নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামবাংলার গল্প বিচিত্রা ।।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

গ্রামবাংলার গল্প বিচিত্রা



********

গল্প ২* ভুতের ভয় ।

আষাঢ় মাস , বর্ষায় পানি চারিদিকে থৈ থৈ । সবে সন্ধ্যা আকাশে তারকার মিটিমিটি হাসি ।সৈয়দ পুর গ্রামের একটি উঠানে মজুম আলী তার ছেলেকে

তাগদা দেয় ।বাপ লাইট টা জ্বালা আইজ আউল্লারা দিতে অইব ।বাজান লাইটের

তেল নাই , দূর বোকা সেলবরসের বাজার থাইকা আইজকা আনলাম দেখ তোর

মায়ের টাই । হু আন তাছি

অনেক চেষ্টায় পাম্প লাইট ধরায় বাপ পুত ।কয়েকটা ছেলে মেয়ে আলো ছায়ায়

দুষ্টুমি করে ওদেরকে ঘিরে ।ছোট গনি বাবার গাঁ ছুয় বাজান আমিও যাব ।না বাপ

আরেক দিন , মোহন ভয় দেখায় আমরা যেইহানে যামু হেইহানে থাহে ইয়া বড়

রাক্ষস ।কথা শুনে গনির আবদার মাটি হয়ে যায় ।

বৈঠা লয়ে হাল ধরে পড়শি মবুল । গ্রাম থেকে ধিরে ধিরে নাও এগিয়ে যায় পশ্চিমে

পাশেই খালিজানা নদী ,তীরে কাশবন আর সারি সারি পাট ক্ষেত । ক্ষনে ক্ষনে নিশাচর পাখিরা ডেকে উটে । মকবুল হটাৎ চি ৎ কার করে ভাইজান সামনের জলা ডা য় পানি দাব্রাইতাছে মনে অয় বড় মাছ ।টিক আছে নায়ের বাতা এই দিকে ফিরা

নিঝুম রাত , কুঁচ টা সর্বশক্তিতে পানির মধ্য ছুড়ে শিকারি ,একটা বিশাল রুই মাছ উটে আসে নির্জলা পানি ছিটিয়ে । মোহন খুশিতে লাফায় । ছোট বড় বেশ কয়েক টা মাছ ধরা পড়ে নায়ের কূলে শব্দ হয় চড়চড় । এক সময় ওরা জলা বিল নদী পেরিয়ে বহুদুরে চলে আসে । আকাশের দিকে মুখ তুলে বাজখাই গলায় মকবুল

ডাকে ভাইজান সারা আসমান জুড়ে কালা সাজ ঝড় আইব ।হা তাই ত ফিরতি পথ ধরতে অইব নাও ঘোড়া । মকবুল প্রান পনে বৈটা চালায় অদুরে জলারভিতর থেকে

পেঁচার কর্কশ শব্দ ভেসে আসে ।হটাৎ ঘন আধারে ছেয়ে যায় পৃথিবী শুরু হয় ঝড়।

ডেউয়ের ধাক্কায় বারবার দুলে নাও ,ঝমঝম নামে বৃষ্টি ।খেকিয়ে উটে মোহন বাজান এখন উপায় ।প্রচণ্ড বাতাসে দপ করে নিভে যায় বাতি । এক জায়গায় নাও

ভিড়িয়ে অরা ছাতা মাতায় বসে থাকে টায় । বহুক্ষন তাণ্ডব চলে একসময় ধিরেধিরে সব টাণ্ডা হয়ে আসে । জীবনে এত আধার দেখেনি ওরা ।চেষ্টা করে মজুম

আলী বাতিটা জালাতে কিন্তু কিছুতেই জলছেনা এদিকে ম্যাচের কাঁটিও শেষ ।

আবার ও ঝোপের ভিতর থেকে বিশ্রী ঘর্ঘর শব্দ কানে আসে ,ভয়ে অজানা আশংকায় শিহরিত হয় তিন জনেই । মজুম আলী তাঁরা দেয় মকবুল আল্লার নাম লইয়া এবার রয়ানা দেই কেমুন ,কি কন ভাইজান আন্ধাইরের মধ্য ত কিছুই দেহা যায়না । বাজান এই দেহ একটা লাইট , হু

।আলোটা ধিরেধিরে অদের দিকে এগিয়ে আসে। মকবুল চেচায় ভাইজান ভয় নাই বাত্তির ফসরে টিক মত এবার পথ দেহুম । বৈটা সামনে চলে। জলে শব্দ উটে ঝপাৎ ঝপাৎ সকলে নিরব চলার যেন শেষ নাই । নাও থেকে একটা মাছ হটাৎ লাফিয়ে পড়ে পানিতে শব্দ হয় ঝুপ , বাজান বাজান বড় মাছটা ত ছইলা গেল



দূর ছাই রাখ তর মাছ দেহছ না কেমন বিপদ আল্লাহুর নাম ল । মকবুল নড়েচড়ে বসে কি অলক্ষন কার মুখ দেইখা যে আইলাম বুঝবার পারিনা । এবার সামনের

লাইট টা দপ করে নিভে যায় । এবার আবছা আধারে একটা নিকষ কাল মুখ পানির উপরে দাঁড়িয়ে ভেংচি কাটে । মকবুলের হাত থেকে বৈটা পড়ে যায়

মোহন চিৎকার দিয়ে উটে বাজান ভুত/ বুকটা শুকিয়ে কাক হয়ে যায় মজুম আলীর

ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে নরম শিশিরের ছোঁয়ায় ওদের জ্ঞান ফিরে ।

[ সেস্থান থেকে ওদের বাড়ী ফিরে ভয় কাটাতে সময় লেগেছিল বহু দিন ]

নাসুদ রানা , রচনা ২/১০/২০১২ইং ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

গেন্দু মিয়া বলেছেন: দারুন! গা ছমছমে!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তাই নাকি , নিকে আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.