নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডার্ক ম্যান সুজা

আমি এক ভাঙ্গা বাড়ীর ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বারান্দা,আমি পথের মাঝে খুঁজে পাওয়া টাকা আধখানা..........................................................................

ডার্ক ম্যান সুজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২৮

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কী, এরা আসলে কি করে, কেনই বা এদের কে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয় টেক্সটাইল শিল্পমালিকরা। অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাম শুনলেই নাক সিটকান, বলেন এইটা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং হইল, কাপর-চোপরের আবার কিসের ইঞ্জিনিয়ারিং? শতকরা ৮০ভাগ লোকই জানেন না যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি মানে কাপর-চোপরের ইঞ্জিনিয়ারিং না। এটি সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারি ং বেসড একটি প্রসেস যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মেশিন সেটাপ থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোল, প্রোডাক্ট দেভেলপমেন্ট , গিয়ার মেকানিসম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়ে কাজ করতে হয়। স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ারদের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়। ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথম সারির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়। নাসার বিজ্ঞানিরা যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের গবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবার, কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য। অতি সম্প্রতি বুয়েট নন-ওভেন জূট টেকনোলজীকে জিও টেক্সটাইল হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে ব্যবহার শুরু করেছে, আগামিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত বিষয় হিসেবে যখন জিও-টেক্সটাইল পড়ানো হবে তখন এই কোর্সের জন্য বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরকেই শিক্ষক হিসেবে পাবে তারা। সত্যি বলতে কী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের সাথে সব চেয়েবেশি মিল রয়েছে আইপিই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে। যাই হোক, পেশা হিসেবে অনেকের অ্যালার্জি থাকলেও বাংলাদেশে একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে " মেইড ইন বাংলাদেশ " ট্যাগ এ ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ওয়াল্টন ) দাবি করে তারা নাকি বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করছে, আন্তর্জাতিক হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ভিড়ে কয়জন মানুষ ওয়াল্টন ব্যবহার করে কেউ জানে? জেনে রাখুন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম জিন্স ব্র্যান্ড এইচ এন্ড এম শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের পন্য নিয়ে থাকে, আজ আমরা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত তারা কয়জনে জানি এই সব নামীদামি সেলিব্রেটিরা বাংলাদেশ এর নাম কে এক্টি ব্র্যান্ড হিসেবে জানে? ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা কারা নির্ভর করে না এই দেশের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এর উপর? আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়ার রা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে।

.

.

Courtesy: Shuva Zahid (36th Batch of BUTex)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৩৬

নিষিদ্ধ নাগরিক বলেছেন: সহমত প্রকাশ করলাম ভাই।

কিন্তু ভাই দেশে যা চাকরির অবস্তা? ! মামা- চাচা সারা টেক্সটাইল মীলে চাকরি পাওয়া কিঞ্চিৎ কষ্ট সাধ্য আর প্রথম দিকে বেতনের কথা নাই বা বলি।

ভাইয়া বাংলাদেশে বর্তমানে Yarn Industries এর অবস্তা ভয়ানক খারাপ।
আর ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা এসব কম্পানি কি বাংলাদেশ থেকে ফেব্রিক তৈরি করে নাকি শুধু মাত্র গার্মেন্টস এর মধ্যে সিমাবোধ্য?

লেখা ভালো লাগল, ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৫

আধারের কবি বলেছেন: নিষিদ্ধ নাগরিক বলেছেন: সহমত প্রকাশ করলাম ভাই।

কিন্তু ভাই দেশে যা চাকরির অবস্তা? ! মামা- চাচা সারা টেক্সটাইল মীলে চাকরি পাওয়া কিঞ্চিৎ কষ্ট সাধ্য আর প্রথম দিকে বেতনের কথা নাই বা বলি।

ভাইয়া বাংলাদেশে বর্তমানে Yarn Industries এর অবস্তা ভয়ানক খারাপ।
আর ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোর ক্যামোফ্লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা এসব কম্পানি কি বাংলাদেশ থেকে ফেব্রিক তৈরি করে নাকি শুধু মাত্র গার্মেন্টস এর মধ্যে সিমাবোধ্য?

লেখা ভালো লাগল, ভালো থাকবেন।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫১

নিষিদ্ধ নাগরিক বলেছেন: আধারের কবি ভাই আমার মন্তব্যটা কপি- পেস্ট করার যথার্থ কারণ বুঝতে পারলুম না।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৮

পিনাকপাণি বলেছেন: নিষিদ্ধ নাগরিক ভাই, আমাদের দেশে ফেব্রিক ও তৈরি করা হয়, বলতে পারেন আমাদের দেশের ফেব্রিক ই প্রায় অরধেক বিশ্বে যায় (বোধয়), তবে এটুকু জানি এইচ এন্ড এম, লেভিস, জি স্টার র, ডেনিম, এদের অনেক কাজের পুরোটাই বাংলাদেশে হয় :) আর। চীন আর বাংলাদেশ ছাড়া এই বিপুল পরিমান ফেব্রিক বা কটন বোধয় আর কেউ তৈরি করে না। (সঠিক তথ্য টা দিতে পারছিনা আমি দুঃখিত)

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩২

নিষিদ্ধ নাগরিক বলেছেন: সঠিক তথ্যটা আমি আপনাকে দেই ভাই বাংলাদেশে বর্তমানে ৭২১ টি ফাব্রিক মিল আছে,
এসব ফাব্রিক মিলগুলো বাংলাদেশের আর এম জি সেক্টরের প্রায় ৯০% নিট এবং ৪০% ওভেন ফাব্রিকের চাহিদা পূরণ করতেছে।
আর দেশিও ফাব্রিক ব্যাবহারের করণে বাংলাদেশের আর এম জি সেক্টর প্রায় ৭০% বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫১

মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেছেন: http://a2zbdlinks.co.cc

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৫

নগরের ধনেষ বলেছেন: এই জন্যই তো চাকিব খান টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার :P :P :P :P :P

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৪

গাজী খায়রুল হাসান বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখা কিন্তু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার খারাপ এইটা কে বলল? আমি যতদুর জানি টেক্সটাইল কে তো সবাই ভালোই জানে।আমার মনে হয় যে যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে দেশকে ভালো কিছু দিতে পারাটাই মংগল।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩

ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: ভাই আমি নিজেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারং এর শেষ বর্ষের ছাত্র।অনেকের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে মতামত নেগেটিভ মাইন্ডের,তাদের জন্যই এই পোষ্ট।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৪

রংধনু নীল বলেছেন: ভালো লাগল

১০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের সেই উচ্চ বেতনের দিন আর নাইরে ভাই! শুরুতে এখন অনেক কমই দেয়। তবে পরে ভালই বাড়ে। ১০ বছর পরে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন অনেক বেশি হবে যদি সে যোগ্য হয়।

@নিষিদ্ধ নাগরিকঃ বাংলাদেশে বর্তমানে Yarn Industries এর অবস্থা ভয়ানক খারাপ- আপনার কথার সাথে একমত হলাম না। আমি একটা স্পিনিং মিলে ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের অর্ডারের চাপ এত বেশি যে অনেক অর্ডার আমরা নিতে পারি না আমাদের ক্যাপাসিটি কম বলে। আমাদের পুরা টেক্সটাইল গ্রুপে সবচেয়ে লাভজনক ইউনিট হল আমাদের স্পিনিং। :#) :#) :#)

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩৩

মুগ্ধ মাহি বলেছেন: হা হা হা হা হা হা :-B :-B :-B :-B

ভাই মাইনড খাইয়েন না। যিনি এই রুপকথার মত গল্প সৃষ্টি করেছেন তাকে অনেক ধন্যবাদ,ভালই লিখেছেন।কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি

১।টেক্সটাইলের মত সহজ ইঞ্জিনিয়ারিং আর আছে কি না সন্দেহ!!

(ম্যাথ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং, যে ম্যাথ থাকে তা কচি পলাপাইনেরাও পারে,বেশির ভাগ কন্টেন্টই বর্ণনামুলক,কোন ক্রিটিক্যাল ইকুয়েশন-ক্রিটিক্যাল ম্যাথ নাই যেমনটা আছে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিংএ )

২।উচ্চ শিক্ষার সুযোগ খুবই সিমিত,ভাল রেজাল্ট করেও কোন লাভ নাই(মাষ্টারি করা ছাড়া) ,বড় ধরনের কোন স্কলারশিপ নাই বা পাওয়া যায়না।

৩।অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে যেমন উচ্চ বেতনে ইউএসএ-কানাডা-মিডিল ইষ্ট-সিংগাপুর-অষ্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার সুযোগ থাকে টেক্সটাইলে তা সম্ভব নয়।

৪।বেশির ভাগ ফ্যাক্টরি নিয়ন্ত্রন করে ম্যাকানিকাল/আইপিইর লোকেরা(দেশে)

৫।মিনিমাম ১৩-১৪ ঘণ্টা ডিইটি করতে হয় ।গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি/বায়িং হাউজ ছাড়া উইভিং/ডাইং/স্পিনিং ফ্যাক্টরিতে অমানুষিক কাজ করে সারভাইভ করতে হয়।

৬।বিসিএস নাই,অনেক ব্যাংক এ আবেদন করা যায় না।

৭।পরিশ্রম করেও ফল পাওয়া যায় না।

৮। সেলারি খুব কম। পাচ বছর পরে ৫০ হাজারও পাওয়া যায় না( যেখানে অন্যান্য সেক্টর এ এটা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.