নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফিরে দেখা ইতিহাস
কলকাতার ১৯৪৬ ভয়ংকর দাঙ্গায় হত্যা করা হয় ৫ থেকে ৫০ হাজার মুসলমান
সূফি বরষণ
কিছু কিছু ঘটনা আছে ছবির নিচে ক্যাপশন লিখে শেষ করা
যায় না॥ যে ঘটনার ক্ষত বয়ে চলে শতাব্দীর পর শতাব্দী॥
শতাব্দী মাধ্যমে ধর্মের নামে
জাতিগত বিভাজনের নামে হত্যা করা মানুষের সংখ্যার পরিসংখ্যান
নির্ধারণ করা খুব কঠিন ॥ আর এই সংখ্যার বড় একটি অংশ যে বলির পাঠা হয়েছে মুসলমানরা তা কারো অজানা নয়॥
ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতা আগস্ট ১৯৪৬ সালে কয়েক দিন ধরে জায়গা করে নেয় ইতিহাসের
পাতায় হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদের কে হিংস্রতা সঙ্গে গণহত্যার এক মহা উৎসব হিসেবে ??? - কলকাতা শহুরে মুসলমানদের যে লাশ পড়েছিলো
সেটা অগণিত॥ অসংখ্য মুসলমানদের কে কলকাতা ব্রীজের উপর থেকে হত্যা করে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেয়া হয়॥
এই সময় বেঁচে ফিরে আসা আমার দাদার কাছ থেকে জানতে পারি এইসব তথ্য ॥
সেই তথ্য কোনো সাংবাদিক বা ইতিহাস গবেষকের কাছে নেই???!!এটাই ছিলো বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ধর্মীয় দাঙ্গা ॥ মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের জন্যে একটি পৃথক জাতি সৃষ্টি পাকিস্তানের সমর্থনে জাতীয় গণপরিষদে প্রত্যক্ষ প্রস্তাব দেয়া পরই শুরু হয় মুসলমানদের উপর দাঙ্গার মাধ্যমে হত্যাকান্ড ॥
কলকাতা দাঙ্গা বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস(The Great Calcutta Killing বা Direct Action Day) ছিল ॥ ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট তদনীন্তন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের রাজধানী কলকাতায় সংঘটিত একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও নরহত্যার ঘটনা। এই দিনটিই ছিল "দীর্ঘ ছুরিকার সপ্তাহ" ("The Week of the Long Knives") নামে পরিচিত॥
সে সময় নির্মম ভাবে মুসলমানদের কে ছুরি মেরে মেরে হত্যা করা হয়॥ ১৯৪০-এর দশকে ভারতের গণপরিষদের দুটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ছিল মুসলিম লীগ ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। ১৯৪৬ সালে ক্যাবিনেট মিশন ভারতীয় নেতৃবর্গের হাতে ব্রিটিশ ভারতের শাসনভার তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রাখে। এই প্রস্তাবে একটি নতুন ভারত অধিরাজ্য ও তার সরকার গঠনেরও প্রস্তাব জানানো হয়। এর অব্যবহিত পরে, একটি বিকল্প প্রস্তাবে হিন্দুপ্রধান ভারত ও মুসলমানপ্রধান পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কংগ্রেস বিকল্প প্রস্তাবটি সম্পূর্ণত প্রত্যাখ্যান করে। এই প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে এবং একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে মুসলিম লীগ ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট একটি সাধারণ ধর্মঘটের (হরতাল) ডাক দেয়। এই প্রতিবাদ আন্দোলন থেকেই কলকাতায় এক ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্ম হয়॥
এই ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার কারণ হলো ॥ সেই উগ্র ভারতের নাচের পতুল হয়ে, হাসিনা কি দাঙ্গা বা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেশের মুসলমানদের কে হত্যা করতে চাইছে ???? এবং ভারতকে প্রভু
হিসেবে গ্রহণ করতে কি এই সব ষড়যন্ত্র ??!! ক্ষমতার লোভেরও একটা সীমা আছে ॥ হাসিনার হিংস্রতা উগ্রতা নোংরামী পশুত্বের
মধ্যে আমি শুধু কলকাতার দাঙ্গার প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাই॥॥॥
মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.