নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নঃ কে সেই জন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২

দৃশ্য একঃ এক জন হিন্দু শিব মন্দিরে গিয়ে আকুল মনে মনের সকল বেদনা প্রকাশ করে কান্না কাটি করে শিবের পূজা সম্পুন্ন করে একটি সন্তান কামনা করলো।

দৃশ্য দুইঃ এক জন মুসলিম মসজিদে গিয়ে আকুল মনে মনের সকল বেদনা প্রকাশ করে কান্না কাটি করে আল্লাহের কাছে নফল নামাজ পরে মোনাজাত করে একটি সন্তান কামনা করলো।

দৃশ্য তিনঃ এক জন খৃষ্টান তাদের প্রার্থনা স্থানে গিয়ে আকুল মনে মনের সকল বেদনা প্রকাশ করে কান্না কাটি করে প্রভু যিশুর কাছে একটি সন্তান কামনা করলো।

দৃশ্য চারঃ এক জন বৌধ্য তাদের প্রার্থনা স্থানে গিয়ে আকুল মনে মনের সকল বেদনা প্রকাশ করে কান্না কাটি করে বুদ্ধ দেবের কাছে একটি সন্তান কামনা করলো।


ফলাফল সকলেই সন্তান লাভ করলো ??

যার কাছে সবাই চাইলো সে কি এক জন ? তাহলে খালি মুসলিমরা কেন সেরা হবে অন্যদের ও তো সমান সুজুগ দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৃষ্টিকর্তা পৃথিবী সৃষ্টির পরে মানুষকে হেদায়েত করার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে যুগে যুগে নবী ও রসুল পাঠিয়েছেন। হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লাখ ২৪ হাজার নবী ও রসুলের আগমন ঘটেছে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী এবং তারপর আর কোনো নবীর আগমন ঘটেনি বা ঘটবে না। আল্লাহ প্রত্যেক নবী বা রসুলের প্রতি অহি বা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে

১. (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ওহি পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহি পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং তার পরবর্তী নবী-রসুলদের প্রতি। আর ওহি পাঠিয়েছি ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার সন্তানদের প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি যাবুর কিতাব। এ ছাড়া এমন রসুল পাঠিয়েছি যাদের ইতিবৃত্ত পূর্বে আপনাকে শুনিয়েছি এবং এমনও অনেক রসুল পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত আপনাকে শুনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি। সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রসুলদের পাঠিয়েছি, যাতে রসুলদের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মতো কোনো অবকাশ মানুষের জন্য না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময়। আল্লাহ আপনার প্রতি যা নাজিল করেছেন তা তিনি জেনেশুনেই নাজিল করেছেন। আল্লাহ নিজেই এর সাক্ষী এবং ফিরেশতারাও সাক্ষী। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (৪- সূরা) নিসা : ১৬৩-১৬৬)।

নবী রসুলদের প্রতি ইমান আনা প্রতিটি মুমিনের জন্য অবশ্য কর্তব্য। সব নবী রসুলকে আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন মানুষকে হেদায়েত করার জন্য। সব নবীর দাওয়াত ছিল অভিন্ন। তাদের কাউকে অস্বীকার করা সবাইকে অস্বীকার করার শামিল। পবিত্র কোরআনের আগে হজরত দাউদ (আ.)-এর ওপর জাবুর, হজরত মূসা (আ.)-এর ওপর তাওরাত এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর ইঞ্জিন কিতাব নাজিল হয়েছিল। তবে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কোরআন নাজিলের পর অন্যসব ঐশী কিতাবের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে ওইসব কিতাব আমল করা যাবে না।

সবাই আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহ কাউকে বিঞ্চত করেন না যখন তারা যা প্রার্থনা করে যার কিছুটা ইহকালে আর কিছুটা পরকালে পায়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: যদি এমনি হয় তা হলে ধরে নিতে পারি আল্লাহ্‌ মসজিদ মন্দির গির্জা ও প্যাগোডায় বিদ্যমান বিভিন্ন রুপে।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: সন্তান পাওয়া তো দুরের কথা আল্লাহ যদি না চাইতো কেউই একবিন্দু নিশ্বাসও নিতে পারতো না।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক রাস্তায় আসার জন্য নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। যারা আসবে তারা শেষ বিচারের দিন পুরষ্কার পাবে।
আল্লাহর প্রতিটা বান্দার জন্য রিযিক সুনির্দিষ্ট।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: সকল মানুষ আল্লহের সৃষ্টি। কিন্তু আল্লাহ্‌ নিজে ধর্ম হিসেবে ইসলাম কে শ্রেঠ্য বলেছেন বাকি সব গুল কে বাতিল করে দিয়েছেন, যদি বাতিল করেন তাহলে বাতিল ধর্ম নিয়ে যারা আছেন তারাও আল্লাহের চোখে বাতিল তাই নয় কি ?

আপনার কথাই ধরে নিলাম আপনার যুক্তির মাধ্যমে বলছি খোদ ভারতে আন্দামান দ্বীপে এখন বেশ কিছু জাতি আছে যারা জানেই না তাদের বাহিরে অন্য আর একটি দুনিয়া আছে। তারা এখনো পাথরের যুগে আছে, এমাজানে এই রকম অনেক নৃ গোষ্টি আছে তাদের ও একি অবস্থা তারা সেই আদিম যুগে পরে আছে, তাদের কাছে ১৪০০ সাল আগের বানি তো দুরের কথা বর্তমান ২০২০ সালের বানী ও পৌছায় না। তাদের অবস্থান কোথায় ? (প্রশ্ন তা যদি বালক সুলভ হয়ে থাকে তারপরেও আশা করি উত্তর পাবো )

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব কিছুর ব্যাখ্যা মিলে গেলে এক ধর্মই থাকত পৃথিবীতে। আল্লাহ শুধু মুসলমানদের কথা শুনলে পৃথিবীতে অমুসলিম কেউ টিকতেও পারবে না! তখন আর বেহেশত, দোজখেরও দরকার ছিল না। সব কিছুই রহস্যময়। ভাবতে হবে, তালাশ করতে হবে...

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একজন হিদু কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম (তিনি সাধারন হিন্দু ধর্মালম্বি) আপনি কি আপনার ধর্মে খুশি ? আপনি আপনার সৃস্টি কর্তার কাছে যা চান তাই পান ? তিনি কি আপনার ভাল মন্দের খোজ রাখছেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন হ্যা আমি খুশি। আমার ভগবান আমাকে নিয়মিত খেয়াল রাখছেন। তার অনুগ্রহে আমি আমার বাবা মা পরিবার নিয়ে ভাল আছি। একি কথা যদি আমি মুসলিম কে জিজ্ঞাসা করি সে একি উত্তর দিবে আমার প্রশ্ন হল শ্রেস্ট ধর্মের অনুসারী হয়ে আমি এক্সট্রা কি এমন সুবিধা পেলাম সবি তো এক।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: অজ্ঞরা মাজারে মানত করে,

আরো বেশি অজ্ঞরা ডিমপড়া নিতে স্ত্রীদের বাবার নিকটে পাঠায়, আর বাবা স্বামীর পক্ষ থেকে ঐ স্ত্রীর গভে` সন্তান দিয়ে দেয় এমন উদাহন অনেক আছে।

বত`মানে বিজ্ঞরা ডাক্তারের কাছে যায়। তারা সমস্যা খুজে বের করে চিকিতসা নেয়।

বত`মানে অনেক রকমের চিকিতসা আছে তাই এখন মানুষ প্রাথনার চেয়ে চিকিতসা নেওয়া শুরু করেছে বেশি।

মানুষ যখন কোন কুলকিনারা পায় না তখন চায় কোন না কোন ভাবে তাকে কেউ সাহাজ্য করুক। সেই থেকেই এই প্রাথনার শুরু। জ্ঞানের পরিধি বাড়া্র সাথে সাথে এই রকমের প্রাথনা তত কমতে শুরু করেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: এক জন হিন্দু যখন আজমির শরিফে মানত করে ফল পায় সে কিন্তু তার ধর্ম পরিবর্তন করছে না। হিন্দু কেন ফল পাবে সে তো হিন্দু।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা সেরা এটা শুধু মুসলমানরাই বলে।
কোনো ধর্মের লোকই সেরা না। সবার থেকে সেরা মানুষ। যার মধ্যে মানবতা আছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: এটা শুধু মুসলমানরা বলে তা কিন্তু না কোরআন স্বীকৃতি দেয় ইসলাম একমাত্র ধর্ম মুসলমানরা সেরা জাতি।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪১

মোগল সম্রাট বলেছেন: যার জীবন আছে সে-ই জীব। মনীষীদের মতে, আল্লাহ তাআলা জড় ও জীব মিলে সর্বমোট ৮০ হাজার বস্তু সৃষ্টি করেছেন। স্থলভাগে ৪০ হাজার এবং পানিতে ৪০ হাজার। এসব সৃষ্টির মধ্যে জিন, ফেরেশতা ও মানুষ সেরা; তবে মানুষই আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব।

মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং তাদের পানিতে ও স্থলে প্রতিষ্ঠিত করেছি, তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্টির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।’ (সুরা ইসরা : ৭০)

আল্লাহ তাআলা এ ধরার সব কিছু মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘তিনি সেই সত্তা, যিনি তোমাদের (মানবের) কল্যাণার্থে পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা বাকারা : ২৯) বস্তুত চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, আলো, বাতাস, জীবজন্তু—সবই মানুষের কল্যাণে সদা নিয়োজিত আছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি জীন দেখেছেন ? আমি যত গুল জীন জাতীয় রুগি দেখেছি পরবর্তিতে সবি সাইকোলজিক্যাল ডিজওডার হিসেবে প্রমানিত হয়েছে।

ব্লাক হোল কি ধরনের কল্লান আনতে পারে মানুষের জন্য ?

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: কাফের এবং মুসলিমদের পার্থক্য হবে রোজ হাসরের ময়দানে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দুনিয়াতে সবাইকেই রিযিক দিয়েছেন। তাকে বিবেক দিয়েছেন। এরপর বান্দা যা করবে তার জন্য হাসরের ময়দানে তার হিসাব নেয়া হবে।

কাফেরদের হিসাব সম্পর্কে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেনঃ আর কাফেরদের ব্যাপারে কথা হলো, তাদের হিসাব ঐসব লোকদের হিসাবের মত হবেনা, যাদের ভাল-মন্দ আমলসমূহ ওজন করা হবে। কেননা কিয়ামতের দিন তাদের কোন ভাল আমলই থাকবেনা। অর্থাৎ তাদের এমন সৎ আমল থাকবেনা, যা অসৎ আমলের সাথে তুলনা করে ওজন করা যায়। কেননা কুফরী করার কারণে তাদের আমলসমূহ ধ্বংস হয়ে গেছে। আখেরাতে তাদের অসৎ আমল ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা। সুতরাং তাদের হিসাব নেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাদের দুনিয়ার অপকর্মসমূহ গণনা করা এবং সংরক্ষণ করা। কিয়ামতের দিন তাদের আমলগুলোর কারণে তাদেরকে আটকানো হবে, তাদেরকে তা স্বীকার করানো হবে। অতঃপর তাদের আমলের বদলা দেয়া হবে। অর্থাৎ কিয়ামতের দিন তাদের কুফরী আমলগুলো তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে এবং তাদের কাছ থেকে সেগুলোর স্বীকারোক্তি আদায় করার পর বদলা দেয়া হবে।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ﴿فَلَنُنَبِّئَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِمَا عَمِلُوا وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنْ عَذَابٍ غَلِيظٍ﴾‘‘আমি অবশ্যই কাফেরদের জানিয়ে দেব তারা কি কাজ করে এসেছে৷ আর তাদেরকে আমি অত্যন্ত জঘন্য শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাবো’’। (সূরা হামীম সাজদাহঃ ৫০)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ ﴿ وَشَهِدُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوا كَافِرِينَ ﴾ ‘‘এবং তারা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, বাস্তবেই তারা ছিল কাফের’’। (সূরা আরাফঃ ৩৭)

আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ ﴿فَاعْتَرَفُوا بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ﴾ ‘‘তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে৷ জাহান্নামের অধিবাসীদের উপর আল্লাহর লানত’’। (সূরা মুলকঃ ১১)

ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি কি জানেন একজন পতিতা কে বেহেস্ত দেয়ে হয়েছে কারন সে জীবিত থাকা কালীন অবস্থায় এক টি পিষার্ত কুকুর কে তার রুমাল ভিজিয়ে পান পান করিয়েছিল। এটা স্পস্ট হাদিসে আছে। কে বেহেস্তে যাবে কে যাবে না তা কেউই জানে না, ৭২ খানা সারি হবে তার মধ্যে মাত্র এক সারি বেহেস্তে যাবে বাকি ৭২ সারির মধ্যে আপনাদের ভাষায় আলেম মৌলানারা দোযখে যাবে সবার আগে। হাদিস টা হোল

১৯০২-[১৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (একবার) একটি পতিতা মহিলাকে মাফ করে দেয়া হলো। (কারণ) মহিলাটি একবার একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাবার সময় দেখল সে পিপাসায় কাতর হয়ে একটি কূপের পাশে দাঁড়িয়ে জিহবা বের করে হাঁপাচ্ছে। পিপাসায় সে মরার উপক্রম। মহিলাটি (এ করুণ অবস্থা দেখে) নিজের মোজা খুলে ওড়নার সাথে বেঁধে (কূপ হতে) পানি উঠিয়ে কুকুরটিকে পান করাল। এ কাজের জন্য তাকে মাফ করে দেয়া হলো। (এ কথা শুনে) সাহাবীগণ আরয করলেন, পশু-পাখির সাথে ভাল ব্যবহার করার মধ্যেও কি আমাদের জন্য সাওয়াব আছে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। প্রত্যেকটা প্রাণীর সাথে ভাল ব্যবহার করার মধ্যেও সাওয়াব আছে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যেটা বলেছেন সেটা সঠিক। তবে কোথায় পেয়েছেন এই পতিতা কাফের ছিল?
আল্লাহ রাব্বুল আলামীণ কুফর'কে কোন ভাবে মাফ করবেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلًا مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلَائِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلًّا كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ فَيَقُولُ لَا يَا رَبِّ فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ فَيَقُولُ لَا يَا رَبِّ فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لَا ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلَّاتِ فَقَالَ إِنَّكَ لَا تُظْلَمُ قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلَّاتُ فِي كَفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كَفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلَّاتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلَا يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ
‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা সমস্ত মানুষের সামনে আমার উম্মতের একজন লোককে উপস্থিত করবেন। তার সামনে নিরানববইটি ফাইল (খাতা) বের করা হবে। প্রত্যেকটি ফাইলের বিশালতা হবে চোখের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত। অতঃপর আল্লাহ তাকে বলবেনঃ এখানে যা লেখা আছে তার কোন কিছু কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে? আমার ফেরেশতাগণ কি তোমার উপর জুলুম করেছে?
তখন সে লোকটি বলবেঃ হে আমার প্রভু! আপনার ফেরেশতাগণ অন্যায় কিছু লেখে নাই।
আল্লাহ বলবেনঃ তোমার কোন অযুহাত আছে কি?
তখন সে লোকটি বলবেঃ হে আমার প্রভু! আমার কোন অযুহাত নেই।
তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমার কাছে তোমার একটি নেকী আছে। আজকে তোমার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা। তারপর একটি কার্ড বের করা হবে। তাতে লিখা থাকবে, أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
‘‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
আল্লাহ বলবেনঃ দেখ! তোমার আমল ওজন করা হবে। সে বলবেঃ হে আমার প্রভু! এতোগুলো বিশাল ফাইল ভর্তি গুনার তুলনায় এই কার্ডটির কোন ওজনই হবেনা।
আল্লাহ বলবেনঃ আজ তোমার উপর বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবেনা। অতঃপর মানদন্ডের একপাল্লায় রাখা হবে নিরানববইটি ফাইল এবং অপর পাল্লায় রাখা হবে শুধু মাত্র ঐকার্ডটি। এবার ওজনের সময় তার গুনায় ভর্তি নিরানববইটি ফাইলের পাল্লা হালকা হয়ে যাবে এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লার পাল্লা ভারী হয়ে যাবে। আল্লাহর নামের সাথে অন্য বস্ত্তর কোন ওজনই হবেনা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: নীল আকাশ বলেছেন: আপনি যেটা বলেছেন সেটা সঠিক। তবে কোথায় পেয়েছেন এই পতিতা কাফের ছিল?

পতিতা ইমানদার হয়??

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

আমি নই বলেছেন: আপনি চারটি ধর্মের উদাহরন দিলেন, আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বাকি তিনটি ধর্মের অনুসারীরা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ মনে করে না? যদি তারা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠই মনে না করে তাহলে অনুসরন করে কেন?

যাই হোক, শুধুমাত্র মুসলিমরাই নিজেদের শ্রেষ্ঠ দাবী করে এটা সম্পুর্ন ভুল, ১০০% প্রপাগান্ডা। ডিরেক্টলি / ইনডিরেক্টলি সবাই নিজেদের অন্যর চাইতে শ্রেষ্ঠ মনে করে। এমনকি নাস্তিকরাও তো নিজেদের ধার্মিকদের চাইতে বেশি বুদ্ধিমান বা জ্ঞানি দাবী করে। সাদা চামরা ওলারা নিজেদের কালো চামরা ওলাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ মনে করে, উচ্চবিত্তরা নিজেদের নিম্নবিত্তের চাইতে শ্রেষ্ঠ মনে করে। এরকম নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবীর অনেক বড় লিস্ট দেয়া যাবে। তো জনাব আপনার চোখে শুধু মুসলিমরাই পরল কেন?

আন্দামান বা আমাজনের যে উদাহরন দিলেন সে ব্যপারে আমি একটা মত পড়েছিলাম (দুঃখিত সোর্স ভুলে গেছি), শেষ বিচারের দিনে যখন আল্লাহ কোনো অমুসলিমের বিচার করবে তখন সে বলবে হে আল্লাহ তুমি তো আমাকে অমুসলিমের ঘরে জন্ম দিয়েছিলে কিন্তু তোমার কোনো মুসলিম বান্দা তো আমাকে তোমার কথা বলেনি বা ইসলামের দাওয়াত দেয়নি। সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব হল প্রত্যেক অমুসলিমকে সবিনয়ে বুঝানো এবং ইসলামের দাওয়াত দেয়া, দাওয়াত কবুল করা বা না করা তার ব্যাপার, অবস্যই জোর করা যাবেনা। আর দাওয়াত এর জন্য শুধু আন্দামান বা আমাজন কেন যেখানেই মানব বসতি আছে সেখানেই যেতে হবে আর যদি না যায় তাহলে অবস্যই মুসলিমরা দায়ী থাকবে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: সবাই সবার ধর্ম কে শ্রেস্ট বলে ধরে নেয়। এটাই স্বাভাবিক। আমি কোন ধর্ম কেই ছট করি নাই আমি শুধু মুসলমানদের প্রেক্ষাপটে লিখেছি, আমার প্রশ্ন টাই এমন ছিল- কেন ? শ্রেস্ট বোধ একান্তই নিজের বিশ্বাস।

আপনার " আন্দামান বা আমাজনের যে উদাহরন দিলেন সে ব্যপারে আমি একটা মত পড়েছিলাম" মতের সাথে অধিকাংশই সহমত হবে না, উপরের আলচনায় তা বুঝতে পারবেন।

আপনি হয়ত আমার কথাটাই বোঝেন নাই আমি নিজেই প্রশ্ন ছুরে দিয়েছি কেন এমন হবে ?

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পৃথিবীতে ৪০০০ এর উপরে ধর্মমত আছে। ধর্ম মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের প্রয়োজনেই বিলুপ্ত হবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: না একমত না। ধর্ম বিলুপ্ত হবে না যদি তাই হতো, তাহলে ধর্মের বিলুপ্তি অনেক আগেই ঘোটত। যেহেতু আদমের উপর কিতাব এসেছে তো বলতে পারি ধর্ম মানব সৃস্টির সাথে সাথেই অবস্থান করছে।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

ওয়াহেদ সবুজ বলেছেন: কথা তো সেটাই ভাই। স্রষ্টার কাছে সকলেই সমান, তাঁর পরিজন। সৃষ্টির মধ্যেই যত বিভেদ!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: সহমত !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.