নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানীকে বলি তুমি বাংলা পারো? বিজয় দিবস উদযাপন নাকি নির্লজ্জতা আর নোংরামির মহাআয়োজন ???

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২




পাকিস্তানীকে বলি তুমি বাংলা পারো?
বিজয় দিবস উদযাপন নাকি নির্লজ্জতা আর নোংরামির মহাআয়োজন ???

সূফি বরষণ
আজ সকাল থেকেই ভাবছিলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখবো আমি কেন পাকিস্তান,পাকিস্তানী ও উর্দ্দু ভাষা কে ঘৃণা করি॥ কারণ নিজে শতভাগ বিশুদ্ধ ভাবে উর্দ্দু পড়তে ও লিখতে পারি এবং বলতেও পারি॥ তারপরও কেন আমি উর্দ্দু ভাষায় কোনো পাকিস্তানীর সাথে কথা বলি না!??

কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই এক প্রকার ঘৃণা থেকে কোনো পাকিস্তানীর সাথে উর্দ্দুতে কথা বলি না॥ কারণ সেটা মায়ের ভাষা বাংলার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অনেক বেশি আবেগ জড়িত বলে এবং অনেক বেশি বাংলাকে ভালোবাসি বলে, বুকের মধ্যে লালন করি বলে॥

কোনো পাকিস্তানী যদি আমাকে বলতো উর্দ্দু আতা হে তখন আমি বুঝে ও বলতাম বুঝি নাই !? তখন কষ্ট করে সে বলতো ইউ স্পিক উর্দ্দু ? তখন আমি বলতাম না !? এবং উল্টো আমি তাদের মুখের উপরে বলতাম ইউ স্পিক বাংলা ? এই আলাপের সময় প্রতিবার আমি প্রত্যেক পাকিস্তানীকে বলতাম বাংলা শিখে ফেল অনেক সহজ॥ আর তখন অনেক পাকিস্তানীই বলতো বাঙালীকে তো উর্দ্দু আতা হে ?! কিন্তু আমি বলতাম না আমি পারিনা উর্দ্দু বলতে যেমন তুমি পারনা বাংলা বলতে॥ লন্ডনে যখন একজন বাঙালীকে কোনো পাকিস্তানীর সাথে উর্দ্দুতে কথা বলতে দেখতাম তখন আমার অনেক বেশি রাগ হতো ॥ সামান্য পরিচয় থাকলেই প্রতিবাদ করতাম এবং এখনও করি, কেন উর্দ্দুতে কথা বলছেন বাংলাদেশী হয়ে আর বুঝিয়ে দিতাম যে, আর কোনো সময় কোনো পাকিস্তানীর সাথে উর্দ্দুতে কথা বলবেন না॥

এবার আমার লন্ডনের বাসার কথা বলি, আমি যে বাসায় থাকি সেই বাসায় একজন পাকিস্তানী থাকে॥ সে শতবার চেষ্টা করেছে আমার সাথে উর্দ্দুতে কথা বলতে কিন্তু আমি বলি নাই ?! সাফ বলে নিয়েছি আমার সাথে যদি কথা বলতে চাও তবে ইংরেজি বা বাংলাতে বলতে পার॥ আমি উর্দ্দু বলতে পারিনা !? ঐ পাকিস্তানী কিভাবে যেন জেনেছে যে আমি অনেক বিশুদ্ধ ভাবে উর্দ্দু বলতে পারি॥ তাই সে বেচারা পাকিস্তানী আমার সাথে কথা বলায় বন্ধ করে দিয়েছে ॥বন্ধ করার আরও একটি বড় কারণ সে আমার মতো পরিস্কার ভাবে ভালো ইংরেজি বলতে পারে না?!॥
আর আমি এই সবই করছি বিলেতের মাটিতে মায়ের ভাষা বাংলার প্রতি অনেক বেশি ভালোবাসা শ্রদ্ধা ও গভীর আবেগ থেকে এবং পাকিস্তানের প্রতি অনেক বেশি ঘৃণা থেকে ॥ আগামী একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত লিখবো॥

এবার আসি বিজয় দিবসের মূল আলোচনায়, দেশ থেকে ছোটো ভাই বিজয় দিবস পালনের যে খবর দিয়েছে তাতে প্রসঙ্গ পাল্টে বিজয় দিবস নিয়ে লিখতে বাধ্য হলাম ॥ ছোটো ভাই চাকরির সুবাদে ঢাকা ও নারায়ণগন্জের বিভিন্ন অলি গলিতে ঘুরে যা বিজয় দিবস পালন দেখেছে তা এখানে বর্ণনা করছি॥ গলির মোড়ে মোড়ে মাইক বা সাউন্ড বক্স বসিয়ে হিন্দি ছায়াছবির গান বাজানো হচ্ছে ॥ আর গানের তালে তালে উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা নৃত্য করছে,

শিলা কি জাওয়ানী আই এম সেক্সী ফর ইউ!!!! আর সাথে আছে গাঁজা বিয়ার আর ওয়াইন ভট্কা, এসব সেবন করে তরুণ তরুণীরা হেলে দোলে পড়ে আর এই নাকি নতুন প্রজন্মের চেতনার বিজয় দিবস পালন ??! তার উপরে আছে প্রচণ্ড উচ্চ স্বরে মাইকে হিন্দি গান বাজিয়ে নগর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে ॥ কারণ গানের ভাষাই হলো পানি ওয়ালা ডেন্স ...আ যা মেরে ছাত লাগা লে দো টাকিলা শর্ট ... আরও আছে ইয়ে দুনিয়া পত্তল দে শুনে শুনে রাক্খা .......এভাবেই চলছে রাতভর বিজয়ের নামে হিন্দি গান যৌনতা আর মাদক ও জোয়া খেলার আসর???
হায় রে আমার বিজয় দিবস
হায় রে আমার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ??!!

আর সরকারি আইনে নাগরিকের চলাচল সীমিত করা হয়েছিল , গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীর চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে বিরানী খাওয়া আর নর্তকী নিয়ে হিন্দি গানে তালে তালে নাচানাচি করা এই কি তাহলে বিজয় দিবস পালন!!?? এইসব দিবস উপলক্ষে আওয়ামীদের চাঁদাবাজিতে সাধারণ মানুষের জীবন আজ অতিষ্ঠ দুর্বিসহ্য করে তুলেছে ॥

পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দুই লাখ টাকার আতশ বাজি জ্বালানো ও ফুটানো হয়॥ ছোটো ভাই আক্ষেপ করে বলে ভাই পলাশীর বাজার থেকে লালবাগ কেল্লা পর্যন্ত রোডে রাতের বেলায় অনেক কষ্ট করে রাস্তায় থাকা মানুষের জন্যে একটি কম্বল ও এক মুটো ভাত ভাগ্যে জুটে না ॥ হায় রে আমার বিজয় দিবস ???!!

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

মতো বলতে হয়,
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আড়ষ্ট কুমারী জননী,
স্বাধীনতা, -একি তবে নষ্ট জন্ম?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?

জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ সেই পুরোনো শকুন।

বাতাশে লাশের গন্ধ-
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দোলে মাংসের তুফান।
মাটিতে রক্তের দাগ-
চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়।

এ চোখে ঘুম আসে না। সারারাত আমার ঘুম আসে না-
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ,
মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমোতে পারিনা-

রক্তের কাফনে মোড়া কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা, সে আমার স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন-
স্বাধীনতা, সে আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।

ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
হাসিনার দুঃশাসনের বাস্তব চিত্র যেন এই কবিতায় আবারও নতুন করে ফুটে উঠেছে ॥ এই শাসন আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হারিয়ে দিয়েছে ॥ তা এখন আওয়ামী জাহেলিয়াতে রূপ নিয়েছে ॥
স্বাধীনতা পর কি দেশে খুন ধর্ষণ লুটপাট বন্ধ হয়েছে ?? খুনী হাসিনার বর্বরতা পাক হানাদার বাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক দূর ॥ অনির্বাচিত অবৈধ স্বৈরাচার হাসিনা দেশে যে শাসন চালাচ্ছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে এক নারকীয় তান্ডবীয় শাসন ॥
তার উপরে দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে আকাশ সংস্কৃতির ইসলাম বিরোধী সংস্কৃতি যাকে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলা হচ্ছে একজন মাদকসেবী ও যৌন রোগী হিসেবে ॥

শুধু তাই নয় পার্ক গুলোর অবস্হা আরও ভয়াবহ সেখানে আমার আপনার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই ???সর্বত্রই বসে দখলে নিয়েছে প্রেমিক যুগল?? কিছুটা দূর থেকে বুঝার কোন উপায় নেই যে দুজন বসা॥

বিভিন্ন দিবসে এসব বিকৃত প্রেম চর্চার যুগলের নির্লজ্জ বেহায়াপনার উত্তেজনা যেন আরও কয়েক গুণে বেড়ে যায় ॥ তার উপরে নতুন করে যোগ হয়েছে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় জুস বার সিসা বার আর নাইট ক্লাব ॥ ডিজে পার্টি নামে চলবে রাতভর যৌন উন্মাদনা আর হিন্দি ইংরেজি বা আরবি গানের উম্মে কুলসুমের সুরে হাবিবা হাবিবা তাফাদ্দাল ইয়া হাবিবা ॥ সেই আধো আলোর ধোঁয়ায় অর্ধ উলঙ্গ তরুণীরা সেক্সী নিতম্ব আর বাহু দোলিয়ে করবে যৌন উন্মাদনার নৃত্য ॥ বাঙালী মুসলিম সমাজে উড়না যে একটি অপরিহর্য পোশাক তা আজ তরুণীদের আধুনিকতার উত্তেজনার চাপে পড়ে বিলুপ্ত হতে বসেছে ॥ তরুণীরা সব শর্ট পোশাক পড়ে॥

জামা এমনিতেই শর্ট তার ওপরে দুপাশে কাটা আর ঐ কাটার ফাঁক দিয়ে যে সফেদ কোমর ও পেটের ভাজ দেখা যায় সেটা কে বুঝাবে এই নির্লজ্জদের॥ আবার সফেদ শরীরের গালে আকঁা হয় উল্কি॥ এতো কিছুর সাজে সাজা অর্ধ উলুঙ্গ তরুণীদের উপর যদি কোন তরুণ ঝাঁপিয়ে পড়ে তবে এই প্রত্যাশিত ঘটনার জন্যে দায়ী কে???? এসব দিবসে নতুন করে কত মেয়ে যে কুরবানীর শিকার হয় সেটা আল্লাহই ভালো জানেন॥ জাতির পতাকার ডিজাইন আজ চলে এসেছে মেয়েদের জুতা শাড়ি ব্লাউজ পেডিকোট ও টপের মধ্যে ??!!! আর পতাকা দিয়ে পাছা বিছিয়ে বসার জন্য ??! অথবা কুকুরের টি সার্ট হিসেবে ॥

এই যদি হয় পতাকার অবস্হা তবে আমার মতো ছ পয়সার সাংবাদিকের আর কিছু বলার
নাই ॥ এমন নির্লজ্জ বেহায়াপনার মাধ্যমে মহা বিজয় দিবস পালনের আমি কোনো যুক্তিকতা খুঁজে পাই না ॥
মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র থেকে
সূফি বরষণ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.