নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

আমি পেশায় একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট কিন্তু ব্লগ পড়া আমার নেশা। আর একটা নেশা আছে সেটা হল মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস প্রতিটা মানুষের কাছে পৌছে দেয়া। আমি সে চেষ্টা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। আমি কোন ভালো লেখক নই কিন্তু আমি একজন ভালো পাঠক।

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন

পেশাঃ স্পীচ থেরাপিষ্ট। প্রতিষ্ঠানঃ প্রয়াস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা। মোবাইল নাম্বার - ০১৭১৭২৭৬৮১০ ই-মেইল : [email protected] ফেসবুক : https://www.facebook.com/sumonslt

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‪‎দেরিতে কথা বলা শিশুদের জন্য বাছাই করুন সঠিক খেলনা‬

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬





শিশুদের বেড়ে উঠার কিছুমাইলস্টোন থাকে। যেমন একটি নির্দিষ্ট বয়সে শিশুরা বসা শেখে, সেভাবেই একটি নির্দিষ্ট বয়সে তারা কথা বলা শুরু করে। ঐ বয়সে বা তার কিছু পরে যদি শিশুরা কথা বলা শুরু না করে তাহলে অবশ্যই বাবা মাকে এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। শিশুরা যা শিখে তা খেলার মাধ্যমেই শিখে। তাই দেরিতে কথা শিখলেও শিশু খেলার মাধ্যমেই তা সবথেকে ভাল শিখবে। তাই সঠিক খেলনা বাছাই করেও শিশুদের কথা বলা শেখান সম্ভব। নিম্নে দেরিতে কথা বলা শিশুদের জন্য সঠিক খেলনা বাছাইয়ের কয়েকটি টিপস উল্লেখ করা হল-



১) ব্যাটারি চালিত খেলনা নয়



যেসব খেলনা ব্যাটারি চালিত সেসব খেলনা এখনই বাদ দিন। বেশির ভাগ ব্যাটারি চালিত খেলনাই নানা রকম শব্দ করে অথবা শব্দের সাথে চলাচল করে। এই ধরণের খেলনা কেনা বাদ দিন অথবা খেলনা থেকে ব্যাটারি খুলে রাখুন। নিজে শিশুর সাথে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে খেলুন এবং আওয়াজ করুন। তাকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনাকে অনুকরণ করতে।



তবে অনেক খেলনা ব্যাটারিতে চললেও শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যেমন – ব্যাটারি চালিত খেলনা ক্যামেরা, খেলনা মাইক্রোফোন ইত্যাদি। এই ধরণের খেলনা অবশ্য শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক।



২) সৃজনশীল খেলনা



বাজারে এখন অনেক খেলনা আছে যেগুলির কোন নির্দিষ্ট আকার দেয়া থাকে না। বাচ্চারা নিজেরা খেলনাগুলিকে দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আকার দিতে পারে। এই ধরনের খেলনা শিশুদের সৃজনশীলতা বাড়ায়।



৩) কিছুসাধারণ খেলনাড় উদাহরণ



নিম্নে কিছুখেলনার উদাহরন দেয়া হল। এইধরণের খেলনাগুলি শিশুদের কথা বলার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।



কাঠের ব্লক



লেগো



ব্যাটারি বিহীন কার, ট্রাক জাতীয় খেলনা যেগুলি হাত দিয়ে চালানো যায়।



রেলগাড়ি



ফার্ম অথবা পশুপাখির সেট



কিচেন এবং খাবার তৈরির খেলনা সেট



পুতুলের বাড়ি



পুতুলকে সাজানোর খেলনা



টুল সেট



রাবারের মণ্ড যা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আকার দেয়া যায় এমন খেলনা



চা বানানোর সেট



৪) মেয়ে শিশুর খেলনা বা ছেলে শিশুর খেলনা আলাদা নয়



শিশুর জন্য খেলনা কেনার সময় ছেলে শিশুর খেলনা বা মেয়ে শিশুর খেলনা এরকম করে পৃথক করা উচিৎ নয়। মেয়ে শিশুরা সব সময়ই যে পুতুল দিয়ে খেলবে এমন কোন ভ্রান্ত ধারণা রাখা উচিৎ নয়। মেয়ে শিশুদেরও ট্রাক, বাস, কার ইত্যাদি খেলনা দিয়ে খেলার সুযোগ দিন। একই ভাবে ছেলে শিশুদেরও পুতুল, কিচেন সেট ইত্যাদি খেলনা দিয়ে খেলার সুযোগ দিন। এখানে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশান ফর দ্য এডুকেশান অফ ইয়ং চিলড্রেন এর কিছুকথা তুলে ধরা হল -



” ছেলে শিশুমেয়ে শিশুউভয়েরই খেলার মান যাচাই করা উচিৎ তার প্রবলেম সলভিং স্কিল, সামাজিকতা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে। দেখা গেছে, যে খেলনাগুলিকে ছেলেদের খেলনা হিসেবে আলাদা করে রাখা হত তা দিয়েই অনেক মেয়ে শিশুঅনেক দক্ষতার সাথে খেলছে। তাই খেলনাকে ছেলে মেয়ে দিয়ে আলাদা না করে লক্ষ্য করুন কোন ধরণের খেলনা আপনার শিশুর বিকাশে বেশি সহায়ক।”



৫) “এবিসি” এবং “123″ শেখান খেলনাকে না বলুন



শিশুদের কথা শেখাতে এই ধরণের খেলনার আসলে কোন প্রয়োজন নেই। এই ধরণের খেলনা দিয়ে তাদের অক্ষরজ্ঞান হলেও তা তাদের কথা বলা শিখতে সহায়তা করে না। তাই শিশুদের কথা শেখার সময়টায় এই ধরণের খেলনা বিশেষ কোন তাৎপর্য বহন করে না।



৬) খেলনা দিয়ে এক জায়গায় বসে বসে খেলা নয়



শিশুদের খেলার সাথে সাথে শরীর নড়াচড়া করা খুবই জরুরী। এমনকি বাসার ভেতরেও। খেলনার ব্লক দিয়ে প্রাসাদ অথবা টানেল বানানো ইত্যাদি খেলনা এই ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। নিজেদের বাসার ভেতরে শিশুরা চড়তে পারে এমন খেলনাও রাখতে পারেন।



৭) বাইরে খেলতে ভুলবেন না



শিশুদের নিয়ে ঘরের বাইরে খেলতে কোন খেলনার প্রয়োজন হয় না। মাঝে মাঝে সন্তানদের নিয়ে পার্কে চলে যান। শিশুদের নিজের মত খেলার সুযোগ করে দিন। তবে অনেকেরই বাসার কাছে কোন পার্ক নেয়। তাদের জন্য নিচে কিছু খেলার টিপস দেয়া হল -



প্লাস্টিকের ছোট পুল দিয়ে খেলা



বিভিন্ন বালতি, চামচ এবং কাপ দিয়ে খেলা



খেলনা কোদাল দিয়ে খেলা



চড়ে বসা যায় এমন খেলনা



শিশুদের প্লেহাউস



৮) কমই হল বেশি



যদিও আজকের নিবন্ধে আমরা শিশুদের কথা দ্রুত শেখাবার বিভিন্ন খেলনার ব্যাপারে উল্লেখ করেছি কিন্তু একটা জিনিস মাথায় রাখুন শিশুদের শুধু খেলনার পর খেলনা কিনে দেয়াই যথেষ্ট নয়। অনেক খেলনা কিন্তু শিশুর বিকাশে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বেশি খেলনা সামনে থাকলে শিশু একটি নিয়ে বেশিক্ষন না খেলে বার বার খেলনা পরিবর্তন করে। ফলে খেলাধুলার মাধ্যমে যা শেখার কথা তা বাধাপ্রাপ্ত হয়।



৯) পূর্বের খেলনার সাথে মিল রেখে নতুন খেলনা



খাপছাড়া নানা রকম খেলনা না কিনে শিশুদের সীমিত পরিমাণ খেলনা দিন। পূর্বের কোন খেলনা দিয়ে খেলে হয়ত আপনার শিশুর কিছুটা উন্নতি হল। তাহলে পরবর্তীতে ঐ খেলনার সাথে মিল রেখে নতুন কোন খেলনা কিনুন যেন সে তার দক্ষতা আরও বাড়াতে পারে।



১০) খেলনা দিয়েই খেলতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই



শিশুরা সব সময় নির্দিষ্ট খেলনা দিয়ে খেলবে এবং তা দিয়েই শিখবে এমন কোন ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করা উচিৎ নয়। অনেক সময় বালতিতে পানি নিয়ে অথবা চামচ বাটি দিয়ে শিশুর সাথে খেললেও শিশুখেলনা থেকে অনেক বেশি আনন্দ পেতে পারে।



অনেক সময় আপনি নিজেই হতে পারেন আপনার শিশুর প্রিয় খেলনা। তার সাথে বসে শিশুদের বিভিন্ন ছড়া শুনুন।



দুজনে একই সঙ্গে ছড়া বলার চেষ্টা করুন। ছড়া গুলিকে হাস্যকর আওয়াজে তার সামনে বলুন। কখনোবা শিশুর সাথে লুকোচুরি খেলুন।



সৌজন্যে healthprior21.com

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

খাটাস বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট। +++++++ শুভ কামনা।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২২

জর্জিস বলেছেন: ++++++++

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: আমার মেয়ের বয়স ২২ মাস, ওর বয়সি আমার এক কাজিন এর ছেলে বেশ কথা বলতে পারে আগে থেকেই, কিনতু আমার মেয়ে একনও সেরকম পারে না, কথা বলে কিনতু কি বলে সেটা বুঝা জায় না, তবে আমরা বলার ধরন ও অবজেকট দেখে কিছু টা বুঝতে পারি, ও আমাদের সব কথা বুঝতে পারে, এবং বললে সেগুলো করতে পারে, যেমন যদি বলি আম্মু টিভির রিমোট কই দেখো তো , খুজে দেয়, আমার মোবাইটা আন তো, নিয়ে আসে( কোন ইশারার প্রয়োজন হয় না)। একটা কার আছে যেটা সে একবছর বয়স থেকে ব্যব হার করে, ম্যানুয়ালী ড্রাইভ করতে হয়, এই কার টায় একটা মিউজিক সেট করা আছে(হিনদি), লাইটিং আছে, বাসার ভিতরই সে এটা নিয়া খেলে, কোন ব্যাটারী চালিত খেলনা তাকে দেই নাই, আছে সেগুলো দেওয়া হয়না, কারন সেগুলোর উপর ও টরচার করে। কিচেন খেলনা, টেডি বেয়ার , পাপেট আছে( কথা না বলা), সেগুলোনিয়ে খেলে, ফ্লাট বাশায় থাকি লোক বলতে মেয়ে স হ আমরা তিন জনই , এ অবসথায়, তাকে কথা বলানো যায় কিভাবে, আব্বু , আম্মু , নানু , দাদুই ক্লিয়ার হয়। আর কিছু ক্লিয়ার হয় না।

দয়া করে একটু হেলপ করবেন কি ?

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

ভাইজান০০৭ বলেছেন: আপনার লেখাটি দেরিতে কথা বলা বাচ্চাদের অনেক উপকার করবে। অনেক অনেক প্লাস +++++++++++++++++++

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭

তারেক হিমু বলেছেন: খুবই সহায়ক একটা পোস্ট দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২০

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: চাইলাম পরামর্শ দিলেন নামবার !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ছোট বেলায় রেডিওতে চিনেমার অ্যাড শুনতাম , লাস্ট আকর্ষনে বলা হত বাকি টুকু রুপালি পর্দায় দেখার আমন্ত্রন রইল। :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

স্পীচ থেরাপিষ্ট সুমন বলেছেন: আপনার বাচ্চার যে সমস্যা হয়েছে সেটাকে আমি স্পীচ ডিলে বলবো। আর ঠিক কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে সেটা বঝার জন্য একজন স্পীচ থেরাপিষ্ট এর সাহায্য আপনাকে নিতে হবে। না দেখে শুধু আপনার অল্প কথার পোস্ট দেখে সিধান্ত দেয়ার কোন যুক্তি আমি খুজে পাই নি। আপনি আপনার বাচ্চা নিয়ে সি আর পি অথবা প্রয়াস ঢাকা ক্যন্টন্মেন্ট এ যোগাযোগ করতে পারেন

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: ধন্যবাদ, এধরনের কথা বলে তার পর নাম্বার দিলে অবশ্য আপনাকে আমি আগের কথাটা বলতাম না, যাহোক আবার ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.