নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিয়ে বসে আছি ।

রানার ব্লগ

দুরে থাকুন তারা যারা ধর্ম কে পুজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশ বিরধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্থানী প্রেমী গন।

রানার ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদি নারীদের দুর্দশা কারন তারা আরোব পুরুষ বিয়ে করেছিলো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

আরবদের বিয়ে করা ইহুদি নারীদের ওপর ইসরাইলি নির্মমতা
আরব পুরুষদের বিয়ে করায় ১৯৪৭ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় শত শত ইহুদি নারীকে শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

এতে এসব নারীরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, বয়কট ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
আরবদের বিয়ে করে আরব সংস্কৃতিতে মিশে যাওয়া ইহুদি নারীদের ইতিহাস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরাইলি দৈনিক হারিৎস। এতে তারা যে বর্ণবাদ, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, সেই বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথমে নিজ ঘর থেকেই তারা বাধা পেয়েছেন, সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছিল। আর তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে।
আরবদের বিয়ে করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া ইহুদি নারীদের খোঁজে নতুনভাবে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ভ্রমণে গিয়েছিলেন তেলআবিবের প্রাচীন অঞ্চল ইয়াফার প্রধান ধর্মযাজক হানানিয়া দেয়ারি।

হেবরন, নাবলুস, গাজা শহর, খান ইউনিস ও পূর্বজেরুজালেমে অন্তত ৬০০ ইহুদি নারীর খোঁজ পেয়েছেন তিনি। তাদের ইহুদি ধর্মে ফিরে যেতে উৎসাহিত করেন এই ধর্মযাজক। ইসরাইলে আন্তধর্মীয় বিয়ে বহু আগ থেকেই নিষিদ্ধ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরাইল শিক্ষা বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী ইডিথ এরেজ। তিনি এসব নারীদের দুর্দশার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন।
কর্তৃপক্ষ ও আন্ডারগ্রাউন্ড আধাসামরিক বাহিনী তাদের ওপর যে নিপীড়ন চালিয়েছে, সেই ইতিহাসও বলেন। তিনি জানান, আমার দুই আত্মীয় আরবদের বিয়ে করেছেন। এতে পরিবার থেকে তাদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
এসব বিষয়ের প্রমাণে উপকরণের অভাবের কথা ইডিথ এরেজকে স্মরণ করিয়ে দেন তার সহকর্মীরা। কিন্তু অনেক ঘেঁটে ১৯১৭ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত আরব পুরুষদের সঙ্গে ইহুদি নারীদের সম্পর্কের তথ্যউপাত্ত আবিষ্কার করেন তিনি।
এই শিক্ষার্থী দেখতে পান যে, তখন নিষিদ্ধ বিষয়গুলোতে লেখকরা খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ইডিথ এরেজ বলেন, যেই লেখক এটাকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কলঙ্ক কিংবা জাতীয় লজ্জা হিসেবে দেখেছেন, তিনিই এটাকে সামগ্রিক স্মৃতি থেকে বাদ দিয়েছেন।
কিন্তু পত্রিকাগুলোতে আড়াল করে দেওয়া গল্প খুঁজে পেয়েছেন এই শিক্ষার্থী। এসব ‘নিখোঁজ’ নারীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে গোপন নজরদারি অভিযানেরও বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়েছেন তিনি।

হাগানাহ, লেহি, ইরগুনসহ বিভিন্ন গোপন ইহুদি আধাসামরিক বাহিনীর আর্কাইভ ঘেঁটে দেখা গেছে, এসব নারীকে ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সম্ভাব্য গোয়েন্দা অভিযানের লক্ষ্যবস্তু বানানো হতো তাদের।
১৯৪২ সালে সংগঠনের গোয়েন্দা শাখাকে পাঠানো এক হাগানাহ সদস্যের প্রতিবেদন এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এক জ্যেষ্ঠ আরব ব্যক্তির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে এক ইহুদি নারীকে নিয়োগের পরিকল্পনা করেন তিনি।
ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে হাগানাহ সদস্য লিখেছেন, কামাল আল-হুসেইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, তিবেরিয়াসের এমন এক নৃতাত্তিক শেফার্ডি তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্য পেতে চেষ্টা করছি। তার ওপর প্রচুল অর্থ খরচ করতে তিনি রাজি হবেন।
ইহুদিদের একটি নৃতাত্ত্বিক শেখা হচ্ছে শেফার্ডি। আধুনিক স্পেন ও পর্তুগালে তাদের আদিনিবাস।
ইরেজের আবিষ্কার করা এই গল্প বলে দিচ্ছে: ইহুদি নারীদের সঙ্গে আরবদের সম্পর্ককে কতটা বিরূপভাবে দেখা হতো তখন।
তিনি বলেন, এ রকম বিয়েকে ইসরাইলে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামাজিক বিধিনিষেধের বাইরে গিয়ে ধর্মীয় ও জাতীয় সীমালঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমন সম্পর্ককে চূড়ান্ত হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছে। আন্তধর্মীয় বিয়েকে রীতিবিরুদ্ধ বলে মনে করেন অনেক ইহুদি। তাদের ইসরাইলের শত্রু, বিশ্বাসঘাতক ও জাতীয় অবমাননা বলে মনে করা হয়েছে। ফিলিস্তিনে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনা চলার সময় আন্তধর্মীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া চরম রূপ নিয়েছিল।
জেরুজালেমের একটি ক্যাফেতে দেখা হয় এসথার কে ও মাহমুদ আল-কুর্দির। পরবর্তী সময়ে তারা প্রেমে পড়ে যান এবং বিয়ে করেন। কিন্তু এসথারের বাবা-মায়ের সম্মতি ছিল না তাতে।

পরে এই ঘটনা আদালতে ওঠে। তখন এসথারকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলে আদালত। যাওয়ার সময় আল-কুর্দিকে সে বলল, কিছু মনে করো না, আর কয়েক মাস গেলেই আমার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে। তখন আমি আবার ফিরে আসব।
এর মধ্যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে আল-কুর্দি বলেন, আমি তাকে খুবই ভালোবাসি। তার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছি। লোকজন খুব নিষ্ঠুর। তারা কেন আমার রক্তকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাচ্ছে?
২২ বছর বয়সী ছায়া জেইডেনবার্গের আরব প্রেমিক দাউদ ইয়াসমিনা। ১৯৪৮ সালে জেইডেনবার্গকে হত্যা করে উগ্র ইহুদি গোষ্ঠী লেহি ।
এক বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে মাতৃভূমির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ আনা হয়। লেহির সদস্যরা জেইডেনবার্গের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে জেরা শেষে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
সমাধিফলকে তার বংশগত নাম উল্লেখ করা হয়নি। আর স্থানীয় ইহুদিদের দাফনে দায়িত্বে থাকা সমিতি একজন ‘গুপ্তচর’ হিসেবে তার নাম নথিভুক্ত করেছে। হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইডিথ এরেজ তার গবেষণায় বলেন, ওই নারীর নিজস্ব জোরালো মতামত ছিল। অবচেতনভাবেই তিনি নারীবাদী হয়ে উঠেছিলেন। সামাজিক কুসংস্কারকে অস্বীকার করতেন এবং নিজের সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

আরোবদের বিয়ে করা ইহুদি নারীদের দুর্দশা

ইহা একটি কপি পেস্ট পোস্ট। এর মালিকানাসত্ব আমার নয়। লিংক দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: ... মাইনাস বাটনটা সামু কেন ফিরিয়ে দেয় না। এর জন্য একটা আন্দোলন করা দরকার। এটা এক সময়ের জনপ্রিয় বাটন। :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি এখানেও দিতে পারেন, কে মানা করেছে আপনাকে।

- - - এই যে এইভাবে।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেসব ইহুদী তরুণী আরবদের বিয়ে করে, তাদের ২ ধরণের বিপদ: (১) নিজ পরিবার তাদের ত্যাগ করে (২) স্বামীকে নিয়ে সুখী হয় না, আরবেরা ভালো স্বামী নয়।

প্যালেষ্টানী অনেক মেয়ের বিয়ে হয় না, এরা অনেক সময় ইহুদীদের সাথে চলে; এতে পুরুষ ইহুদী বিপদে পড়ে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: হ্যা কথা সত্য কিন্তু ইহুদিরা যে সারা বিশ্বে মানবতার ঝান্ডা উড়ানোর ভান করছে অথচো নিজ গৃহে তারা বর্বর এটার বেলায় কি, যদিও সকল আরবরা এমনি। ইজরায়েল আরোব জাতির অংশ বলেই মনে করি।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: হ্যা কথা সত্য কিন্তু ইহুদিরা যে সারা বিশ্বে মানবতার ঝান্ডা উড়ানোর ভান করছে অথচো নিজ গৃহে তারা বর্বর এটার বেলায় কি, যদিও সকল আরবরা এমনি। ইজরায়েল আরোব জাতির অংশ বলেই মনে করি।

-প্রচুর ইহুদী মেয়ে আমেরিকান ও ইুরোপিয়ানদের বিয়ে করে; একজন বাংগালী অভিনেত্রী নিউইয়র্কে একজন ইহুদী পুরুষকে বিয়ে করেছেন; সমস্যা হলো, আরবদের নিয়ে; ধর্মীয় ইহুদীরা আরবদের সহ্য করে না; সর্বোপরি, পরিবার জানে যে, আরবী পুরুষকে বিয়ে করলে, ইহুদী মেয়েরা সুখী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আরবীয়রা যে বর্বর জাতি এটা নতুন কিছুই না।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিউইয়র্কে আমার জানামতে ২ জন বাংগালী ইহুদী মেয়ে বিয়ে করেছেন, ভালো আছেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা!!

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আরব বলতে সৌদি আরবও পড়ে অদূর ভবিষ্যতে সৌদিয়ানও ইসরাইল যাবে বিয়ে করতে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: আরব বলতে সকল আরব জাতিকেই বোঝানো হয়েছে। সৌদি কে আলাদা করে দেখার কিছুই নাই।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম মানবিক প্রেমে বাঁধা দেয়।মানুষে মানুষ বিভেদ সৃষ্টি করে।ধর্ম থেকে দুরে থাকা ভালো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ইহুদিদের এই অন্যায় অত্যাচার খানা হিন্দুধর্মের মধ্যেও আছে, অন্য ধর্মাবলম্বী কেউ কে বিয়ে করলে তাকে সমাজ ও বংশচুত্ব করে। এতেও তারা থেমে থাকে না, এরা হত্যার মতো অমানবিকতায় জড়িয়ে যায়। ইসলাম ধর্মে নাই কিন্তু সাউথ এশিয়ান মুসলমান
কালচারে যারা হিন্দু ধর্ম দ্বারা ইন্সপায়েড এদের মধ্যে এই অমানবিকতা আছে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং সকলের মন্তব্য গুলো ভালো লাগলো।

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১৭

অক্পটে বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানা গেল। খুব অমানবিক!

২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা মানুষকে অমানবিক করে তোলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.