নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রেসক্লাব দখলের নেপথ্যে...... অর্থ লুট আর বিএনপি নামদারী
৮ দালাল সাংবাদিক॥
সূফি বরষণ
জাতীয় প্রেসক্লাব অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী চলছে ॥ এই অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ ক্লাবের ৮০% বেশি সদস্য ॥ বিখ্যাত সাংবাদিক নেতা রহুল আমীন গাজী ভাইয়ের নেতৃত্বে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে ॥ সাংবাদিকদের প্রতিকী অনশনে আন্দোলনকারীরা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব ডাকাতদের কবলে পড়েছে। যে কোনো মূল্যে ডাকাতদের হাতে থেকে প্রেসক্লাব দখলদার মুক্ত করতে হবে। এজন্য আমরা রক্ত দিতে ও জেলে যেতেও প্রস্তুত আছি। আমাদের আন্দোলন দখলমুক্ত করে প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরে আনার জন্য। আওয়ামী বাকশালীদেরও পতন হবে॥
এদিকে অবৈধ দখলকারী জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ভুয়া ‘উন্নয়ন কমিটি’ও গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটির সদস্যরা হলেন- গোলাম সারওয়ার, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আমানুল্লাহ কবীর, খোন্দকার মনিরুল আলম, মনজুরুল আহসান বুলবুল, মাহফুজ উল্লাহ, কার্তিক চ্যাটার্জি, এলাহী নেওয়াজ খান ও গোলাম মহিউদ্দিন খান। আসলে এই কমিটির লক্ষ্য হচ্ছে ক্লাবের কোটি কোটি টাকার তহবিল লুট করা ॥
ইতিমধ্যে তালা ভেঙে জাতীয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির অফিসকক্ষ দখল করেছে ক্লাবের স্বঘোষিত নতুন অবৈধ কমিটির সদস্যরা।
আর জতীয় প্রেসক্লাবে রহস্যজনক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। যা ক্লাবের ইতিহাসে বিরল ঘটনা ॥ প্রেসক্লাবের লকার ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও নগদ অর্থ লুট করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কী কাগজ বা কত টাকা খোয়া গেছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। এতে সন্দেহ স্বঘোষিত নতুন অবৈধ কমিটি এই চুরিতে জড়িত ॥ জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাংবাদিকদের ফোরাম থেকে ৮ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়ায় সাম্প্রতিক জাতীয় প্রেসক্লাবের অবৈধ লিয়াজো কমিটিতে অংশগ্রহন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়॥ বহিষ্কৃতরা হলেন, আমানুল্লাহ কবির, খন্দকার মনিরুল আলম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সরদার ফরিদ আহমদ, ইলিয়াস খান, আমিরুল ইসলাম কাগজী ও গোলাম মহিউদ্দীন। এরা সবাই বিএনপি_ জামায়াত থেকে সুবিধাভুগী সাংবাদিক ॥ এদের সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে আজকের অবস্থানে আসার পিছনে এই দুটি দলের অবদান ॥
আমানুল্লাহ কবির একজন অসৎ দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক হিসেবে তার ব্যাপক নাম॥ দৈনিক দিনকাল ও আমারদেশের সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতন আত্মাসাৎ করে পালিয়ে ছিল ॥
আমিরুল ইসলাম কাগজী একই কাজ করেছিল দৈনিক দিনকাল থেকে সাংবাদিক কর্মচারীদের বেতনের টাকা মেরে দেয় সেটাও ঈদের আগে॥ তিনি এতো বিশ্বাসী
যে প্রেসক্লাবের সদস্যদের হাউজিং সমিতির নির্বাচনে মাত্র পাঁচটি ভোট পেয়েছিলেন??!! তিনি এখন অবৈধ কমিটির সহসভাপতি !!!??? ॥ ইলিয়াস খান অতি চালাক দালাল মিঃ বরিশালী এবং পল্টিবাজ সাংবাদিক এখন অবৈধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ??!!!
এলাহী নেওয়াজ খান সাজু কে সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জামায়াতে হাত আছে॥ সাজু জীবনে যা কিছু করেছে তা সবই জামায়াতের সহযোগীতায় ॥ সংগ্রাম এবং সোনার বাংলায় লেখে লাখ লাখ টাকা মাশুয়ারা নিয়েছে ॥ লোভী এই সাংবাদিক আওয়ামী দালাল এবং জামায়াতে তথ্য পাচারকারী॥
সরদার ফরিদ আহমদ অতি দ্রুত সাংবাদিক হিসেবে যার উত্থান তিনি জামায়াতের কাছ থেকে বিরাট সুবিধা ভুগী॥ এক সময় জামায়াতের নয়া দিগন্ত এবং দিগন্ত টিভির এই সাংবাদিক নিজেকে বামপন্থী হিসেবে পরিচয় দেয়॥ সব ধরনের ইসলাম বিরোধী কাজে এখন লিপ্ত ॥ বাকীদের কথা আর কি বলবো এরা সবাই এখন সরকারের দালালীতে ব্যস্ত ॥ এই অবৈধ কমিটি পুরাতন সদস্যের সদস্য পদ বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে॥
তবে আশা রাখি ক্লাব অবৈধ দখল মুক্ত হবে॥॥
মুক্ত বুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
শিশির খান ১৪ বলেছেন: প্রেস ক্লাব এর সামনে বস্তির পোলারা লাঠি নিয়া দাড়ায় থাকে সাংবাদিক দের পিটানোর জন্য কোই সাংবাদিকরা তখন কি করে ? প্রেস ক্লাব তো দখল হবেই প্রেস ক্লাব এর যে অবস্তা তাতে প্রেস ক্লাব থাকা আর না থাকা একই কথা।