নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার সম্মুখে ঘটা কোন ঘটনায় আপনার ভূমিকাটা কি হওয়া উচিৎ তা নিয়ে কি কখনো চিন্তা করেছেন? আমরা আসলে বেশির ভাগ সময়ে বুঝে উঠতে পারিনা কোন ভূমিকাটা আমার জন্য উপযুক্ত।
উদাহরণ না দিলে বিষয়টা সবার কাছে হয়তো ঝাপসা বোধ হবে। ধরুণ, আপনার পাশের বাড়ীতে আগুণ লাগল। আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন রয়েছে – আপনি আক্রান্ত স্থানে গিয়ে মালামাল উদ্ধার করতে পারেন, বালতি নিয়ে গিয়ে পানি ফেলতে পারেন, মোবাইলে বন্ধুদের আসার জন্য ফোন করতে পারেন, ছবি তুলে বা লাইভ ফেইজবুকে শেয়ার করতে পারেন, উদ্ধারকৃত মালামাল রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন বা ফায়ার ব্রিগেডকে ফোন করতে পারেন কিংবা ভিতরে আটকে থাকা শিশু বা মহিলাটিকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন অথবা শুধুমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকা পালন করতে পারেন । এ ক্ষেত্রে আপনাকেই ঠিক করতে হবে আপনি আসলে কোন কাজটার জন্য উপযুক্ত বা কোন কাজটা এ মুহূর্তে দ্রুত ফল দিবে।
এভাবে আপনি যে কোন ঘটনার সাথে নিজের ভূমিকার কথা চিন্তা করুন। তখন দেখবেন আপনার উপযুক্ততা আপনি নিজেই পরখ করতে পারবেন। এবং মোক্ষম সময়ে সঠিক ভূমিকায় আত্মপ্রকাশ করতে পারলে আপনি হয়ে উঠবেন বেষ্ট পারফর্মার।
বেশির ভাগ সময়েই আমরা মাত্রাতিরিক্ত ইমোশনাল হয়ে যে কাজের জন্য উপযুক্ত না সেটাই করার জন্য উঠে পড়ে লাগি। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আপনি উপযুক্ত ছিলেন যার চিন্তা আপনার মাথায়ই আসেনি। এটার কারণ হচ্ছে আপনি ঘটনার সম্মোহনে আচ্ছন্ন ছিলেন।
অত্যধিক কর্মচঞ্চলতার মধ্যে আপনাকে হতে হবে ধীরস্থির আর অত্যধিক নীরবতার মধ্যে আপনাকে হতে হবে কর্মচঞ্চল, এটা খুব জটিল প্রক্রিয়া। যার জন্য সাধনার প্রয়োজন, চর্চার প্রয়োজন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
অজয় শীল বলেছেন: হুম, ঠিক বলেছেন।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২
আমি স্বপ্নদ্রষ্টা বলেছেন: "অত্যধিক কর্মচঞ্চলতার মধ্যে আপনাকে হতে হবে ধীরস্থির আর অত্যধিক নীরবতার মধ্যে আপনাকে হতে হবে কর্মচঞ্চল, এটা খুব জটিল প্রক্রিয়া। যার জন্য সাধনার প্রয়োজন, চর্চার প্রয়োজন।"
ভাল কাজে আসবে লেখাটা। ধন্যবাদ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
অজয় শীল বলেছেন: আমিও অনুপ্রাণিত।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: টলস্তয় এর তিনটি প্রশ্ন নামে একটা গল্প আছে। এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর আছে ওখানে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের একেবারে ভেতরে মনে হয় মনুষ্যত্ব বলে একটা জিনিস থাকে । যত দুঃসময়ই হোক সেই মনুষ্যত্বটা বুকের ভিতরে ধিকিধিকি করে জ্বলতে থাকে । যখন সব কিছু অন্ধকারে ঢেকে যায় তখন সেই মনুষ্যত্বের ছোট আগুনটা হঠাৎ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে ।