নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলী বিকশিত হোক, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষের সম্মান নিয়ে বেচে থাকুক। বাঘ, ভাল্লুক, জন্তু-জানোয়ারের বিশেষণে যেন আর বিশেষায়িত না হয়। এ উদ্দেশ্যে আমার মিশন \"চরিত্র গঠন আন্দোলন\"।

অজয় শীল

অজয় শীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করুন, কেননা অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আপনিই হতে পারেন জাতির কর্ণধার!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪




আজ আপনি যে অবস্থানে আছেন তা নিয়ে হয়তো উদ্বিগ্ন। সাফল্যের কোন পর্যায়ে আসতে না পেরে নিজে খুব হীনমন্যতায় ভুগছেন এবং এই ভেবে নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছেন দিনের পর দিন। প্রতিনিয়ত স্রষ্টাকে ডাকছেন কিন্তু স্রষ্টা মুখ তুলে তাকাচ্ছে না।

প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু সুযোগ আসে। কিন্তু তার আগেই আমরা হতাশ হয়ে যাই। মনে করি আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আসলে কি তাই? এ হতাশায় পড়ে অথবা আরও বড় কিংবা ভাল কোন সুযোগের স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমরা সমূহ সুযোগটাকেই হাতছাড়া করি।

বিবেকানন্দের একটা ছোট্ট গল্প আছে। গল্পটা কিছুটা এ ধরণেরঃ এক ঈশ্বর ভক্তের গল্প। যখন বন্যার প্রকোপে সব কিছু ভেসে যাচ্ছিল ভক্ত তখন নিজের আত্মরক্ষার চিন্তা না করে ঈশ্বর ভাবনায় নিমগ্ন থাকল। বাড়ির লোকজন তাঁকে জোর করে ঘরের ছাদে তুলে দিল। অন্যরা গাছের ভেলা নিয়ে কিংবা অন্য ভাসমান বস্তু নিয়ে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। একজন ওকে ভেলায় তুলে সাথে করে নিয়ে যেতে চাইল কিন্তু ও বলল, ‘তুমি যাও, আমার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন’। কিছুক্ষণ পর এক লোক একটা নৌকা নিয়ে এল। বলল, ‘তাড়াতাড়ি করে উঠে পর, জল কমবে না পরিস্থিতি ভাল না। চলো আমরা পাহাড়ের দিকে চলে যাই’। ঈশ্বর ভক্ত ঐ একই কথাই বলল, ‘তুমি যাও, আমার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন’। ও চলে গেল। এর পর একটা হেলিকপ্টার এলো ওকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ও ফিরিয়ে দিল। এদিকে জলের প্রকোপ বেড়েই চলল। ঈশ্বর ভক্ত ঈশ্বরকে ডেকেই চলল, প্রভু আমাকে রক্ষা করো, প্রভু আমাকে রক্ষা করো। হঠাৎ তীব্র জলস্রোত এসে ওকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল এবং অবশেষে সেই ঈশ্বর ভক্তের মৃত্যু হল। মৃত্যুর পর খুব আক্ষেপ নিয়ে ঈশ্বরকে অভিযোগ দিলঃ আমি সারাজীবন আপনার সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার শয়নে, স্বপনে জাগরণে আমি সর্বদা আপনার ধ্যানে মগ্ন ছিলাম কিন্তু তবু আপনি আমাকে বাঁচালেন না। উত্তরে ঈশ্বর বললেন, “বলি, তোমাকে বাঁচানোর জন্য ভেলা কে পাঠিয়ে ছিলো? তুমি তা ফিরিয়ে দিলে। নৌকা কে পাঠিয়ে ছিলো? তুমি তাও ফিরিয়ে দিলে। শেষপর্যন্ত তোমার জন্য হেলিকপ্টার পাঠালাম তাও তুমি ফিরিয়ে দিলে। তোমাকে তো আর আমি স্বয়ং এসে তুলে নিয়ে যেতে পারব না। বাঁচার যখন সুযোগ এসেছে তখন তোমাকে বুঝতে হবে আমিই তোমাকে বাঁচাচ্ছি। আমার ইশারার বাইরে কি কেউ কাজ করতে পারে? তুমি আমার প্রিয় পাত্র বলে তোমাকে স্বাধীনতা দিয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি তা বুঝতে পারনি’। এভাবে আমরা স্রষ্টার ইঙ্গিত বুঝতে পারি না এবং পরবর্তীতে পস্তাতে থাকি।

আমাদের সামনে এমন অনেক সুযোগ থাকে যা আমরা চাইলে নিতে পারতাম। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা আমরা হাতছাড়া করি। যখন সুযোগ আসবে, তখন আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় নেই। সুতরাং আমদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিটি সুযোগ স্রষ্টার ইঙ্গিত বাহক। সুযোগকে কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি নিজেকে যে স্থানে দেখতে চান তার জন্য সে ভাবেই প্রস্তুত হোন। হয়তো একদিন আপনি অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। ডারউইনের একটা মতবাদ আছে, ‘Survival of the fittest’. যোগ্যতময়ই টিকে থাকবে। যে ধীরে ধীরে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলবে, তাকে লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সে নীহারিকার ন্যায় আলোর ঝলক তুলবেই। অন্ধকার আকাশে তার দ্যূতি প্রকাশ পাবেই।

আবার অনেক যোগ্য ব্যক্তি অলসতা কিংবা দূরদর্শিতার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া করেন। অতঃপর আমরা ভাগ্যকে দোষারোপ করি। প্রতিটি ছন্দপতনের (যেটাকে আমরা দুর্ভাগ্য বলি) একটা কার্যকারণ থাকে। কেবল মাত্র সচেতনতাই আপনার ছন্দপতনের আশঙ্কাকে দমাতে পারে। সুতরাং সচেতন হোন, অলসতা ত্যাগ করুন আর নিজেকে প্রতিনিয়ত যোগ্য করে তুলুন যাতে করে কোন সুবর্ণ সুযোগ আপনাকে ছেড়ে দিতে না হয়।

আজ আপনি যে অবস্থানে আছেন তা নিয়ে হয়তো উদ্বিগ্ন। সাফল্যের কোন পর্যায়ে আসতে না পেরে নিজে খুব হীনমন্যতায় ভুগছেন এবং এই ভেবে নিজেকে নিঃশেষ করে দিচ্ছেন দিনের পর দিন। প্রতিনিয়ত স্রষ্টাকে ডাকছেন কিন্তু স্রষ্টা মুখ তুলে তাকাচ্ছে না।

প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু সুযোগ আসে। কিন্তু তার আগেই আমরা হতাশ হয়ে যাই। মনে করি আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আসলে কি তাই? এ হতাশায় পড়ে অথবা আরও বড় কিংবা ভাল কোন সুযোগের স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমরা সমূহ সুযোগটাকেই হাতছাড়া করি।

বিবেকানন্দের একটা ছোট্ট গল্প আছে। গল্পটা কিছুটা এ ধরণেরঃ এক ঈশ্বর ভক্তের গল্প। যখন বন্যার প্রকোপে সব কিছু ভেসে যাচ্ছিল ভক্ত তখন নিজের আত্মরক্ষার চিন্তা না করে ঈশ্বর ভাবনায় নিমগ্ন থাকল। বাড়ির লোকজন তাঁকে জোর করে ঘরের ছাদে তুলে দিল। অন্যরা গাছের ভেলা নিয়ে কিংবা অন্য ভাসমান বস্তু নিয়ে আত্মরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল। একজন ওকে ভেলায় তুলে সাথে করে নিয়ে যেতে চাইল কিন্তু ও বলল, ‘তুমি যাও, আমার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন’। কিছুক্ষণ পর এক লোক একটা নৌকা নিয়ে এল। বলল, ‘তাড়াতাড়ি করে উঠে পর, জল কমবে না পরিস্থিতি ভাল না। চলো আমরা পাহাড়ের দিকে চলে যাই’। ঈশ্বর ভক্ত ঐ একই কথাই বলল, ‘তুমি যাও, আমার ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করবেন’। ও চলে গেল। এর পর একটা হেলিকপ্টার এলো ওকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ও ফিরিয়ে দিল। এদিকে জলের প্রকোপ বেড়েই চলল। ঈশ্বর ভক্ত ঈশ্বরকে ডেকেই চলল, প্রভু আমাকে রক্ষা করো, প্রভু আমাকে রক্ষা করো। হঠাৎ তীব্র জলস্রোত এসে ওকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল এবং অবশেষে সেই ঈশ্বর ভক্তের মৃত্যু হল। মৃত্যুর পর খুব আক্ষেপ নিয়ে ঈশ্বরকে অভিযোগ দিলঃ আমি সারাজীবন আপনার সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আমার শয়নে, স্বপনে জাগরণে আমি সর্বদা আপনার ধ্যানে মগ্ন ছিলাম কিন্তু তবু আপনি আমাকে বাঁচালেন না। উত্তরে ঈশ্বর বললেন, “বলি, তোমাকে বাঁচানোর জন্য ভেলা কে পাঠিয়ে ছিলো? তুমি তা ফিরিয়ে দিলে। নৌকা কে পাঠিয়ে ছিলো? তুমি তাও ফিরিয়ে দিলে। শেষপর্যন্ত তোমার জন্য হেলিকপ্টার পাঠালাম তাও তুমি ফিরিয়ে দিলে। তোমাকে তো আর আমি স্বয়ং এসে তুলে নিয়ে যেতে পারব না। বাঁচার যখন সুযোগ এসেছে তখন তোমাকে বুঝতে হবে আমিই তোমাকে বাঁচাচ্ছি। আমার ইশারার বাইরে কি কেউ কাজ করতে পারে? তুমি আমার প্রিয় পাত্র বলে তোমাকে স্বাধীনতা দিয়ে ছিলাম কিন্তু তুমি তা বুঝতে পারনি’। এভাবে আমরা স্রষ্টার ইঙ্গিত বুঝতে পারি না এবং পরবর্তীতে পস্তাতে থাকি।

আমাদের সামনে এমন অনেক সুযোগ থাকে যা আমরা চাইলে নিতে পারতাম। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে তা আমরা হাতছাড়া করি। যখন সুযোগ আসবে, তখন আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় নেই। সুতরাং আমদের আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিটি সুযোগ স্রষ্টার ইঙ্গিত বাহক। সুযোগকে কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি নিজেকে যে স্থানে দেখতে চান তার জন্য সে ভাবেই প্রস্তুত হোন। হয়তো একদিন আপনি অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। ডারউইনের একটা মতবাদ আছে, ‘Survival of the fittest’. যোগ্যতময়ই টিকে থাকবে। যে ধীরে ধীরে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলবে, তাকে লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সে নীহারিকার ন্যায় আলোর ঝলক তুলবেই। অন্ধকার আকাশে তার দ্যূতি প্রকাশ পাবেই।

আবার অনেক যোগ্য ব্যক্তি অলসতা কিংবা দূরদর্শিতার অভাবে সুযোগ হাতছাড়া করেন। অতঃপর আমরা ভাগ্যকে দোষারোপ করি। প্রতিটি ছন্দপতনের (যেটাকে আমরা দুর্ভাগ্য বলি) একটা কার্যকারণ থাকে। কেবল মাত্র সচেতনতাই আপনার ছন্দপতনের আশঙ্কাকে দমাতে পারে। সুতরাং সচেতন হোন, অলসতা ত্যাগ করুন আর নিজেকে প্রতিনিয়ত যোগ্য করে তুলুন যাতে করে কোন সুবর্ণ সুযোগ আপনাকে ছেড়ে দিতে না হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিবেকানন্দর গল্পটা আমি সাইফুরস এর গাইডে পড়েছি। তবে একটু অন্য ভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.