নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবিসি বাংলার খবরটি সত্যিই আতঙ্কিত হওয়ার মতো... নতুন প্রজন্মের মনোজগতে ইনস্টেস নামক অসম যৌনাচারের বিষ ঢুকে পড়ছে!!!॥ আর যা প্রাপ্ত বিভিন্ন ধর্মের দেব দেবীর কল্প কাহিনী ও ধর্ম গ্রন্হাদি থেকে ???!!

১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৬


আপন আত্মীয় স্বজন যাদের সাথে সামাজিক বা ধর্মীয় ভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ তাদের সাথে যৌনাচার করাকে ইনসেষ্ট বলা হয়। আপন মা, বাবা, ভাই, বোন, মামা,চাচা, খালা, ফুফু, নানা, দাদা, নানী, দাদী, ভাগ্না, ভাগ্নি, ভাতিজা, ভাতিজি , সৎ ভাই বোন, সৎ মা-বাবা (হিন্দু ও খৃষ্ট ধর্মে আপন চাচাতো / মামাতো ভাইবোন) এদের সাথে বিবাহ ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ, এদের সাথে কোনো অবস্থায় যৌন সম্পর্ক স্থাপনই ইনসেষ্ট হিসেবে গন্য হয়। সাধারণত মাতাল বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এমনটি ঘটে থাকে, এছাড়া চরম যৌন উত্তেজনাকর অবস্থায়, অল্পবয়সে একাকী এবং ঘনিষ্টভাবে থাকার কারনেও এমনটি হয়ে থাকতে পারে। পরবর্তীতে পরিণত বয়সে এ জন্য মানুষ কে চরম অনুতপ্ত হতে হয় এবং এজন্য অনেকেই অনেক ধরনের মানসিক ব্যধিতে ভুগে থাকে ।
ইলোরা-কোনার্ক, কামশাস্ত্র, কালিদাস, জয়দেব- এসবের কথা ছেড়েই দিচ্ছি, কিন্তু সাধারণ যাপনের খন্ড চিত্রের মধ্যেই তো এর হাজার একটা উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই যে ফি বচ্ছর দেখি আমার বাড়ির সামনের মন্দিরে আট থেকে আশি, ঝুপড়ি থেকে স্কাই স্ক্রাপার, সমস্ত তলার সহোদরা-জননী-ভার্যাকুল ক্যামন নাজ্‌ -নজ্জার মাথা খেয়ে আখাম্বা শিবলিঙ্গে দুধ জল ফুল বেলপাতা চড়িয়ে পুণ্যি অর্জন কর্চ্ছেন, তা কিসের জন্যে? শিব ঠাকুরের লিঙ্গটি কে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে সেটির চারপাশে বেড় দেওয়া বৃত্তাকার ব্যাপারটি একটি পরিস্ফুট যোনিদ্বার ভিন্ন কিছুই না, যার শাস্ত্রীয় নাম গৌরীপট্ট। অর্থাৎ মাতৃ প্রকৃতির যোনী ভেদ করে থাকা অনাদি পুরুষের ইরেক্টেড লিঙ্গ। তন্ত্রে যাকে বলে প্রকৃতি-পুরুষের মিলন, বোষ্টমরা যাকে কাব্য করে বলেন রাধা-কেষ্টর যুগল মিলন, তিব্বতের বজ্রযানী বৌদ্ধরা যাকে বলেন “মণি পদ্মে হুম” (মণি- লিঙ্গ; পদ্ম- যোনি), চৈনিক তাওইস্টরা যাকে বলেন ইন-ইয়াং, মারফতি-বাউলরা যাকে বলেন “মনের মানুষের সঙ্গে মিলন হওয়া”। নামে রূপে ভিন্ন ভিন্ন, অন্তিমে সবই এক ও অভিন্ন। বস্তুত প্রজনন ও সৃষ্টি সংক্রান্ত অবশ্যম্ভাবী কিছু প্রয়োজনীয়তা থেকে উদ্ভূত আদিম জাদু বিশ্বাস থেকেই এই সমস্ত সামাজিক আচারের উৎপত্তি, যাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যৌনতা ও সৃষ্টির সম্পর্ক।
আর শুধু তান্ত্রিক বা বৌদ্ধই নয়, বৈদিক পূজা আচারের মধ্যেও এই আদিম যৌনতা সংক্রান্ত প্রক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়। যেমন ধরুন, বৈদিক পুজো-আচ্চায় যে ঘট প্রতিস্থাপনের রীতি চালু আছে তাও আসলে এই উৎপাদন ও প্রজনন সংক্রান্ত আদিম রীতিরই প্রকাশ মাত্র। পূর্ন ঘট আসলে পূর্ণ গর্ভেরই মেটাফর, যা প্রতিস্থাপিত হয় “যন্ত্র” বা “মন্ডল” নামক দুর্বোধ্য তান্ত্রিক সিম্বলের উপর, আর এই যন্ত্র বা মন্ডল আসলে যোনি, যা থেকে সমগ্র সৃষ্টির সূত্রপাত। যোনির উপর পূর্ণঘট স্থাপন অর্থাৎ শূন্যযোনি থেকে পূর্ণ গর্ভ বা প্রজনন তথা উৎপাদনের দিকে যাত্রা। যেমন দূর্গাপুজোর ঘট প্রতিস্থাপিত হয় সর্বতভদ্র মন্ডলের উপর॥
গ্রীক পুরাণ..
গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী দেবতা ও দেবীদের মধ্যে ছিল ইনস্টেস অবাধ অসম যৌনাচার??!!
জিউসের মেঝোভাই হেডিস বহুত কাহিনী করে যৌন লালসার চূড়ান্ত করে আপন ভাতিজি জিউসেরই মেয়ে পার্সিফোনকে বিয়ে করেন। দেবতা জিউস নিজেও নিজের সহোদর বোন ডিমিটার এর সাথে অবৈধ প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং সে প্রণয়ের ফলেই দেবী পার্সিফোনের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন পাতালপুরীর রাণী।

দেবতা জিউসের অসংখ্য স্ত্রী ছিল। এদের মধ্যে দুই সহোদর বোন ডিমিটার ও হেরাও ছিল। তিনি তার সহোদর বোন হেরার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম করার জোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত তিনি একটা কোকিলের রূপ ধারণ করে শীতার্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় হেরার সামনে গিয়ে পড়েন। হেরা দয়াদ্রচিত্তে কোকিলটিকে হাতে তুলে নেন। গরম করে সুস্থ করার জন্য তার বুকের মধ্যে কোকিলটিকে চেপে ধরেন। এভাবে তিনি কোকিলটিকে উত্তপ্ত করে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। এ সময়ে জিউস স্বরূপে ফিরে আসেন এবং বোন হেরাকে ধর্ষণ করেন। এ লজ্জা থেকে রক্ষা পাবার জন্য হেরা জিউসকে বিয়ে করেন।

মেটিস, লেটো, ইউরাইনোম, ডাইওনি, থেমিস এবং ম্নেমোসিন এরা ছিলেন জিউসের স্ত্রী। এতগুলি স্ত্রী বর্তমান থাকার পরেও দেবরাজ জিউস অসংখ্য স্বর্গের দেবী এমনকি মর্তের নারীদের সাথেও অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচার করে গেছেন। জিউসের সন্তান ডাইওনিসাস, হেলেন অব ট্রয় এবং হারকিউলেস মর্তের সুন্দরীদের সাথে তার অবৈধ প্রণয়ের ফসল। এ ছাড়াও তার আরও সন্তান ছিল যেমন; এ্যপোলো, এরিস, আরটিমিস, এ্যাথেনা, হেফায়েসটাস, হারমিস এবং আফ্রোদিতি। যে ভাবেই হোক এরা সবাই কিন্তু দেবতা এবং এদের প্রত্যেকের নারী-ঘটিত যৌন কু-কর্মের তালিকাও বিশাল। এই হল দেবতাদের কাছ থেকে শেখা যৌন নিয়ন্ত্রণের অবস্থা। দেবতারা যা কিছুই করুক-না-কেন সব জাগায়ই তাদের নারীভোগ চাই॥

2
হিন্দু ধর্মে ইনস্টেস .

এবার দেখি পুরাণ কি বলে:
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff
আবার,অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা) এবার আরও কিছু দেব দেবীর যৌনতার বর্ণনা ॥
১।
যম ও যমী, যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- "তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী, গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে, তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।" (ঋকবেদ মন্ডল-৯, সুক্ত ১০)
সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর 'ভাইফোঁটা' নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- "ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত..."
২।
রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন, পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। "দশরথ জাতক" অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল, তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে, লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে, কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল।
৩।
শুধু ভাইবোন নয়, হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে, পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই।
৪।
পঞ্চপান্ডবের নোংরামি সবাই জানেন, তারপরও মনে করিয়ে দেই। পঞ্চপান্ডব ছিল পাঁচ ভাই। এক বাজিতে জিতে পাঁচ ভাইয়ের একজন (অর্জুন) দ্রৌপদীকে লাভ করেছিল। দ্রৌপদীকে বাড়ি এনে পাঁচ ভাই মাতা কুন্তিকে আহবান করে বলল- এসো দেখে যাও কি এনেছি। মাতা কুন্তি না দেখেই উত্তর করল-" যা এনেছিস পাঁচ ভাই মিলে ভাগ করে খা"। মাতার আদেশ মোতাবেক পাঁচ ভ্রাতাই দ্রৌপদীকে বিয়ে করে ভাগ করে খেয়েছিল...
৫।
হিন্দু মেয়েদের আদর্শ হল সীতা। সীতা নাকি সতি নারীর আদর্শ। সেই আদর্শের আসল রুপ দেখুন- "“সীতা স্বইচ্ছায় রাবন কে করলেন দেহ দান, আর রাবন সীতাকে করলেন বীর্য দান। তাই সীতার গর্ভে রাবনের বীর্যে দুজন জমজ সন্তানের জন্ম হয় যাদের নাম হলঃ ‘লব’ আর ‘কুশ’। [রামায়ন ২:১৯-২১]
৬।
ইসলামে ৪টা বিয়ে জায়েজ- আর এটা নিয়ে হিন্দুদের সে কি আস্ফালন। অথচ হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণ ১৩০০০ মতান্তরে ১৬০০০ টা বিয়ে করছিলো!! এত্তগুলা বিয়ে করেও তার খায়েস মেটেনি তাই সে মামী রাধিকার দিকেও হাত বাড়িয়েছিল। রাধিকা ধর্ষণের সেই ঘটনাকে স্মরন করেই আজ গাওয়া হয় "কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে"...
৭। '
'অপবিত্র নারীর উচিত শান্তচিত্তে শিবের (কামরূপের) উপাসনা করা। অতঃপর তার উচিত কোন ব্রাহ্মণের নিকট নিজেকে সমর্পণ করা এরূপ ভেবে যে 'ইনিই কামরূপে যৌনতৃপ্তি লাভের উদ্দেশ্যে এসেছেন।' এবং ঐ আবেদনময়ী নারীর উচিত ব্রাহ্মণের সকল মনঃকামনা পূর্ণ করা।তের মাস যাবৎ তার এই পন্থাতেই ঘরে আগত (যৌনতৃপ্তি লাভের নিমিত্তে) যেকোনো ব্রাহ্মণকে সম্মান দেখানো উচিত আর এতে সম্ভ্রান্ত নারী এমনকি বেশ্যাদের জন্যও কোন পাপ নেই।'' (সূত্রঃ মৎস্য পুরাণ ৭০:৪০-৬০, মহাভারত ৩:২:২৩)
৮।
সরস্বতী-পুরাণ বলে, ঊর্বশীকে দেখে স্বমেহন (কবিরাজি বাংলায় হস্তমৈথুন) করতেন ব্রহ্মা। তাঁর শুক্রাণু জমা হত একটি পাত্রে সেই পাত্রে জন্ম হয় ঋষি অগস্ত্য এবং অগস্ত্য জন্ম দেন সরস্বতীর। এই সূত্র অনুযায়ী সরস্বতী ব্রহ্মার নাতনি আবার অন্য সূত্র বলে, ব্রহ্মার শুক্রাণু থেকে সরাসরি জন্ম হয় সরস্বতীর। কিন্তু আত্মজার রূপ দেখে মুগ্ধ হন প্রজাপতি। তিনি তাঁর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চান। জন্মদাতার কামনা থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান সরস্বতী। কিন্তু শেষ অবধি হার মানতে হয় ব্রহ্মার কামনার কাছে। ব্রহ্মা এবং সরস্বতী স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকেন পদ্ম ফুলে। প্রায় ১০০ বছর ধরে। তাঁদের পুত্রের নাম 'স্বায়ম্ভুব মনু' এবং কন্যা 'শতরূপা'। কিন্তু এরপরেও ব্রহ্মার বিকৃত যৌন কামনা কমেনি। এতে বিদ্যা এবং জ্ঞানের দেবী সরস্বতী অভিশাপ দেন ব্রহ্মাকে। বলেন, দেবতাদের মূলস্রোতে থাকবেন না প্রজাপতি ব্রহ্মা। অর্থাৎ তিনি পূজিত হবেন না। সত্যি হিন্দু দেবতাদের মূলধারার মধ্যে পড়েন না ব্রহ্মা। তাঁর রাজস্থানের পুষ্কর ছাড়া তাঁর মন্দির এবং অর্চনা বিরল। কুপিত হয়ে সরস্বতী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। দেবী থেকে রূপান্তরিত হন নদীতে।
অতঃপর তারাও দুজন দুজনের সাথে সহবাস করে এবং তাদের মিলনের ফলে ব্রহ্মা দুজন দৌহিত্র ও দুজন দৌহিত্রা লাভ করেন। (মৎস্য পুরাণ ৩ঃ৩২; ভগবত পুরাণ্ ৩ঃ১২-২৮)
ভেবে দেখুন হিন্দুদের ধর্মের দেবতা/ভগবান/অবতাররাই যদি এমন চরিত্রের হয়, তাহলে হিন্দুরা নিজেরা ভাল হবে কেমন করে??? প্রশ্ন জাগে মনে, হিন্দুরা কি তাদের এসব ধর্মগ্রন্থগুলো পড়ে না? যদি পড়ে তাহলে কি তারা এসব নোংরামি দেখে না? যদি দেখে তাহলে কি তাদের কাছে মনে হয় না এটা ধর্মের নামে আসলে একটা অধর্ম?উত্তরটা হল কিছু হিন্দু আসলে এগুলা ভয়েই পড়ে না, কারন পড়লে তো বাপ-দাদাদের পুরাতন ধ্যান-ধারনা আচার-প্রথা হুমকির সম্মুখীন হবে। আর যারা পড়ে তারা শেষমেষ উপায় না পেয়ে নাস্তিক হয়ে যায়, নাস্তিক হয়ে গেলেও দেবতাদের কর্মকান্ড তাদের মনের মধ্যে রয়েই যায়। যার দরুন তারা মনের অজান্তেই দেবতাদেরকে অনুসরন করতে থাকে। এজন্যই আমরা দেখতে পাই- হিন্দুরা কিভাবে নিজের আপন মা-বোনদের সাথে যৌন সম্পর্ক কল্পনা করে চটি গল্প লিখে ইন্টারনেট ভরিয়ে ফেলেছে। আর এর ভয়ংকর কুপ্রভাব আমরা আজ আমাদের সমাজ জীবনে দেখতে পাচ্ছি ॥ যার নির্মম করুণ চিত্র সংবাদ আকারে এসেছে কলকাতার এক ইনস্টেস পরিবার ॥ যারা এক সময়ে এসে নিজের মানবিক মূল্যবোধ আর নৈতিক অবক্ষয়ের কথা ভেবে হয়ে যায় সাইকো বা করে আত্মহত্যা॥ মনোবিজ্ঞানীরা বলছে এসব ইনস্টেস অবাস্তব কল্প কাহিনি নতুন প্রজন্মের মনোজগতে কুপ্রভাব ফেলতে পারে॥ যা সমাজ জীবন যা সভ্যতার জন্যে ভয়ংকর হুমকি হয়ে দেখা দিয়ে পারে॥ তাই মানবিক মূল্যবোধ জাগানো অতি জরুরী ॥ নিচে বিবিসির নিউজটি দেয়া হলো॥
4.
সাম্প্রতিক বিবিসি বাংলার সংবাদ ইনস্টেস নিয়ে....

কলকাতায় কঙ্কাল: 'পরিবারে চলত অবাধ যৌনতা'

অমিতাভ ভট্টশালী বিবিসি বাংলা, কলকাতা

কলকাতায় যে ফ্ল্যাটে এক নারী ও দুটি কুকুরের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অবাধ যৌনতা চলতো বলে আভাস পেয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে ওই কঙ্কালগুলির হদিশ দিয়েছিলেন পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য – কঙ্কাল হয়ে যাওয়া ওই নারীর ভাই।

কলকাতার পুলিশ বলছে, কঙ্কাল হয়ে যাওয়া নারী – দেবযানী দে-র ভাই পার্থ দের কিছু লেখা আর একটি ডায়েরি খুঁটিয়ে পড়ার পরেই তারা এখন নিশ্চিত যে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌনতার সম্পর্ক ছিল।

পুলিশ কর্মকর্তাদের কথায়, পার্থ দে ওই ডায়েরীতে বর্ণনা দিয়েছেন যে কীভাবে তাঁর বড় বোন দেবযানীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.