![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন একই ব্যস্ততা আর ভাল লাগছিল না বলেই ঝিম মেরে পড়ে থাকার জন্য আজ বাসায়। কিন্তু বাইরের গনগনে রোদের তেজ ঘরে এসেও ঝিম মেরে থাকতে দিচ্ছেনা। তাই গুটগুট করে ঘরময় ঘুরছি আর ভাবছি, হাতে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবু পানি। ভাবছিলাম 'চিঠি' নিয়ে। 'সবিনয় নিবেদন' শেষ করে চিঠি নিয়েই ভাবছি, পড়ছি। নিজের চিঠির বাক্সটা হাতের কাছে না থাকায় অন্যদের গুলোতেই ঘুরে বেড়াচ্ছি, মনেমনে নেড়েচেড়ে নিচ্ছি। কিছু আগে আবার পড়লাম 'বুদ্ধদেব গুহ'র এই চিঠিটা। ভাবছি পুরো বইটাই আবার শুরু করে দিব :-)
"কুর্চি,
তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীতের সকালে এক রাশ উষ্ণতা বয়ে আনলো। পাতা ঝরে যাচ্ছে সামনের শালবনে। বিবাগী হচ্ছে ভোগী। রিক্ততার দিন আসছে সামনে। এরই মধ্যে তোমার চিঠি যৌবনের দুতীর মতো; এলো এক ঝাঁক টিয়ার উল্লাসী সমবেত সবুজ চিৎকারের মতো। দুর্বোধ্য আপাত। কর্কশ শব্দমঞ্জরীও কী দারুন মুগ্ধতা বয়ে আনে কখনো কখনো, কী দারুন ভাবে সঞ্জীবিত করতে পারে অন্যকে।
তাই নয়?
তার মানে এই নয় যে- তোমার চিঠি দুর্বোধ্য। উপমার খুঁত ক্ষমা করে দিও।
কেমন আছ তুমি? জানতে চাইলেও জানতে পাই কই?
সকাল থেকেই তোমাকে আজ খুব সুন্দর একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকেই তোমার কথা মনে পড়ছিল খুবই। আজকে ঘুম ভাঙ্গলো বড় এক চমকে। এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো। যে পাখিদের ডাক বড় একটা শুনিনি এদিকে। কম্বল ছেড়ে দৌড়ে বাইরে গিয়ে দেখি- এক জোড়া স্কারলেট মিনি-ভেট এসে বসেছে আম গাছের মাথায়। আমার ঘুম ভাঙ্গা নিয়ে পাখিরা। আহা! রোজই যদি আসতো। আর তারপরই তোমার এই চিঠি। দিন আজকে ভালো যাবে আমার।
বলছিলাম যে, সকাল থেকেই তোমাকে সুন্দর একটি চিঠি লিখবো ভাবছিলাম। কিন্তু সুন্দর সুখের যা কিছু ইচ্ছা তা দমন করার মধ্যেও বোধহয় এক ধরনের গভীরতর সুখ নিহীত থাকে। থাকে না?
আজ চিঠি লিখবোনা তোমাকে। তার বদলে একটি স্বপ্নহার পাঠাচ্ছি, লেখক কবি না। তবুও তার নাম গোপন থাক। কল্পনা করেই খুব লাগছে যে, তুমি আমার চিঠি কোলে নিয়ে বসে আছ, জানালার পাশে। যে মানুষটি তোমার মিষ্টি-গন্ধ কোলের গন্ধ পায়নি কখনও, পাবেও না কোনদিন, তার চিঠি সেই পরশে গর্বিত হয়ে উঠেছে যে, এই ভেবেই কত সুখ।
কি যে দেখেছিলাম তোমার ঐ মুখটিতে কুর্চি। এত যুগ ধরে কত মুখইতো দেখলো এই পোড়া চোখ দু’টি। কিন্তু, কিন্তু এমন করে আর কোনো মুখ’এইতো আমার সর্বস্বকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করেনি। ভালো না বাসলেই ছিল ভালো। বড় কষ্টগো ভালোবাসায়। ভালো তো কাউকে পরিকল্পনা করে বাসা যায় না। ভালোবাসা হয়ে যায়, ঘটে যায়। এই ঘটনার ঘটার অনেক আগের থেকেই মনের মধ্যে প্রেম পোকা কুরতে থাকে। তারপর হঠাত’ই এক সকালে এই দুঃখ সুখের ব্যাধি দূরারোগ্য ক্যান্সারের মতই ধরা পড়ে। তখন আর কিছুই করার থাকে না। অমোঘ পরিণতির জন্যে অশেষ যন্ত্রনার সংগে শুধু নীরব অপেক্ষা তখন।
কেউই যেনো কাউকে ভালো না বাসে। জীবনের সব প্রাপ্তিকে এ যে অপ্রাপ্তিতেই গড়িয়ে দেয়। তার সব কিছুই হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে পরে। যাকে ভালবাসে তাকে নইলে তার আমিত্বই অনস্তিত্বে পৌঁছায়। হুঁশ থাকলে এমন মুর্খামি কেউ কি করে? বল? সেই জন্যই বোধহয় হুঁশিয়ারি মানুষদের কপালে ভালবাসা জোটে না। যারা হারাবার ভয় করে না কিছুতেই, একমাত্র তারাই ভালবেসে সব হারাতে পারে। অথবা, অন্য দিক দিয়ে দেখলে মনে হয়, যা-কিছুই সে পেয়েছিল বা তার ছিল; সেই সমস্ত কিছুকেই অর্থবাহী করে তোলে ভালবাসা। যে ভালবাসেনি, তার জীবনও বৃথা!
তবুও… বড় কষ্ট ভালবাসায়!
কুর্চি দেখি কি করতে পারি তোমাদের সাথে বেড়াতে যাবার। ইচ্ছে তো কত কিছুই করে। এই জীবনে ক’টি ইচ্ছে পূর্ণ হলো বলো? কারই’বা হয়? এমনিতে আমার অনেক কষ্ট। এমন করে ডাক পাঠিয়ে আর কষ্ট বাড়িওনা। একা একা মজা করতেও বিবেকে লাগে। যার বিবেক বেঁচে থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া। বিবেক বিবশ হলেই বাঁচি।
ভালো থেকো,
তোমার পৃথু দা"
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
নীল সঞ্চিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
কানিজ রিনা বলেছেন: তবু ভাল লেখকের নাম উল্লেখ করা হল।
তবে যাদের হাড়ানর ভয় নাই তারাতো দেব
দেবী। দেবতাদের পরিচিত অনেক দেবী থাকে
আবার দেবীরও তাই। তাহলে হাড়ানর ভয় কি
তাদের।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
নীল সঞ্চিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর।