নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহুতল ভবনে অগ্নিকান্ড, প্রাণহানিঃ সমসাময়িক ভাবনা

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের জন্য একটি শোকাবহ দিন, ৪৫ টি তরতাজা প্রাণ ঝড়ে গেল বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকান্ডে।

ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

এটা প্রথম নয়, বহুতল ভবনে এরকম বড় ধরনের দূর্ঘটনা বাংলাদেশ আরো দেখেছে। দেশে প্রচুর মূল ধারা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক প্রচুর মিডিয়া থাকাতে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক খবর পরিবেশন, তোলপাড়। এরপর? আবার যেই লাউ সেই কদু!

সমস্যা গোড়ায়। প্রথমতঃ ঐ ভবনে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের কোন অনুমতি নেই, মানে ভবনটা ঐ ডিজাইনেই বানানো হয় নি। এটার বাণিজ্যিক অনুমোদন ছিল মূলতঃ অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য।

১। রাজউক এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।
২। এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। তারা এই ভবনের রেস্টুরেন্ট পরিচালনার অনুমতি আছে কি না সেটা দেখেনি। এদের অপরাধ রাজউকের চেয়ে বেশী!
৩। ফায়ার সার্ভিস ইন্সপেকশন করে ৬ মাস আগেই এই ভবনকে অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ণ নোটিশ দিয়েছে। কিন্ত, কোন আইনগত পদক্ষেপ নেয় নি।


সম্ভবতঃ প্রতিটি সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার লোকজন নিজেদের পকেট ভারী করার দিকেই বেশী মনোযোগী ছিল। আপনি নিশ্চিত থাকেন, এবারও এদের কারোই কিছু হবে না, কারণ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিটি সরকারি যন্ত্রের এই দূর্ঘটনা ঘটার ফলে আরো পকেট ভারী করার সুযোগ হল!

সর্বোপরি, এই দেশের অধিকাংশ মানুষ আইন ভাংগতে অভ্যস্ত এবং আইন ভেংগে কোন কিছু অর্জনকে এরা গর্বের ব্যাপার মনে করে। দুনিয়ার কোন শক্তি এদের নৈতিকতাকে সম্ভবতঃ ঠিক করতে পারবে না। মৃত্যুর পরে সব কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, এই বিশ্বাস যারা মনে বসাতে পারবে, তারাই আশা করা যায় নিয়ম মেনে চলবে।

পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হবে, মিডিয়ায় টক শো হবে, অনেক Technical তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হবে, কিন্তু এই উপদেশ কেউ গ্রহণ করবে না, এই জীবনে যতটুকু দেখলাম, এই দেশের মানুষ করেনি।

দিন শেষে ভাববেন, বেঁচে আছি, এটাইতো বেশী! আলহামদুলিল্লাহ!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে।
দোষ সবার। এমনকি জনগনের দোষও আছে।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টেতো সেটাই বললাম। দোষ সবার, সুতরাং, এ ধরণের অগ্নিকান্ডে মৃত্যু এই দেশে স্বাভাবিক। এটাকে মেনে নিতে হবে। :|

২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম,




সমস্যা এইখানে - এই দেশের অধিকাংশ মানুষ আইন ভাংগতে অভ্যস্ত এবং আইন ভেংগে কোন কিছু অর্জনকে এরা গর্বের ব্যাপার মনে করে। দুনিয়ার কোন শক্তি এদের নৈতিকতাকে সম্ভবতঃ ঠিক করতে পারবে না।
আজকে দুইটাকা বাঁচাতে গিয়ে কালকে যে দুইশত টাকা কাফফারা দিতে হতে পারে, এমনকি প্রানটাও চলে যেতে পারে; কারোই সে বিবেচনাবোধটুকুও নেই।

পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হবে, মিডিয়ায় টক শো হবে, অনেক Technical তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হবে, এরপর? আবার যেই লাউ সেই কদু!

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সেটাই, বাংলাদেশীরা দৌড়ের ওপর আছে, কে কত দ্রুত টাকা কামাতে পারে সেই প্রতিযোগিতায়! তাতে নিজের প্রাণও যদি চলে যায়, সমস্যা নেই... :|

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই শহরকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হউক।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ঘোষনা করলেই কি না করলেই কি!! কার যায় আসে??

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ]ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেছেন, আগুন লাগা ভবনটিতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো না। ফায়ার সেফ্টি প্ল্যান ছিলো না। ভবনে আমরা দু’য়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দেখতে পেয়েছি। ভবনে একটি মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। মানুষ যে কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানে একটি জানালাও ছিলো না। সাংবাদিকদের তদন্তে আরো বেরিয়ে এসেছে যে , ভবনটিতে শুধু অফিস করার অনুমতি ছিলো। কিন্তু অফিস না করে এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ দোকান করা হয়েছে! সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। আগুন লাগার পর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ায় উপরে ওঠার কিংবা বেরিয়ে যাওয়ার কোনো পথ ছিল না। ফায়ারর সার্ভিসের সাবেক পরিচালক এই অগ্নিকান্ডের পর বলেছেন যে, ঢাকা শহরের কোণ রেস্টুরেন্টই নিরাপদ নয়।

সরকারী এইসব কর্মকর্তা্রা নিজেদের মুখে এইসব অব্যবস্থাপনার কথা বলার পরও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কাউকে শাস্তির মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি। এতক্ষনে এই বিল্ডিং এর সব রেস্টূরেন্ট মালিকদের গ্রেফতার হবার কথা। অবিলম্বে তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে সব ব্রাঞ্চে তালা ঝুলানোর কথা। অথচ খোজ নিলে দেখা যাবে এখনও এই দেশের চরম নির্বিকার জড় পদার্থ সদৃষ মানুষেরা কাচ্চি ভাই এর অন্য ব্রাঞ্চে বসে কাচ্চি খাচ্ছে !!!!

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন, এটাই হল এই জাতির ঢ়ুড় বাস্তবতা... :(

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভাবে বাচতে হলে এই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
নইলে আগুন অথবা সড়ক দুর্ঘটনায় মরতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.