নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলী বিকশিত হোক, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষের সম্মান নিয়ে বেচে থাকুক। বাঘ, ভাল্লুক, জন্তু-জানোয়ারের বিশেষণে যেন আর বিশেষায়িত না হয়। এ উদ্দেশ্যে আমার মিশন \"চরিত্র গঠন আন্দোলন\"।

অজয় শীল

অজয় শীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“খাদ্যের অভাবে কেউ মরে না, কিন্তু আনন্দের অভাবে মানুষের মৃত্যু ঘটে"

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭


রবি ঠাকুরের এক কথাটি বিশ্লেষণ করতে যেয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ শব্দটা পেলাম সেটা হোল ‘’আনন্দ’’। “আনন্দের অভাব” বলতে কি বুঝায়?

একটা বিয়ের খবর মানে আনন্দের খবর। কারণ এখানে একটা ছেলের (চেনা বা অচেনা) সাথে একটা মেয়ে যুগল জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। সামনে ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এ প্রেক্ষিতে ছেলের পরিবার এবং মেয়ের পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক নতুন আত্মীয়তা। মানে তাও একটা আনন্দঘন মুহূর্ত। তারপরেও আসলেই কি সব বিয়ে আনন্দের হয়? এক কথায় আশা করি সকলেই বলবেন – “না”। কারণ বিয়ে করতে এসে অনেকের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে, অনেকে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, অনেকে শ্বশুর-শ্বাশুরি-স্বামী-ননদের অত্যাচারে আত্মহত্যা করেছে, আরো অনেক ঘটনা এখন চোখের সামনে ভীর করছে। তার মানে এখানেও ভেজাল আছে।

তাহলে আনন্দের খবর কি? পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা? হুম এটা হতে পারে। একটা ছেলে বা মেয়ে দশ বছর সাধনা করার পর এস,এস, সি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। আর যদি সে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে যার তবে তো আনন্দের আর সীমা থাকেনা। বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। সে পরিবারের তথা সমাজের তথা পুরো দেশের রত্ন, দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু সব পাশ কি সত্যি আনন্দের? পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁস, ভাল রেজাল্টের পরও কোন ভাল কলেজে চান্স না পাওয়া। ভাল রেজাল্ট করার পরও একটা ভাল চাকরী না পাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে সেই আনন্দটা আর বেশি দিন স্থায়ী থাকে না। তাহলে এখানেও ভেজাল।

আর কি হতে পারে...। একটা ভাল চাকরী পাওয়ার খবর। হুম এটা কিন্তু খুব ভাল খবর। একটা ছেলে বা মেয়ের চাকরি হওয়া মানে একটা পুরো পরিবারের সচ্ছলতা । কিন্তু চাকরি করে শান্তি কি সত্যি আসে? সারক্ষণই পরের গোলামী করতে হয়। আর পরের গোলামী করে আয় আসে ঠিকই, আনন্দ লাভ করা দুষ্কর। আনন্দ, আনন্দ, আনন্দ...... কোথায় পাব একটা স্থায়ী আনন্দ।

“যত হাসি তত কান্না বলে গেছে রাম সন্না” এ কথাটি যখন থেকে মানুষ উপলব্ধি শুরু করেছে সেদিন থেকে মানুষ হাঁসতে ভুলে গেছে। মানুষ আর হাঁসে না পাছে যদি দুঃখকষ্ট ভর করে বসে। ফলে মানুষের হাঁসা যেদিন থেকে বন্ধ হোল সেদিন থেকে আনন্দেরও পরিসমাপ্তি ঘটলো।

আনন্দ হচ্ছে সপ্রণোদিত মনের বহিঃপ্রকাশ। মানুষ যখন আনন্দিত হয়, শরীরে তখন একধরণের নিউরন নিঃসৃত হয়। যা শরীর বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। অতএব এটা ক্ষণস্থায়ী ও চলমান একটা অবস্থা। এটা সদা সর্বদা পরিবর্তনশীল। কারো নিকট দীর্ঘ সময় ধরে এটি অবস্থান করে না। এটা লাফিয়ে লাফিয়ে মানুষের মন প্রদক্ষিণ করে। সুতরাং মানুষের জীবনে আনন্দের চাইতে দুঃখের স্থায়িত্ব অনেকাংশে বেশি এবং দুঃখের সময় মানুষ আনন্দের অভাব বোধ করে। আর আনন্দের অভাব যেখানে, মৃত্যুও সেখানে স্বাভাবিক।

আবার খাদ্যাভাবেও আনন্দের ঘাটতি হতে পারে। সুতরাং মানুষের মৃত্যু কোনভাবেই উপেক্ষিত নয়।
সুতরাং এক্ষেত্রে রবি ঠাকুরের উপরোক্ত উক্তি যথাযথ। কি বলেন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম কথা আমিও বলতে চাই-

১। কেউ যেন বেকার না থাকে।
২। কেউ যেন রাস্তায় না ঘুমায়
৩। কেউ যেন ঘুষ না খায়
৪। প্রতিটা শিশু যেন স্কুলে যায়

আরো বলবো?? বলতে শুরু করলে শেষ হবে না।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: জগতে সুখই সব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.