নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের মাঝে মানবীয় গুণাবলী বিকশিত হোক, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষের সম্মান নিয়ে বেচে থাকুক। বাঘ, ভাল্লুক, জন্তু-জানোয়ারের বিশেষণে যেন আর বিশেষায়িত না হয়। এ উদ্দেশ্যে আমার মিশন \"চরিত্র গঠন আন্দোলন\"।

অজয় শীল

অজয় শীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান জীবনে অনভিপ্রেত ঘটনায় বিচলিত হবেন না

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের আপনি হয়তো প্রথম দেখেছেন, অথবা মাঝেমধ্যে দেখা হয়, কিংবা সবসময় আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করে কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় তিনি যেন ইচ্ছেকৃত আপনার বিরুধিতা করছেন। কেন করছেন তার কোন কারণ নেই। এদের মধ্যে কাউকে হয়তো স্নেহ করেন, কাউকে হয়তো শ্রদ্ধা করেন। আপনার মনে তাঁর ব্যাপারে কোন ধরণের হয়তো আক্ষেপ নেই। কিন্তু তারপরেও তিনি আপনাকে ঘৃণা করেন, হিংসা করেন, আপনার ভাল দেখতে পারেন না, সুযোগ পেলে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করেন।

এটা প্রত্যেকের জীবনে ঘটে থাকে। এটা একটা জীবনের প্রক্রিয়া। ওঁদের আচরণ দেখলে মনে হয়, যেন পূর্ব থেকে আপনাদের মধ্যে শত্রুতা ছিল। এটা পড়তে পড়তে যদি কারো মুখাবয়ব আপনার মানসচক্ষুতে ভেসে উঠে তাহলে তার ব্যাপারে একটু সতর্ক হোন। সাবধান, আপনিও তার সাথে আবার ঘৃণা বা হিংসার খেলায় মেতে উঠবেন না যেন। এতে করে আপনি চিরস্থায়ীভাবে একজন শত্রুর জন্ম দিবেন।

আপনাকে এ ক্ষেত্রে একটু টেকনিক্যাল হতে হবে। সর্বদা সচেতন থাকতে হবে তার ব্যাপারে। সাধারণতঃ যাঁরা আমাদের সাথে যেধরণের ব্যবহার করে আমরাও তাদের সাথে একই রকম ব্যবহার করে থাকি। এটা ভুল। আপনি আপনার পথে থাকুন। আপনি কেমন তা আপনার ব্যবহার, আচরণ, চলাফেরা এসবের উপর নির্ভর করে। যিনি আপনাকে অপছন্দ করেন, তিনিও কিন্তু আপনাকে সর্বদা অনুসরণ করেন। আপনাকে শুধু একটা কাজ করতে হবে। আপনি তার কোন বিষয়ে মাথা ঘামাবেন না। কখনো তাঁকে যদি সাহায্য করার প্রয়োজন পড়ে আপনি সাগ্রহে তা করবেন। এতে করে আসতে আসতে আপনার ব্যাপারে তাঁর ধারণা পরিস্কার হতে থাকবে।

মনে রাখবেন পৃথিবীটা সাময়িকের। এখানে অযথা শত্রু বাড়িয়ে আপনার কোন লাভ হবে না। বরং আপনার ব্যাপারে সকলে পরিস্কার ধারণা লাভ করুক এ ব্যাপারে সচেষ্ট হোন। তাই বলে আজকে থেকে তার পেছনে লেগে পরতে বলিনি। এ ধরণের লোক গুলোকে সর্বদা এড়িয়ে চলবেন। যাদের এড়িয়ে চলা সম্ভব নয় তাদের বিষয়েও বিশেষ মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার কাজ সচেতন ভাবে করুন। তারাই মাথা ঘামাক আপনার ব্যাপারে। তাদের ঐ কাজে ব্যস্ত থাকতে দিন। আপনিও যদি মাথা ঘামান তাহলে অযথা আপনার সময় নষ্ট করবেন, মন খারাপ করবেন, আপনার শত্রুর সংখ্যা বাড়াতে থাকবেন।

যাঁকে তাঁর কাজ করতে দিন। জীবনে চলার পথে এরকম খোঁচা খাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করুন। জীবনটা এতো মসৃণ নয়। জীবনে চলতে গেলে বিভিন্ন ধরণের বাঁধা-বিপত্তি আসবে। আপনার সচেতনতা, উদারতা, সাম্যবোধ আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে। নিন্দুকেরা আপনার ব্যাপারে ধীরে ধীরে স্বচ্ছ ধারণা পোষণ করবে। এটা একটা নিরব প্রক্রিয়া। যদি এটা সরব করতে চান শুধু শুধু শত্রুর সংখ্যা বাড়াবেন। কাজেই আজ থেকে স্থির করুন তাদের ব্যাপারে আপনার ভূমিকা কি হবে। আশা করি জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




জীবনকে যত সহজভাবে নেয়া যায়, ততই উপভোগ্য হয়ে উঠে।
জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান হচ্ছে সময়।
অন্যের ক্ষতি না করে, নিজের আপন মনে যা করলে মনে প্রশান্তি আসে, ভালো লাগে, বা যা করা দায়িত্ব বলে মনে হয় সেগুলোর জন্যই সময়টা দেয়া উচিত।

লেখাটা ভালো লেগেছে অজয়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

অজয় শীল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, অনুপ্রাণিত করার জন্য।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: বহুদিন পর পোস্ট দিলেন!
অবশ্য আপনার ৭ বছর ৬ মাস ব্লগ জবিনে পোস্ট করেছেন মাত্র ১১টি।

আশাকরি নিয়মিত পোস্ট দিবেন।

শুভকামনা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

অজয় শীল বলেছেন: গতকাল হঠাৎ মনে পড়লো - আমারতো "বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ" এ একটা একাউন্ট রয়েছে। তারপর গুগোল বাবার হেল্প নিয়ে পাসওয়ার্ড ঠিক করে পুনরায় চালু করলাম। লিখতে আমার বরাবরের মত ভালোই লাগে। নিজের ডায়েরিতে সব সময় লিখে যাই। কিন্তু ব্লকে ঢুকা হয়নি অনেক বছর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। চেষ্টা করবো নতুন লেখা নিয়ে হাজির হতে।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: এই প্রথম মনে হয় আপনার লেখা পড়লাম। আপনি তো ভালই লেখেন। নিয়মিত দেখুন ব্লগে

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

অজয় শীল বলেছেন: অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

এইযেদুনিয়া বলেছেন: এরকম মানুষের সাথেই কেন জানি আমার শুধু দেখা হয়। কি যে শত্রুতা বুঝি না। আবার যদি কখনো প্রতিউত্তর দেয়া হয়, তারাই ভিকটিম রোল প্লে করে। এ ধরনের মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

অজয় শীল বলেছেন: চাইলেই কি আর দূরত্বে থাকা যায়। হয়তো এমনও অবস্থা হয় যে, তার সাথে সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করতে হচ্ছে। এটাকে জীবনের একটা কঠিনতম মুহূর্ত বলা যেতে পারে। সময় পরিবর্তনের সাথে মানুষের অবস্থান ও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। এ জন্য ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়।

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট টি আমার পছন্দ হয়েছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

অজয় শীল বলেছেন: আমি আনন্দিত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.