![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯ মার্চে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির আকার কমিয়ে আনা হচ্ছে প্রায় অর্ধেকে। ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব করা হতে পারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারে নতুন মুখ। কাউন্সিলকে সামনে রেখে গঠনতন্ত্রে এমন কয়েকটি সংযোজনের আভাস দিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
এর আগে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কউন্সিলে দল পুনর্গঠন করেছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের বাধ্যবাধকতা থাকায় এবার ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে যাচ্ছে দলটি। আগামী ৯ মার্চ অথবা ১৬ মার্চ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে আশা করছেন নেতারা। শিগগিরই কমিটি উপ-কমিটি করে দায়িত্বও বন্টন করে দেয়া হচ্ছে। কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীরা এখন কেন্দ্রমুখী।
দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলছেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে দল আরো সুসংগঠিত হবে। চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে তা ভূমিকা রাখবে বলে আশা তার।
কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী ও পদপদবীর পরিবর্তন আসতে পারে। ৩৮৬ সদস্যের বর্তমান জাতীয় নির্বাহী কমিটির আকারও নেমে আসতে পারে অর্ধেকে, এমনটাই আভাস দিলেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মওদুদ আহমদ।কাউন্সিলে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে এবং দলের হাই কমান্ড এই প্রত্যাশার মূল্যায়ন করবে বলে আশা করছেন দলের সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির ২০০ কেন্দ্রীয় নেতা নিষ্ক্রিয়
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সরকারের নিপীড়নের প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয়। কিন্তু বিএনপির বৃহত্ কলেবরের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্ধেকেরও বেশি নেতা চলমান এ আন্দোলনে রাজপথে নেই। অনেকে আবার দলীয় কর্মকাণ্ডেও নেই দীর্ঘদিন ধরে। ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পর গঠিত হয় ৩৮৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। কমিটি ঘোষণার পর থেকে প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় নেতা সরকারবিরোধী আন্দোলন ও দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেননি দীর্ঘদিন। অনেকেই আবার আন্দোলনে রাজপথে না থাকলেও গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সপ্তাহে একবার গিয়ে চেহারা দেখিয়ে মহাজোট সরকারের ৪ বছর পার করেছেন।
গত রোববার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী মার্চে এ কাউন্সিল হওয়ার কথা। কাউন্সিলের কথা শুনে পদ-পদবি ঠিক রাখতে আবারও তত্পর হয়ে উঠছেন দলের নিষ্ক্রিয় নেতারা। ইতোমধ্যে তারা দিনে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যাতায়াত শুরু করেছেন। কেউ-কেউ দলের সিনিয়র নেতাদের বাড়ি ও অফিসে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে তদবির ও লবিংও করছেন বলে জানা গেছে।
নিষ্ক্রিয় নেতারা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ (অসুস্থ), হারুনুর রশিদ খান মুন্নু, মে. জে. (অব.) মাহমুদুল হাসান, ড. ওসমান ফারুক, ফজলুর রহমান পটল, মোসাদ্দেক আলী ফালু, মুশফিকুর রহমান, এনাম আহমেদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, এএসএম আবদুল হালিম, জহুরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, খন্দকার শহিদুল আলম, ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাউদ্দিন, আবদুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি এম মোর্শেদ খান (অসুস্থ), শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (অসুস্থ), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (দীর্ঘদিন বিদেশে), সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ, যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, হারুনুর রশিদ, বিশেষ সম্পাদক নাদিম মোস্তফা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, লুত্ফর রহমান খান আজাদ, জাকারিয়া তাহের সুমন, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পাদক আফজাল এইচ খান, লে. কর্নেল (অব.) এমএ লতিফ খান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক কর্নেল (অব.) মো. শাহজাহান মিলন, পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মেজর (অব.) ডা. মুহাম্মদ রেজাউল হক, পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী, শিশুবিষয়ক সম্পাদক বেগম রোজী কবির, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক এস এ কে একরামুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আ ন হ আখতার হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাহ শরিফ কামাল তাজ, উপ-কোষাধ্যক্ষ ফজলুল হক, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-আইন সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক রায়হান আমীন রনি, সহ-যুব সম্পাদক মুহিবুল আলম স্বপন, সহ-ধর্ম সম্পাদক জন গোমেজ, সহ-কৃষি সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমজাদ হোসেন এমপি, সহ-প্রকাশন সম্পাদক শফি বিক্রমপুরী, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শাকিল ওয়াহেদ সুমন ও সহ-গ্রাম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির। ২৬৫ জন নির্বাহী কমিটির সদস্যের মধ্যে অধিকাংশই নিষ্ক্রিয়। ব্যারিস্টার মো. নওশাদ জামির, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, আখতারুজ্জামান, রেজিনা ইসলাম, আলমগীর সরকার, রহিম উদ্দিন ভরসা, নুর মোহাম্মদ মণ্ডল, সাহিদা রহমান জোসনা, তাসভিরুল ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, রওশন আরা ফরিদ, কমান্ডার (অব.) শফিকুর রহমান, মেজর (অব.) রিয়াজুল ইসলাম বীরবিক্রম, কাজী রফিকুল ইসলাম, আলহাজ আবদুল মান্নান, প্রফেসর ডা. মো. মীজানুর রহমান (সাবেক ডিজি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), আখতার হামিদ সিদ্দিকী, শামসুল আলম প্রামাণিক, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, কাজী হেনা, সৈয়দ আবু সাইদ, মো. মোজাম্মেল হক, এম আকবর আলী, মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, এ ওয়াই এম কামাল, সিরাজুল ইসলাম সরদার, এন আই খান, রাবেয়া সিরাজ, ফকির আনাম স্বপন, মাহাবুবুর রহমান আনছারী, শাহিদা আক্তার রিতা, এন এন তাপস পাঠান, মাহামুদুল হক রুবেল, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম কালাম, খুররম খান চৌধুরী, শাহ শহিদ সারোয়ার, ইঞ্জিনিয়ার মো. শামসুদ্দিন, নুরজাহান ইয়াসমিন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, রফিকুল ইসলাম হেলালী, শরিফুল আলম, লায়লা বেগম, মাইনুল ইসলাম শান্ত, রহিমা শিকদার, আহমেদ ইকবাল হাসান, লিটা বশির, মেহেরুন্নেসা, খুরশিদ আলী মোল্লা, তমিজউদ্দিন, শাহিনা খান, জয়নাল আবদীন, জামাল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক রেজাউল করিম, নাসিরুল হক সাবু, শাহ মোহাম্মদ জাফর, শেখ আলী আশরাফ, এডভোকেট আবুল কালাম, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, ইয়াসমিন আরা হক, শাহরিয়ার রুমি, সরোয়ার আজম, কাজী হুমায়ুন কবির, শফিকুর রহমান কিরণ, হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ, কাজী আনোয়ার হোসেন, আবদুল খালেক, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি, কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম, সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, আসিফ আকবর, নুরুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, ডা. মো. জালাল উদ্দিন, মোতাহের হোসেন পাটোয়ারী, কামালউদ্দিন চৌধুরী, সাহানা আখতার সানু, মেজবাহ উদ্দিন খান, গোলাম হায়দার বিএসসি, এডভোকেট আবদুর রহিম, সরোয়ার জামাল নিজান, গাজী শাহজাহান জুয়েল, মোস্তফা কামাল পাশা, এম শামসুল আলম, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজী, আনোয়ার হোসাইন, মাহবুবের রহমান শামীম, সাহাদত্ আহমেদ, হাসিনা আহমেদ, আলমগীর মাহফুজুল্লাহ ফরিদ, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, শফি আহমেদ চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের শামীম, নাছের রহমান, এবাদুর রহমান চৌধুরী, মজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব), অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, মাসুদ অরুণ, রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, হাজী মোজাম্মেল হক, শহীদুল ইসলাম মাস্টার, শহিদুজ্জামান বেল্টু, শাহানা রহমান রানী, কাজী মনিরুল হুদা, আবুল হোসেন আজাদ, মতিয়ার রহমান ফরাজী, চমন আরা, কাজী সলিমুল হক, বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, শরীফ খসরুজ্জামান, শেখ মজিবুর রহমান, এডভোকেট হুমায়ুন কবির বুলবুল, এডভোকেট অহিদুজ্জামান দীপু, আলী আজগার লবী, নার্গিস আলী, ডা. মামুন রহমান এফসিএ, কাজী সেকান্দার আলী ডালিম, আলাউদ্দিন আহমেদ, ডা. শহীদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান তালুকদার, নজরুল ইসলাম মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার, হাফিজ ইব্রাহিম, মোশাররফ হোসেন মঙ্গু, আবুল হোসেইন খান, ব্রিগেডিয়ার (অব.) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মেসবাহ উদ্দিন ফরহাদ, শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, এডভোকেট আজিজুল হক আক্কাস, শহীদুল ইসলাম শামীম, জিবা খান, গাজী নুরুজ্জামান বাবুল (বাবুল গাজী), অধ্যাপক আলমগীর হোসেন— এসব কেন্দ্রীয় নেতা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন না দীর্ঘদিন। এমনকী অনেক নেতাকে দলের সাধারণ নেতা-কর্মীও চেনেন না।
লিংক
লিংক
©somewhere in net ltd.