নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগঃ লা মাযহাবী - সহীহ হাদিস এবং আমার সাধাসিধে ভাবনা

১৩ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সেদিন ফেইসবুকে জনাব লুতফর রহমান ফরায়েজী সাহেবের একটা ভিডিও শেয়ার দিয়েছিলাম, যেখানে তিনি ইদানিং কালে নতুনভাবে জেগে ওঠা লা মাযহাবী গ্রুপের বিশিষ্ঠ আলেম মুফতী কাজী ইব্রাহীম সাহেব নারী পুরুষের নামাযের ভিন্নতার ব্যাপারে কিভাবে একটি হাদিসকে আংশিক উদ্ধৃত করত সত্য লুকিয়েছেন সেটা চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়েছেন। লুতফর সাহেব একেবারে তাওহীদ পাবলিকেন্সের প্রকাশিত বুখারী গ্রন্থ থেকে পুরো হাদিসটা শুনিয়ে স্পষ্টই বলে দিলেন কিভাবে কাজী ইব্রাহিম সাহেব হাদিসের অপব্যাখ্যা করেছেন। বাস্তবতা হল, ওনারা এটা প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছেন। কেন করছেন সেটা আল্লাহ ভাল জানেন।

ভিডিওটি এখানে দেখুনঃ


সেখানে আমার এক বন্ধুও তার কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন এবং ওনার সাথে আমার কিছু আলাপ হয়েছিল। মনে হল যে আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে যে ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করেছি সেটা ব্লগেও শেয়ার করি।

লা মাযহবী ভাইয়েরা বলে থাকেন ওনারা কুরআন এবং সহীহ হাদিস এর অনুসরণ করে থাকেন। যদিও বাস্তবতা হল, ওনাদের এই বিশেষ স্টাইলটাই একটা নতুন মাযহাব হয়ে গিয়েছে!

বর্তমানে লা মাযহাবী ভাইয়েরা যেইভাবে “সহীহ হাদিস” টার্মটার অপব্যবহার শুরু করেছেন, তাতে এই লা মাযহাবী মাযহাব মূলতঃ একটা অসম্পূর্ণ মাযহাব হয়ে গিয়েছে। “সহীহ হাদিস” এর নামে ওনারা মূলতঃ মানুষকে কিছু অসম্পূর্ণ বিষয়ের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন। কিভাবে? আচ্ছা, বলি।

কালামুল্লাহ ডট কম নামে একটা ওয়েব সাইট আছে। সেখানে এই লিংকে ডঃ হিসাম আল আওয়াদি সাহেবের (http://www.kalamullah.com/hesham-alawadi.html) কিছু লেকচার নামিয়ে আমি শুনেছি। ভদ্রলোকের আলোচনা আমার বেশ ভাল লেগেছে। কি শুনেছি?

১। The Four Great Imams
২। Life of Imam Bukhari

এই দুটো আলোচনা শুনে আমি আপনাদের একটা সারাংশ বলি। চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সবচেয়ে সিনিয়র (৮০ হিজরিতে জন্ম, ইরাকের কুফা নগরীতে)। কুফায় হিজরত করা সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর এলেমের সিলসিলা থেকে মূলতঃ জ্ঞান লাভ করেছেন। ইমাম হাম্মাদ (রঃ) ওনার প্রধাণ ওস্তাদ ছিলেন। বড় মাপের মুহাদ্দিসও ছিলেন, প্রায় ৫৫ বার হজ্জ্ব করেছেন এবং এসব সফরে মক্কা মদীনার আলেম ওলামাদের থেকে জ্ঞান লাভ করেছেন। প্রায় ৭ বছর মক্কাতেই ছিলেন। উপরন্তু হযরত আলী (রাঃ) এর খিলাফাও কুফাতে ছিল, সুতরাং আলী (রাঃ) এর সিলসিলা থেকেও ওনার কাছে জ্ঞান এসেছে। ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফিই (রঃ), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ), এনারা পরপর এসেছেন, এক ইমাম আরেক ইমামের ছাত্র/বন্ধু ছিল। চার প্রধান মাযহাবের ইমামগণ মুজতাহিদ হওয়ার সাথে সাথে বড় মাপের মুহাদ্দিসও ছিলেন, তা না হলে তারা আমাদের জন্য ফিকহী মাসয়ালা মাসায়েল প্রণয়ন করে যেতে পারতেন না। জানা যায়, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর দশ লক্ষের উপর হাদিস জানা ছিল।

প্রথম বিষয়/বিভাগ ভিত্তিক হাদিস লিপিবদ্ধকারী ইমাম বুখারী (রঃ) কিন্তু ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এর বন্ধু/ছাত্র ছিলেন। সময়ের বিচারে উনি চার প্রধান ইমামের খুব বেশী দূরে ছিলেন না। এমনিভাবে সিহাহ সিত্তা সংকলনকারী ইমামগণ কিন্তু সম সাময়িক ছিলেন। ইমাম বুখারী (রঃ) কে যখন একটা বিষয়ে ভুল বোঝাবোঝির কারণে তার নিজ শহর বুখারায় প্রবেশ করতে দেননি তখনকার শাসক, তখন ইমাম বুখারী (রঃ) বর্তমান ইরানের খোরাসান রাজাভি প্রদেশের শহর নেইশাবুর শহরে আসেন এবং সেখানে একমাত্র ইমাম মুসলিম (রঃ) তাকে সাপোর্ট দেন। আর কোন আলেম ওলামা সেই সময় ইমাম বুখারী (রঃ) এর পক্ষ নেন নি। আলহামদুলিল্লাহ, ইমাম মুসলিম (রঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত নেইসাবুর শহর সফর করার সৌভাগ্য হয়েছে। ইমাম মুসলিম (রঃ) নেইসাবুরেই জন্মগ্রহণ করে এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন।

যে জন্য এত কথা, ইমাম বুখারী (রঃ) নিজে বলেছেন যার সারকাথাটা এরকম, “আমার এলেমের ভান্ডারে ৬ লক্ষের বেশী সহীহ হাদিস রক্ষিত আছে, কিন্তু, সহীহ আল জামাতে (বুখারী শরীফে) আমি মাত্র ৭২৭৫ টি হাদিস লিপিবদ্ধ করে গেলাম, তা নাহলে বইয়ের আকার অনেক বড় হয়ে যাবে।“ ওনার জীবনী শুনে দেখেন, এক বসাতে হাজার হাজার হাদিস বলে গেছেন মজলিশে। অন্য ছাত্ররা ওনার হাদিস শুনে নিজেদের লেখা সংশোধন করত। ইমাম মুসলিম (রঃ) একবার এক হাদিস শুনেছেন যেটা তার জানা ছিল না। এত দিন পরেও কেন উনি এই হাদিস পান নাই, সেই জন্য উনি ওনার নিজের দলিল দস্তাবেজ ঘাটছিলেন আর একটা একটা করে খেজুর মুখে দিচ্ছিলেন। এতটাই মগ্ন ছিলেন যে কত খেজুর খাচ্ছেন তার খবর ছিল না। অতিরিক্ত খেজুর খেয়ে ঐ হাদিস খুজতে খুজতে ইমাম মুসলিম (রঃ) ইন্তেকাল করে যান! আল্লাহু আকবার!

যাহোক, ইমাম বুখারী (রঃ) ঐ ৭২৭৫ টি হাদিসকে বিভিন্ন অধ্যায়ে টপিক ওয়াইজ ভাগ করেছেন, তাতে একই হাদিস বিভিন্ন অধ্যায়ে এসেছে। তাই বুখারী শরীফে ইউনিক হাদিস আছে ৪৩৭৫ টির মত। ইমাম বুখারী (রঃ) যদি আজকের যামানার এই অবস্থার কথা জানতেন, আমি নিশ্চিত উনি সারা জীবন হাদিসের বই লেখার পেছনে ব্যয় করে দিতেন যাতে ৬ লক্ষ হাদিস পুরোটাই লিপিবদ্ধ করা যায়! ইমাম বুখারী (রঃ) তার গ্রন্থে যেই হাদিসগুলো রেখেছেন, ইমাম মুসলিম (রঃ) চেষ্টা করেছেন সেগুলোর বাইরের হাদিস লিপিবদ্ধ করতে। একই কাজ করেছেন ইমাম নাসাঈ (রঃ)। সব মিলিয়ে সিহাহ সিত্তায় আছে সম্ভবতঃ ২৭/২৮ হাজারের মত হাদিস।

তাহলে, আজকে যদি কেউ বলে যে আমরা শুধু সহীহ হাদিসের উপর আ’মল করব, তাহলে কি ওনারা আল্লাহর নবীর (সঃ) সম্পূর্ণ সুন্নাহ এর উপর আ’মল করতে পারবেন? সব হাদিস কি আমাদের কাছে এসেছে লিপিবদ্ধ আকারে? পূর্ববর্তী ইমামগণ যদি তাদের মাসয়ালা মাসায়েল প্রণয়নের ক্ষেত্রে সেসব হাদিসের সাহায্য নিয়ে থাকেন যেগুলো আমাদের কাছে লিপিবদ্ধ আকারে আসেনি, তাহলে সেটা কি আজকে আমাদের কাছে ভুল হয়ে গেল?? আজকের লা মাযহাবী আলেম ওলামাদের কাছে সব দলিল আছে, আজ থেকে ১৩০০ বছর আগের ওলামাদের কাছে কোন দলিল ছিল না?

চার মাযহাবের এত বড় বড় ইমামদের ওনারা তুচ্ছ জ্ঞান করেন, এইটা ভুল, সেইটা ভুল, এই ধরণের কথা বলার যোগ্যতা কি এই যামানার কোন আলেম ওলামার আছে? মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেবের আলোচনা আমারো খুব ভাল লাগত। আমি নিজে উত্তরা ৭ নাম্বার সেক্টরের মসজিদে বসে ওনার নতুন নতুন মাসয়ালা মাসায়েল শুনেছি আর অবাক হয়েছি, হায় কি ভুলই না এত দিন করেছি! পরে যখন বিষয়টার আরো গভীরে গেলাম, তখন বুঝলাম যে এনাদের কিছু দায়িত্বহীনতাও আছে। হাজার বছর ধরে ওলামারা যে মাসয়ালা মাসায়েল আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন, সেটাকে "সহীহ হাদিস" এর কথা বলে মহুর্তেই বাতিল করে দেয়াটা মোটেই কোন দায়িত্বশীল আচরণ নয় যেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে "এখতেলাফ" এর নূন্যতম ধারণাও নেই!

আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন আর আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন, আমিন।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৪

মিস্টার কিলবিল বলেছেন: ভাইজান! জাযাকাল্লাহ। কাজী ইবরাহীম সাহেব "ভরা কলস" হিসাবেই পরিচিত। কথায় ঠনঠন মাগার এলেমের গভীরতা কম। উনাকে কয়েকবার হানাফী আলেমদের সাথে বাহাস করার জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু আসেন নাই। নোয়াখালীতে একবার ফারায়েজী সাহেবের চ্যালেঞ্জ মুলক বক্তব্য শুনে পিছনের রাস্তা দিয়া পলায়ন করেছিলেন। আসলে উনারা যে ফেতনা ছড়াবার জন্যই এমনটি করতাছেন তা আস্তে আস্তে প্রকাশ হতে শুরু করেছে।

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আশা করি ওনারা দ্রুতই বুঝতে পারবেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার পথ থেকে ফিরে আসবেন। আমিন।

২| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

আহলান বলেছেন: তাহলে, আজকে যদি কেউ বলে যে আমরা শুধু সহীহ হাদিসের উপর আ’মল করব, তাহলে কি ওনারা আল্লাহর নবীর (সঃ) সম্পূর্ণ সুন্নাহ এর উপর আ’মল করতে পারবেন? সেটাই তো কথা! ইমাম বুখারী সহিহ বুখারি ছাড়াও আলা আদাবুল মুফরাদ নামে আরও একটি হাদিস গ্রন্থ প্রনয়ন করে গেছেন। লা মাজহাবীদের মতে সেই আল আদাবুল মুফরাদে উল্লেখিত হাদিস গুলোকি তাহলে বাতেল! ওদের গুরু জাকের নায়েক যেভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়া দখল করে তাদের মতবাদ প্রচারের চেষ্টা করছে, তাতে মনে হয় এতোকাল কোন সহিহ হাদিস বিশারদ আর দুনিয়ায় আসে নাই! নায়েক সাহেবই সব জ্ঞ্যান রাখেন .....

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমার জানা ছিল না যে ইমাম বুখারী (রঃ) এর "সহীহ আল জামা" ছাড়াও "আলা আদাবুল মুফরাদ" নামক আরেকটি হাদিস গ্রন্থ লিখে গিয়েছেন।

যাহোক, যদি সেটাও করে থাকেন এবং আরো কিছু সহীহ হাদিস গ্রন্থ থেকে থাকে, তারপরেও সর্বমোট লিপিবদ্ধ সহীহ/জয়িফ বা অন্য যে কোন ক্যাটাগরির, সংখ্যায় কত? পঞ্চাশ হাজার? এক লাখ? দুই লাখ? তারপরেও তো সে সংখ্যাটা চার প্রধান মাযহাবের ইমাম বা ইমাম বুখারী (রঃ) এর জানা মোট সহীহ হাদিসের চেয়ে কম!

তাহলে পূর্ববর্তী ইমামগণের ফিকহী মাসয়ালা মাসায়েলকে কিভাবে আমরা স্বল্প সংখ্যক লিপিবদ্ধ সহীহ হাদিস দিয়ে গ্রহণ বা বাতিল করব? সে যোগ্যতা কি আদৌ আমাদের আছে?

৩| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

নতুন বলেছেন: রাসুল সা: কোন মাজহাবের অনুসারী ছিলেন?

আমাদেরও সেই মাজহাব অনুসরন করা উচিত তাই না?

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি, তা রাসূল (সঃ) এর অনুসারিত মাযহাব কিভাবে আপনি অনুসরণ করবেন? সেই জ্ঞান আপনার কাছে কিভাবে পৌছাবে? সীমিত সংখ্যক লিপিবদ্ধ সহীহ হাদিসের মাধ্যমে?

রাসূল (সঃ) এর সময় কি পুরো কুরআন গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ ছিল? রাসূল (সঃ) এর সময় কি সকল মাসয়ালা মাসায়েল গ্রন্থে লিপিবদ্ধ ছিল? তাহলে কিভাবে সাহাবা (রাঃ) তাদের দৈনন্দিন আ'মালগুলো করেছেন? ইমাম আবু হানিফা (রঃ), ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফিঈ (রঃ), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ছাড়া এনাদের আগের বা পরের ইজতিহাদি ইমামগণের বের করে রেখে যাওয়া ফিকহ কি আপনার আমার কাছে পৌছেছে?

চার প্রধান মাযহাবের ইমামগণের সময় কাল জানেন? ওনারা সাহাবা বা তাবেঈনদের কতটা কাছে ছিলে সময়ের হিসেবে? কি পরিমাণ সময়, জীবনী শক্তি তারা ব্যয় করেছেন তাদের ফিকহ এর জন্য?

মাযহাব মানে কি? মাযহাব কি ইসলামের বাইরের কিছু নাকি? মাযহাবের শাব্দিক অর্থ মতামত। ইমাম শাফিঈ (রঃ), ইমাম মালেক (রঃ) এর ছাত্র ছিলেন এবং তিনি তার ওস্তাদের ফিকহি মাসয়ালার সাথে দ্বিমত পোষন করেছেন। কিন্তু তারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, মারামারিতে লিপ্ত হন নি। কিন্তু তাদের এই সব প্রচেষ্টার ফলেই উম্মতে মোহাম্মদী দ্বীনি এলেম আজকে এত সুন্দরভাবে পেয়েছে। তারা যদি সেই কোরবাণী না করতেন, তাহলে আজকে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি আরো বেশী থাকত। কিভাবে ফরজ গোসল করবেন, সেই মাসয়ালা বের করতে খবর হয়ে যেত। সুতরাং, নিজের বুঝকে সহীহ করে। আল্লাহ হাফিয।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:২৩

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: আল্লাহ নির্দেশ দিছেন দলে দলে ভাগ না হবার জন্য। আর আমরা মাজহাবী, লা মাজহাবী কইরাই খালি বাদ দেই নাই। এই মাজহাব ঐ মাজহাব.। ইত্যাদি ইত্যাদি কইরা আমাদের মধ্যেই ক্যাচাল লাগায় রাখছি। মুসলমানদের মারতে ইহুদি নাসারা লাগে না, খালি নিজেগোর মধ্যে একটু ক্যাচাল লাগায় দিলেই হয়।

আপনি আপনার লেখায় যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তাতে শুধু বিদ্বেষ ছড়াবে, আর কিছু না।

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনি একটা গড় পড়তা মন্তব্য করেই বিদায় হলেন। এই পোস্টের উদ্দেশ্য সেটা ছিল না। একটু যদি মনোযোগ দিয়ে পোস্টটা পড়তেন এবং পোস্টে দেয়া লিংকের অডিও/ভিডিও দেখতেন, তাহলে হয়ত ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিস্কার হত।

চার প্রধান মাযহাব, যেগুলোর এলেমি সিলসিলা আমাদের কাছে আছে, তাদের মধ্যে কখনোই কোন বিভক্তি নেই, ছিলও না। দেখাতে পারবেন না, যে হানাফি মাযহাবের লোকজন মালেকি মাযহাবের লোকজন এর সাথে মারামারি বা তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়েছে। কারণ, প্রধাণ চার মাযহাবের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন, ইমামগণ তাদের প্রজ্ঞা এবং মেধা দিয়ে আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য মাসয়ালা মাসায়েল প্রণয়ন করে দিয়ে গেছেন। তাদের কার্য পরিধিও আল্লাহ'র রাসূল (সঃ) দুনিয়াতে আগমনের অনেক কাছাকাছি। কোন সাহাবীর সিলসিলায় তারা জ্ঞান লাভ করেছিলেন, সেই সূত্রও আমাদের কাছে জানা আছে।

সুতরাং, মাযহাব সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার করুন। মাযহাব ইসলামের বাইরের কিছু নয়, বরং মাযহাবের ইমামগণ আমাদের কিভাবে দ্বীনকে জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে সেই ফিকহী মাসয়ালা মাসায়েলগুলো সুন্দরভাবে সন্নিবিশিত করে দিয়ে গিয়েছেন। যুগে যুগে ওলামাদের মাধ্যমে আমাদের কাছে সেটা পৌছেছে।

আজকে লা মাযহাবী গোষ্ঠি বিভিন্ন নামে বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে যে এই মাযহাবের এইটা ভুল, ঐ মাযহাবের ঐটা ভুল। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি যে, অসম্পূর্ণ জ্ঞান দিয়ে এই ধরণের কাজ করা আদৌ কতটা যৌক্তিক?!

৫| ১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

আহলান বলেছেন: মাজহাবে মাজহাবে কখনোই ক্যচাল লাগে নাই। ক্যচাল লাগে মাজহাব বনাম লা মাজহাব। যে কোন মাজহাবই আপনি অনুসরণ করতে পারবেন। কিন্তু সহিহ হাদিস পালন করার নামে খিচুড়ি মার্কা সিস্টেম এপ্লাই করতে গেলেই ক্যচাল বাধে। ইদানিং সেটাই হচ্ছে .... .. @ শফিউল সাহেব। সিহাহ সিত্তায় কিছু না থাকলেই তা বাতেল হয়ে যাচ্ছে, অথচ সিহাহ সিত্তার বাইরেও কত শত সহিহ হাদিস রয়ে গেছে, যা চার ইমামগনও উল্লেখ করে গেছেন। কিন্তু এই আহলে হাদিসগন তা মানতে নারাজ। শুধু নারাজই নয়, অন্যদেরকেও তারা বিভ্রান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে ... এদেরকে আরো আগে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা উচিৎ ছিলো ....

১৪ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার সাথে সহমত আহলান ভাই, জাজাকাল্লাহ খায়র। আর এজন্যই আজকে লুতফর রহমান ফরায়েজী সাহেবদের মত অন্যান্য আলেম ওলামাগণকেও এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্তি থেকে বাচানোর জন্য। আল্লাহ আমাদের জন্য দ্বীন পালন সহজ করে দিন, আমিন।

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে, কথা হচ্ছে আলেমরা কেন শতধা বিভক্ত? এই মাজহাবী, লা-মাজহাবী? যারা মাজহাবী আর লা-মাজহাবী তারা সবাই নামাজ, রোজা, অযু, গোসল ও শরিয়তের মূল বিষয়গুলোতে ঐক্যমতেই আছেন বলেই মনে হয়। কোন ফরয, সুন্নত নিয়ে মনে হয় কারো মাঝেই ঝামেলা নেই তাহলে, সমস্যাটা কোথায়? ধর্মীয় রীতিনীতি আর আকিদার মাঝে, তাই না? কেন এতসব ফেরকা? কেন এতসব মতলববাজী? আপনারা আলেমরা আগে ঐক্যমতে আসেন। একই সাথে বসেন। কথা বলেন। হাদিসের কিতাব সামনে নিয়ে কথা বলতে হবে সব আলেমকে একই সাথে,একই মতে।
" আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা।"' এটাই হওয়া উচিৎ মুসলমানদের শেষ বাণী। আর, এই দায়ভার যায় সম্পুর্ণটাই আলেম অলামাদের উপর। আজ সারা বিশ্বে সব ফিতনার মূল কারণ, আলেমদের অনৈক্য।
ডক্টর জাকির নায়েক সঠিক লাইনেই আছেন। ওনাকে জড়িয়ে যেসব বলা হচ্ছে এটার সমাধান সম্ভব যদি আলেমরা ওনার সাথে বসেন এবং বহস করেন। সেটা হওয়া উচিৎ একান্তই ইন্টারনাল ওয়েতে। যাতে কোন মতনৈক্য হলে সাধারণ জনগণের মনের উপর তার মন্দ প্রভাব না পড়ে। ধন্যবাদ।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট পড়লাম । স্পিকার নষ্ট তাই ভিডিওটা দেখতে পারিনি ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন, আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.