নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
ইভ্যালি নিয়ে ইদানিং দারুণ হইচই হচ্ছে। পক্ষে বিপক্ষে অনেক পোস্ট, সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা সোচ্চার! কেউ বলছেন, ইভ্যালিকে বন্ধ করে দেয়া দরকার।
এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করি। ইভ্যালিতে আমার প্রথম অর্ডার করা ০৬ জানুয়ারি ২০২১, শেষ অর্ডার করেছিলাম ২৬ জুন ২০২১। মোট ১১১ টি অর্ডার করেছি, ৮৫ টা অর্ডার ডেলিভারি পেয়েছি এখন পর্যন্ত, ২ টা ওরা ক্যান্সেল করেছে, বাকীগুলো প্রসেসিং এ আছে। অধিকাংশ অর্ডার ৪৫ কর্ম দিবসের(২ মাস) মধ্যেই পেয়েছি, কিছুঅর্ডার পেতে ৪ মাস লেগেছে। মজার ব্যাপার হল, অধিকাংশ অর্ডারই যে আমরা পেয়েছি এটা আমরা বলি না। আমরা যে কয়েকটা পাই নি সেটা নিয়ে ইভ্যালির ফেইসবুক গ্রুপে মাতম করি! অবশ্যই আমি ইভ্যালির দেরিতে পণ্য দেওয়ার সমর্থন জানাতে এ কথা বলছি না।
কথা উঠেছে, ইভ্যালি টাকা নিয়ে কেন সময়মত পণ্য দিতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্ট এবং ইভ্যালি সিইও'র ব্যাখ্যায় আমরা বুঝতে পেরেছি, তারা ই-কমার্স মার্কেট তৈরি এবং গ্রাহক সংগ্রহ করতে টাকাগুলো খরচ করেছেন অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি করে। ফলশ্রুতিতে তারা এখন প্রায় ৪’শ কোটি টাকা লস এ আছেন। আর এই পুজিটা তারা বিনিয়োগ করেছেন গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রির টাকা দিয়ে। তিনি যে মডেলে বিজনেস প্ল্যান করেছিলেন এবং সে অনুযায়ী তার ব্যবসায় লাভে ফিরে আসার পরিকল্পনাও আমরা জেনেছি সিইও’র লাইভ এবং ফেইসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।
তার এই বিজনেস মডেল লিগ্যাল না ইলিগ্যাল, এথিক্যাল না আনএথিক্যাল, স্ক্যাম নাকি পঞ্জি স্কিম সে প্রসংগে এখন যাচ্ছি না। কিন্ত, আমি মনে করি ইভ্যালিকে মনিটরিং এ রেখে তার বিজনেসটাকে সাসটেইনেবল করার সুযোগ দিতে হবে। ইভ্যালি থেকে ক্রেতাদের কেনাকাটা বন্ধ করে ফেলা বা ইভ্যালিকে বন্ধ করে দেয়া মানে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে পথে বসিয়ে দেয়া। ইভ্যালি ছাড়াও ইফুড, ইজবস, ফ্লাইট এক্সপার্টসহ যেসব ভেঞ্চার তিনি শুরু করেছেন, আমি মনে করি তার ৩/৪'শ কোটি টাকার ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা খুব একটা অসম্ভব হবে না। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রীইতো বলেছিলনে, ৪০০০ কোটি টাকা কোন টাকাই না! তাহলে এই লোক কেন পারবে না?? নাকি তাঁকে আমরা পারতে দিতে চাই না??
ইভ্যালি কান্ডে হলুদ সাংবাদিকতা আর বুদ্ধিজীবীদের (সম্ভবত টাকা খেয়ে) লেখালেখি আরেকবার দেখার সুযোগ হল। The Business Standard নামে এক পত্রিকা ইভ্যালি’র বিরুদ্ধে লেখা সংবাদগুলোকে আবার ফেইসবুকে পয়সা দিয়ে বুস্ট করায়, তার বক্তব্য অনুসারে সাংবাদিকতা একটা ব্যবসা, ৩০ বছর ধরে তিনি এ করেই খাচ্ছেন!!
গতকাল স্বনামধণ্য এক পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করল, ইভ্যালি’র অফিস বন্ধ! এরপরে ইভ্যালির এক কর্মকর্তার লাইভ থেকেই আমরা দেখলাম যে তাঁদের ওয়্যারহাউসে পণ্য প্যাকেজিং এবং ডেলিভারির কাজ চলছে। আর কোভিড এর কারণে তাদের একটা বড় অংশই বাসা থেকে অফিস করছে যেটা মহামারীর এই পরিস্থিতিতে খুবই স্বাভাবিক!
কিন্তু কেউ বলছে না যে এত বড় এই ব্যাবসাটাকে কিভাবে sustainable মডেলে নিয়ে আসা যায়! কেউ না! কারণ, টাকা কথা বলে!
এটা হয়তো ঐতিহাসিকভাবেই আমাদের জাতিগত দৈন্য! আমরা কখনো অন্যের ভাল সহ্য করতে পারি না, বিদেশেও বাংলাদেশীরা নাকি ৩ জন একত্রিত হলে দুইটা দল করে ফেলে! আমরা নিজের দেশের উৎপাদিত জিনিসের বদলে বিদেশী পণ্য বেশী পছন্দ করি। সেই জায়গাটা থেকে বের হয়ে এসে, অন্যকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে আনার যে জাতীয় প্রচেষ্টা চলছে সেটা না করে রাসেল সাহেবকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে উতরে যেতে সহায়তা করাই বেশি বিচক্ষণতার পরিচয় হবে বলে মনে করি।
১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামতের জন্য।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০১
আমি নই বলেছেন: ভাই, নিজের পকেটের টাকা দিয়ে উনি ৪০০ কোটি কেন ৪০০০ কোটি টাকা লস দিয়ে ওনার বিজনেজ মডেল দার করাক সমস্যা নেই, কিন্তু ওনার আজব বিজনেজ মডেলের জন্য সাধারনের টাকা কেন জিম্মি হবে?
১৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেটা যদি প্রচলিত আইনে বেআইনি হয়, তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি পাওয়া উচিৎ। তবে ভাই, বড় বড় বিজনেস যখন ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা বাড়ায় সেটাও কিন্তু আদতে জনগণের জমা রাখা টাকা। কেউ কেউ কিন্তু আবার সে টাকা নিয়ে বিদেশেও পাড়ি দেয়!!
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮
আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: হয় আপনি ইভ্যালীর সুবিধাভোগী নয়তো ই্ভ্যালীর চাকরিজীবি। নাহলে ইভ্যালীর পক্ষ টেনে এভাবে কথা কইতেন না।
আর ভুংচুঙ লজিক বোঝাইতে আসেন কেন? ৪০০ কোটি হোক আর ৪০০০ কোটি হোক, লস হইলে সেইটা ইনভেষ্টমেন্ট বা ক্যাপিটাল এর টাকা থেইকা হ্ওয়া উচিৎ। এমন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর মতো ইভ্যালীর ইনভেস্টমেন্টই নাই, ক্যাপিটালই নাই। তারা কাস্টমারদের টাকা এবং সাপ্লায়ারদের পেমেন্ট আটকে রেখে সেই টাকায় ডিস্কাউন্ট দিছে। তাদের ব্যবসার মডেলটাই আনসাস্টেইনেবল।
সরকারের উচিৎ ছিলো স্টেপ নেয়ার, সেইটা সরকার নিছে। এখন অগ্রিম টাকা নিয়ে মাসের পর মাস ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতেই ইভ্যালীর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। আপনে ৪০০ কোটি টাকা ডিস্কাউন্ট দিতে পারেন অথচ মার্কেট রিকভারির কোন প্রোপার পরিকল্পনাই নাই, তাইলে মিয়া আপনে ব্যবসায়ী না, ফটকাবাজ।
সরকার ইভ্যালীরে বন্ধও করে নাই, এমডি-চেয়ারম্যানরে এ্যারেস্টও করে নাই। যাস্ট পেমেন্ট মনিটরিং এর দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক-কে ধরিয়ে দিছে।
আর টিবিএস এর যেই প্রসঙ্গ টানলেন, একটা নিউজ/মিডিয়ার পণ্য তাদের কন্টেন্ট। তারা সেইটা প্রচারে বুষ্ট করবেই। এই সামহয়্যারইনব্লগও বুস্ট করে। এরা চ্যারিটেবল সংস্থ্যা না, ফর প্রফিট অর্গানাইজেশন। সংবাদপত্র বাংলাদেশ এর আইনে লিগ্যাল ব্যবসা।
যাই হোক, আপনার বাকি অর্ডার আটকে আছে দেখে এসব লজিক্যাল কথা আপনার মাথায় ঢুকবে না। ভালো থাকবেন।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৬
ইলি বলেছেন: সে নিঃসন্দেহে ধান্দাবাজ। এইটা কোন ধরনের বিজনেস মডেল??? ওরে বইলেন নিজের টাকায় বিজনেস করতে বিভিন্ন মডেলে প্ল্যানে, ভাই ১০ টাকার জিনিস ১ টাকায় বেচে কোন পাগলে।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার চেয়ে সরকার কি বেশী গাধা !!
তারা বুঝে শুনেই ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্স নিয়ে
ব্যাংকের সতর্কতা জারি করা হয়েছেযত দিন যেতো ততই তারা পরের মাথায়
কাঁঠাল ভেঙে খেতো!
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইভ্যালি বা ই-কমার্সজনিত যে সংকট শুরু হয়েছে তার প্রেক্ষিতে এটাই আমার দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ লেখা! ধন্যবাদ লেখককে।
আশা করি কর্তাব্যক্তিদের চোখে পড়বে এবং তারা সঠিক পথেই এগুবেন!
বাকী যত লেখা পড়লাম সবই কথার ফুলঝুরি, অনুমান নির্ভর, হলুদ সাংবাদিকতা, পেইড দালালি! অনেকটা ফাকা কলসির বেশী বাজা টাইপ অবস্থা!
মূল লেখার লিঙ্কঃ Click This Link
ইভ্যালি ক্রাইসিস - প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ এবং উপযুক্ত সমাধান।
একটা সময় পর্যন্ত যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি বাতাসে উড়তো সেটা হচ্ছে ইভ্যালি কিভাবে অস্বাভিক ডিসকাউন্ট দিচ্ছিল? আপাতত এই রহস্যের উদঘাটন হয়েছে।
সেন্ট্রাল ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী কাস্টোমার এবং মার্চেন্টদের কাছে প্রোডাক্ট এবং পেমেন্ট বাবদ ইভ্যালির দায় 403.80 কোটি টাকা, যেখানে এসেট রয়েছে 65.17 কোটি টাকা।
আমরা ধারণা করতে পারি এই অর্থের অনেকখানি গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দিতে, বিভিন্ন ইভেন্ট যেমন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ম্যাচ, প্রোগ্রাম স্পনসরশীপে, ফ্লাইট এক্সপোর্ট টাইপ ইনভেস্টমেন্ট ইত্যাদিতে। কোন খাতে ঠিক কত টাকা গিয়েছে এটা সহ অন্যান্য বিভিন্ন দিক তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFII) এর মতো সংস্থা।
প্রশ্ন হচ্ছে, গ্রাহক এবং মার্চেন্টের টাকায় রিস্ক নিয়ে কোন কোম্পানির কি এই অস্বাভাবিক ডিসকাউন্ট দেয়া উচিত?
উত্তর হচ্ছে - অবশ্যই না।
কাস্টোমার একিউজিশন, ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার তৈরি, মার্কেটিং, এডভার্টাইজিং, ব্র্যান্ড বিল্ডিং, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বা এক্সপানশন এসবের জন্য পুরোপুরি রিস্ক নিয়ে ইনভেস্টমেন্ট করবে কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডাররা, Angel, Venture Capitalist, ব্যাংক ইত্যাদি।
বিজনেস হাজার গুণ প্রফিট করলে তারা লাভবান হবে। বিজনেস পুরোপুরি লস খেলে তারা সেই লস বহন করবে।
মার্চেন্ট চাইলে কোম্পানিকে ক্রেডিটে প্রোডাক্ট দিতে পারে।
কিন্তু কাস্টোমার টাকা দেবে এবং তার পরিবর্তে সময়মতো প্রতিশ্রুত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পাবে। কোম্পানির সাথে কাস্টোমারের সম্পর্ক এটাই।
হ্যাঁ কাস্টোমারদের কাছে থেকে পাওয়া প্রফিট কোম্পানি গ্রো করার জন্য কাজে লাগাতে পারে, শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ট দিতে পারে।
কিন্তু কাস্টোমারকে প্রমিজড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস না দিয়ে সেই টাকা অন্যত্র খরচ করা যাবে না। কোন কোম্পানির রিস্ক লাভ লোকসান ভাগিদার সাধারণ কাস্টোমার হবে না। এটাই হাজার বছরের বিজনেস প্র্যাক্টিস, এটাই আইন, এটাই সাস্টেইনেবল বিজনেস তৈরির পূর্বশর্ত।
দেশে ডিজিটাল কমার্স আইন না থাকার কারণে মাসের পর মাস লেইট প্রোডাক্ট ডেলিভারি, ক্যান্সেল হওয়া, রিফান্ড ঠিকমতো না করা এই ধরণের ঘটনাগুলো এতদিন ঘটেছে বিভিন্ন ইকমার্স মার্কেটপ্লেসে। ভবিষ্যতে এগুলোকে প্রতিহত করার জন্যই “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” অনুমোদন করেছে সরকার (ইক্যাবকে সাধুবাদ পদক্ষেপ নেবার জন্য)।
এই নির্দেশিকাতে বেশ কিছু ভাল দিকের একটি পদক্ষেপের একটি হচ্ছে Escrow পদ্ধতি। এর ফলে ক্রেতা সুরক্ষিত থাকে কারণ পণ্য পেয়ে গ্রীন সিগনাল দেবার আগ পর্যন্ত সেলার পেমেন্ট পায় না। গ্লোবাল জায়ান্ট Aliexpress নিজেও এই এসক্রো সিস্টেম ব্যবহার করে।
আমাদের এখানে যেহেতু মার্কেটপ্লেসকে নিয়েই প্রশ্ন উঠছে, সো এই এসক্রো সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। একটা feasible implentation প্ল্যান তৈরির জন্য হয়তো কিছুটা সময় প্রয়োজন।
এই পর্যন্ত অনেকেরই জানা, এবার মূল পয়েন্টে আসি
ভবিষ্যতের সুরক্ষার তো একটা ব্যবস্থা হলো, কিন্তু ইভ্যালিতে পেন্ডিং প্রোডাক্ট এবং পেমেন্ট গুলোর কি হবে?
ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা আসার সাথে সাথেই ইভ্যালি সেগুলোর সাথে compliance থাকার জন্য তাদের সাইক্লোন, earthquake অফার থেকে সরে এসে priority store জাতীয় আইডিয়া নিয়ে এসেছে (যদিও এটা মিনিমাম আরো ১০ মাস আগেই হওয়া উচিৎ ছিল)।
কিন্তু নতুন প্ল্যান কতটুকু কাজে করবে সেটা বোঝার আগেই সরকারী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বেশ কিছু আর্থিক অসংগতি নিয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে জোরেসোরে তদন্তে নেমেছে।
সুতরাং নেক্সট কোশ্চেন হচ্ছে - সরকারের তদন্ত, মিডিয়ার নেগিটিভ নিউজ, মার্চেন্টদের অসহযোগিতা, অসংখ্য পেন্ডিং প্রোডাক্ট, কাস্টোমারদের আশংকা, ফান্ড ক্রাইসিস এতগুলো প্রব্লেম ইভ্যালি একসাথে কিভাবে সলভ করবে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এক কথায় দেয়া খুবই কঠিন, কারণ এখানে অনেকগুলো ভ্যারিয়েবল চলে আসছে। সব ভ্যারিয়েবল নিয়ে একটা সঠিক ইকুয়েশন দাঁড় করানোটা সহজ হবে না।
তাছাড়া ইভ্যালি ইস্যুটা বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত সেনসিটিভ।
একদিকে আটকে থাকা হাজারো মানুষের কষ্টের টাকার প্রোডাক্ট, শতশত এমপ্লয়ীর জীবিকা, মার্চেন্টদের আটকে থাকা টাকা...আরেকদিকে ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হওয়া সংকট, ইভ্যালির প্রতিদ্বন্ধী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
তাই ইভ্যালি নিয়ে লিখলেই কারো না কারো ইমোশনে আঘাত লাগে। কনস্ট্রাকটিভ ডিসকাসনের বাইরে গিয়ে কিছু ব্যক্তি আক্রমণের অপচেষ্টা চালাবে কমেন্টের ঘরে। সেই রিস্ক মাথায় নিয়েই তারপরও লিখছি, যদি সার্বিকভাবে কোন উপকার হয়।
যে কোন ডেভলপিং কান্ট্রিতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সবার আগে যে ইন্ডাস্ট্রিটা যাত্রা শুরু করে সেটা হচ্ছে ইকমার্স। প্রথমদিকের বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রি সঠিক ভাবে গড়ে ওঠা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্য সেক্টরগুলোর জন্যও।
তাই শুধু সমস্যার দিকে ফোকাস না করে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই সংকটকে কাটিয়ে ওঠার জন্য নিচে কিছু সাজেশন দিলাম। এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত, কারো ভিন্ন অভিমত থাকতেই পারে। আর মানা না মানার দ্বায়িত্ব তো সংশ্লিস্টদের।
ইভ্যালি এই সংকট মূহুর্তে যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারে
----------------------------------------------
- ঠান্ডা মাথায় সব ধরণের সম্ভাবনা বিবেচনা করে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে শর্ট টার্ম এবং লংটার্ম প্ল্যান থাকবে। সরকারের যে কোন সম্ভাব্য পদক্ষেপ; মার্চেন্ট - কাস্টোমার, মিডিয়া; ইনভেস্টমেন্ট ইত্যাদি মাথায় রেখে বিভিন্ন ব্যাকআপ প্ল্যান তৈরি করতে হবে।
- প্ল্যানিং করার জন্য কোম্পানির বাইরের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে হবে। এজন্য বিজনেসে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি, একাডেমিকস, ফিনান্স এক্সপার্ট, স্ট্র্যাটেজিস্ট, সংগঠন প্রতিনিধি এবং অন্যান্যদের সমন্বয়ে তৈরি এডভাইজার প্যানেল গঠন করা যেতে পারে।
- ম্যানেজমেন্ট এবং লিডারশীপ টিম ঢেলে সাজাতে হবে। সিস্টেমের ভিতরে থেকে এতদিন ধরে চলে আসা ভুল সিস্টেমটা যারা ধরতে পারেনি, শুধরানোর চেষ্টা করে নি, তারা দ্বায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। সেলিব্রিটিদের দিয়ে কখনো বিজনেস রান করা যায় না, প্রয়োজন সুদক্ষ এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব।
- ফেইসবুকে মিডিয়ার সাথে বিন্দুমাত্র কনফ্রন্টেশনে যাওয়া যাবে না। নিজেদের কাজ এর পাশাপাশি কন্টিনিউয়াসলি PR করে যেতে হবে। বাংলাদেশের টপ মিডিয়াতে নিউজের কারণে এর আগেও বহু কোম্পানি এবং ব্যক্তির পতন হয়েছে।
- সকল ধরণের excessive money burn করা এই মূহুর্তে বন্ধ করতে হবে। পুরোপুরি Lean মডেলে চলে গিয়ে মিনিমাম রিসোর্স দিয়ে অপারেশন চালাতে হবে। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফান্ড এর অভাবে ম্যাস ডাউনসাইজিং এর মতো ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে। এর আগে আমরা এই ধরনের ঘটনা এদেশে ঘটতে দেখেছি, এই প্যান্ডেমিক সিচুয়েশনে যেটা খুবই দুঃখজনক হবে।
- এই ধরণের সিচুয়েশন যে জিনিসটা অনেক বেশি কাজ করে সেটা হচ্ছে - ক্লিয়ার কমিউনিকেশন। নিজেদের কার্যক্রম, সমস্যা সমাধানে কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো অনেস্টলি কমিউনিকেট করতে হবে নিজের এমপ্লয়ী এবং কাস্টোমারদের কাছে।
ইনভেস্টমেন্ট - এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই বিস্তারিত লিখছি।
-------------------------------------------------
আমার জানা তথ্যমতে এই মূহুর্তে ইভ্যালির সিইও ফান্ড রেইজ করে কোম্পানিকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন গ্রুপের কাছে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে কয়েকশো কোটি টাকা ইনভেস্ট করার মতো গ্রুপ এবং ব্যক্তি যথেষ্ট আছে, প্রব্লেমটা হচ্ছে ইভ্যালি বিজনেসের যেই নাযুক অবস্থায় আছে তাতে তারা আগ্রহী হবেন কিনা।
বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কে যাদের খুব ভাল ধারণা আছে তারা জানে যে Angel এবং VC কেউই বাংলাদেশে ইকমার্স ইনভেস্টমেন্ট পারতপক্ষে আগ্রহী হয় না। (এমনকি দেশের কিছু নামকরা শার্ক ইনভেস্টর তো বলেই দিয়েছেন ইকমার্সে ইনভেস্ট করবেন না)।
VC ফান্ডের লাইফ সাধারণত 7 বছর, এবং VC রা চায় মাল্টিপল টাইমস রিটার্ন। বাংলাদেশের মোটামুটি ইকমার্সগুলো সাত বছরে এমনকি ব্রেকইভেনে যেতে পারবে এমন অবস্থান দেখা যাচ্ছে না (BIKROY ব্রেক ইভেনে গিয়েছে কিন্তু সেটা EXCEPTION). অন্যদিকে এঞ্জেলরা চায় তাদের ইনভেস্টমেন্টের 2-3 বছরের মাথায় VC রা টেকওভার করবে এবং তারা এক্সিট করবে। VC রা আগ্রহী না হলে এঞ্জেল রাও রিস্ক নিতে চায় না, কারণ ইকমার্স ছাড়াও অন্যান্য আকর্ষনীয় স্টার্টআপ সেক্টর আছে।
ইভ্যালির ফান্ড রেইজ করা আরো অনেক বেশি কঠিন হয়ে গেছে। কারণ তাদের প্রায় পাঁচশো কোটি টাকার দেনা যেটা কাস্টোমারের এবং মার্চেন্টের টাকা লস দিয়ে, প্রোডাক্ট বাকী দিয়ে। এই টাকা ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরিতে ব্যবহার হলে, প্রোডাক্টের পিছনে খরচ হলে বোঝা যেতে। যেখানে গ্লোবাল জায়ান্ট আলীবাবা ব্যাকড দারাজের মতো পাওয়ারফুল প্লেয়ার আছে সেখানে তো নরমাল সিচুয়েশনেই ইনভেস্টর পাওয়া কঠিন।
(আগেও অনেকবার বলেছি, আবারো বলি - নতুন যারা ইকমার্স করতে চান, আলীবাবা-এমাজন টাইপ লেভেলের ব্যাকাপ না থাকলে Niche ইকমার্স ট্রাই করুন, এক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট পাবার এবং সাকসেস হবার চান্স কিছুটা বাড়বে)।
ফান্ড রেইজিং এর জন্য ক্রাইড সোর্সিং এবং merger / acquisition অপশন মাথায় রাখতে হবে। এই মূহুর্তে যদি কেউ ইভ্যালিকে রক্ষার্থে এগিয়ে এসে merger / aquistion অফার দেয় সেটাকে সিরিয়াসলি কনসিডার করতে হবে।
এছাড়াও ইভ্যালির অনেক কাস্টোমার দাবী করছে তারা ইভ্যালির পাশে আছে এবং থাকবে। যদি আসলেই তাই হয়ে থাকে তাহলে crowsfunding মডেল চিন্তা করা যেতে পারে। তবে দেশের বিদ্যমান আইন এটাকে কতটা সাপোর্ট করে, ইভেন এই ফান্ডের যথাযথ মনিটরিং এর দ্বায়িত্ব কে নেবে সেটা ঠিক করতে হবে।
আর শুধুমাত্র ফান্ড পাওয়াই না, ফান্ড ম্যানেজমেন্ট, সঠিক ভাবে ফান্ডের ব্যবহার ফিনান্সিয়াল সাইড মনিটরিংও কেই সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
ইভ্যালির কাস্টোমারদের করণীয়ঃ
----------------------——-
- প্রথম কথা, যারা সব জেনে শুনেও অতিরিক্ত ডিসকাউন্টের লোভে বিভিন্ন ইকমার্স থেকে বারবার কেনাকাটা করে এখন হাহাকার করছেন তারা ভবিষ্যতের জন্য চিরতরে সতর্ক হন।
- অনলাইন শপিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাকে convenience এর দেয়া; শপিং এ যাবার এনার্জি, সময় এবং ট্রাফিক জ্যাম থেকে বাঁচানো; সোশ্যাল আইসোলেশন মেইন্টেইন করার সুযোগ। ইকমার্স মানেই ডিসকাউন্ট না। এই মাইন্ডসেট থেকে বের হয়ে আসুন।
- আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ইভ্যালি থেকে অর্ডার করতে চাইলে আপাতত ফুল ক্যাশ অন ডেলিভারি মেথড বেছে নিন। কোম্পানির প্রতি লয়্যাল থাকা আপনার সিদ্ধান্ত কিন্তু অবশ্যই নিজের কষ্ট অর্জিত টাকা প্রটেক্ট করে।
সরকারী সংস্থাগুলোর কাছে আমাদের প্রত্যাশাঃ
--------------------------------------
- ইভ্যালি সংক্রান্ত চলমান সকল তদন্ত দ্রুত পূর্ণাংগরূপে শেষ করে তার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক। ২০২০ এর আগস্টে প্রথম যখন সরকার ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে, সেই সময়ই চারিদিক তলিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে আজকের এত টাকার দেনা তৈরি হতো না। এই ইস্যুটা যত দিন অনিশ্চিত ভাবে ঝুলে থাকবে ততদিন গ্রাহক, মার্চেন্ট, কোম্পানি, ইন্ডাস্ট্রি সবার ক্ষতি।
- বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় এই ধরণের বিভিন্ন ইস্যুতে যারা আল্টিমেটলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা হচ্ছে কাস্টোমার। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এমনভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে যেন কাস্টোমারদের যতটা সম্ভব প্রটেক্ট করা যায়।
- প্রয়োজনে ইকমার্সের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ থেকে রিপ্রেজেন্টেটিভ নিয়ে এক্সপেরিয়েন্সড মনিটরিং এন্ড সাপোর্টিং কমিটি তৈরি করে দেয়া যেতে পারে যারা ইভ্যালির কার্যক্রম তদারকি করবে, প্রয়োজনে এডভাইস দেবে।
পরিসমাপ্তি
---------
শেষে একটা কথাই বলবো - বাংলাদেশে ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি সবে আঁতুড়ঘর থেকে বের হয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করছে। পুরোপুরি ম্যাচিউর হবার আগেই Coronacrisis এর কারণে এই অমিত সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।
তাই আমাদের সবাইকেই progressively এগিয়ে আসতে হবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িত সবাইকেই সাপোর্ট দিয়ে, ভুলগুলোকে শুধরে দিয়ে, ভাল কাজগুলোর প্রশংসা করে ওভারঅল ইকোনমিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য।
মনে প্রাণে আশা করি সব সমস্যাগুলোর সুষ্ঠ সমাধান হোক, বিশেষ করে কাস্টোমাররা যেন আবারো কোন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ রইলো
৭| ২০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০২
সাসুম বলেছেন: আপনার মত দালাল, আপনার মত বাটপার বাংলাদেশ ২য় টা দেখছে কিনা সন্দেহ।
ই ক্যাব, ইমকমার্স রিভিউ, ব্রান্ড প্রেক্টিশ্নার বাংলাদেশ, ডি এস ই, ভয়েস অফ রাইট সহ বাংলাদেশের এমন কোন গ্রুপ নাই যেটাতে আপনি ইভেলির দালালি করেন নাই।
চাটতে চাটতে ফ্রড বাটপার রাসেল এর জুতার শুকতলি ক্ষয় করে ফেলছেন গত ১ বছর।
এম্নিতেই বেকার মানুষ, ২ / ৪ টাকার জন্য এই সব করেন মানা যায়- বাট একটু কম চাটেন।
এই যে পাপ করে, চাইটা টাকা ইঙ্কাম করে পাপের টাকা দিয়া বউ বাচ্চাকে খাওয়ান একটু ইন্সাফ হয় না?
এত বড় দাড়ি রেখে নামাজ কালাম করে, পাক পবিত্র ভাব নিয়ে কি করে এত চাটাচাটি করতে পারেন একটা বাটপার এর??
আল্লাহ যদি বলে কিছু থেকে থাকে- উনি যাতে আপনার এই চাটাচাটি করে ইঙ্কাম করা টাকা আপনার সন্তান বাবা মায়ের পেটে পাপ হিসেবে জমা করে।
তারা যাতে সারা জীবন আপনার এই পাপের ফল ভোগ করে।
আমীন
২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শোনেন, ইভ্যালির ব্যাপারে কোন রায় দেয়ার ক্ষমতা আপনি রাখেন না। সেটার জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেবেন।
আপনি যে পরিমাণ মিথ্যাচার এবং অভদ্রতা করেছেন আমার ব্যাপারে, সেটার জন্য আল্লাহর কাছেই বিচার দিলাম। এর বদলা ইনশাআল্লাহ বিচার দিবসেই নেব। সবশেষে আপনার হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আল্লাহ হাফিজ।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৪
সাসুম বলেছেন: আইডিতে আবার লাগাইছেন কাবা শরিফ এর ছবি।
হে খোদা - তোমার পবিত্র স্থানের ছবি বাটপার রা কেন ইউজ করবে??
চোর ফ্রড বাটপার রা কেন তোমাকে বিক্রি করবে ??
হে খোদা, তুমি না তোমার ধর্মের রক্ষাকর্তা? এই ফ্রড বাটপার দের হাত থেকে কেন রক্ষা করছ না?
খোদা- তোমার কাছে বিচার দিলাম এই বাটপার এর নামে।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:০৮
সাসুম বলেছেন: বাটপার জহির,
এদিকে আবার মল্লিক এর পোস্ট কমেন্ট করছ-
সেখান থেকে এক্টা ভদ্রলোকের কমেন্ট কপি করে দিচ্ছি-
১. ইভেলির অপরাধের কি হবেঃ এই যে কাস্টমারের টাকা নিয়ে সাপ্লায়ার কে পে না করে নিজের মনের মত করে খরচ করেছে, উড়িয়েছে এবং এখন সরকারের এবং মিডিয়ার ঘাড়ে দোষ দিচ্ছে- এই অপরাধের বিচার কে করবে? আদৌ করবে কিনা? বা এই অন্যায় কে আমরা জাস্টিফাই করছি কিনা? রাসেল কে এই যে লাইসেন্স টু কিল গ্রিন সিগ্নাল দিলাম- এই অন্যায় পুরা বিজনেস এবং সোশাল সেক্টরে যে প্রভাব ফেলছে তার কি হবে?
২. ইভেলি তাদের কাস্টমার এর টাকা বা মাল না দিয়ে অন্য বিজনেস এ খাটিয়েছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট একোয়ার করেছে , ই ফুড স্টার্ট করেছে, ই হেলথ স্টার্ট করেছেন, রাসেল এর রাজকীয় জীবন যাপন, কোটি টাকার গাড়ি বাড়ি, সেলেব্রিটি এন্ডোর্স কিংবা ইটিসি।
বাংলাদেশের কোন আইনে নেই- এক বিজনেস এর লাভ এর টাকা অন্য বিজনেস এর কাস্টমার দের লায়াবিলিটি পরিশোধ করতে ইউজ করা যাবে।
কিংবা কোন আইনে নেই- এই বিজনেস এর লায়াবিলিটি দিয়ে আরেক বিজনেস স্টার্ট করা যাবে।
এর কি বিচার হবে?
৩. আজ রাসেল ব্যাংক্রাপ্ট হলে ইভেলির অপরাধের কারনে হবে। বাট এখান থেকে টাকা সরিয়ে নতুন বিজনেস স্টার্ট করা ভেঞ্চার গুলোর গায়ে কোন আচড়্র লাগবে না। এটার বিচার এর কি হবে?
৪. ইভেলির এই মুহুর্তে যারা সাপোর্ট দিচ্ছে টিকিয়ে রাখার জন্য- তাদের মধ্যে ৯০% লোক হচ্ছেন তারা যাদের চেক হাতে আছে এবং ২-৩-৬ মাস পর সেই চেক এর ডেট দেয়া আছে। এই মুহুর্তে ইভেলির এই অবস্থায়- তারা কোন ভিসি ব্যাকাপ পাবেনা। সো টাকা যদি এই সব চেকের পাশ করতে হয় তাহলে নতুন কাস্টমার এর টাকা ইউজ করেই পাশ করতে হবে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় একদম ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছে এটা অসম্ভব এবং কোন ভাবেই করতে দিবেনা।
এই শত শত চেক ডিজওনার মামলা কিভাবে রাসেল সাহেব সামাল দিবেন? এবং এই ফৌজদারি অপরাধ কে কেন আমরা মাথায় নিচ্ছিনা? ( প্লিজ এটা বলবেন না তারা লাভ করে কাস্টমার এর শত শত কোটি টাকার চেক পাশ করাবে।
এখানে আবার একটা ক্যাচ আছে। সেটা হল- ইউজার ধরেন একটা বাইকের জন্য টাকা দিলো ১.৫ লাখ টাকা। বাট সময় মত বাইক না দিয়ে তাকে চেক দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকার। এই এক্সটা টাকার কথা কিন্তু কোথাও উঠে আসেনাই। এটা কিন্তু খুব ইম্পরট্যান্ট! এটা মাথায় রাখতেই হবে আমাদের। না হলে জাস্ট আবার কিছুদিন পর সেইম কাহিনী!
আল্লার দুনিয়ায় আল্লাহ এত কিছু করে, তোমার মত যারা চোর বাটপার দের সাফাঈ গেয়ে যায়, তাদের উপর কেন গজব ফালায় না? তাদের কে কেন দুনিয়ার মাটি থেকে তুলে নেয় না
তাদের পাপের টাকা পয়সা কেন তাদের সন্তান বাবা মার পেটে আগুন হিসেবে ঢুকে না
আল্লাহ কেন এই চোর বাটপার দের রেহাই দিচ্ছেন , এটাই আল্লাহর কাছে প্রশ্ন ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল হলে অবশ্যি সুযোগ দেয়া উচিৎ
কিন্তু সর্বোপরি ওদের ব্যাবসায়িক প্লানটা আমার পছন্দ হয়নি
* আর সাংবাদিক আর মিডিয়াকে ওরা যথাযথ ভাবে হাত করতে পারেনি- এদিকে আরো কিছু পয়সা খরচ করা দরকার ছিল