নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলানী পরিবার নির্মম সীমান্ত হত্যার বিচারের নামে প্রহসনের শিকার ?? ফেলানীর তামাশা মূলক বিচারের মতোই দেশের গণতন্ত্র বাক স্বাধীনতা কাঁটাতারে ঝুলছে ॥

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৬

ফেলানী নির্মম সীমান্ত হত্যার বিচারের নামে প্রহসন??

ফেলানীর তামাশা মূলক বিচারের মতোই দেশের গণতন্ত্র বাক স্বাধীনতা কাঁটাতারে ঝুলছে ॥

সূফি বরষণ
বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার পুনর্বিচারেও অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ নির্দোষ বিবেচিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেলানীর স্বজন, প্রতিবেশী, মানবাধিকার সংগঠন ও বিশিষ্টজনরা। আজকের বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্যে দুর্বল পররাষ্ট্রনীতিই দায়ী॥ আমরা রাষ্ট্র হিসেবে দুর্বলতা দেখাতে দেখাতে মূল্যবোধের নিম্ন স্তরে পৌঁছে গেছি ॥ নির্মম হত্যা কান্ডের ন্যায্য বিচার আমরা আদায় করে আনতে পারিনি ॥ ছি ছি বাংলাদেশের অবৈধ সরকার ॥॥ নিজ দেশেই যখন আইনের শাসন গণতন্ত্র বাক স্বাধীনতা আর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত নাই॥ সেখানে পর দেশের কাছ থেকে আমরা কিভাবে ন্যায় বিচার আশা করি ॥
শুধুমাত্র ফেলানীর হত্যা পর কি সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়েছে ??? প্রতিদিন বিএসএফ বাংলাদেশীদের বুকে গুলি চালাচ্ছে॥ ফেলানীর হত্যার পর থেকে আজ পর্যন্ত কয়েক শত বাংলাদেশী সীমান্তে লাশ হয়েছে বিএসএফের গুলিতে॥
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের রায়ে আমরা মর্মাহত।’ ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু বলেছেন, ‘ভারত সরকার বিচারের নামে তামাশা করেছে।’ অন্যদিকে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুম একে ‘লোক দেখানো বিচার’ ও ‘ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী’ বলে অভিহিত করেছে। এ রায়কে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, ‘এ রায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামেরঅনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় ০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন (জন্ম:১৯৯৬ সাল) নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে।বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল। আজও গরীবের জন্যে বিচারের বাণী নিরবে-নীভৃতে কাঁদে। সে কথাটিই সত্য প্রমাণিত হলো। চাঞ্চল্যকর ফেলানী হত্যা মামলায় বিএসএফের আদালতে আবার নির্দোষ ঘোষিত হলো ফেলানীর হত্যাকারী অমিয় ঘোষ।
সারা বিশ্বের মানবতাবাদীদের সাথে আমি বলি এটা বিচারের নামে তামাশা ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৫৬

নৈশ শিকারী বলেছেন: এমন পক্ষপাত দুষ্ট বিচারের জন্য আমাদের সরকারের বিরোধিতা আশা করেছিলাম, আজ নিজেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক ভাবতে খুব ঘৃনা হচ্ছে, এমন দেশে বাস করছি যে দেশে প্রকাশ্যে ধর্ষনের পর লাস উলঙ্গ করে ঝুলিয়ে রাখলেও শাসক গোষ্ঠীরা নির্বাক থাকে দাদাদের সন্তুষ্টির জন্য, ছিঃ এই লজ্জা কোথায় রাখব? পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা পেলেও দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে আর আমরা বাঙ্গালিরা মুক্ত হতে পারলাম না।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:১১

ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: কিছুই বলার নেই ভাই। শুধু অন্তরটা কেঁদে উঠে।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

ফেলানী বাংলাদেশের মানুষের বুকে জীবিত থাকবে দীর্ঘদিন

ফেলানীকে লিখতে গিয়ে অকারণে ছবি ব্যবহার করেছেন আপনি।

যেই মৃত মেয়েকে ইডিয়ট বিএসএফ বহন করে নিচ্ছে সেটা কি ফেলানী? পাশাপাশি কাপড় মিলায়ে দেখেন।

আমিয় ঘোষের বিচার হবে একদিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.