নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ভাগ্যের অবস্থা আজ খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

বাংলাদেশের ভাগ্যের অবস্থা আজ খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা কুমিরের মতো ??!!!!

সূফি বরষণ
বাংলাদেশের অবস্থা শিক্ষকের গরুর রচনা ছাত্রের হাতে কুমিরের রচনা হয়ে যাওয়ার মতো॥
বাংলাদেশের প্রচলিত লোকগল্পটি হলো, একদা এক শিক্ষক তাঁর ছাত্রদের কে গরুর রচনা লিখে আনার পাশাপাশি বলে দিলেন, যে বেশি পৃষ্ঠা লিখতে পারবে সে বেশি নম্বর পাবে?? তাঁর এক গুণধর ছাত্র গরুর রচনা লেখা শুরু করলো এইভাবে যে, আমাদের একটি গরু আছে॥ গরুর দুটি পা .......আছে ইত্যাদি ইত্যাদি ॥ সব বর্ণনার পর ছাত্র দেখলো দুই পৃষ্ঠায় রচনা শেষ ॥ তাই যেই ভাবা সেই কাজ ॥ সে আবারও শুরু করলো আমাদের গরুকে নদীর পাশের মাঠে চড়ায় এবং প্রতিদিন নদীর পানিতে গোসল করায়॥ একদিন গরুকে নদীতে গোসল করানোর সময় ইয়া বড় এক কুমির এসে গরুর পায়ে কামড়ে ধরলো সেই কুমির ছিল খুবই ভয়ংকর , ছিলো বড় বড় দাঁত আর ছিলো বিশাল বড় লেজ ॥ আর সেই লেজে ছিল অনেক খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা......., চল্লিশ পৃষ্ঠায় শেষ॥ খাতা দেখার সময় শিক্ষক যতই পৃষ্ঠা উল্টায় শুধুই খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা???!!!
শিক্ষক তো রাগে ক্ষোভে যা তা অবস্থা ॥ শিক্ষক ভাবলো এইবার এমন রচনা দিতে হবে যাতে সে আবার কুমিরের রচনা না লিখতে পারে? তাই এবারের বিষয়
বর্ষাকাল ॥ ছাত্র তখন শিক্ষকে বললো এটা তো আর অনেক সহজ রচনা ?? এবার পঞ্চাশ পৃষ্ঠা লিখতে পারবো !! ছাত্র রচনা লেখা শুরু করলো এভাবে, এবার বর্ষাকালে আমি আমার বাবা মার সাথে নৌকায় করে মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ছিলাম ॥ যাওয়ার পথে আমরা সবাই আনন্দের সাথে গল্প করছিলাম আর আকাশে তখন অনেক মেঘ ॥ তখনই বৃষ্টি নামতে শুরু করলো, এমন সময় এক বিশাল কুমির নৌকার সামনে হা করে ভেসে উঠল ॥ সেই কুমিরের ছিল বড় বড় দাঁত আর ছিলো বিরাট বড় লেজ॥ কুমিরের লেজে ছিল অনেক খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা.... পঞ্চাশ পৃষ্ঠায় শেষ ॥ শিক্ষক তো রাগে গড় গড় করে চুল ছিঁড়ে ফেলার মতো অবস্থা ॥ এবার শিক্ষক অনেক ভেবে চিন্তে রচনা দিলো আমাদের বিদ্যালয় ॥ ছাত্র বলে স্যার এতো অনেক সোজা ষাট পৃষ্ঠা লিখতে পারবো ॥ ছাত্র রচনা লেখা শুরু করলো, আমাদের বিদ্যালয় অনেক সুন্দর ॥ বিদ্যালয়ে একটি বিশাল বড় খেলার মাঠ আছে ॥ কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতি বছর বর্ষাকালে বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠার ফলে আমরা খেলাদোলা করতে পারি না॥ একদিন আমি বন্ধুদের সাথে মাঠের পাশে দাঁড়ায়, তখন এক বিশাল কুমির পানির ভিতর থেকে হা করে ভেসে উঠলো ॥ সেই কুমির ছিল খুবই ভয়ংকর, বিশাল বড় দাঁত আর বিশাল বড় লেজ॥ লেজে ছিল অনেক ধারালো খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা.... লিখে ষাট পৃষ্ঠায় রচনা শেষ করলো ছাত্র ॥ ছাত্রের এই অবস্থা দেখে তো শিক্ষক রাগে নিজের মাথার চুল ছিঁড়ে ফেরার মতো অবস্থা ॥

শিক্ষক দেখলেন, এ তো ভারী বিপদ। শেষে তিনি অনেক ভেবেচিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন: পলাশীর যুদ্ধ। লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কী করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস।
তো ছাত্র লিখলো: ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ ও বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফরকে বিশ্বাস করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন। এই কুমির ছিল খুবই ভয়ংকর যে কিনা দুশত বছরের জন্য বাংলাকে গিলে ফেলে ॥ জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। এটি জলে বসবাস করে। এর চোখ গোল গোল। কুমিরের আছে বিশাল বড় লেজ॥ লেজের মধ্যে অনেক খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা, খাজ কাঁটা...সত্তর পৃষ্ঠা শেষ।
এই গল্প বলার কারণ হলো দেশের সব সরকারই ঐ ছাত্রের মতো দেশের অবস্থাকে কুমিরের রচনা বানিয়ে ফেলে ॥ আর ঐ শিক্ষকের মতো দেশের জনগণ যতই রচনার বিষয়(সরকার) পরিবর্তন চাই, কিন্তু পরিবর্তন আর হয় না॥ জনগণের ভাগ্যে থাকে শুধু খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা........॥
আমাদের ভাগ্য আর সহসা পরিবর্তন হচ্ছে না দুর্ভাগ্য আমাদের সাথে লেগেছিল এবং লেগে আছে আর ভবিষ্যতেও মনে হয় থাকবে ??॥কারণ আমরা যতই আশা করি সব কুমিরের রচনা হয়ে যাবে খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা , খাঁজ কাঁটা ,খাঁজ কাঁটা....,.



মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.