নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালী সমাজে নারীরা গালির ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার
সূফি বরষণ
বাঙালী সমাজে নারীরা আজও গালির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়॥ সেই আর্য
পাল সেন বর্গী ইংরেজ ও পাকিস্তানী
আমল থেকে শুরু করে বর্তমান যুগেও
আমরা এই বৈষম্য মূলক গালি দেয়ার
অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে
পারি নাই ॥
এবার আপনাদের কে কিছু নারীদের ক্ষেত্রে
ব্যবহৃত গালিবাচক শব্দ উল্লেখ করছি,,
পতিতা বেশ্যা রক্ষিতা মাগী খানকি নটী
ছিনাল ছিনালনি পেটলাগানী বুয়া ঝি
ছেমরী ছুটকী কুরুসনী বন্ধা বা বান্জা
আঠকুরী বা আঠকুরে অপয়া কুলক্ষণী
চেটী বা চেড়ী নর্মসখী কলগার্ল যৌনকর্মী
গণিকা পণ্যস্ত্রী ছিন্না কসবী বারাঙ্গনা
ঝাঁকান টুস্কিমারা নাগরী বাঁদী বা বাঁন্দী
ইত্যাদি ॥
এখানে উল্লিখিত কিছু শব্দ আছে যে
গুলোর বাংলা ভাষায় কোনো পুরুষবাচক
শব্দ নাই !!!!??? সে সব শব্দ কেবল মাত্র
নারীর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়॥ হাজার
হাজার বছরের পরিক্রমায় বাঙালী সমাজ
এই বৈষম্য মূলক গালিবাচক শব্দ থেকে
আজও বের হয়ে আসতে পারে নাই ॥
মজার ব্যাপার হলো আমাদের মহান
মহান সাহিত্যিকরা ভাষাবিজ্ঞানীরা
বৈয়াকরণবিদরা বা অভিধান প্রণেতারা
কেন এই হীন মানসিকতা থেকে বের হয়ে
আসতে পারেনি ॥ এই প্রশ্ন আজ আমার
মনে?? কেনই বা তারা এই সব শব্দের
পুরুষবাচক শব্দ তৈরী করেননি ???
এর ফলে এই সব শব্দ যেন আজ আমাদের
রক্তে মিশে একাকার হয়ে গেছে ॥ নারীকে
এইসব বৈষম্য মূলক গালি দিয়ে আমরা
আজ মনে একপ্রকার বিকৃত আনন্দ
অনুভব করি??!!!!
কেন কেন এই হীন মানসিকতা থেকে
আমাদের কি পরিত্রাণের কোন পথ
নেই?? যে সমাজ হাজার বছরেও নারী_
মা মাকে সম্মান জানাতে শিখেনি তাদের উন্নতি
হয় কি করে!!??॥ জুহুরী জাম্বিলের এক
লেখায় পড়েছিলাম, যে সমাজে হঠাৎ করে
পরিবর্তন আসে না ॥ প্রথমে আসে আবর্তন
তারপর বিবর্তন তারপর পরিবর্তন ॥
আমাদের সমাজ জীবনে এতো পরিবর্তনের
মধ্যেও নারীর প্রতি বৈষম্য মূলক
আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি ,
তা হওয়ার অবশ্যই দরকার ॥
কবি নজরুলের ভাষায় যদি বলি, নারীরে
দিয়াছি মুক্তি মোরা মা'র সম অধিকার
মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙ্গিয়া করিয়াছি
একাকার ॥ কবি এখানে ইসলামের কথা
বলেছেন ॥ আমি বিশ্বাস করি একমাত্র
ইসলামই পারে আমাদের কে এই হীন
মানসিকতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিতে ॥
আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে নারী ও
পুরুষকে একে অপরের লেবাস বা পোশাক
বলেছেন ॥ ইসলামই একমাত্র ধর্ম নারীকে
অধিক সম্মানিত করেছে যেটা অন্য
কোনো ধর্মে দেখা যায় নাই॥
এই হাজার হাজার বছর
ধরে চলে আসা নারীর প্রতি বৈষম্য মূলক
আচরণ থেকে ইসলামই নারীকে মুক্তি
ও মর্যাদা দিতে পারে॥ এক্ষেত্রে আমাদের কে
ব্যক্তিজীবনে ইসলামের চর্চা অনুশীলন
পরিপালন বাড়াতে হবে॥
মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.