নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণের ষড়যন্ত্র করে দেশের মিডিয়া ॥ আসলে অখন্ড ভারত বলতে কিছুই ছিলনা ॥

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৭

বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণের ষড়যন্ত্র করে দেশের মিডিয়া ॥ আসলে অখন্ড ভারত বলতে কিছুই ছিলনা ॥

বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন দ্যা রিপোর্ট 24 পত্রিকার সম্পাদকীয়! কেন বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র ? এইসব পত্রিকা কি চাই? এর আগে দৈনিক প্রথম আলো বলেছে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে ? বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের কোনো যুদ্ধ হয়নি ?!! আসলে বাংলাদেশের পত্রিকা গুলো কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র এজেন্ট হয়ে কাজ করছে??!! Click This Link
তারা কি ব্রিটিশ শাসনের সময়ে বাংলার মুসলমানদের উপরে নির্যাতন অত্যাচার জুলুম ফিরিয়ে আনতে চাই॥ তারা কি চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো মুসলমানদের সম্পত্তি ও জমিদারি দখল করতে চাই॥ বাবরি মসজিদের মতো বাংলাদেশের মসজিদ গুলোতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে চাই॥ বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চাই ? যে ভারতে ১৭ হাজার দাঙ্গা সংঘটিত করে মুসলমানদের হত্যা করেছে॥ এইসব আমরা বাংলাদেশীরা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের মতো দালাল বা বুর্জোয়া হয়ে ভারতের অধীনে পরাধীন থাকতে চাই না আমরা স্বাধীন আছি ভালো আছি॥
“বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে ভারত এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী হিসেবে ভারতীয় হিন্দুরা যদি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের জনগণের তরফ থেকে এ ধরনের উদ্যোগের ইতিবাচক সাড়া আসা সম্ভব। আমরা মনে করি, ৬৭ বছর আগে যে বাস্তবতায় ধর্মীয়ভাবে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়েছিল, আজকের পরিস্থিতি তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর হিন্দুরা মুসলমানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করবে, মুসলমানদের সে ধরনের আশঙ্কায় ভোগার কথা নয়। বলা যায়, বৃহৎ এই দুই সম্প্রদায় অবিভক্ত হিন্দুস্থানে পারস্পরিক মর্যাদা ও স্বার্থরক্ষা করে সহাবস্থান করতে পারার বাস্তবতা বিরাজমান। এই অঞ্চলের ১৫০ কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এমন একটি রাষ্ট্র সত্যি বড় দরকার”। এই লিংকে বিস্তারিত পড়তে পারে।
আসলে সত্যি বলতে কি অখন্ড ভারত বলতে কোনো কালে কিছু ছিল না॥
'অখন্ড ভারত' প্রতিষ্ঠা নিয়ে কিছু কথা:
আমরা যদি গত তিন হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখব সব সময় ব্রাহ্মনরা বৌদ্ধদের জৈনদের নানা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে. আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে আর্য-ব্রাহ্মনরা ভারতীয় উপমহাদেশে আসে এবং হিন্দু ধর্ম চালু করে. হিন্দু ধর্ম চালু করলেও কর্তিত্বটা আর্য-ব্রাহ্মনদের হাতে রেখে দেয়া হয়, নিয়ম করা হয় স্বর্গে যেতে হলে ব্রাহ্মনদের আনুগত্য করতে হবে. বৌদ্ধরা এবং জৈনরা আর্যদের তৈরী করা এই ধর্মের সমালোচনা শুরু করে, নতুন ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়. শুরু হয় বৌদ্ধদের-জৈনদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন, লাখ লাখ বৌদ্ধ এবং জৈনকে হত্যা করা হয়. ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের ক্ষমতা গ্রহনের আগ পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মের লোকদের উপর জৈন ধর্মের লোকদের উপর এই অত্যাচার-নির্যাতন চলতে থাকে.
রাজা অশোক উড়িষ্যাতে এক লাখ (মিলিয়ন নয়) বৌদ্ধকে হত্যা করেছিল, পরবর্তিতে রাজা অশোক এই অনুশোচনায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে. রাজা শশাঙ্ক তার শাসনামলে ঘোষণা করেছিল যেখানে বৌদ্ধ পাবে সেখানেই হত্যা করবে. সেন শাসনামলে বৌদ্ধদের উপর আবার অত্যাচার-নির্যাতন নেমে আসে. সেন শাসমলের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে বৌদ্ধরা মুসলমানদের সাহায্য চায় ফলে বখতিয়ার খিলজি বাংলা বিজয়ে এগিয়ে আসে. উত্তর ভারতীয় অঞ্চল, বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা যেখানেই মুসলমানরা ক্ষমতা গ্রহণ করেছে বৌদ্ধরা এবং জৈনরা মুসলমানদেরকে সহযোগিতা করেছে. মুসলমানদের ক্ষমতা গ্রহনের মধ্য দিয়ে আর্য-ব্রাহ্মনদের অত্যাচার-নির্যাতন, জোর করে বৌদ্ধদেরকে হিন্দু বানানোর প্রচেষ্টা বন্ধ হয়. ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের আগমনে যেভাবে বৌদ্ধরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তেমনিভাবে ব্রিটিশদের আগমনে ব্রাহ্মনরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল. নদীয়ার রাজা কৃষ্ণদেব নবাব সিরাজ উদ দৌলা থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল. তারপর ক্রমান্বয়ে সমগ্র ভারত বর্ষই মুসলমানদের থেকে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়. শুরু হয় গোলামির জীবন, বৌদ্ধদের মুক্তিদাতা মুসলমানরা এবার নির্যাতিত হতে থাকে. একদিকে ব্রিটিশ একদিকে ব্রাহ্মন দুয়ে মিলে মুসলমানদের উপর যে অবর্ণনীয় অত্যাচার-নির্যাতন চলে সেটা থেকে আজাদী আসে ১৯৪৭ সালে. মুসলমানরা বৌদ্ধদের মত হারিয়ে যায়নি, ধর্মও পরিবর্তন করেনি কিংবা অন্য দেশেও চলে যায়নি- বরং প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, পাকিস্তান আন্দোলনের সফলতার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিয়েছে.
ভারত মূলত কোনো দেশের নাম নয়, এরা কোনো একক জাতিও নয়. ভারত হচ্ছে একটা উপমহাদেশের নাম. নানা জাতের নানা ভাষা-ভাষী অঞ্চল. বৃটিশরাই সর্বপ্রথম ভারতীয় উপমহাদেশকে একসাথে করে তবে সে সময়ও হায়দ্রাবাদ, কাশ্মীরসহ অনেক স্বাধীন রাজ্য ছিল. অর্থাত আক্ষরিক অর্থে ব্রিটিশ ইন্ডিয়াও অখন্ড ছিল না.
মুসলিম শাসনামলে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যাতে স্বাধীন সুলতানি শাসন ছিল. মুঘলদের শাসনটা ছিল মূলত উত্তর ভারত ও পাকিস্তান কেন্দ্রিক. টিপু সুলতান দক্ষিন ভারত শাসন করেছে. গুজরাটে, আসামে আলাদা মুসলিম রাজ্য ছিল. মুসলমানদের আগমনের আগেও ভারতীয় উপমহাদেশ নানা অঞ্চলে বিভক্ত ছিল এবং আলাদা আলাদা রাজা দ্বারা শাসিত হত. মহারাষ্ট্র স্বাধীন দেশ ছিল তারা বাংলাতে লুটপাট করতে আসত. কেরালা-তামিল নাড়ু সবসময়ই স্বাধীন ছিল. মনিপুর-মিজোরাম এরাও স্বাধীন রাজ্য ছিল. মূলত অখন্ড ভারতের স্লোগান হচ্ছে প্রতিবেশী ছোট ছোট দেশগুলোকে গ্রাস করার স্লোগান আর ভারতের যেসব অঞ্চল স্বাধীন হতে চায় তাদেরকে ধরে রাখার একটা চেষ্টা. ঐতিহাসিকভাবে হাজার বছরের অখন্ড ভারত বলে কিছু নাই. ব্রিটিশদের অধীনস্ত ইন্ডিয়ার কথা বাদ দিলে অখন্ড ভারতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না. ভবিষ্যতেও অখন্ড ভারত বলে কিছু হবে না, মানুষ স্বাধীনভাবে বাচতে চায় ব্রাহ্মণ্যবাদের দাসত্ব করতে চায় না.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.