নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ যখন চোখ রাঙ্গানি দেয়া শুরু করল, তখন থেকেই গত প্রায় দু’মাসের বেশী সময় গতানুগতিক কাঁচা বাজারে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। গতকাল একটা সিস্টেমে পড়ে উত্তরা সেক্টর-৬ এ রাজউক কলেজের সামনে অবস্থিত কাঁচা বাজারে গিয়েছিলাম। গিয়েতো পুরাই বোকা বনে গেলাম! করোনাপূর্ব ভীড় এর সাথে কোন তফাৎ নেই, লোকজন ধুমায়া বাজার করছে, সবাই গায়ে গায়ে লেগে চলাচল করছে! অথচ প্রায় প্রতিদিন নতুন সনাক্ত এবং মৃত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাজারে যতক্ষণ ছিলাম, কিছু চিন্তা মাথায় এল যে কেন আমাদের এই অবস্থা। উত্তর আসল এই দু’টো (একান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা/মতামত)।
১। সুশিক্ষার বড্ড অভাব
২। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রচন্ড ঘাটতি
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ ২০২০। আজকে আড়াই মাস পরেও উত্তরার এই বাজারটিকে বড় রাস্তায় স্থানান্তর করতে পারেনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষগুলো! অথচ রাজউক কলেজের সামনে যে বড় রাস্তা আছে সেটিকে দুই মাথায় বন্ধ করে খুব সহজেই সবগুলো দোকান বাইরে বের আনা যেত যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করা যায়। শত শত সসস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেন, অথচ ওনাদের আমরা এই ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়নে কোন কাজে লাগাতে পারলাম না!
উত্তরায় নিশ্চয় অধিকাংশ শিক্ষিত লোকজন বসবাস করেন, কিন্তু মিডিয়াতে সামাজিক দূরত্বের কথা এত বার বলা হলেও কারো সে ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ নেই! কি ধরণের শিক্ষিত মানুষ আমরা তাহলে? এখন পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করে যা বুঝেছি, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য মাস্ক/হ্যান্ড গ্লাভসের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কারণ বহুল আলোচিত এন-৯৫ মাস্কও ৯৫% সুরক্ষা দিতে পারে, সুতরাং রাস্তা-ঘাটের মাস্কের কি অবস্থা আল্লাহই ভাল জানেন। এই যে শিক্ষিত মানুষেরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে না পারা, এটা হয়েছে জাতিগত সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের অভাবে।
গতকাল প্রথম আলোতে একটা প্রতিবেদন ছিল যেটাতে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ৭৯টি কোম্পানি চীন থেকে কারখানা সরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি ভিয়েতনামে, ১১টি তাইওয়ানে, ৮টি থাইল্যান্ডে, ৬টি মেক্সিকোতে ও ৩টি ভারতে গেছে। বাংলাদেশ পেয়েছে দুটি।
বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসাসূচক বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম। মাহবুব কবির মিলন স্যারের স্ট্যাটাস থেকে জানতে পারলাম, ২০১০ সালে আমাদের র্যাংকিং ছিল ১১৯ নাম্বারে। তারমানে এই ১১ বছরে আমরা অনেক নিচে নেমে গিয়েছি।
এবার আপনারা গুগল করে দেখুন, এই তালিকায় ওপরে থাকা ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানের কোভিড-১৯ এর বিপক্ষে লড়াইয়ের ফলাফল! ভিয়েতনামে এ পর্যন্ত একজনও কোভিড-১৯ এ মারা যায় নি আর তাইওয়ানে মারা গিয়েছে মাত্র ৭ জন! তাইওয়ান কোন লক ডাউনই দেয়নি কখনো। সঠিক শিক্ষা আর জাতিগত সুসংস্কৃতি তাদের সাহায্য করেছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করতে।
তাই, জাতির কর্তা-ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ, দেশ নিয়ে ভাবলে আগে গোড়ায় হাত দেন, সুশিক্ষা নিশ্চিত করুন আর সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ উন্নয়নে মনোযোগ দিন। ভাল ফলাফল ইনশাআল্লাহ আসবেই।
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: একেবারে আসল সত্যটাই বলেছেন! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।
২| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উত্তরায় কয়টা মাদ্রাসা আছে সেই খবর কি রাখেন?মাদ্রাসা টাইপের শিক্ষিত লোক বাসকরে।
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এই মাদ্রাসা পড়ুয়া বা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষিতের ব্যাপার না। সব কিছু নিয়ে প্রান্তিকতা না দেখানোই ভাল।
৩| ২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,
সাধারন জ্ঞানটুকুও নেই। সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ তো পরের কথা!
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পরিবর্তন আনতে হবে ভাই, কিছু হবে না এ জাতির এমন ভাবতে থাকলে আসলেই কখনো কিছু হবে না...
৪| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে। না জানি কি আছে কপালে।
২৬ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহই ভাল জানেন।
৫| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশের কত লোক ভিয়েতনাম কাজ করে কেমন করে জানতে ইচ্ছে করে
২৬ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অন্তর্জালে খোজ করুন ভাই, ভিয়েতনামে যাওয়ার উপায় পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: জহির আপনি কি এখন ঢাকায়? ইরান থেকে চলে এসেছেন কি পাকাপাকি ভাবে??
১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি আপু, ইরান থেকে আবার চাদে গিয়েছিলাম! সেখান থেকে ঢাকায় এসেছি ২০১৭ এর জুলাই মাসে। সেই থেকে ঢাকাতেই আছি আপু! ভাল আছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: জাতির কর্তা-ব্যক্তিদের মালয়েশিয়াতে বাড়ি আছে, চাইলেই মাউন্ট এলিজাবেথে যাইতে পারে,সুইস ব্যাংকে টাকা আছে। সেই টাকায় ওই বাজারের ভাগটাও আছে নিশ্চয়।
আপনার আমার মরা বাঁচায় তাদের বালডাও যায় আসে না। তাদের আঠারো গুষ্টির লাইফ সেট সেইটাই হইলো ব্যাপার।