নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব সাত উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ???? লিয়াকত আলী খানের যেভাবে মৃত্যু হয়॥

১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

পর্ব সাত
উপমহাদের রাজনীতিতে রক্ত দেয়া নেয়ার খেলা চলছে এবং ভবিষ্যতেও কি চলবে ????
লিয়াকত আলী খানের যেভাবে মৃত্যু হয়॥

সূফি বরষণ
যে রক্তের রাজনীতির ভেতর দিয়ে ভারত_পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্টের জন্ম হলো—রক্ত তাদেরকে ছাড়বে কেন? পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতার মোটামুটি ভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান রক্তপিপাসুদের হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না। পাকিস্তানে প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ১৯৫১ সালে। ওই বছরের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় যোগদানকালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান। আততায়ী লিয়াকত আলী খানের বুকে দু’বার গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার তাকে ‘শহীদ-ই-মিল্লাত’ উপাধিতে ভূষিত করে। রাওয়ালপিন্ডির যে উদ্যানে তিনি নিহত হন, সে উদ্যানের নামকরণ করা হয় “লিয়াকত বাগ”। প্রায় ৫৬ বছর পর একই স্থানে পাকিস্তানের আরেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো আততায়ীর হামলায় নিহত হন।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাগের পর লিয়াকত আলি খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন ও সংবিধান রচনার উদ্যোগ নেন। তিনি পাকিস্তানের সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়ন করেন এবং সংসদে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ উপস্থাপন করেন। পাকিস্তানের সংবিধানের ইতিহাসে এটা “পাকিস্তানের ম্যাগনাকার্টা” হিসেবে পরিচিত। লিয়াকত এটাকে স্বাধীনতার পর তার দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁর আমলে ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমাধানে একমত হয়। তখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এ সমস্যার গণতান্ত্রিক সমাধানের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাশ্মিরে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। জিন্নাহ মৃত্যুর পর পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মাঝে সমস্যা দেখা দেয় এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বিতীয় যুদ্ধের মুখোমুখি হয়। লিয়াকত আলি তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সাথে লিয়াকত-নেহেরু চুক্তি করেন। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নয়ন করা। ১৯৫১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান।১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ একই সময় করাচীতে একটি কাগজের টাকা ছাপার কারখানাও (টাকশাল) স্থাপিত হয়। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বৃটিশ সেনাপ্রধান ডগলাস গ্রেসী অবসরে গেলে লিয়াকত আলি খান জেনারেল আইয়ুব খানকে সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে নিয়োগ দেন। এই বছরই পাকিস্তানের প্রথম সামরিক অভ্যূত্থান সংঘঠিত হয়। এই ব্যর্থ অভ্যূত্থান রাওয়ালাপিন্ডি ষড়যন্ত্রনামে পরিচিত। এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলেন সামরিক বাহিনীর চিফ-অব-জেনারেল স্টাফ জেনারেল আকবর খান। তাঁর সাথে আরো ১৪ জন্য সেনাকর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। কোর্ট মার্শালে দোষী প্রমাণিত হবার পর এদের দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ড প্রদান করা
হয়॥ আর যে ঘটনার ধারাবাহিকতায় তাঁর মৃত্যু হয় ॥

মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.