নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফার্নেস অয়েলে ভাসছে কর্ণফুলী॥?? পরিবেশ স্বাস্থ্যসহ জীব বৈচিত্র্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে ॥

২৩ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:২৪

ফার্নেস অয়েলে ভাসছে কর্ণফুলী॥??
পরিবেশ স্বাস্থ্যসহ জীব বৈচিত্র্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে ॥

সূফি বরষণ
ফার্নেস অয়েল বোয়ালখালি খাল হয়ে ভেসে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে॥চট্টগ্রামের কর্ণফুলি নদীর পানিতে ভাসছে ফার্নেস অয়েলের স্তর। জেলার বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডিতে রেলসেতু ভেঙে বোয়ালখালি খালে পড়ে যাওয়া ফার্নেস অয়েলবাহী তিনটি ওয়াগন থেকে প্রায় এক লাখ লিটার তেল খাল দিয়ে নদীর দিকে ভেসে যাচ্ছে। এতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়তে যাচ্ছে। গত শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায় যেই লাইনের উপর দিয়ে শত শত বছর ধরে রেল চলছে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি ॥ সেখানে এখন কেন এই দুর্ঘটনা ??? আর দুর্ঘটনা নদীর প্রধান খালের উপরেই কেন ঘটবে ॥ না কেউ চক্রান্ত করে আমাদের প্রাকৃতিকে ধ্বংস করার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে??? আর রেলওয়ের কর্মচারীরা
ওয়াগন থেকে তেল পড়া আগে বন্ধ না করে লাইন মেরামতে কেন ব্যস্ত হয়ে পড়লো ???! সেখানেও প্রশ্ন থেকেই যায়॥
সুন্দরবনের মতো এটাও একটা ষড়যন্ত্র আমাদের জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস করার ॥

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম দোহাজারী রেলপথের বোয়ালখালী উপজেলা গোমদন্ডি এলাকায় একটি রেলসেতু ভেঙে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি অয়েল ট্যাংকার ওয়াগন খালে পড়ে যায়। এতে তিন ওয়াগনে প্রায় এক লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল কর্ণফুলী নদীতে ভেসে যাচ্ছে এই অয়েল॥ ঐ দিন সন্ধ্যা দিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনের ইঞ্জিন ও ওয়াগন উদ্ধারে কাজ করলেও ফার্নেস অয়েল অপসারণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি!!!!??
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা নদী গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, খালে ভেসে যাওয়া ফার্নেস অয়েল কর্ণফুলী নদীর পানিতে মিশে গেলে জীব বৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে এই ফার্নেস অয়েল হালদা খালের পানিতে গিয়ে মিশে দেশের বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।॥

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হ্নদয় টানেঃ
কর্ণফুলী নদীর শান্ত শীতল জল, দুপাশে দিগন্ত বিস্তৃত অরণ্য পাহাড়ে অনাবিল সবুজের সমারোহ, নাম না জানা পাখির কিচির মিচির, নদীর পানির বয়ে চলা কল কল শব্দ, জলে ভেসে উঠা নিজের মুখচ্ছবি মনে আলোরণ না তুলে পারে কি , সব মিলিয়ে এ এক স্বপ্নময় রাজ্যে বিচরণের অপার সম্ভাবনাময় উপাদান নিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে বার বার কাছে টানে॥
কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণেই পর্যটকদের কাছে কাপ্তাই আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে উঁচু-নিচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যঘেরা বনাঞ্চল, কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ পানির হৃদয় ছোঁয়া ঝিকিমিকি, চোখ জুড়ানো কাপ্তাই লেক সব মিলিয়ে এ এক অপূর্ব স্বপ্নপুরী॥ মৌসুম ছাড়াও প্রতিদিনই শত শত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে কর্ণফুলী তীরের এই সবুজ অরণ্যভূমিতে।
কর্ণফুলীর তীরে গড়ে ওঠা কাপ্তাইয়ের প্রধান ৬টি পর্যটন স্পট সব সময় মুখরিত থাকে পর্যটকের পদভারে। কিন্তু আজ এইসবই ধ্বংস হতে চলেছে ফার্নেস অয়েলের কারণে ॥
নদীর উৎসঃ
কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রধান নদী।এটি ভারতের মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে শুরু হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাছে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। এই নদীর মোহনাতে বাংলাদেশের প্রধান সমূদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর অবস্থিত। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৩২০ কিলোমিটার।
কথিত আছে এক রাজকন্যা রাত্রিকালীন নৌকা ভ্রমণের সময় তার কানের ফুল পানিতে পড়ে যায় ॥ এই ফুল তুলতে রাজকন্যা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সলীল সমাধি হয়॥ আর রাজকন্যার শোকে রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহুতি দেন। এই করুণ কাহিনী থেকেই নদীটির নাম হয় 'কর্ণফুলী। মার্মা উপজাতিদের কাছে নদীটির নাম কান্সা খিওং॥

কর্ণফুলী নদীর চরঃ
১৮৮৩ সালে কর্ণফুলীর মোহনায় সৃষ্টি হয় লুকিয়া চর। ১৮৭৭ সালে জুলদিয়া চ্যানেল। জুলদিয়া চ্যানেলটি আড়াই মাইল দীর্ঘ এবং দেড় মাইল প্রশস্ত। ১৯০১ সাল থেকে ১৯১৭ সালের মধ্যে পতেঙ্গা চ্যানেলটি জুলদিয়া চ্যানেল থেকে প্রায় দেড় হাজার ফুট পশ্চিমে সরে যায়। হালদা নদীর সাথে কর্ণফুলীর সংযোগ স্থলে আছে বিশাল চর। যা হালদা চর হিসাবে পরিচিত। নদীর প্রবাহের কিছু অংশ নাজিরচর ঘেঁষে, কিছু অংশ বালু চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে এবং কিছু মুল স্রোত হিসেবে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯৩০ সালে কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু নির্মাণের আগে নদীর মূল প্রবাহ প্রধানত কুলাগাঁও অভিমুখে বাম তীর ঘেষেই প্রবাহিত হত। কালুরঘাট সেতু হওয়ার পর সেতুর ডান দিকে আরও একটি প্রবাহের মুখ তৈরি হয়। ফলে নদীর মাঝ পথে সৃষ্টি হয় বিশাল একটি চর- যা কুলাগাঁও চর নামে পরিচিত॥
কর্ণফুলী নদী সংস্কৃতিতে প্রভাবঃ
কবি ওহীদুল আলম ১৯৪৬ সালে কর্ণফুলীর মাঝি নামে একটি কাহিনী-কাব্য রচনা করেন। ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ ১৯৬২ সালে রচনা করেন তার উপন্যাসকর্ণফুলী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামতার কবিতায় লিখেছেন,
“ওগো ও কর্ণফুলী
তোমার সলিলে পড়েছিল কবে কার কানফুল খুলি
তোমার স্রোতের উজান ঠেলিয়া কোন তরুণী, কে জানে
সাম্পান নায়ে ফিরেছিল তার দয়িতের সন্ধানে।
এছাড়াও চট্টগ্রামী ভাষার গানে এবং লোক-সংস্কৃতিতে এই নদীর প্রভাব অনেক। চট্টগ্রামী ভাষার ক’টি জনপ্রিয় গান,
১. ছোড ছোড ঢেউ তুলি পানিত ছোড ছোড ঢেউ তুলি
লুসাই ফা-রত্তুন লামিয়ারে যারগই কর্ণফুলী’।
২. ‘ওরে সাম্পানওয়ালা,
তুই আমারে করলি দিওয়ানা’।
প্রিয় পাঠক দেশের নদী বাঁচলে আমরা বাঁচবো॥ আমাদের নদীকে রক্ষা করতে হবে ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি কি অন্য কোথাও থেকে এই নিউজ সংগ্রহ করেছেন।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১২

সূফি বরষণ বলেছেন: সংগ্রহ না করলে কি কোনো কিছু হাওয়ায় থেকে লেখা যায় ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.