নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্যাটানিজম এবং শয়তানের নতুন
দেবী হাসিনা
সূফি বরষণ
স্যাটানিজম এমন একটি শব্দ যা মানুষের
বিশ্বাসের সাথে জড়িত। সাধারণভাবে
শয়তানের ওপর ভক্তি বা প্রশংসাকে
বোঝানো হয়ে থাকে। হিব্রু বাইবেল
অনুসারে যে মানুষের বিশ্বাসের ওপর
আঘাত করে সেই শয়তান। গ্রিক নিউ
টেস্টামেন্টে আরো বিস্তারিত ধারণা
পাওয়া যায়, আব্রাহামিক ধর্মে
শয়তানকে তুলনা করা হয়েছে
বিপথগামী দেবদূত বা দানব হিসেবে
যে মানুষকে খারাপ কাজ বা পাপ
করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। খ্রিস্টান ধর্ম অনুযায়ী
শয়তানকে ধর্মের প্রধান শত্রু হিসেবে
গণ্য করা হয়েছে।
ইউরোপে রেঁনেসা হওয়ার পরে
শয়তানকে আসলে রূপক অর্থে
দেখা হয়েছে যা বোঝাচ্ছে বিশ্বাসের
অভাবকে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইচ্ছার
স্বাধীনতা, সাহিত্যে আমরা শয়তানকে
দেখি পারাডাইজ লস্ট-এ। ১৯৬০
সালের আগে শয়তান উপাসকদল
গুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড ও অবৈধ
মনে করা হত। ডাকিনীবিদ্যা বিরোধী
আইন যেমন ব্রিটিশ ডাকিনীবিদ্যা
আইন ১৭৩৫( যা ১৯৫১ সালের
আগে বাতিল হয়নি) জনগণের
ডাকিনীবিদ্যা ও স্যাটানিজম বিরোধী
আবেগকে প্রকাশ করে।আধুনিক
স্যাটানিজম প্রথম সবার নজরে আসে
১৯৬৬ সালে শয়তানের চার্চ প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে।আধুনিক শয়তানের দলগুলো
নানা ভাগে বিভক্ত হলেও প্রধান দু’টি
ধারা হচ্ছে আস্তিক স্যাটানিজম ও
নাস্তিক স্যাটানিজম। আস্তিক শয়তানের
দলগুলো শয়তানকে পূজা করে
একটি অতিপ্রাকৃতিক দেবতা হিসেবে
যিনি প্রকৃতই দয়ালু।অন্যদিকে নাস্তিক
শয়তানের দলগুলো নিজেদের
নাস্তিক মনে করে এবং শয়তানকে
মনে করে মানুষের খারাপ বৈশিষ্ট্যের
একটি প্রতীক হিসাবে। আস্তিক শয়তানের
অনুসরণকারী সালমান রুশদী ১৯৮৮
দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বা শয়তানের বাণী
বইও লিখে ॥ দিন দিন বিভিন্ন দেশে
সমাজে শয়তানের অনুসারীদের সংখ্যা
বেড়ে যাচ্ছে ॥ দেশে নতুন এক শয়তানের
দেবীর আবির্ভাব হয়েছে তিনি আর
কেউ না আমাদের হাসিনা মিয়া ॥
দেশের সর্বত্র যেভাবে শয়তানের মূর্তি
স্হাপন করা হয়েছে ॥ আসল শয়তানও
দেবী হাসিনার কাজ দেখে ভাবে এতো
দেখি আমার থেকে বড় শয়তান ॥
সেই আমার যোগ্য উত্তরসূরী ॥
এখন আমরা কি হাসিনার সাথে সাথে
আস্তিক স্যাটানিজম হয়ে শয়তানের
পূজা শুরু করবো নাকি দেবী হাসিনাকে
বিতাড়িত করতে সংগ্রাম শুরু করবো॥
এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের শয়তানের
পূজারী হবেন নাকি ঘোষণা করবেন
এক আল্লাহ জিন্দাবাদ ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.