নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি\nমানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ

ানু মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি

সূফি বরষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার মেট্রো রেল এবং লন্ডনের ডিএলআর রেল নিয়ে কিছু কথা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩২





মুহাম্মদ নূরে আলম সূফি বরষণ
লেখক লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একজন সাংবাদিক বড় ভাইয়ের সাথে কানারি ওয়ার্ফ (canary wharf ) পাতাল স্টেশন থেকে বেরিয়ে হেঁটে ওনার বাসায় যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে ডিএলআর লাইনের নিচে দিয়ে যেতে হয়। কারণ ডিএলআর রেলের অধিকাংশ লাইনই ফ্লাইওভার করে তৈরী, মানে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে ডিএলআর রেল চলে তবে কিছু কিছু জায়গায় পাতাল লাইন ও স্টেশন আছে। তখন ডিএলআর লাইনের নিচে দিয়ে যাওয়ার সময় দুজনের মাথার উপর দিয়ে একটি ডিএলআর রেল প্রচণ্ড শব্দে এবং রাতের নিরব পরিবেশকে কম্পিত করে চলে গেলো।
তখন আমার দুইজন সাংবাদিক আলোচনা শুরু করলাম ঢাকার মেট্রো রেল এবং লন্ডনের ডিএলআর রেল নিয়ে। আলোচনা মূল বিষয় হলো মেট্রো রেল যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়ে যায় তবে লন্ডনের ডিএলআর রেলের মতো প্রচণ্ড শব্দ ও কম্পন হবে কিনা । যেখানে বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, সেই সাথে আছে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ও বণ্যার পানি সমস্যা ,আছে লন্ডনের মতো দক্ষ চালকের অভাব।
এবার একটু ডিএলআর রেল নিয়ে বলি,১৯৮৭ সাল থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে চালু হওয়া দ্যা ডিএলআর ট্রেনটি ইস্ট লন্ডনের ডকল্যান্ডস থেকে লন্ডন সিটি এবং ইস্ট লন্ডনের বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিস দিয়ে আসছে। ২০১৪ সাল থেকে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের পক্ষে কিয়োলিস এমি নামে কোম্পানীটি ডিএলএর অপারটে করে আসছে।
Docklands light railway (DLR) লন্ডনের রেল ব্যবস্থার পুনঃসংষ্কারের লক্ষ্যে এবং যাত্রী পরিসেবা বাড়ানোর জন্য Docklands এলাকা হতে ১৯৮৭ সালে খোলা একটি স্বয়ংক্রিয় লাইট মেট্রো সিস্টেম। এই রেল শহর টাওয়ার গেটওয়ে এবং ব্যাংক ওয়েস্ট হতে Lewisham , স্ট্রাটফোর্ড এবং প্রাচ্যের Beckton, লন্ডন সিটি বিমানবন্দর এবং Woolwich আর্সেনাল পর্যন্ত প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সিস্টেম ট্রেন ও প্রধান অদল বদল স্টেশনে সংক্ষিপ্ত একটি ব্যবহার পদ্ধতি রয়েছে ; যার মাটির নিচে নীচের মাঠ স্টেশন, ভূগর্ভস্থ স্টেশন অগ্নি ও নিরাপত্তা প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে নিরাপদ করা হয়।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ যে, লন্ডনের সাউথ কী থেকে ডিএলআর ট্রেনে করে স্টাটফোর্টে যাওয়ার পথে ইস্ট ইন্ডিয়া নামে একটি স্টেশনও রয়েছে এই ডিএলআর রেলে । আমার কৌতূহল ছিল ওই স্টেশনটির নাম ইস্ট ইন্ডিয়া কেন! খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্য করতে এসে বাংলাদেশ দখল করেছিল, তাদের একটি জেটি ছিল এখানে। টেমস নদীর তীরজুড়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক জেটি ছিল এটি। এখান থেকে তাদের ব্যবসায়িক পণ্য বিভিন্ন দেশে জাহাজে করে পাঠানো হতো আবার অন্য দেশ থেকে পণ্য এখানে এসে ভিড়তো। এখন টেমস নদী কিছুটা দূরে সরে গেছে। নদী দূরে চলে যাওয়ায় এই এলাকা ভরাট করে ভবন তৈরি হয়েছে। এখন এটি অভিজাত বাণিজ্যিক এলাকা। তবে নামটি রয়ে গেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামে। এ নামেই এখানে রেল স্টেশন। লন্ডনের ডিএলআর রেল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত এই লিংকে পাবেন ।https://tfl.gov.uk/modes/dlr/

ঢাকার মেট্রো রেল সংক্রান্ত জাইকার সাথে সরকারের চুক্তির লিংক । Click This Link
আর এই লিংক ঢাকার মেট্রো রেল সংক্রান্ত মূল ওয়েবসাইট থেকে আপনি সব তথ্য জানতে পারবেন । http://www.dmtc.org.bd/
রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য সরকার মেট্রোরেল তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুব শিগগিরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। আপনাদের স্বপ্নের ঢাকার বহুল প্রতিক্ষীত মেট্রোরেল প্রকল্প নির্ধারিত সময় ২০১৯ সালে বাস্তবায়িত হলে রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে মোট ২৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট অন্তর অন্তর । উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেইট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই ট্রেন, সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। আর এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয়েছে ৭০ মিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা।
রাজধানীতে মেট্রোরেল রুট নির্মাণে ইতোমধ্যে অ্যালাইনমেন্ট ও ১৬টি স্টেশনের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। শেষ হয়েছে প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন স্থানে চালানো ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ। ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শেষে হবে ২০১৬ সালের অগাস্টে। মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের একটি রুট প্রস্তাব করা হয়েছে। রুটটি শাহবাগ থেকে চারুকলা হয়ে টিএসসি রাজু ভাস্কর্য ঘুরে দোয়েল চত্বর হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যাবে। টিএসসি এবং দোয়েল চত্বরের মাঝে একটি স্টেশন থাকবে।
প্রস্তাবিত মেট্রোরেলের উচ্চতা হবে ৩০ মিটার। এছাড়া প্রতিটি স্টেশনের দৈর্ঘ্য হবে ১৮০ মিটার ও প্রস্থ ২০-২৬ মিটার। মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য এইসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এইচ হক এর নের্তৃত্বে ১২জন গবেষক একটি আর্কিলজিক্যাল সার্ভে করে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে এই হিস্টোরিকাল ইমপরট্যান্স বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের খসড়া রিপোর্ট পেশ করেছিলেন গবেষক দল। সার্ভেতে ঢাকা শহরের বুদ্ধিজীবী, স্থপতি, ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিকদের অভিমত নেয়া হয়। তারা পরামর্শ দিয়েছিলেন, ন্যাশনাল রেকর্ড প্রত্নতত্ত্ব এবং ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনায় টিএসসি-দোয়েল চত্বর দিয়ে রুট না নিয়ে শাহবাগ মৎস্যভবন দিয়ে নেয়ার জন্য।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘মেট্রোরেলের রুট বদলাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও শীর্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এই মেট্রোরেল হলে বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ পড়বে সরাসরি হুমকিতে। বহু বছরের পুরনো রাজু ভাস্কর্যও তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাবে।
এই ট্রেনের শব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার ও দোয়েল চত্বরের পাশে অবস্থিত বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়া ব্যাহত হবে বলেও দাবি তাদের। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরী, চারুকলা অনুষদের লাইব্রেরী, বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে, আনবিক শক্তি কমিশনের লাইব্রেরীতে লেখাপড়া ও গবেষণার কাজে ব্যাহত হবে বলে জোর দাবি করে।
আর এখন আমি পরিষ্কার করে বলতে পারি যে যেসব ঐতিহাসিক হেরিটেজ স্থাপনা সরাসরি ধ্বংসের মুখে পড়বে। সেই স্থাপনা গুলো হলো, জাতীয় জাদুঘর, জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরী, চারুকলার প্রদর্শনী গ্যালারী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি সৌধ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগার, শহীদ মিলন স্মৃতি ফলক, রাজু সন্ত্রাস বিরোধী ভাস্কর্য, টিএসসি এবং টিএসসির ভিতরে প্রাচীন গ্রীক স্থাপনা, আনবিক শক্তি কমিশন, বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরী ও বর্ধমান হাউস, তিন নেতার মাজার, প্রাচীন মীর জুমলার গেট বা ঢাকা গেট( এটি ময়মনসিংহ গেট নামেও পরিচিত), দোয়েল চত্বর, মোগল শাসনামলে নির্মিত হাজী শাহাবাজের প্রাচীন মসজিদ ও হাজী শাহবাজের সমাধি, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন ও হাইকোর্ট মাজার, ঐতিহাসিক দৃষ্টি নন্দন কার্জন হল, মোগল শাসনামলে নির্মিত প্রাচীন মুসা খান মসজিদ ইত্যাদি।
এখানে উল্লিখিত মোট ২২টি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে । প্রিয় পাঠক আপনার এইবার বুঝতেই পারছেন ঢাকার শহরের এই দেড় কিলোমিটার জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন ঐতিহাসিক সব স্থাপনা, যেগুলো কোনো না কোনো ভাবে মেট্রো রেলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী রাষ্টের দায়িত্ব উন্নয়ন মূলক কাজ করবে তবে সেটা দেশে প্রাচীন দৃষ্টি নন্দন ঐতিহাসিক স্থাপনাকে ধ্বংস করে নয়?! পৃথিবীর কোনো দেশই তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে নতুন কোনো নির্মাণ কাজ করেনি । তাইলে সরকার কাদের ষড়যন্ত্রের কবলে পরে উন্নয়নের নামে দেশের সব প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনাকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
অবশ্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পথের দুই পাশেই বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকবে বিধায় মেট্রোরেল চলাচলে কম্পন এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধেও থাকবে বিশেষ প্রযুক্তি।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন করা সম্ভব হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে কেন পরিবর্তন করা হবে না? আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই; আমরাও মেট্রোরেল চাই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধ্বংস করে নয়।” বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জড়িত। আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিরে মেট্রোরেল করার মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চলছে।”
মেট্রোরেল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাপা পড়বে উল্লেখ করেন , “প্রকারান্তরে চাপা পড়বে দেশের মেধা-মনন। এই ধরনের উন্নয়ন ধারণার সবচেয়ে বড় গলদ হচ্ছে অপরিণামদর্শিতা। ইতিহাস গড়ার বিদ্যাপীঠে এ ধরনের হঠকারী উন্নয়ন অজস্র জটিলতা নিয়ে আসবে। কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুক চিরে কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে অভিযোগ রয়েছে, “এই রেলের কারণে যে কম্পন হবে তাতে কোনোভাবেই বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে গবেষণা কাজ চালানো যাবে না। মেট্রোরেলের তীব্র শব্দে চমকে উঠবে সবাই।
মেট্রো রেলের রুট বদলাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয বাঁচাও’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রো রেল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, মেট্রোরেলের কারণে কাঁপবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আইকন-স্থাপনা কার্জন হলের একেকটি ইট। মেট্রোরেলের শব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটবে।”
মেট্রোরেল চলাচলে কম্পন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা থাকার কথা জানিয়ে প্রকল্পের ডিজিএম (পরিবেশ ও পুনর্বাসন) কৃষ্ণ কান্ত বিশ্বাস সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মেট্রোরেল চলাচলে এমএসএস (ম্যাস স্প্রিং সিস্টেম) থাকবে। এতে চলাচলের সময় আশপাশে তেমন একটা কম্পন অনুভূত হবে না; এই কম্পন হবে সহনীয়। চলাচল পথে কিছু কিছু এলাকায় থাকবে দেওয়াল, এই দেওয়ালের ফলে শব্দ দূষণ তেমন থাকবে না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী একতরফা ভাবে বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর দিয়েই মেট্রোরেল হবে বলে জানান গত ১০ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে মেট্রোরেলের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। অন্যদিকে রুট বদলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্র ইউনিয়ন মেট্রোরেলের রুট বদলের দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দিয়েছে ।
সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বাংলামেইলকে বলেন, ‘মেট্রো রেল ঢাকাবাসীর জন্য খুব ভালো উদ্যোগ। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি ঐতিহাসিক স্থাপনা অবস্থিত। এর ফলে এই ঐতিহাসিক স্থপনা গুলো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এক্সপার্টদের রিপোর্টে। ক্ষতিটা শব্দ দূষণের জন্য নয়, কম্পনের জন্য। যখন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবা উচিত ছিল। সেই হিসেবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা রাতের বেলায় ঘুমের মধ্যে মেট্রো রেলের কম্পনের কারণে মাথা ব্যথার মতো ভয়ংকর মস্তিষ্ক সমস্যা জনিত রোগে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

সূফি বরষণ বলেছেন: মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য এইসিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এইচ হক এর নের্তৃত্বে ১২জন গবেষক একটি আর্কিলজিক্যাল সার্ভে করে।
গত বছরের মাঝামাঝিতে এই হিস্টোরিকাল ইমপরট্যান্স বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের খসড়া রিপোর্ট পেশ করেছিলেন গবেষক দল। সার্ভেতে ঢাকা শহরের বুদ্ধিজীবী, স্থপতি, ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিকদের অভিমত নেয়া হয়। তারা পরামর্শ দিয়েছিলেন, ন্যাশনাল রেকর্ড প্রত্নতত্ত্ব এবং ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনায় টিএসসি-দোয়েল চত্বর দিয়ে রুট না নিয়ে শাহবাগ মৎস্যভবন দিয়ে নেয়ার জন্য।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‘মেট্রোরেলের রুট বদলাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও শীর্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, এই মেট্রোরেল হলে বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ পড়বে সরাসরি হুমকিতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.