নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াত কি জাসদের ভাগ্যবরণ
করতে যাচ্ছে??
সূফি বরষণ
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের
প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলো শেখ মুজিব॥ মুজিব তখন আলীগ থেকে বাকশাল গঠন করে॥ দেশের সর্বত্র মুজিব ও আলীগের জয়জয়কার অবস্হা ॥ মুজিবের লুটেপুটে খাওয়ার রাজনীতিতে
বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় জাসদ॥ ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম গঠিত রাজনৈতিক দল জাসদ ॥ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ সম্পর্কে রাজনৈতিক মহলে দুটি বিপরীতধর্মী ব্যাখ্যা ও বক্তব্য আছে। এক পক্ষ মনে করে, জাসদের প্রতিষ্ঠা একটি গভীর ষড়যন্ত্র; সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। অপর পক্ষের দাবি, স্বাধীনতার পর স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি বলেই জাসদের অভ্যুদয়।
জাসদের বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও নেতৃত্বের হঠকারিতার দায় শোধ করতে যে দেশের হাজার হাজার তরুণ নিগ্রহের শিকার হলেন, অনেকে জীবন দিলেন, কিন্তু বিপ্লবটি অধরাই থেকে গেল; এ জন্য কে দায়ী—রাষ্ট্রশক্তি, দলটির হঠকারী নেতৃত্ব, না দুটোই? এসব অমীমাংসিত প্রশ্ন ।
নেতাদের উদ্দেশ্য যা-ই থাকুক না কেন, সেই সময়ে বিপুলসংখ্যক তরুণ সমাজবিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জাসদের পতাকাতলে সমবেত হয়েছিলেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, স্বাধীনতার পর বাম ধারার ন্যাপ-সিপিবির উত্থানের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের আগ বাড়ানোর মৈত্রীর নীতি তা ধ্বংস করে দেয়। সুযোগটি কাজে লাগায় জাসদ। কিন্তু নেতৃত্বের অস্থিরতা, হঠকারিতা ও দ্রুত ক্ষমতা দখলের উদগ্র বাসনার কারণে দলটি সমাজবিপ্লবের সারথি না হয়ে অন্ধ মুজিব ও ভারতবিরোধিতার হাতিয়ারে পরিণত হয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ জাসদে যোগ দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করারও মওকা পেয়ে যান। আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগানের আড়ালে দলটির কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় মূলত মুজিব উৎখাতে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল চক্র যখন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সেই কাজটি করে ফেলে, তখন কার্যত জাসদের রাজনৈতিক প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। এরপর জাসদ নেতৃত্ব যা করেছেন, সেটি হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা তার অংশীদার হওয়া। এই লক্ষ্যে কখনো তাঁরা ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের কাছে জাতীয় সরকারের দাবি তোলেন, কখনো জিয়ার কাঁধে ভর করে ‘সিপাহি বিপ্লব’ করেন, কখনো সামরিক সরকারের সঙ্গে ফ্রন্ট গঠনের কৌশল নিয়ে এগোতে থাকেন। জাসদের দাবি অনুযায়ী, ‘বিপ্লব’ হলো; কিন্তু ততক্ষণে দলটি ক্ষমতা নামের প্রাসাদ থেকে ছিটকে পড়েছে চিরকালের জন্যে ॥
জাসদের আধ্যাত্মিক গুরু
সিরাজুল আলম খানের দক্ষতায় অল্প দিনে জাসদ দেশের বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল ॥ কিন্তু প্রবল ক্ষমতার
অধিকারী মুজিবের আগ্রাসী ভূমিকা আর দমন নিপীড়নে কাছে জাসদ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি॥ মুজিব জাসদের জনপ্রিয় সব কমরেডদের কে
হত্যা করে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতো কোথায় সেই কমরেড সিরাজ সিকদার॥ জাসদ নেতাদের দাবি, সরকারি দল আওয়ামী লীগ তাদের ৩০ হাজার নেতা-কর্মী হত্যা রব আর ইনুর মতো কিছু দালালের জন্যও জাসদ ভেঙে যায় ॥
এবার আসি জামায়াতের কথা ॥ দুটি সংগঠনের মধ্যে আদর্শগত প্রার্থক্য থাকলেও ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠনের নিয়মাবলির মধ্যে বড় ধরনের প্রার্থক্য ছিলো না ॥ প্রার্থক্য শুধু এক দল আল্লাহ বিশ্বাসী আর অন্য দল নাস্তিক
ও বস্তুবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ॥ মুজিবের চেয়েও বেশি ক্ষমতার অধিকারী হাসিনা জামায়াত কে নির্মূলের সব আয়োজন সম্পূর্ণ করেছে , এবার শুধু একের পর এক হত্যার নাটক দেখানু
হচ্ছে ॥ এর পর দল হিসাবে
জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করবে॥
মুজিব জাসদের ৩০হাজার নেতা
কর্মী হত্যাকারী আর হাসিনা
বাপের চেয়ে কম করেনি জামায়াতের ৩০ হাজার নেতা কর্মী খুন না করলেও পঙ্গু করা গুম করা আর বিরোধী দল মিলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে॥ হাসিনা জামায়াতকে নির্মূল করার যে কাজে হাত দিয়েছে তার ফল শুভ হবে না ॥ হাসিনা হয়তো হিংস্র বাঘের পিঠে চড়েছে॥ নিজেকে অকল্পনী ক্ষমতার
অধিকারী মনে করছে ॥ রাতের বেলায় ফেনসিডিল আর রেড ওয়াইন পান করে বার বার আয়নায় নিজের চেহারা
দেখে দাঁত বের করে হাসে ॥
ওয়াইন পানের কারণে লাল বর্ণ ধারণ করা দাঁত দেখে হয়তো
তার রক্ত পিপাসা আরও বেড়ে যায়॥
আর নিজে নিজে আট্রহাসি হাসতে থাকে আর ভাবে আমি এতো ক্ষমতাশালী আমাকে কেউ কিছু করতে পারছে না আমার আরও বেশি ক্ষমতা চাই॥
এই হাসাহাসির পর শরীর গরম হলে ঠান্ডা পানি ছেড়ে গোসল করতে করতে গলা ছেড়ে গান গাইতে থাকে॥ আর হয়তো এভাবেই তার প্রতিটি রাত কাটে ॥
এই ভয়ংকর শাড়ি পড়া স্বৈরশাসক হাসিনার দুঃশাসন আর জুলুম থেকে বাঁচার জন্যে গোটা জাতি আজ মুক্তির
প্রহর গুনছে॥ হয়তো একদিন শুনবো অতিরিক্ত ফেনসিডিল আর ওয়াইন পানের কারণে ঘুমের মধ্যে মরে পড়ে আছে ॥ এভাবেই তার লাশ পড়ে থাকবে দীর্ঘ দিন তার অনুসরণকারী কেউ এগিয়ে আসবে লাশ সৎকার করার
জন্যে ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.