নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডার্ক ম্যান সুজা

আমি এক ভাঙ্গা বাড়ীর ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বারান্দা,আমি পথের মাঝে খুঁজে পাওয়া টাকা আধখানা..........................................................................

ডার্ক ম্যান সুজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ সেলিমের জবানবন্দি : ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ঘুস

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

শেখ রেহানাকে দিলাম ৫০ লাখ টাকা, বাংলার বানীতে ৫০ লাখ, আর বাকীটা আমি নিলাম। এ টাকা আপার কথা মত খরচ করা হয়। এভাবেই আজম জে চৌধুরী কাছ থেকে নেয়া ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ঘুসের হিসাব দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই ও তার কেবিনেটের স্বাস্থ্য মন্ত্রী শেখ সেলিম। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আজম জে চৌধুরীর কাছ থেকে শেখ সেলিম এই ঘুসের টাকা নেন। আরেকটি টেপে আছে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট নির্মানের কাজের বিনিময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা ঘুস নিয়েছিলেন ২০০০ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২০০১ সালের ২৩ মার্চ সময়কালে। শেখ সেলিমের বাসায় ওই ঘুসের টাকা ৮টি চেকের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। ষ্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চেক নম্বর

১৮১১৪১৪-৬, ২২৮২৬৩২-৪, ২২৮৪০৩৪- ২২৮৪০৩৫ সর্বমোট ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।



অবশ্য ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের কাছে সেলিম সাহেব কথা দিয়েছেন, এভাবে আর ঘুস নেবেন না।



এই ঘুসের মামলার বিচার কিন্তু হয়নি। ২০০৭ সালের ১৩ জুন এ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় গুলশান থানায়। শেখ সেলিম কোর্টে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। চার্জশীট দাখিল হয়, সাক্ষ্য গ্রহন শেষে রায় ঘোষণার কাছাকাছি পৌছে মামলাটি। কিন্তু জেনারেল মইনের সাথে হাসিনার গোপন সমঝোতার ফলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে এসে মামলাটির বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। অথচ দন্ডবিধির ৩৮৪, ৩৮৫ ও ৩৪ ধারায় এ অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম, ও শেখ রেহানার সর্বোচ্চ সাজা হওয়ার কথা ছিল ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে হাইকোর্টে চাপ দিয়ে মামলাটি বাতিল করিয়ে নেন।



এই সকল চিহ্নিত দুর্নীতবাজরা এখন সংসদ কাপায়। সরকার চালায়।



প্রমান : ভিডিও লিংক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.