নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব দুই ক উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ???? গান্ধীকে যেভাবে হত্যা করা হয়.

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

পর্ব দুই ক
উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ????
গান্ধীকে যেভাবে হত্যা করা হয়..

সূফি বরষণ
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি নতুন দিল্লীর বিরলা ভবন (বিরলা হাউস) মাঝে রাত্রিকালীন পথসভা করছিলেন। তার হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ছিলেন একজন হিন্দু মৌলবাদী যারা সাথে চরমপন্থী হিন্দু মহাসভার যোগাযোগ ছিল।নাথুরাম বিনায়ক গোডসে ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রকৃত হত্যাকারী। হিন্দু মহাসভা পাকিস্তানীদের অর্থ সাহায্য দেবার প্রস্তাব করে ভারতকে দূর্বল করার জন্য গান্ধীকে দোষারোপ করে। এই কারণেই প্রাণ দিতে হয় এই মহত্মাকে l আমি একটা আর্টিকেলের লিংক দিচ্ছি যেখানে লেখক বিশদ ভাবে এই হত্যা কান্ডের সঙ্গে নাথুরাম গডসের সম্পৃক্ততা এবং যুক্তি
দেখিয়েছেন l
নাথুরাম গডসে কোনো পাগল ছিলো না সে বুঝে শুনে - বিচার, বিবেচনা করে দেশের স্বার্থে এই মহান মানুষটিকে হত্যা করেছে ॥
  Click This Link

গোডসে এবং সহায়তাকারী নারায়ণ আপতেকে পরবর্তীতে আইনের আওতায় এনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৯৪৯ সালের ১৪ নভেম্বর তাদের ফাঁসি দেয়া হয়। নতুন দিল্লীর রাজঘাটের স্মুতিসৌধে আছে "হে রাম" যাকে অনুবাদ করে বলা যায় "ও ঈশ্বর" এত দুটি শব্দ দুটিকে গান্ধীর শেষ কথা বলে বিশ্বাস করা হয়, অবশ্য এই উক্তির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।জওহরলাল নেহরু রেডিওতে জাতীর উদ্দশ্যে ভাষণে বলেন:
"বন্ধু ও সহযোদ্ধারা আমাদের জীবন থেকে আলো হারিয়ে গেছে, এবং সেখানে শুধুই অন্ধকার এবং আমি ঠিক জানি না আপনাদের কি বলব কেমন করে বলব। আমাদের প্রেমময় নেতা যাকে আমরা বাপু বলে থাকি, আমাদের জাতীর পিতা আর নেই। হয়ত এভাবে বলায় আমার ভূল হচ্ছে তবে আমরা আর তাকে দেখতে পাব না যাকে আমরা বহুদিন ধরে দেখেছি, আমরা আর উপদেশ কিংবা স্বান্ত্বনার জন্য তার কাছে ছুটে যাব না, এবং এটি এক ভয়াবহ আঘাত, শুধু আমার জন্যই নয়, এই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য।"
গান্ধীর ইচ্ছানুযায়ী, তার দেহভস্ম বিম্বের বেশ কয়েকটি প্রধান নদী যেমন: নীলনদ, ভোলগা,টেমস 
প্রভৃতিতে ডুবানো হয়। সামান্য অংশ ডঃ ভি এম নোলের (পুণের একজন সাংবাদিক ও প্রকাশক) পক্ষ থেকে পরমহংস যোগানন্দকে পৌছে দেয়া হয়। এরপর তার দেহভস্ম সেলফ রিয়ালাইজেশন ফেলোশিপ লেক স্রাইনের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ব শান্তি সৌধে একটি হাজার বছরের পুরনো চৈনিক পাথরের পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। প্রিয় পাঠক একবারও কি আপনার মনে প্রশ্ন জাগেনি অহিংসবাদী গান্ধীজিকে কেন হত্যা করা হলো॥
গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত স্বাধীন হলো ঠিকই । সমগ্র ভারতবর্ষে তার দল কংগ্রেস যে রক্তের বণ্যায় ভাসিয়ে দিলো তার থেকে নেতা হিসেবে তিনি বাদ যান কি করে ??? ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ শরণার্থী হয় ৪৭ এ ভারত ভাগের সময় ॥ আর সেই কারণ ৫ মিলিয়ন মানুষের রক্ত ৮৩ হাজারের বেশি মা বোনদের ইজ্জত হারিয়ে দেহ করতে হয়েছে রক্ষাক্ত ৪৭ এ॥ হিন্দুধর্মকে তিনি ভালোবাসতেন তাঁর প্রাণের চেয়ে বেশি। স্বাধীনতার সাড়ে পাঁচ মাস পরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতেই তাঁর প্রাণ গেল গান্ধীজির ॥ ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় কলকাতা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মুসলমান কে হত্যা করা হয়েছিল ॥ তিনি দাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে সুদৃর দিল্লি থেকে বাংলাদেশের নোয়াখালীতে চলে আসেন ॥ কারণ নোয়াখালীর ক্ষতিগ্রস্তরা ছিল হিন্দু কিন্তু কলকাতায় ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় তার দল কংগ্রেস মুসলমানদের উপরে সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি ॥ এই হলে অহিংসবাদী সাম্প্রদায়িক গান্ধীজির আসল চরিত্র ॥ আবার তিনিই রাজনীতির স্বার্থে মুসলমানদের সমর্থন পাওয়ার জন্যে খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করে পক্ষে প্রচারণা চালান সভা সমাবেশ করেন ॥ হিন্দুবাদী কংগ্রেসের ছাড় না দেয়ার মনোভাব ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ মূলক চিন্তাভাবনার কারণে ভারত ভাগ হতে হয়॥ ৪৭ এ যে রক্তের বণ্যা বয়ে গেলো এরজন্য গান্ধীজি কিন্তু কম দায়ী নয়॥ বাহ্যিক ভাবে গান্ধীজিকে যত মহান করে উপস্থাপন করা হোক না কেন তিনি কিন্তু ততটা নন বরং তার দুই হাতও মানুষের রক্তে রাঙানো॥ তিনিও একজন হত্যাকারী ॥
গান্ধীজির যত অপকর্ম:
লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর লিংকটা এখানে দিলাম ॥ Click This Link
আপনার পড়ে দেখতে পারেন ॥
আর গান্ধীজির অপকর্ম- নামে লেখা অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী বইটা ||ROKOMARI.COM|| থেকে পড়তে পারেন ॥ আরও পড়তে পারেন এই লিংক থেকে http://www.somewhereinblog.net/blog/ma
ভারত বর্ষ চিরকালই ধর্মভীরু দেশ। তাই ধর্মের নামে এ দেশে অনেক অপকর্ম করা যায়। বুদ্ধিমান গান্ধীজি সেটা বুঝতে পেরে প্রথমেই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। অঙ্গে ধারণ করেন সস্তার ঠেঙ্গো ধুতি ও এক চিলতে চাদর।
পর্ব দুই খ
গান্ধীজি নিজে নগ্ন হয়ে সুন্দরী নারীদের নগ্ন করে শয্যা-সঙ্গিনী করাটা তাঁর বিকৃত যৌনাচার ছাড়া কিছু নয়। তার ফলে গান্ধীজি তাদের মানসিক রোগের কারণ হয়েছিলেন। সেই সব মেয়েরা মূর্ছা যেত। অর্থাৎ, মৃগি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। নির্মল বসু এই নোংরা ব্যাপার নিয়ে গান্ধীজির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
নিজের নাতনি মনু গান্ধীর সঙ্গে উলঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকতেন গান্ধীজি। মনু একদিন বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে একেবারে শেষ করে দিয়েছ’।
গান্ধীজির এই সব নোংরামি দেখে তাঁর একান্ত অনুগত গান্ধীভক্ত স্টেনোগ্রাফার পরশুরাম তাঁর কাছ থেকে চলে যান।
তিনি পাঁচ ছেলের (একজন জন্মের পর পরই মারা যায়) পিতার ব্রহ্মচর্য পরীক্ষা করা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য?
না। অবিশ্বাস্য! অকল্পনীয়! অবাস্তব! এটা স্রেফ গান্ধী মহারাজের বিকৃত যৌনাচার। তাই বলে ভাববেন না গান্ধীর প্রচুর সেক্স ছিল । গান্ধী ছিল বিকৃত রুচির । সমকামিতায় উস্তাদ, আবার কম বয়সী মেয়ে নিয়ে ঘুমোতে যেত । কামের চেয়ে আকাম বেশী করতো । সেক্স নিয়ে প্রচুর গল্প আছে । 
(অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী এর ‘গান্ধীজির অপকর্ম’ বই থেকে গৃহিত)॥ গান্ধীজি অহিংস ছিলেন না। অহিংস ছিল তাঁর মুখোশ। নেতাজি সুভাষকে তিনি কংগ্রেস থেকে সরিয়ে ছিলেন হিংসার অনলে জ্বলে…॥ আর তাঁর সাথে নেহেরুরও ইন্দন ছিল॥
গান্ধীজি রেলের প্রথম শ্রেণিতে চড়তেন না তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতেন সাধারণ মানুষকে নিজের উদারতা দেখাতে ॥ কিন্তু আপনারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন রেলের তৃতীয় শ্রেণির কামরায় তাঁকে নিরাপত্তা দিতে অনেক বেশি ব্যয় হতো॥ গান্ধীজি দেশ বিভাগ চাননি। এ বিষয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘দেশভাগ হলে আমার মৃত দেহের উপর দিয়েই হবে। আমি জীবিত থাকতে দেশভাগে রাজি হব না’।
বেশিরভাগ দেশের মানুষই গান্ধীজির এই উক্তিটা জানে। অথচ এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় ধাপ্পা—সত্যের পূজারীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা। দেশভাগের প্রায় তিন বছর আগেই জিন্নার মালাবার হিলের বাড়িতে এক গোপোন বৈঠকে পাকিস্তান মেনে নেন গান্ধীজি। ভারতের অখণ্ডতা শেষ করেন আগে তিনি। এখানেই শেষ নয়, আরো আছে। কংগ্রেস ওয়র্কিং কমিটির অধিবেশনে দেশ বিভাগের প্রস্তাব গৃহীত হলে তিনি তা সমর্থন করেন। অথচ প্রায় সবাই জানে গান্ধীজির অমতে জিন্না, প্যাটেল, নেহেরু চক্রই দেশভাগ করেছিল। আসলে গান্দীজিই দেশভাগের মূলে। গান্ধির একজন সহযাত্রী তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকা দেখে তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁর খাবারের মূল্য কি ৬ পয়সা? আসলে ৬ পয়সা ছিলনা ॥ অনেক বেশি মূল্যের খাবার খেতেন॥
গান্ধীজির জীবনযাত্রা সাদাসিধে মনে হলেও, ব্যয়বহুল ছিল এবং সরজীনি নাইডু একদিন গান্ধীজিকে বলেছিলেন ‘বাপু, আপনাকে দারিদ্র্যের মত রাখতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে’।
উপরোক্ত তালিকার বাইরে তিনি প্রতিদিন মধু খেতেন এবং গুজরাটি রুটি খেতেন। ঘি দিয়ে পা মালিশ করাতেন।
এই হচ্ছেন গরিবের প্রতিভূ গান্ধী মহারাজ। অনেক জিনিসেরই আসল সত্য ধীরে ধীরেই প্রকাশ পায়। গান্ধীজির অপকর্মও এখন এই ভাবে একের পর এক প্রকাশিত হচ্ছে। গান্ধী মিথ ভেঙ্গে যাচ্ছে॥ গান্ধীজির ধর্মের নামে ভন্ডামি লালসালু কিংবা দেওয়ানবাগীকে ছাড়িয়ে ছিলেন ॥ গান্ধীজির মতো ভন্ড প্রতারক বক ধার্মিক কুটিল রাজনৈতিক এবং খুনী আর একজনও জন্মায়নি ॥ সে আবার জাতির পিতা হয় কি করে ??? ॥ গান্ধীজি একজন হত্যাকারী হিসেবে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারেনা ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ







মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

হামিদ আহসান বলেছেন: পর্ব কি অারও হবে?

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

সূফি বরষণ বলেছেন: জি ভাই মোট এগারো টি পর্ব হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.