস্ত প্রশংসা আল্লাহু তায়ালার জন্য এবং লাখ ও দরুদ ছালাম নুর

নবী হযরত মোহাম্মদ মস্তুফা সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লামের কদম

মোবারকে ।



এই দিন আল্লাহ পাক স্বীয় ক্ষুত্রতে আরশে সমাসিন হয়েছিলেন ।

এই দিনে আল্লাহ পাক মুহাম্মদই নুর পয়দা করেন এবং সেই মোহাম্মাদই নুর হইতে ১০০ ভাগের এক ভাগ দিয়ে আরশ কুরশি

লৌহ কলম ফেরেস্তা হুর গিলমান বেহেস্ত দুযখ তারকারাজি প্রভৃতি

সৃষ্টি করেন । এবং আদম আ এর রুহ দেন , শয়তানের ধুকাবাজি

থেকে দুনিয়ায় গোনাহ মাফ হয় এই দিনে ।



এই দিনে বিশিষ্ট নবী রাছুল ও আম্বিয়া আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর

সংঘটিত বহুল ঘটনা ।

হযরত নুহ আ আল্লাহর হুকুমে কিস্তি বানিয়ে জুড়ায় জুড়ায়

জীবজন্তু তুলে মহাপ্লাবন থেকে ১৮০ দিন পর লোকালয়ে এসেছিল ।

দিনটি মোহররমের ১০ তারিখ ।



চলবে <><>



মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.