নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুকনো পাতার ধ্বনি

কখনো সুরের ছন্দ মেলেনা,তো কখনো তাল তবু গেয়ে যেতে হয় মিলিয়ে সাথে সময়ের সুর-তাল!

শুকনোপাতা০০৭

আমার 'কলম' আজো আছে আমার সাথে, আমার কষ্টের সঙ্গী হয়ে,আমার সুখের ভাগ নিয়ে দেনা-পাওনা চুকিয়ে,এক চিলতে হাসি হয়ে...

শুকনোপাতা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোভ

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬



মোরগটা সেই কখন থেকে অকারণেই ডাকছে,বেলা তো শুরু হয়েছে সেই কখন,তো এখনো এতো ডাকার কি আছে?

একরাশ বিরক্তি নিয়ে চোখ দুটো মেললেন নাসিমা,শোয়া অবস্থাতেই মাথা ঘুরিয়ে এদিক-ওদিকে তাকালেন। ছেলে-মেয়েদের কাউকেই দেখতে পাচ্ছেন না,ঘরের ভেতর বলতে গেলে তিনিই আছেন। ঘড়ির দিকে তাকালেন,প্রায় দশটা বাজতে চলছে!উঠে বসার চেষ্টা করলেন নাসিমা,কিন্তু পারলেন না,খুব কষ্ট করে বালিশে হেলান দিয়ে দুর্বল কন্ঠে ডকলেন,

-আরিফ... ও আরিফ,কইরে বাজান,একটু এদিকে আয়

আরিফের কোন সাড়া শব্দ পেলেন না,কিছুক্ষন পর মেঝ ছেলে মুনির কি কাজে যেনো ঘরে ঢুকলো,তাকে দেখে বললেন,

-কিরে বাজান?তোর বড় ভাই কই?

-ভাই তো স্কুলে গেছে,সামনে তার পরীক্ষা।

-তুই যাস নাই স্কুলে?

-নাহ,আইজ আর যামু না,কাইল যামু।

নাসিমার খুব মাথা ঘুরছে,আর নিঃশ্বাস মনে হয় বারবার ভারী হয়ে আসছে!

-তোর মামা ফোন দিছিলোরে আর?

-নাহ,দেই নাই।

নাসিমা আর কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। মাথায় নানান দুঃশ্চিন্তা ঘুরছে,কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না!এদিকে আরিফের বাবারও কোন খবর নেই,সে পাশে থাকলেও না হয় কিছু একটা উপায় করা যেতো।

চারদিন যাবত লেবার পেইন নিয়ে ঘরে বসে আছেন নাসিমা,ডাক্তারর দেয়া ডেট পার হয়ে গেছে আরো আগেই,গ্রামের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন,কিন্তু যেহেতু তার পেইন তেমন বেশি না,এই বাড়ছে তো কমছে অবস্থা তাই তারা বলেছে,ঠিক মতো পেইন না উঠলে তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। গ্রামের সামান্য ক্লিনিক,তেমন অভিজ্ঞ কেউ নেই, কোন রকমে চলে,মাসে দু'এক বার শহর থেকে ডাক্তার আসেন,তখন লোকজন আসে ফ্রি চেকাপ করাতে। বেশি সিরিয়াস কিছু হলে,উপজেলার সরকারী হাসপাতালে যেতে হয়,যদিও সেখানে একই অবস্থা। ডাক্তার থাকে না সব সময়,নার্সরাই সব কিছু সামলায়।

নাসিমা গত তিনদিন যাবত হাঁটা-চলা করতে পারছে না,হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয়,আর মাথা সারাক্ষন ঘুরতেই থাকে!বাচ্চা গুলো ছোট,ওদের বাবা গেছে অন্য জেলায় ধান কাটতে,কবে ফিরবে জানে না,হাতে টাকা পয়সাও নেই,এই অবস্থায় হাসপাতালে কিভাবে যাবে,কি করবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না!

মেয়ে আইরিনকে দেখে ইশারায় ডাকদিলো,কাছে এলে মোবাইলটা দিতে বলল,হাতে নিয়ে বড় ভাবীর নাম্বারে কল দিলো,একবার-দুইবার-তিনবার...নাহ,ভাবি ফোন ধরছেই না।

নাসিমা জানে ভাবি আসলে ইচ্ছে করেই ফোন ধরছে না,সে জানে,এখন নাসিমার টাকার দরকার তাই! নাসিমারও ইচ্ছে করে না,ভাইদের কাছে হাত পাততে কিন্তু কি করবে?নিরুপায় হয়েই ভাবিকে ফোন দেয়,কখনো বা বিদেশে অবস্থান করা ভাইকে মিসকল দেয়,ভাইয়ের যদি ইচ্ছে হয় তখন কল ব্যাক করে। বাবা-মা নেই,জামাইও তেমন উপার্জনক্ষম না,এমন অবস্থায় কতো বার ই বা ভাবি চাইবে,নিজের সংসারের টাকা ননদকে দিতে! নাসিমা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে সে,কোনভাবে যেনো আল্লাহ একটা ব্যাবস্থা করে দেন।



-মা,আমার তো সামনে পিএসসি পরীক্ষা,স্যারেরা কইছে,২০০টাকা কইরা দিতে,নাইলে প্রবেশপত্র দিতো না।

আরিফের গলার আওয়াজ পেয়ে চোখ মেললেন নাসিমা। কিছু না বলে চুপ করে থাকলেন,কি বলবেন?নিজের যে অবস্থা,বাঁচেন কি মরেন তাই বুঝতে পারছেন না,আর সেখানে ছেলে-মেয়েদের প্রয়োজন!কি করবেন জানেন না! ভাবতে ভাবতে হঠাত কি মনে হওয়াতে দ্রুত ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন,

-বাজান,মোবাইল থেইকা তোর আয়শা খালার নম্বরটা বাইর কইরা দে তো,দেখি আফারে ফোন দিয়া!

আয়েশা তার বড় খালার মেয়ে,শহরে থাকেন,তাকে অনেক আদর করেন,আপাকে বলে যদি,ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা ম্যানেজ করা যায়,তাহলে হয়তো হসপিটালে যেতে পারবেন। আর যদি ভাই নাও দেয়,আপা পারবেন বাকী খালা-মামাদেরকে বলে টাকা ম্যানেজ করে দিতে। আল্লাহর অশেষ রহমতে,আপা ফোন ধরলেন,সব কথা শুনে বেশ রাগ হলেন তিনি,

-এটা কোন কথা হইলো?তোর জীবন-মরণের সমস্যা আর তোর ভাই-ভাবি আছে টাকার হিসাব নিয়া!!আর তুইও... চারদিন ধরে ব্যাথা উঠে আছে,আর তুই বাসায় বসে আছিস?ছেলে-মেয়ে গুলোর জন্য কি টান আছে?

নাসিমার খুব কান্না পায় আপার কথা শুনে!

-আফা কি করমু কন?আপনেগো জামাইও বাড়িত নাই,আমার হাতে একটা টাকাও নাই!

খানিক্ষন ভেবে আপা বললেন,

-শোন,আমার কাছে এই মুহুর্তে হাজার পাঁচেক টাকা আছে,আমার বাজারের খরচ,পাঠায় দিচ্ছি,আর তোর ভাইকেও বলতেছি,ও পরে আমাকে এই টাকা দিয়ে দিবে,এখন তুই আসমাকে ফোন দিয়ে আসতে বলে, রেডি হো আর দেরি করসিন না বোন...

মনে মনে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানালেন নাসিমা। প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় বিকেল নাগাদ নাসিমা যখন হাসপাতালে পৌছালেন,ততোক্ষনে তার ব্যাথা আরো তীব্র হয়েগেছে,এমন অবস্থায় ডাক্তার ও নেই,হরতালের কারণে,শহর থেকে ডাক্তার আসতে পারেননি! যিনি এসেছিলেন,দুপুরের পর পরই চলে গেছেন। বাধ্য হয়ে নার্সরা অপেক্ষা করতে বললেন।

আল্লাহর অশেষ রহমতে রাতের দিকে নরমাল ডেলিভারি হলো,চতুর্থবারের মতো ছেলে সন্তানের মা হলেন নাসিমা।

সকালের মধ্যে আরো দুই খালাকে ফোন দিয়ে আয়েশা আপা আরো কিছু টাকা ম্যানেজ করে পাঠিয়েছেন,ছোট বোন আসমাও এসেছে। ডাক্তার চেকাপ করে বলে গেলেন,বিকেলে নাগাদ বাড়ি চলে যেতে পারবেন নাসিমা।



দুপুরের বোনের আনা খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন নাসিমা,হঠাত এক নার্স এসে বললেন,

-আফনের নাড় পরিস্কার করতে হইবো,সোজা হইয়া শুয়েন দেখি!

নাসিমা অবাক হয়ে বললেন,

-আমার তো নরমালেই বাচ্চা হইলো,আর ডাক্তার আফা তো সকালে দেইখা গেলো,কই?কিছুতো কইলো না!

-সব কথা কি হেরা আফনেরে কইয়া যাইবো?তাইলে আমরা আছি কি করতে?যা কইতাছি শুনেন!

অগ্যাত বাধ্য মেয়ের মতোই নাসিমা শুয়ে পড়লেন। বুঝতে পারলেন না,এসব লোভী নার্সদের একটা কৌশল!এরা গ্রামের সহজ-সরল রোগী পেলে তাদেরকে বেশি সময় হসপিটালে রাখার জন্য এরা সিজার/নরমালে ডেলিভারি হবার পর সেলাইয়ের জায়গাতে অথবা নাজুক জায়গা গুলোতে হাত লাগিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করে! অনেক সময় এদের এইসব লোভের বলি হয়ে রোগীনি মারাও যায়! কিন্তু তাতে কি?এদের দরকরা টাকা!

কিন্তু নাসিমা যখন বুঝতে পারলো,ততোক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে!! নাসিমা তাকিয়ে দেখলো,তার চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে! এতো রক্ত...মনে হচ্ছে কোরবানীর সময় গরু জবাই করলে যেমন রক্তে চারপাশ ভেসে যায়,ঠিক তেমন!

নাসিমা অসহায়ের মতো নার্স মহিলার দিকে তাকিয়ে বললো,

-বইন,কি করলেন আফনে?আমারে মাইরাই ফালাইলেন?!আমার পোলাপাইন গুলার কি হইবো এখন!!

বলতে বলতে জ্ঞান হারালেন নাসিমা। চতুর নার্স এর বুঝতে সময় লাগলো না অবস্থা আসলে কি!আর কি করতে হবে তাকে!

দ্রুত নাসিমার বোনের জামাইকে ডেকে বললেন,

-ইনারে জলদি শহরের হাসপাতালে নিয়ে যান!এর অবস্থা ভালো না!জলদি নিয়া যান!

কোন রকমের রক্ত বন্ধ করে নাসিমাকে নিয়ে যখন শহরের হাসপাতালে ছুটা হলো,ততোক্ষনে নাসিমার প্রাণ শক্তি অনেকটাই নির্জীব হয়ে গেছে!

অস্পষ্ট চোখে নাসিমা দেখতে পায়,তার বাড়ীটাকে,তার বাচ্চাদেরকে উঠোনে খেলতে,জাল বুনাতে ব্যস্ত তাদের বাবাকে!

বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিতে চেষ্টা করে নাসিমা!তার মনে হচ্ছে,অনেক দিন পর তার প্রিয় মা পাশে বসে আছেন। বলছেন,

-মা গো,কষ্ট হইতাছে অনেক?আরেকটু সবুর কর,আমি তোরে লইয়া যামু আমার লগে!

নাসিমার চোখের কোণ গুলো ভিজে উঠে বার বার! জ্ঞান হারানোর পূর্বে নাসিমা কেবল শুনতে পায়,তার বোন বলছে,

-ও আফা,এই যে আইছি আমরা হাসপাতালো!কিচ্ছু অইতো না তোমার!

এম্বুলেন্সটা তখন সত্যি সত্যি হসপিটালের গেট ধরে ভেতরে প্রবেশ করে ছিলো।



[উপরের ঘটনাটা সত্যি। আমি কোন পেশাকে বা এই পেশার সবাইকে দোষী বলছি না,বাট এটা সত্যি,যে আমাদের দেশে এভাবেই প্রতিদিন অনেক নাসিমারা প্রাণ হারাচ্ছেন,অকালে চলে যাচ্ছেন আমার শাহানা মামীর মতো অনেকেই। এইসব নামে মাত্র দালাল-নার্সদের অমানুষিক কাজ-কর্ম আর লোভের কারণেই,অনেক অবুঝ সন্তানেরা মা হারা হচ্ছে! আমাদের দেশের গ্রাম গুলোতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা এখনো অনেক অনুন্নত!বেশিরভাগ সময়ই,হয় দেরি হয়ে যায় অনেক!রক্ত পাওয়া যায় না,না হলে চিকিৎসা পাওয়া যায় না!তার উপর সেবক-সেবিকা নামে এই সব মানুষরুপি পশুগুলো!জানিনা,আমাদের সমাজের নাসিমারা ঐ সব লোভী-সাইকো মানুষ গুলোর অত্যাচার থেকে কবে মুক্তি পাবে!শুধু নাসিমাদের মুখের দিকে তাকালে,চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না!]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দু:খজনক! সবার মানুষের মত মানসিকতা কামনা করা ছাড়া কিছু করার নেই!!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: আমি নিজেও এই প্রার্থনাই করি! :(

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনটা খুব খারাপ হল। খুব দু:খজনক ঘটনা। এসব নার্স তো ডায়রেক্ট খুনি। ওদের কঠিন শাস্তি হউন দরকার!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ওদের শাস্তি!! হুমম.. যে মানুষ গুলো চলে যাচ্ছে,তাদের কি হবে?!

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৪

টুম্পা মনি বলেছেন: গল্প হিসেবে লেখাটা অনেক ভালো লাগল।

কিছু কথা বলি। যদিও আমি জানি না এখানে আসলে কি হয়েছে! আমি হস্পিটালে যে সব নার্স দেখেছি(সবাই হয়ত এমন হন না। আমি জাস্ট আমার দেখা কয়েকজনের কথা বলছি।) তারা সাধারণ সাহেব টাইপের হয়। রোগী মরে যেতে নিলেও তারা কখনো এগিয়ে যায় না। অনেক সময় ডাক্তাররাও তাদের কিছু করতে বলার পরিবর্তে নিজেরা করেন। কারণ তাদের কিছু বলে নিজেকে ছোট করার কোন মানে হয় না। কিন্তু রোগী হাসপাতালে বেশিদিন থাকলে নার্সদের লাভ কি ? তারা কিন্তু একই বেতন পাবে। অবশ্য আমি জানি না গল্পে বর্ণিত হাসপাতালে আসলে কি হয়!

তবে শিশু অনেক সময় নর্মাল ডেলিভারী হলেও কিছু সময় পর মায়ের অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। একে বলে পোষ্ট পারটাম হেমোরেজ। এর অনেক কারণ। সেদিকে যেতে চাচ্ছি না। আর তার শিশু জন্ম নাম্বার যেহেতু এটা চার, ধরে নেয়া যায় মা আগে থেকেই রক্তশুন্যতায় ভুগছিল।

খুব সংক্ষেপে আমার নিজের দেখা একটা কাহিনী বলি। আমাদের বাড়ির পাশে একটা বস্তি আছে। সেখানে এক মেয়েকে ডাক্তার না করে দিয়েছিল সে যেন আর প্রেগ্নেন্ট না হয়। কারণ নেক্সট প্রেগ্নেন্সি মানেই তার জীবনের জন্য হুমকি! কিন্তু সে প্রেগ্নেন্ট হয়েছিল। বাচ্চাটাও সুস্থ জন্ম দিয়েছিল, কিন্তু মা মারা যায়! তার পরিবার পুরা ডাক্তারদের দোষ দিয়েছিল! অথচ এর আগের বারই তার টক্সিমিয়া অব প্রেগ্নেন্সি ছিল! এই হল অবস্থা!

যাই হোক-অসততার শিকার হয়ে যেন কেউ মারা না যায় এই প্রার্থনা। সতত শুভকামনা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। বাট আপু,আপনি আসলে ঘটনাটা বুঝেননি! ঐ নার্স মহিলাটার ডেলিভারি পাথ এর ভেতরে হাত নিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছিলো,এবং পরে শহরে হাসপাতালে আসার পর দেখা যায়,আসলে তার কিছু নাড় আর ইউট্রাসটাই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল! কি নির্মম,ভাবা যায়?
সেম কাজটা আমার মামীটার বেলাতেও করা হয়েছিলো!মুহুর্তেই এতো ব্লিডিং শুরু হয়ে গিয়েছিলো,যে হসপিটালে নিতে নিতেই শেষ!
আমি নিজেও একটা চিকিৎসক পরিবারের মেয়ে,আমার জানা অভিজ্ঞতা গুলো থেকেই বলছি,এই সব সরকারী হসপিটাল গুলোতে বেশিদিন রোগী থাকলে নার্স-দালালদের অনেক লাভ,এক্সট্রা চার্জ সেই সাথে ঔষধ-খাবার বাবদ টাকা তো নেয়া আছেই! ডাক্তাররা জানলেও কিছু বলার নেই তাদের!
সব পেশাতেই কিছু খারাপ লোক থাকে,তেমনি বর্তমানে হাসপাতাল গুলোতেও এমন কিছু লোক আছেন,যাদের কাছে মানুষের জীবনের চাইতে টাকা ইনকাম করাটাই বড়!আমি তাদের কথাই বলেছি.

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনটা খুব খারাপ হল। খুব দু:খজনক ঘটনা। এসব নার্স তো ডায়রেক্ট খুনি। ওদের কঠিন শাস্তি হউন দরকার!

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: তাই যেনো হয়। এভাবে কারো ভুলের মাশুল যেনো দিতে নাহয়!

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

সায়েম মুন বলেছেন: নার্সরা সাধারণত ডাক্তারের চেয়ে বড় পদমর্যাদার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে সরকারী হাসপাতালের। লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: হুম,ঠিক বলেছেন। একবার চটাগং এ এক ডাক্তার রোগীকে ভুল স্যালাইন দেবার কারণে নার্সকে সবার সামনে বকা দিয়েছিলেন,সে জন্য সেই ওয়ার্ডের সব গুলো নার্স মিলে ঐদিন কোন রোগীকেই স্যালাইন পুশ করেনি! পরে ডাক্তার 'সরি' বলেছে,এবং ঐ ওয়ার্ডে তিনি আর যাননি।
এই হচ্ছে অবস্থা! সেবার পেশাটাকে কিছু মানুষ মিলে একদম বিদঘুটে করে ফেলেছে!

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

স্বপনচারিণী বলেছেন: খুব ভুল হয়ে গেছে আপনার কাছে এসে। লেখাটা একদম ভাল লাগেনি। ভীষণ রকম মনটা খারাপ হয়ে গেল। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট পাবে। সন্তানেরা মা হারাবে..................জানিনা।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো!! আহারে! মাঝে মাঝে এমন কিছু ব্যাপার নিয়ে পড়াটা খুব একটা খারাপ না আশা করি!

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলো খুব । তবে একটা ব্যাপার আমাদের পরিষ্কার থাকা দরকার, কোন নির্দিষ্ট পেশাকে ব্লেইম করার মানে হয় না । প্রতিটা পেশায় যেমন কিছু ভালো মানুষ থাকেন, তেমনি কিছু মন্দ মানুষও থাকেন । তবে চিকিৎসা সেবায় যারা জড়িত, তাদের কাছ থেকে আরও মানবিক আচরণ আশা করাটাই স্বাভাবিক ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ভাইয়া,আপনার কি মনে হয়েছে,আমি কোন পেশাকে ব্লেইম করেছি?!! আমি তো কোথাও এভাবে বলিনি,যে এই পেশার সবাই খারাপ!
যাইহোক,সব পেশাতেই খারাপ-ভালো আছে,আমরা খারাপের দিকটা উল্লেখ করতে পারি,কিন্তু পেশাটাকে খারাপ বলতে পারি না!

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬

মারূফ চৌধুরী তমাল বলেছেন: গল্পটায় ধীরে ধীরে ভাল কিছুর জন্য আশাবাদী হচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সব লাল হয়ে গেল। এধরণের গল্প যেদিন কারো জীবনে আর সত্যি হয়ে আসবে না, সেই দিনের প্রত্যাশায়.......

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: সত্যি তো হচ্ছে..

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
একবার কাছাকাছি একটা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম আমিও। মনে পড়ে গেল ঘটনাটা!

ভাল হয়েছে লেখা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.