নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল ইংরেজরা তৈরী করে যায় ইতিহাসের বিরোধ
সূফি বরষণ
অখণ্ড ভারত বিভক্ত করে ভারত এবংপাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লগ্নে ১৯৪৭খ্রিস্টাব্দে রেডক্লিফের মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ডে থেকে যায় অন্য দেশের অংশ। কুড়িগ্রামে ভারতের ছিটমহল দাশিয়ারছড়া। দাশিয়ারছড়ার ভেতরেই আছে চন্দ্রখানা নামের বাংলাদেশের একটি ছিটমহল এতে এক অসহনীয় মানবিক সমস্যার উদ্ভব হয় । ১৬২ টি ছিটমহল আছে দুই প্রতিবেশী দেশে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল আছে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতে। এসব ছিটমহলে বসবাসকারী জনসংখ্যা সংখ্যা ৫১ হাজার। সাম্প্রতিক (২০১১) জনগণনা অনুযায়ী ভারতের ছিটমহলে বসবাসরত লোকসংখ্যা ৩৭ হাজার এবং বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ১৪ হাজার।২৪২৬৮ একর ভূমি নিয়ে দুই দেশের ছিটমহল। তার মধ্যে ভারতের ১৭ হাজার ১৫৮ একর। বাংলাদেশের ছিটমহলের জমির পরিমাণ ৭ হাজার ১১০ একর। ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এ সবের মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯, পঞ্চগড়ে ৩৬, কুড়িগ্রামে ১২ ও নীলফামারিতে চারটি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এর মধ্যে ৪৭টি কুচবিহার ও চারটি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত।
ছিটমহল নিয়ে অন্য ইতিহাসঃ
কুচবিহার রাজ্যের কোচ রাজার জমিদারির কিছু অংশ রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন থানা পঞ্চগড়, ডিমলা, দেবীগঞ্জ, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, লালমনিরহাট, ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারিতে অবস্থিত ছিল। ভারত ভাগের পর ওই আট থানা পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর কুচবিহার একীভূত হয় প্রশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। ফলে ভারতের কিছু ভূখণ্ড আসে বাংলাদেশের কাছে। আর বাংলাদেশের কিছু ভূখণ্ড যায় ভারতে। এই ভূমিগুলোই হচ্ছে ছিটমহল। ভারত দক্ষিণ তালপট্রির মতো আমাদের ভূমি হাতিয়ে নেওয়া নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে॥ সেই লক্ষ্যেই স্থল চুক্তির বিল রাজ্য সভায় অনুমোদন লাভ॥॥
সম্প্রতি ভারত স্থল চুক্তি বিনিময় বিল অনুমোদনেই আওয়ামী লীগ খুশীতে গদগদ করছে ॥ ভাবখানা এমন ভারত সব উজাড় করে বাংলােদশকে সব দিয়ে দিচ্ছে। এরা দক্ষিণ তালপট্রির মতো আমাদের ভূমি হাতিয়ে নেওয়া নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে ॥ আমাদের একথা মনে রাখতে হবে নিজের স্বার্থেই সব করে ভারত। ৭১ এ তারা বাংলােদশকে স্বাধীন করার জন্য সাহায্য করেছিল নিজেদের স্বার্থে॥ যার প্রমাণ বাঙালী জাতি গত ৪৩ বছর ধরে পাচ্ছে। আমাদের গনতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে॥॥ এখনও আমাদের সিট মহল গুলো হাতিয়ে নেওয়া পায়ঁতারা শুরু হয়েছে ॥॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.