নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোধূলী

সুমন আরাব

নাই কিছু বলতে

সুমন আরাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছা যেহেতু একটাই সঙ্গম করা

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

পোষাক নিয়ে এতটাই কথা হচ্ছে ইউটিউবে ফেসবুকে শুধুই সমালোচনা
সামাধানের কোন কি পথ নেই?
হ্যাঁ আছে।।
একটা সমাধান আছে,
আপনি পুরুষ হলে যতটুকু সতর ঢাকা ফরজ সেইটুকুই ঢাকবেন।
আপনি অফিসে চাকরি করলে সেইটকুই ঢেকে অফিসে যাবেন মানে বুঝাতে চাইছি খালি গায়ে আর নাভির উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে থাকে এমন বস্ত্র হলেই চলবে। এদেশে মেয়েদেরকে তো বলা যাবে না তাদেরকে পোষাকের কথা তাহলে তো আমি নারীবাদী।
আসুন আমরা ছেলেরা ছেলেরা আলোচনা করি যেহেতু পুরুষ জাতি আমরা।
আপনি কি পারবেন থ্রি-কোয়াটার বা হাফ প্যান্ট পড়ে খালি গায়ে ক্লাস করতে,অফিসে যেতে?
জানি পারবেন না ভীষন লজ্জা হবে বুঝি।
হ্যাঁ ভাই লজ্জা হওয়ারি কথা।
আমরা পুরুষ লজ্জা মেয়েদের থেকে আমাদের বেশি।
আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না রাস্তা চলার পথে বুক উজার করে পথ চলা কিছু মহিলার কথা মনে পড়ে।
বডিটা কুকরিয়ে নেই তাদের চলার পথ সহজ করে দেই আমরা পুরুষ বলে।
তারা এমন ভাবে পথ চলে যেন রাস্তার পুরো সাইটটা সেই ভদ্র মহিলার।
নিজের শরীর কোথায় কোন পর পুরুষের কোথায় লাগলো সেই খেয়াল তাদের নেই
ভাবতে অবাক লাগে।
আচ্ছা এবার আসি পোষাকের কথায়
এবার বলুন তো কেন আপনার লজ্জা করবে? কেন আপনার ফরজটুকু তো আপনি পালন করছেন এরপরেও কেন লজ্জা করবে? এবার একটু ভাবেন আপনার দাদি নানীর কথা তারা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছে
বাড়ির গেলে তারা কেমনে চলাফেরা করে
পর পুরুষ দেখলে তারা কিভাবে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। আমি তখন ছোট গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম কিছুটা মনে আছে এক বৃদ্ধ মহিলা দেখছিলাম রাস্তা হাটছিলো পুরুষ মানুষ দেখলে রাস্তার এক কোনায় কিভাবে দারিয়ে থাকে।বলবেন যে মুর্খ মানুষ তাই হয়তো বুক ভুলিয়ে রাস্তা দখল করে চলতে পারে না।আমার নিজের কথা একটু বলি ঢাকা শহরে বা অন্য কোথাও যদি বোরকা পড়া কোন মহিলাকে দেখি ভিতর থেকে কেমন জানি একটা দোআ চলে আসে, অপরদিকে কোন পোষাকের স্বাধীনতাকামী কোন মেয়েকে দেখলে একপ্রকার ঘৃণা চলে আসে যদিও ঘৃণা করা ঠিক না তাদেরকে হেদায়েত এর জন্য দোআ করা উচিত।

কেন এত ধর্ষন?
কে বা কারা এইসব নির্মম কাজগুলো করে?
ধর্ষন এর সাথে হত্যাও ফ্রী কি মানুষিকতা আমাদের। পুরুষ হিসেবে লজ্জিত।
আমার কোন অবদান নেই এই জাতির জন্য। সামান্য এই কয়টা লাইন যিনি বা যানারা পরবেন উনারা হয়তো আমাকে গালি দিবেন হয়তো ভুল ধরিয়ে দিবেন।
কারন আমি লেখালেখিতে নতুন ঠিকভাবে গুছিয়ে বুঝিয়ে উদাহারন সহ বুঝানোর ক্ষমতা নেই। কি মনে পরছে আপনাদের কে এই সব কর্মকান্ডগুলো করে থাকে?
অফিসগামী,স্কুল-কলেজগামী কেউ নিশ্চয় এসব করে থাকে না। কারণ যারা অফিসে কাজ করে তারা অনেকেই বিবাহিত।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সে গার্লফ্রেন্ড আছে, অনেকেই সময় পার করে দেয় তাদের সাথে। আবার বলবেন সবার তো নেই। হ্যাঁ সবার নেই। সবাই তো খারাপ না, ভালো মানুষও আছে।।
বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কথা না হয় নায়ি বললাম। কথা বুঝি অনেক বাড়াচ্ছি চাচ্ছি একটু সংক্ষেপে বলার ধর্ষন গুলো করে কারা তারা হলো আবাল মার্কা পরুষ তাদের মানুষিকতা এতটাই বাজে কল্পনা করা যায় না। ধর্ষনগুলো বেশি ভাগ হয় গ্রামে বা বিভিন্ন থানা বা জেলা ভিত্তিক শহরগুলোতে। স্থানীয়র প্রভাবশালী মনোভাব অন্যায়কে ন্যায় মনে করা তাদের ব্যাপার না। হয়তো প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পাওয়ায়, যেহেতু মেয়েরা একটু আবেদনমী, পটাতে পারলে তো হয়েই গেলো আর না পটাতে পারলে ধর্ষন যেহেতু পরিচিত কেউ ধর্ষন করেছে তাই হয়তো ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যা করা হয় নির্মম ভাবে।।আবার যাদের মানুষিকতা আরেকরকম তারা বিভিন্ন পতিতালয়ে যেয়ে থাকেন সামান্য কিছু টাকার জন্য।
ইচ্ছা যেহেতু একটাই সঙ্গম করা সেটা কোন এক ভাবে হলেই হলো।

ইচ্ছা যেহেতু একটাই সঙ্গম করা সেটা কোন এক ভাবে হলেই হলো। জোরপূর্বক হলে ধর্ষক হয়, প্রেমের জালে ফেলিয়ে হলে হয় প্রেমিক পুরুষ,আর সামান্য কিছু টাকা ব্যায় করে কোন পতিতার কাছে গেলে সে হয় মাগিবাজ। জোরপূর্বক ধর্ষন করলে তো স্বাধীনতাকে অপমান করা হয়। আমি কিন্তু সবটার বিপক্ষে।এখনকার যুগের নারীরা যেহেতু শালীন পোষাকের ব্যাপারে ভুল ধারনা লাভ করেছে। তারা সেটাই পরিধান করুক আর আমরা আগে যেটা করতাম তার বিপরীত টা করব।
হ্যাঁ আমি রাগ হয়েই কথাটা বললাম
ধর্ষন আমার মনে হয় না যে কমে যাবে।
কেউ না কেউ কোন না কোন ভাবে তাদের শারীরিক চাহিদা মেটাবেই।
তবে সরকারকর্তৃক কঠিন আইন প্রনয়ন করে তার সঠিক বাস্তবায়ন করলে কিছুটা ফল হতে পারে।
আর নারীকে যেটা চায় সেটা হোক।
অনেকেই অনেক উদাহারন দিয়েছেন ওসব আর উল্লেখ না করি।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ধর্ষনের জন্য সব চাইতে বেশি দায়ী হচ্ছে পুরুষ মানুষের মানসিকতা। এটা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। সরকার যদি ধর্ষনকারীর বিচার ন করে তাহলে ধর্ষন চলতেই থাকবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৭

সুমন আরাব বলেছেন: তারা মুরখো তাই এসব করে

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

আহলান বলেছেন: আইনের প্রয়োগটা অধিক হওয়া বাঞ্ছনীয় ... তবেই স্বস্তি মিলতে পারে ... ...

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৫

সুমন আরাব বলেছেন: তাছাড়া আর কোনো উপায় নাই ভাইয়া

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

ক্স বলেছেন: "পুরুষের বাসনার প্রতি ইচ্ছুক নারীর ছবি ও ভাবমূর্তি ঝুলিয়ে রাখা হয় বিলবোর্ডে। সিনেমা-টিভি ও মোবাইলের স্ক্রিনে একটানা চলে যৌন হাতছানি। বলিউড, ঢালিউড ও হলিউডের অজস্র সিনেমা ও বিনোদন আইটেম কি আসলে সফট সেক্স প্রোডাক্ট নয়? রিয়েলিটি শোতে বালিকা-কিশোরীদেরও অবলোকনকামের সামগ্রী বানানো হয় নাচে, গানে, পোশাকে। চোখের কামনা পূরণের অভ্যাস হঠাৎ বাস্তব লালসায় পরিণত হয়। এভাবে পুরুষালি দৃশ্যমাধ্যমে ‘ইচ্ছুক নারীর’ ছবি তুলে ধরে বাস্তবের তটস্থ নারীর ভাবমূর্তি ঢেকে ফেলা হয়। এসব দেখে দেখে একশ্রেণির পুরুষ প্রেম ও যৌনসম্পর্কের বেলায় নারীর নিজস্ব ইচ্ছাকে পাত্তা না দেওয়ার লাই পায়। এই ভাবরসে হাবুডুবু খাওয়া পুরুষদের মনে ‘রেডিমেড’ নারী পাওয়ার বাসনা এভাবে তৈরি হয়। ব্যবসা ও বিনোদন এভাবে নারীকে হুমকির মধ্যে ফেলে।"

ফারুক ওয়াসিফ, প্রথম আলো, ৩১/০৩/১৮

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

গোবর গণেশ বলেছেন: ধর্ষণের পরিমান শূণ্য হবেনা, খারাপদের বিকৃত মানষিকতা যাতে উসকানি না পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে অথবা তাদের চিকিৎসা করতে হবে। তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানেই লাগে। সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি এর জন্য দায়ী। সবকিছুরই উন্নয়ন হচ্ছে। অনেক ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে যার অধিকাংশই বিভিন্ন কারনে প্রকাশ পায়না। যারা বড়ো বড়ো বক্তৃতা ঝাড়ে তাদের অনেকেই বিভিন্নভাবে ধর্ষক। কোন কোন ক্ষেত্রে ‘গিভ এন্ড টেক’ ফর্মুলা বেশ প্রচলিত। সমাজে এই ধর্ষনের মাত্রা বেড়েছে, হুট করে শুরু হয়নি। কখন থেকে বেড়েছে? যবে থেকে অপসংস্কৃতি আমাদের মধ্যে আছর করেছে তখন থেকে। ধর্ষনের সুপ্ত বাসনাকে উসকে দেওয়ার সামগ্রীর কি আর এখন অভাব আছে। আজ থেকে বিশ বছর আগেও ধর্ষণ হতো, কিন্তু এখনকার মতো মাত্রাতিরিক্ত নয়।

ধর্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করুন, উসকে দিবেননা। বিকৃত মানষিকতার তথাকথিত পুরুষ মানুষ আগের দিনের চাইতে এখন বেশি, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

চোরাবালি- বলেছেন: বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আর অবাধ মেলার মেশার সুযোগ করে দিয়ে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।

অধিকাংশ ধর্ষণ হয় প্রেম ঘটিত। ছেলে সরে পড়তে চাচ্ছে তখনই ধর্ষণ মামলা। আবার ছেলে লাইন থেকে সরছে না তখনও ধর্ষণ মামলা। আবার কখনও কখনও ছেলেকে মুলা ঝুলিয়ে ব্যবহার করে যখন মেয়েরা ফেলে দিতে যায় তখনও হয় ধর্ষণ ও উৎপত্তি হয় কিছু বদরুলের।
অবাধ মেলামেশার ব্যাপারে কথা বললেই হয়ে যাবে ধর্মান্ধ গোড়া, পোষাকের কথা না হয় বাদই দিলাম। মা মনিরা যা পরেন আজকাল!!!
এখানে অবশ্যই পুরুষের দোষ দেন তাদের উদ্দেশ্য বলি পুরুষ যেদিন তার এই কামনা থেকে বেরিয়ে আসবে সেদিন মহিলারা হবে সব থেকে ঘৃণত। দিন শেষে পুরুষ ঘরে ফিরে ঐ এক আকর্ষনের জন্যই। রাস্তায় মেয়ে দেখে বিয়ে করে কিন্তু ঐ একই কাজে।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: প্রতিটি মানষের মাঝে দু্ইটি সত্বা বিরাজমান,
এর একটি মনুষত্ব আর একটি পশুত্ব। প্রতিটি
মানুরেস মাঝেই আছে পশুবৃত্তি। পশুবৃত্তি যখন
মনুষত্বকে পরাজিত করে তখন সে পশু হয়ে যায়।
পশুদের দ্বারা সব সম্ভব। তবে পশুবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ
করতে পারলেই সে প্রকৃত মানুষ হয়। পশুবৃত্তিকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিবারি ও সামাজিক মূল্যবোধকে
লালন করতে হবে। বর্তমান সমাজের অবক্ষয়ের জন্য
পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র সকলেই দ্বায়ী। নারী পুরুষ উভয়কেই
পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্বত রাখতে
হবে তা হলেই কেবল মনুষত্বের কাছে পরাজিত হবে পশুত্ব।
দূর হবে অন্যায় অনাচার। আর এ জন্য আইনের বাস্তবায়ন
অপরিহার্য। কাউকে একতরফা ভাবে দোষারোপ নয় নারী পুরুষ
উভয়ের সমন্বতি চেষ্টায় দূর হতে পারে ধর্ষণ।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২৩

সুমন আরাব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.