নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
মাঝে মাঝেই ব্লগে দেখি কেউ কেউ নারীর অগ্রগতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট দিয়ে থাকেন। অনেকেই এমন সব ব্যাপারের অবতারণা করেন, যেন মনে হয় দুনিয়াতে নারী পুরুষের মাঝে কোনই ভেদাভেদ নেই! নারী পুরুষ একেবারেই সমকক্ষ। অথচ প্রকৃতিগতভাবেই নারী পুরুষ কখনোই এক নয়। আল্লাহ নিজেই নারী এবং পুরুষকে আলাদাভাবে তৈরী করেছেন এবং তাদের প্রত্যেককে কিছু স্বাতন্ত্র দিয়েছেন যেটা একটি সুস্থ সমাজ রচনা করা এবং মানব জাতির বংশধারাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লগে জনৈক নারী ব্লগারের একটি পোস্ট পড়ছিলাম আজকে। তিনি সেখানে নারী জাগরণের প্রথিকৃতদের অবদানের কথা স্বীকার করে নারীদের লেখাপড়া শেষ করে দশ দেশ ঘুরে বুড়ো বয়সে বিয়ে করার উৎসাহ দিচ্ছেন। তার ভাষায় এই সমাজের প্রতিটি মানুষ একজন নারীর আশ্রয়ে ১০ মাস ভিখারির মত পালিত হয়ে তবেই পৃথিবীর মুখ দেখেছে। তাই নারীদের তিনি সেই ভিখারির ভয়ে ভীত হয়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে নিষেধ করেছেন।
ঠিক এই ধরণের চিন্তা চেতনার প্রচার প্রসারের কারণেই আমার মতে আজকে সমাজের এই দুরবস্থা। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই এক ধরণের অসুস্থ মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয়ে উঠছে। আজকে আমাদের সন্তানদের আমরা এটা বোঝাতে ব্যার্থ হচ্ছি, সমাজে নারী এবং পুরুষের কিছু স্বতন্ত্র ভূমিকা আছে। নারী, পুরুষ উভয়েই কাজ করতে পারে, সেটা কোন সমস্যা না, আমি যেহেতু ইসলাম ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে চলার চেষ্টা করি, তাতে মনে করি মুসলিম নারীদের অবশ্যই পর্দার বিধান মেনেই বাইরে কাজ করতে যাওয়া উচিত, তাকে কাজের ক্ষেত্রও সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে যাতে পর্দার ব্যাঘাত না ঘটে। যাহোক, তার সেই পোস্টেই আমি কিছু কথা বলেছি যেটা আমি সবার সাথেই শেয়ার করতে চাচ্ছি।
আপনি অবশ্যই একজন মেয়ে মানুষ এবং একজন মানুষ। প্রকৃতি আপনাকে মেয়ে মানুষ হিসেবেই পাঠিয়েছে, আপনাকে সন্তান ধারণের ক্ষমতা দিয়ে সম্মানিত করেছে, পুরুষকে কিন্তু সেটা দেয় নি। সুতরাং, আপনাকে আপনার স্বাতন্ত্র্য বা সীমাবদ্ধতা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। বর্তমান সমাজে মেয়েদের সবচেয়ে যে বিষয়টা দিয়ে বোকা বানানো হয়েছে, সেটা হল মেয়েদের মধ্যে এই ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে, পরিবাররের অভ্যন্তরীন কাজের ব্যবস্থাপনা এবং সন্তান লালল পালন খুবই নীচু প্রকৃতির একটা কাজ। বরং, বাইরে গিয়ে কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে বিশাল কোন পদবী নিয়ে কাজ করতে পারলেই নারী জীবন সফল ! (এখানে আরো অনেক নোরাং বাস্তবতার অবতারনা করা যেত, করলাম না, আশা করি সবাই নিজ বুদ্ধিতে বুঝে নিবেন)। আর এটাই হল সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস করার সবচেয়ে সুন্দর বুদ্ধি, যেমনটা আজকে আমরা পাশ্চাত্যে দেখছি ! কেউ এই ব্যাপারটা মেয়েদের বোঝাচ্ছে না যে, একজন পিতা যেমন ঘরের বাইরে খেটে আয় করছেন, তেমনি একজন মাতা ঘরের ভেতরে ব্যবস্থাপনা এবং সন্তান লালন পালনের মাধ্যমে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন না! আমি নিজেই দেখেছি, অনেক বড় আপু চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র তার সন্তানদের বেড়ে ওঠাতে মায়ের অবদানের ঘাটতি হচ্ছে এটা উপলব্ধি করতে পেরে।
আপনি কি জানেন একজন নারীর মোটামুটি ৪৩ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রজঃনিবৃত্তি ঘটে যার মাধ্যমে তার সন্তান ধারণ ক্ষমতা রহিত হয়ে যায়? রজঃনিবৃত্তির কারণে নারী জীবনে বেশ কিছু শারীরবৃত্তিয় পরিবর্তন ঘটে, ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ কমে যাওয়াতে যোনি পথের স্বাভাবিক পিচ্ছিলতা হ্রাস পায়, যার কারণে যৌন সংগম কষ্টকর হয়ে পড়ে (একটি জরিপে দেখা গেছে ৮৪% মহিলা রজঃনিবৃত্তির পর সহবাসকে পেইনফুল বলেছেন), অনেক মহিলার যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পায়। হ্যা, সমাধানের চেষ্টাও আছে, চিকিৎসকের পরামর্শে হয়ত পিচ্ছিলকারক ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু আমি যেটা বোঝাতে চাইছি, স্বাভাবিক যৌন জীবন কিছুটা হলেও ব্যহত হয়। আপনি কি জানেন বেশী বয়সে গর্ভধারণ করলে ত্রুটিযুক্ত সন্তান উৎপাদনের ঝুকি বেড়ে যায়? আপনি কি জানেন বেশী বয়সে, গর্ভধারণ করার ক্ষমতাই অনেক সময় কমে যায়? আপনি কি জানেন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মেয়েদের প্রথম সন্তান হওয়া উচিত, নইলে অনেক ধরণের জটিলতার আশংকা চলে আসে? আপনি কি এটা বোঝেন, নারী হওয়ার কারণে প্রকৃতিগতভাবেই এই সীমাবদ্ধতাগুলো মেনে নিতে আপনি বাধ্য? (উপরের সবগুলো তথ্যই চিকিৎসা শাস্ত্র মতে বলা, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়।)
তাহলে আপনি কেন মেয়েদের বেশী বয়সে, দশ দেশ ঘুরে বিয়ে করার পরামর্শ দিচ্ছেন? কেন আপনি একটি মেয়েকে ১৮ বছরে বিয়ে করে তার যৌন জীবন উপভোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন না, হালাল ভাবে? বুড়ো বয়সে বিয়ে করার এই উৎসাহের কারণেই (কথাটা ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) কিন্তু আজকে সমাজ জুড়ে ব্যাভিচার ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি যতই বলুন, মানুষের জৈবিক চাহিদা কিন্তু কোন লেকচার শুনে কাজ করে না। পার্কে গিয়ে দেখুন, হোটেল/ফ্ল্যাটে খবর নিয়ে দেখুন, তরুণ-তরুণীরা অবাধ এবং অবৈধ যৌনাচারে জড়িয়ে পড়ছে। কুমার/কুমারী ছেলে-মেয়ে আজকের সমাজে খুজে পাওয়াই দুষ্কর। এটাই কি পুরুষ এবং নারীর উন্নতি?
মনে রাখা প্রয়োজন, বিয়ের উদ্দেশ্য কিন্তু শুধু সন্তান উৎপাদন নয়, পুরুষ এবং নারী উভয়ের চরিত্র হেফাজত করার জন্য বিয়ে অত্যন্ত জরুরী। এজন্যই আল্লাহ সামর্থ্যবান নারী পুরুষকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বলেছেন।
হাদিসেও বলা আছে, তিনটি কাজে দেরী না করতে, তার মধ্যে একটি হল, বিবাহযোগ্য মেয়ের উপযুক্ত পাত্র পাওয়া গেলে বিয়ে দিতে দেরী না করা। এই বিধানগুলো সৃষ্টিকর্তা না বুঝে দেন নি। যাকে তিনি বানিয়েছেন, তিনি জানেন, কোন নিয়মে তাকে চলতে হবে, কিসে সে ভাল থাকবে।
চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন আনুন, আপনি মেয়ে মানুষই আর আমি পুরুষ মানুষই। আমার কাজ আপনাকে দিয়ে হবে না আর আপনার কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। পুরুষ নারী পরস্পরের সহযোগী, প্রতিদন্দ্বী নয়। নারী এবং পুরুষ যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে, তবেই আমরা একটা সুস্থ এবং সুন্দর সমাজ পাব। পাশ্চাত্যের ধারণার অন্ধ অনুকরণ আমাদের অন্ধকারেই নিয়ে যাবে, আলোর পথে নয়।
আমি এখন ইরানে আছি। এটা নামে ইসলামিক রিপাবলিক হলেও কাজে এরা ওয়েস্টার্ণ। তাই এদের সমাজও ভেতরে ভেতরে উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বাইরে থেকে সেটা বোঝা যায় না। বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে চলেছে এখানে। হাদিসে তালাককে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল চুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমিন।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র মশিউর ভাই...
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: জহিরুল দাদা আপনার মা বোন বউ কি জানে নারীদের নিয়ে আপনি এমন মনভাব পোষন করেন?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কোন মনোভাবের কতা বলচেন গো দাদা??
নারীদের নিয়ে এই পোস্টে কোন খারাপ মনোভাব পোষন করা হয় নি।
পোস্ট এন্টেনার উপর দিয়ে গেলে আয়োডিন যুক্ত লবন বেশী করে খান, আর ট্যাকনিক্যাল ব্যাপার বুঝতে কোন ডাক্তারের সরনাপন্ন হন।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
নিয়েল হিমু বলেছেন: আপনি যে পোষ্টটি ঈংগিত করেছেন সেটা তে কি ধর্মিও কোন ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে নাকি অন্যকিছু ? ঐ পোষ্টের একটা লাইন দেখাই দেখেন তো বুঝেন কিনা ? ছেলেরা যে যেই পদেরই হোন- কমবয়সের কচিকাচা মেয়ে চায়। এই কথাটা কি অশ্বিকার করতে পারবেন ? ( ব্যতিক্রম আছে অবস্যই )
ঐ পোষ্টটি যে ধর্মিও কোন প্রচারনা নয় সেটি বুঝাতে আপনাকে আরেকটা লাইন কপি করে দেখাই পুরুষ মানুষ ছাড়া একলা “মেয়ে” মানুষ সমাজে টিকে থাকা কঠিন। কথায় বোঝা যায়, সমাজে কুকুর-নেকড়েদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
সবকিছুর মদ্ধে ধর্মিও টাচ খোজা শুধু বোকামিই না নির্বোধিতাও
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: প্রথমেই প্রশ্ন, এখানে ধর্মীয় ক্ষোভের কথা আসছে কেন?
যাহোক, প্রথম কোটেশনের বিপরীতে পাল্টা প্রশ্ন, কয়জন নারী একজন বুড়ো স্বামী পছন্দ করে? আর আমি একেবারে কচি খুকীকে বিয়ে দিতে বলিনি, স্পষ্ট করেই বলেছি, ১৮ বছর বয়সে একটি মেয়েকে বিয়ে দিতে সমস্যা কোথায়? তাই বুড়ো বয়সে গিয়ে বিয়ে করতে হবে কেন? সেক্ষেত্রে কি ধরণের জটিলতা জীবনে আসতে পারে সেটাও ব্যাখ্যা করেছি।
শুনুন, আমি একজন মুসলমান এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন আল্লাহর হুকুম এবং রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ অনুসারে চলতে পারি। সুতরাং, এখানে কেউ যদি এমন কিছু প্রচার করে যেটা আমার দৃষ্টিতে আমাদের ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে এবং ধর্মীয় অনুশাসনে তার জন্য সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে, একজন মুসলিম হিসেবে সেটা বলা আমার দায়িত্ব। সেটা যদি আপনি গ্রহণ করতে পারেন করবেন, নইলে বর্জন করবেন, সেটা আপনার ব্যাপার।
আপনার মত লোকজনদের সবচেয়ে বড় নির্বোধিতা হল, ধর্মকে শুধু মাত্র মসজিদের মধ্যে রেখে দেয়া, বিশেষ করে শুক্রবারে জু'মার নামাযে ওয়াক্তে। ভাই, সময় পালটেছে, অপসংস্কৃতির প্রসার যেমন বেড়েছে, তেমনি মানুষের মধ্যে এই সচেতনতাও বাড়ছে যে বাচতে হলে ইসলামের অনুশাসনেই ফিরতে হবে।
আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম, যদি একটু গভীরে চিন্তা করেন আর শয়তানের ধোকা থেকে বের হয়ে আসতে পারেন, একদিন এই সত্যগুলো ঠিকই বুঝতে পারবেন।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০
ইলুসন বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। খুবই ভাল লাগল। নিজের ছেলে-মেয়ে নিজে পেলে পুষে বড় করা যে নগণ্য কোন কাজ নয় সেটা আমাদের বুঝতে হবে। কোন পুরুষ ইচ্ছে করলেই পেটে সন্তান ধারণ করতে পারবে না। মেয়েদের আল্লাহ এই বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন, এটাকে খাট করে না দেখে সম্মান করা উচিত।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই...
আল্লাহ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করতে হবে," রাব্বির হাম হুমা কামা রব্বাইয়ানি সাগিরা"।
এর অর্থ হল, "হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।" (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ২৪)
আমার এক সহকর্মী মজা করে বলছিলেন একদিন, এই দোয়ার মাধ্যমেইতো ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়, যেসব বাবা-মা তার সন্তানকে শিশুকালে বুয়ার কাছে বা ডে কেয়ারে রেখে বড় করে, বাবা-মা বুড়ো হলে তাদেরকে এই সন্তানরা বৃদ্ধাশ্রমেইতো রেখে আসবে ! এতে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই!
কথাটা মজা করে বললেও এর মধ্যে কিন্তু চিন্তার খোরাক আছে। মূলকথা, শিশুকালে সন্তানকে মা-বাবার ভালবাসা দিয়ে বড় করার পাশাপাশি সন্তানকে আল্লাহ এবং রাসূল(সঃ) সুন্নাহ মোতাবেক বড় করা, তাকে ইসলামিক শিক্ষা দেয়াও কিন্তু সন্তানের হক্ক্বের মধ্যে পড়ে, যে জায়গাটায় আজকালকার অধিকাংশ বাবা-মায়েরাই ব্যর্থ। ফলশ্রুতিতে আজকে ঐশী'র মত সন্তানেরা তৈরী হচ্ছে। শুধু ঐশী বলা ভুল হবে, এরকম আরো অনেক কুলাংগার সন্তান তৈরী হচ্ছে, যারা ব্লগেও তাদের সরব উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার তৌফিক দান করুন, আমিন।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩০
আরমান ভাই বিরাট টেনশনে বলেছেন: দুই প্রজাতিকে কিছু স্বাতন্ত্র দিয়েছেন যেটা একটি সুস্থ সমাজ রচনা করা এবং মানব জাতির বংশধারাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নারী পুরুষ ভিন্ন প্রজাতি?
হুনেন দাদা আপনি যখন পোস্ট করবেন তার সাথে লিখে দিবেন যে আপনি মুসলিম এবং সেই পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লিখেন।
অফ টপিক>ব্লগে কারে জানি আগে জহির ছাগ্না কইয়া ডাকতো?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, বুঝতে পেরেছি, পুরনো চুলকানি জেগে উঠেছে, তাই মাল্টিতে এসে গালি দিয়ে যাচ্ছেন। জেল খেটেও শিক্ষা হয়নি দেখা যাচ্ছে !!
দেখুন, বাংলায় পিএইচডি করে ব্লগিং করতে বসিনি, চুলকানির বসে আপনি ভাষাগত ভুল ত্রুটি না খুজে পোস্টের মূল বক্তব্যে মনোনিবেশ করলে হয়ত আপনার নিউরনগুলো আরেকটু শিক্ষিত হত।
আমি মুসলিম এবং সেই পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে লিখি সেটা পোস্ট পড়লেইতো বোঝা যায়, আলাদা করে লিখতে হবে কেন? আয়োডিন, আয়োডিন...
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৯
টুম্পা মনি বলেছেন: জানি না আপনি কোন পোষ্ট পড়ে এটা লিখেছেন! তবে আপনার পোষ্টের মুল ব্যক্তব্যের সাথে একমত। কিন্তু আপনি এক জায়গায় ভুল তথ্য দিয়েছেন। আপনি লিখেছেন ,'' আপনি কি জানেন একজন নারীর যৌন জীবন ৪৫ বছরে শেষ হয়ে যায়? এটা টোটালি রঙ কন্সেপ্ট। এটা ঠিক মেনোপোজের পর সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু যৌনজীবন শেষ হয় না। যৌন জীবন আর সন্তান উৎপাদন দু টো এক বিষয় নয়। (জানি না একজন মেয়ে ব্লগার হিসেবে মন্তব্যটা দেয়া দৃষ্টি কটু হল কিনা! তবু আমি কিছুতেই চাই না একটা রঙ কনসেপ্ট সমাজে চালু থাকুক। কারণ অনেক সময় এই সব রঙ কথা দ্বারা নারী নির্যাতনের পথ আরো প্রসারিত হয়।)
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দেখুন, মেয়ে ব্লগার হলে সত্য বলতে পারবেন না, এমন ধারণার পক্ষপাতি আমি না। বরং, আমাদের মধ্যে সঠিক জ্ঞানের বিস্তার ঘটলে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই সেটা উপকারী হয়।
যাহোক, আপনার মন্তব্যের পর আমাকে একটু ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতে হল। সেমতে পোস্টের বক্তব্য পরিবর্তন করে দিলাম।
তবে, এ কথা সত্য, নারীর স্বাভাবিক যৌন জীবনে কিছুটা হলেও ব্যাঘাত ঘটে রজঃনিবৃত্তির পর। আমার কথা খুব স্পষ্ট, স্বর্ণযুগ কেন নষ্ট করব? আল্লাহতো আপনাকে এই নেয়ামত উপভোগ করার জন্যই দিয়েছেন, সেটা সঠিক সময়ে কেন হালাল উপায়ে উপভোগ করব না? আর চরিত্র হেফাজতের জন্য সঠিক সময়ে বিয়ে করাটা খুবই জরুরী বিষয়, এটা বোঝানোর জন্য বোধ করি আর কোন উদাহরণ দিতে হবে না। চাকরি, ক্যারিয়ার, এগুলো আমরা বানিয়েছি, যদি আমরা ঠিক থাকি, রাসূল(সঃ) সুন্নাহ অনুসারে চলি, তাহলে বিয়ের পরেও একজন নারী তার পড়াশোনা, চাকরি করতে পারে, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে তার স্বামীই তাকে সহায়তা করবে।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০২
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কে কখন বিয়ে করবে, কখন বাচ্চা নিবে, কি পড়ালেখা করবে, কি প্রোফেশান চুজ করবে এটা তার ব্যাপার। এখানে নারী পুরুষ আনার কি হল? কেউ নিজেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত মনে না করলে কি জোর করে বিয়ে দিবেন নাকি? পরিবাররের অভ্যন্তরীন কাজের ব্যবস্থাপনা এবং সন্তান লালল পালনের কাজ শুধু মেয়েদের কাজ সেটা আপনাকে কে বলল? বলেন, এই সমাজের ছেলেরা সেই দায়িত্ব নিতে চায় না। কিন্তু এই দায়িত্ব দুইজনেরই। এখন যদি আপনার মনে হয় এই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে চাইলে বাইরের কাজ করা যাবে না, তাহলে ছেলেদেরও বাইরে কাজ বাদ দিয়ে শুধু ঘরে কাজ করা উচিত।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: স্বর্ণা, আমি জানি আপনি কোন সামাজিক প্রেক্ষাপটে উপরের কথাগুলো বলছেন, কিন্তু আমি একটি ইসলামি সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষাপট থেকে আমার মতামত তুলে ধরেছি।
ওয়েস্টার্ণ সমাজ ব্যবস্থার কি অবস্থা সেটা আমরা সবাই ভাল করে জানি। তাই ওদের অন্ধ অনুকরণ যে আমাদের অধঃপতনের দিকেই নিয়ে যাবে বা যাচ্ছে, সেটা এখন সবার কাছে খুবই স্বচ্ছ ! এবিসি রেডিওতে "হ্যালো ৮৯২০" এবং "যাহা বলিব সত্য বলিব" নামে দু'টো প্রোগ্রাম হয় হয়, ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে শুনে দেখতে পারেন, কতটা অধঃপতনে আমাদের কিশোর এবং যুব সমাজ গিয়েছে, সেটা বুঝতে পারবেন। ধর্মীয় অনুশাসনে থাকলে আজকে এ অবস্থা হত না।
ছেলে মেয়ের সঠিক বয়সে বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। বিয়ের পরে একজন মেয়ের দায়িত্ব তার স্বামীর উপর। কুরআনে এটা স্পষ্ট করেই বলা আছে। এমনকি আপনি বাংলাদেশে একটি মুসলিম বিয়ের 'নিকাহ নামা" পড়ে দেখতে পারেন, স্পষ্ট বলা আছে, "স্বামী তার স্ত্রীর সকল ভরণ পোষন দিতে বাধ্য"। স্বামীর সম্পদের উপর স্ত্রীর হক্ব আছে, স্ত্রীর উপার্যনের উপর স্বামীর কোন হক্ব নেই। সন্তান কখন নিতে হবে সেটা স্বামী-স্ত্রী'র যৌথ পরিকল্পনা, কারো একার পরিকল্পনা নয়।
পরিবারের অভ্যন্তরীন কাজের ব্যবস্থাপনা এবং সন্তান লালন-পালন শুধু মেয়েদের কাজ, সেটা কখনোই বলিনি। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন বাবা সেই সকালে কাজের বেরিয়ে যান, ফিরতে ফিরতে রাত ৮ টা। সময় কোথায় বাবা'র সারাদিন সন্তানদের সময় দেয়ার? আর মায়ের আদর স্নেহ কি বাবা কখনো দিতে পারেন? এরপর বাবা যেটুকু সময় পান সেটা থেকে যতদূর পারেন সন্তানকে সময় দেন। ছুটির দিনেও বাবাকে বাজার ঘাট করতে ব্যস্ত থাকতে হয়। যদি চাকরির অর্থে না কুলায়, অনেক সময় বাবারা চাকরির পাশা-পাশি ব্যবসার চেষ্টা করেন, সেক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় দেখা যায়, ছুটির দিনের একটা বড় অংশ বাইরেই চলে যায়। এরপরো আপনি চাইছেন, বাবা ঠিক মায়ের মত করেই সন্তানকে সময় দেবে?
আপনি কি জানেন, সন্তানকে স্তন্য দানের মাধ্যমে মা এবং সন্তানের মধ্যে কত মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে? আপনি কি জানেন, আল্লাহর রাসূল(সঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথম তিন বার উত্তরে বলেছেন, মা'কে বেশী সম্মান করতে, চতুর্থ বারে বাবা !
শূন্যে ভেসে না থেকে মাটিতে নামুন, চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন, নিজেকে সম্মান দিতে শিখুন। নারীরা নিজেদের সম্মান দিতে পারেনি বলেই আজকে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার নামে নারীদের উলংগ করে ছেড়ে দিয়েছে কতগুলো হায়েনার দল। কবে বুঝবেন নারীর মর্যাদা, যেটা ইসলাম নারীকে দিয়েছে??
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: বর্তমান সমাজে মেয়েদের সবচেয়ে যে বিষয়টা দিয়ে বোকা বানানো হয়েছে, সেটা হল মেয়েদের মধ্যে এই ধারণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে, পরিবাররের অভ্যন্তরীন কাজের ব্যবস্থাপনা এবং সন্তান লালল পালন খুবই নীচু প্রকৃতির একটা কাজ।
কথাগুলো খুবই অযৌক্তিক,।প্রতিটি নারীই বড় হয় সংসার আর সন্তানের স্বপ্ন নিয়ে এটা বাই ডিফল্ট।কেউ মাথায় ঢুকিয়ে দিলেও স্বপ্ন গুলো ভেস্তে যায় না। সংসারে ঢোকার পরই বাস্তেবি ক্ষেত্রে তাকে নিচু করা হয় অর্থনইতিক স্বাধীনতা না থাকা এখানে মূল কারন। তখনি অতি সচেতনতা তইরি হয়। আর এখানে পুরুষ একা দায়ী তাও না। প্রক্রৃতি কখনোই দূর্বলের জন্য সহায় হতে পারে না আত্র চেয়ে সবল রাই কেবল এই পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারে তাই আঙ্গুল সেই দিকেই যায়। যাই হোক তর্ক করেও লাভ নেই যে যার চিন্তাশক্তিতে চলুক
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হুমম, আমি আপনার বক্তব্য বুঝতে পেরেছি।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বেশী প্রয়োজন সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে লালন-পালন। যাতে এই সন্তান বড় হয়ে এক দিন যখন ঘর সংসার করবে, তখন পরিবারের প্রতিটি সদস্য যাতে পরস্পরকে সম্মান করে। এটি হতে হবে একটি সমন্বিত উদ্যোগ, আর সেই উদ্যোগকে সফল করতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা (ধর্মীয় এবং প্রথাগত) নিয়ে বেড়ে ওঠা মানুষ।
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল বক্তব্যের সাথে একমত। যুক্তিগুলো শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, বৈজ্ঞানিকভাবেও সত্য। তবে টুম্পামণি কে-পয়েন্টটা হাইলাইট করেছেন তার সাথে আমিও একমত।
মেয়েরা সত্যিকারেই পুরুষের সহযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। এ বিষয়টা নিজের পরিবার থেকেই সূচনা করতে হয়। এখনও পর্যন্ত আমাদের সমাজে ছেলেকে সোনার টুকরো এবং মেয়ের জন্ম হলে বংশ বিলুপ্তির ভয়ে শাশুড়িগণ ছেলেকে দ্বিতীয় বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। দেখুন, মা এবং ছেলে, নারী এবং পুরুষ মিলে আরেকজন নারীর উপর কীভাবে অত্যাচার করে থাকেন। সামাজিকভাবেই আমরা এখনও মেয়েদের গ্রহণ করতে পারছি না।
সমাজে এখনও এটা দেখা যায়- ছেলেদের জন্য উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, মেয়েদেরকে একপেশে করে রাখা। মেয়েদের মনে এখান থেকেই হীনমন্যতার জন্ম হয়। যারা এভাবে নিগৃহীত হতে হতে একদিন বড় হয়, তারা তখন পুরুষবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন খুব সঙ্গত এবং প্রাকৃতিক ভাবে। তখন নারীদের নিষ্কৃতির জন্য বৃদ্ধ বয়সে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়া তাঁর পক্ষে যৌক্তিক পরামর্শই হয়ে দাঁড়ায়।
বাসায় ছেলে এবং মেয়েকে একইভাবে ট্রিট করতে হবে; ছেলেকে কখনো এই আইডিয়া দেয়া যাবে না, তুমি বড় হয়ে এ সংসারের কর্তা হবে, তদ্রূপ মেয়েকেও বলা যাবে না তুমি বড় হওয়ার পর শ্বশুর বাড়ি চলে যাবে- তোমার শিক্ষাদীক্ষা না হলেও চলবে। তাদেরকে স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠতে দিতে হবে। সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আর কোন পোস্ট থেকে আপনার এ পোস্ট তার লিংক দিলে ভালো হতো।
ভালো থাকুন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র সোনাবীজ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনাকে বোধহয় আমি বই মেলায় দেখেছি, কিন্তু কথা হয় নি। আমি যদি ভুল না করি, আপনি বোধহয় ঢাকার বাইরে থাকেন এবং বই মেলা থেকে লিস্ট ধরে প্রচুর বই কেনেন, তাই না?
আপনি উপরে যে কথাগুলো বলেছেন, সেই সূত্র ধরে তাহলে আরো জোরালোভাবে বলতে হয়, আমাদের প্রত্যেকের জন্য ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা করা কতটা জরুরী !! ঐ হাদিসগুলোর দিকে তাকান, যেখানে আল্লাহর রাসূল(সঃ) কন্যা সন্তান লালন পালনকারী পিতা-মাতার জন্য কত বেশী মর্যাদার ঘোষনা দিয়েছেন? এমনকি সঠিকভাবে লালিত পালিত কন্যা তার পিতা-মাতার জন্য জান্নাতে উছিলা হয়ে যাবে। আজকের এই পিতা, মাতা আর দাদী'র মধ্যে যদি সেই ইসলামী জ্ঞানটুকু থাকত, তাহলে কি তারা কখনো পারত মেয়ে সন্তানকে অবজ্ঞা করতে??
মুসনাদে আহমদ এ-বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির দু’টি কন্যাসন্তান জন্মলাভ করবে আর তাকে ভালোভাবে লালন পালন করবে সে ও আমি জান্নাতে এভাবে পাশাপাশি অবস্থান করব।” এ বলে নিজের হাতের দু’টি আঙুল একত্রিত করে দেখান।
যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান লালন পালন করেছে, তাদেরকে উত্তম আচরণ শিখিয়েছে, বিয়ে দিয়েছে এবং তাদের সাথে সদয় আচরণ করেছে সে জান্নাত লাভ করবে।“ [সুনান আবু দাউদ]
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: পোস্টের সারমর্মের সাথে একমত।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র জাভেদ ভাই, আমরা যত দ্রুত সত্য বুঝতে পারি ততই মংগল, নইলে ভয়াভয় পরিণতির দিকে এগুচ্ছি আমরা...
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
হুপফূলফরইভার বলেছেন: প্রকৃতির সাধারন নিয়মের বিরুদ্ধাচারন করে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দি চিন্তায় বিভোর বানিয়ে নারী-পুরুষ কারোই কোনকালে কল্যান এসেছে ইতিহাস এ সাক্ষ্য দেয়না।
বরং নারী-পুরুষ প্রত্যেকেরই অপজিট জেন্ডারের বিরুদ্ধাচারনে না মেতে উঠে পরিবারে, সমাজে, চারপাশে বিরাজমান নানাবিধ অসংগতি, সুবিধাবাদী পশ্চাতগামীতা, নিজেদের আরোপিত সমাজব্যাবস্থার মন্দচর্চার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এসকল অসঙ্গতি শক্তহাতে দুরিকরনে পরস্পরে সমন্বতি উদ্যোগ গ্রহন আমাদের তৃতীয় বিশ্বের সমাজব্যাবস্থায় সময়ের মৌলিক দাবী।
আমি সেইদিনটার স্বপ্ন দেখি যেদিন আমারা সমাজের প্রতিটা মানুষ নারীকে নারী হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবেই চলবে বলনে আচরনে সর্বাবস্থায় দেখবে শিখবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র হুপু ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য...
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
ডরোথী সুমী বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে। নারী বলেই হয়তো ১০০% সমর্থন করতে মন চাইবেনা। তবে একথা সত্য সৃষ্টিকর্তার বিশেষ সৃষ্টি আমরা। কারন আমাদেরকে তিনি অনেক সম্মানিত রূপ দান করেছেন। কারও মেয়ে করেছেন, স্ত্রী করেছেন, মাতৃত্তের স্বাদ দিয়েছেন। আর এটা কে না জানে ১ম তৈরি জিনিষে একটু ভুল থাকতেই পারে কিন্তু ২য় জিনিষটা মোটামুটি নির্ভুলই হয়। অর্থাৎ.................. এতো দ্বিমতের দরকার কি? নারীরা ,আসুন গর্বিত হই।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ডরোথী, আশা করি আমার বক্তব্য ধরতে পেরেছেন।
আর আপনার মন্তব্যটাও খুব সুন্দর হয়েছে, আশা করি নারী হিসেবে সবসময় গর্ব বোধ করবেন...
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
এম মশিউর বলেছেন: ছেলেমেয়েদের ঘরে রেখে মা-বাবা উভয়েই চাকুরি করলে তাদের কোমল মনে অনেক আঘাত পড়ে। তার বাস্তব উদাহরণ দেখেছি আমার টিউশনীর ছাত্রের।
তাদের মনে মা-বাবার প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা জন্মে। ছেলেমেয়েকে শুষ্ঠুভাবে লালন-পালন করা প্রতিটা মা-বাবার নৈতিক দায়িত্ব। অনেকেই এই দায়িত্ব কেয়ার না করে বুয়ার কাছে রেখে যায়। আর এটাকেই আধুনিক মেয়েরা স্বাধীনতা বলে মনে করে।
পোস্টটি অনেক যুক্তিযুক্ত।।