নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকুন তারা যারা ধর্মকে পুঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। দূরে থাকুন তারা যারা ১৯৭১ থেকে অদ্যাবদি বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এবং সকল পাকিস্তানী প্রেমী , রাজাকার ও তাদের ছানাপোনা ।
আম্মা কে নিয়ে ঠাই হলো বকুলদের বাড়িতে। বকুলদের গোয়ালঘরের পাশে খড় রাখার ঘড়ে আমরা ঠাই নিলাম। আম্মা সারাদিন কান্নাকাটি করেন। আমি আম্মার কাছ থেকে নানার ঠিকানা নিয়ে সব বিস্তারিত জানিয়ে আবার চিঠি পাঠালাম। ফালাফল শুন্য। কোন উত্তর আসে না। আঞ্জুর এখন সাত বছর চলে। ও এখন সব বোঝে। মাঝে মধ্যে দেখি ওকে চুপিচুপি আমাদের পুরানা বাড়ির দিক থেকে আসতে। একদিন লুকিয়ে ওর পেছনে পেছনে দেখতে যাই ও কি করে জানার জন্য। আঞ্জু বড়দার কবরের পাশে গিয়ে বসে থাকে। একা একা কথা বলে। দূর থেকে দেখে চলে আসি। ওকে কিছু বলার সাহস পাই না। আমাদের পুরাতন বাড়িটার অস্তিত্ব নাই বললেই চলে। চাচার মনে হয় আমাদের উচ্ছেদ করাই মুল লক্ষ্য ছিলো। বকুলদের গোয়াল ঘরে থাকা খুব মুশকিল। বর্ষায় আমারা ভিজে যাই। শীতে তো একদম সারা রাত জেগেই থাকি। আম্মা বেশ কিছুদিন ধরে বকুলদের বাসায় কাজ করেন। আমার একদম ভালো লাগে না। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না। ডাকাতের ভাই বলে কেউ আর কাজ দেয় না। আম্মার উছিলায় তিন বেলা না হোক দুই বেলা খেতে পাচ্ছি। আম্মার শরীর ভেংগে গেছে।
বকুলের বিয়ে হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে ও তার জামাই নিয়ে আসে। তখন ঘরের কাজ অনেক বেড়ে যায়। বকুল আঞ্জুকে দিয়ে ফাইফরমাস খাটায়। মাঝে মাঝে আমাকেও বলে ওর জামাইয়ের কাজ করে দিতে। আমি হাশি মুখে করে দেই। এই ভাবে কাজ করতে আমার একদম ভালো লাগছে না। আম্মা আমাকে আজকাল একদম সহ্য করতে পারে না। খুব বকাবকি করে। কাজ না করে ঘুড়ে বেড়াই। কিন্তু কি করে বুঝাই ডাকাতের ভাই কে কেউই কাজ দেয় না। আমি মাঝে মধ্যে শহরের পোস্ট অফিসে যাই কোন চিঠি আছে কি না। কোন চিঠি নাই।
ঠিক দুপুরের সময় এক লোক একদিন এসে বাড়ির সামনে এসে আমার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে লাগলো । বড়দা মারা যাবার পর অপরিচিত কেউ নাম ধরে ডাকলে ভয় লাগে খুব । তবুও সাহস দেখিয়ে এগিয়ে যাই , আমার পরিচিত কারো মতই না দেখতে এই লোক , বেশ ধোপদুরস্ত কাপোড় পরা একজন মধ্য বয়ষ্ক মানুষ। আমাকে দেখে কিঞ্চিত চিন্তিত ভঙ্গিতে ভুড়ু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো তুমি কি শেফালির ছেলে ? শেফালি আম্মার নাম, অনেক দিন না শোনার কারনে প্রায় ভুলে গেছিলাম, জ্বি আমি শেফালি আম্মার ছেলে, থতমত খেয়ে উত্তর দিলাম। লোকটা মুখ বাঁকা করে হাশি জাতীয় কিছু দেয়ার মতো করে বললো, তোমার আম্মা কে ডেকে আনো বলো যে তার ভাই মহিউদ্দিন এসেছে। আমি কিছুক্ষন হা করে লোকটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম, আমার জানাশোনা কারো মতোই এই লোক না, কাপড় চোপড়ে এই লোক বিশাল পয়াসা ওয়ালা কিছু মনে হয় । শুনেছি গরীব মানুষদের ধরে ধরে কিছু লোক পাচার করে দেয় সেই রকম কেউ না তো , আমি ইতস্তত করছি দেখে লোকটি অধৈর্য হয়ে বললো যাও খোকা তোমার আম্মা কে ডেকে আনো।
আম্মা কে বলতেই আম্মা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন । তারপর উঠে দাড়াতে গিয়ে বসে পরলেন, আমি তারাতারি ধরে না ফেললে মাটিতে পরে যেতেন। খশখশে গলায় জিজ্ঞাসা করলেন কে আসছে বললি, মহিউদ্দিন তোমার ভাই এসেছে, আম্মা আমার দিকে ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে থেকে মহি দাদা ? মহি দাদা কি না জানি না, বললো মহিউদ্দিন তোমার নাকি ভাই। আম্মা নড়বড়ে পায়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ছেড়া কাপড় ঢেকে ঢুকে সোজা হয়ে দাড়ালেন, আশেপাশে তাকিয়ে বললেন আঞ্জু কই আঞ্জু কে ডাক। আমি আঞ্জুকে ডাকার জন্য জোরে চিৎকার দিলাম, আম্মা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো আরে গাধা এতো জোরে চিল্লাস না মহি দাদা শুনলে খারাপ বলবে।
দৃশ্যটা দেখতে আমার মোটেও ভালো লাগছে না । মহিউদ্দিন নামের লোকটা আমাদের ভাঙা চোকিতে বসে আছে আম্মা তার পায়ের কাছে বসে অঝোরে কাঁদছে । শুনলাম নানা মারা গেছেন আট মাস হয়েছে, নানার পুরানা কাপড় চোপড় নাড়ানাড়ি করতে গিয়ে আমাদের ঠিকানা খুজে পেয়ে ইনি এসেছেন আমাদের কে নিয়ে যেতে। নানা নাকি মারা যাবার সময় এমনি বলে গেছেন। আমি নিশ্চিত এই লোক পাচারকারী। এরা আমাদের মতো গরীব মানুষ ধরে পাচার করে দেয় । আম্মা কে নানাভাবে ইশারা দিচ্ছি যাতে আম্মা রাজি না হয়। ওদিকে আঞ্জু লোকটার কোলে ওঠার চেষ্টা করছে আর লোকটা বিরক্ত হয়ে আঞ্জুকে সরিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষনপর বিরক্ত হয়ে শুনলাম লোকটা বলছে কিরে তোর ছেলে মেয়েদের গোসল করাস না গায়ে এতো গন্ধ কেনো। আম্মা লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকলেন। আমার মেজাজ আকাশে উঠলো। ইচ্ছা হলো ঘাড় ধরে বের করে দেই। কিন্তু আম্মার ভাই তাই কিছু বললাম না।
বকুলের আব্বার কাছ থেক বিদায় নিয়ে আমরা আমাদের নানা বাড়ির পথে চললাম, যদিও আমার পুরা সন্দেহ লোকটা আমাদের পাচার করে দেবে। আমি অবশ্য মনে মনে প্ল্যান করে ফেলেছি পথে যেতে যেতে রাত হলে লোকটার হাত পা বেধে আম্মা আর আঞ্জুকে নিয়ে পালিয়ে যাবো। আম্মাকে আজ অনেক খুশি খুশি লাগছে । তার ছেড়া শাড়ি তাকে একদম বিব্রত করছে । এই প্রথম আমরা আমাদের চেনা গ্রাম ছেড়ে ভিন্ন এক জগতে চলে এলাম । যা দেখি সব অচেনা, মনে মনে দারুন ভয় পাচ্ছি আম্মা আর অঞ্জু যদি হারিয়ে যায় আমার কি হবে ভেবে তাই আম্মার পিছ আমি ছাড়ি না আর আঞ্জুতো নতুন জায়গা দেখে খুশিতে লাফাচ্ছে। বিশাল এক বাসে করে আমাদের অন্য এক শহরে নিয়ে এলো এর পর আমরা বিশাল একটা জাহাজে চড়লাম, সারাপথ আমি একফোটা ঘুমাই নাই ভয়ে। ভোর বেলা সেই জাহাজ এক ঘাটে ভিড়ল। এই প্রথম নাম শুনলাম এলাকার বরিশাল । আমি নিশ্চিত এরা আমাদের সমুদ্রে চালান করে দেব। আমি আম্মাকে বললাম আম্মা তুমি কি চেনো এই এলাকা, আম্মা হেসে বললো এই ঘাটে ছোট বেলায় অনেক এসেছে। আমি তবুও নিসছিত হলাম না। আম্মা বুড়া হয়ে গেছে সব কি আর মনে আছে।
নানা বাড়ির বৈঠকখানায় বসে আছি, সবাই আমাদের চোখ গোলগোল করে দেখেছে, কিছুক্ষন পর পর এক একজন এসে আম্মাকে ধরে ওঁরে সেফু রে বলে হাউ হাউ করে কান্না কাটি করছে, আমি আর আঞ্জু অবাক হয়ে এই সব দেখছে, সব থেকে বেশি মজা মনে হয় আঞ্জু পাচ্ছে, যেই কেউ এসে আম্মাকে ধরে ওঁরে শেফুরে বললে চিৎকার করে কাঁদছে আঞ্জু হেসে কুটিকুটি। আম্মার তিন ভাই আর দুই বোন তারা সব আমাদের ঘিরে ধরে বসে আছে, একজন আমাকে ধরে হাত পা টেনে ঠোঁট উল্টিয়ে বললো নাহ শেফুর মতো হয় নাই, মাইয়াডা তা যা পোলাডা তো পুরাই বাপ । তিন দিনের লম্বা পথের ধকল সেরে ক্ষুধায় পেটে কুকুর ডাকাডাকি করছে কিন্তু কারো কানেই সেই ডাক পৌছালো না। সবাই আমাদের হাত পা মাথা নাক চুলের মাপঝোক করতে বসে গেছে ।
তিনদিন হলো নানা বাড়ি এসেছি এর মধ্যেই বুঝে গেছি আমরা অতিথী না, আমরা তাদের জন্য অপ্রয়োজনিয়ে যন্ত্রনা, আম্মা সেই কাজ শুর করলেন যা বকুলদের বাসায় করতেন । প্রতিদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হয় কখন আম্মার কাজ শেষ হবে আর আম্মা ভাত নিয়ে এসে আমাদের খাওয়াবে । আম্মার সব রাগ আমার উপর আবার ফিরে এলো । মামাতো ভাই বোনারা আমাদের সাথে মিশছে না। আঞ্জু খেলতে গেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি একদিন তো ধাক্কা মেরে ফেলেই দিলো । আম্মা দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো। আমি আর সহ্য করতে পারলাম না, একটার কান ধরে দিলাম দুই ঘুসি, অন্য একটা তেড়ে এলে ওটার পেটে লাথি মেরে চিত করে ফেললাম আর সে কি কান্না আকাশ বাতাস এক করে হা হা করে কান্না, মাম মামী দুইজনই ছুটে এসে আমাকে ধরে মারতে লাগলো, আঞ্জু কে দেখলাম চড় দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো মেজাজ খারাপ হলো আরো বেশি, মামার দাড়ি ধরে টান দিয়ে কানের উপর ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলাম, বেমাক্কা এক চড়েই মামা ভদ্রলোক চিতপটাং। আম্মা দূর থেকে এই সব দেখে আমাকে লাঠিয়ে দিয়ে বেদম পেটান পেটালেন। আম্মার মার খেয়ে ঘর ছেরে বেরিয়ে গেলাম।
সবাই মিলে সিধান্ত নিলো আমাকে আর ঘড়ে রাখা যাবে না, আমাকে এতীমখানায় ভর্তি করে দেয়া হবে। আমি স্পস্ট না বলে দিলাম , আমি আঞ্জু আর আম্মা কে ছেড়ে কোথাও যাবো না । কিন্তু আমার কথা কেউই শুনল না। সবাই মিলে সিধান্ত নিলো আমাকে এতিমখানায় দিয়ে দেবে । আম্মাও দেখলাম তাতে সায় দিলো। আম্মা কিছু না বলে আঞ্জু কে নিয়ে ঘড়ে ঢুকে গেলো, ঘড় বলতে গরুর ঘরের পাশে লাকড়ি রাখার জায়গা যার এক পাশে লাকড়ি রাখা আর এক পাশে পাটি বিছিয়ে বিছানার মতো করে দেয়া ।
সকালে হঠাত দেখি আমার সেই চাচা এসে উপস্থিত বাড়িতে । আমাকে দেখে সামান্য হাশি দিয়ে বললো কি ভাতিজা ভালো আছো? আমি উঠে চলে গেলাম কিছুই না বলে, সারদিন দেখলাম আমার সেই চাচার বেশ খাতির যত্ন হচ্ছে। আঞ্জুকে চাচা কোলে নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। আমি কাউকেই জানাতে পারছি না এই লোক কতো খারাপ, আম্মা কে আশে পাশে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। সন্ধায় শুনতে পেলাম চাচার সাথে আম্মার বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে আমার মামারা। আমি সম্পুর্ন নির্বাক হয়ে গেলাম। আম্মাকে পাগলের মতো খুজতে লাগলাম কিন্তু কেউই কিছু বলছে না আম্মা কোথায়, কেউই আমাকে বাড়ির ভেতর ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ির সড়িতে বসে রইলাম, সারা রাত চেষ্টা করলাম আম্মাকে খোজার কিন্তু আম্মা যেন ভোজবাজির মতো উদাও হয়ে গেলো । রাত পেড়িয়ে সকাল হলো। সারা রাত না খাওয়া আমি একটু ঝিমিয়ে গেছিলাম, হঠাত লোকজনের সাড়াশব্দ শুনে চমকে জেগে গেলাম দেখি আম্মা লাল শাড়িতে হেটে যাচ্ছে এক হাতে আঞ্জুকে ধরা । আমি ছুটে গিয়ে আম্মা কে বললাম আম্মা তুমি কই যাও আমাকে নিয়ে যাও , আম্মা আমার দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে সামনে চলে গেলো মামারা আমাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিলো। আমার সেই চাচা নতুন পাঞ্জাবীতে আম্মার হাত ধরে নিয়ে গিয়ে নৌকায় উঠে গেলো আম্মার কোলে আঞ্জু। আমি নদীর পারে আম্মাকে জোরে জোরে ডাকতে লাগলাম। আম্মা আম্মা আমাকে নিয়ে যাও । আম্মা শুনলো না। আঞ্জু আমাকে হাত নাড়িয়ে টাটা দিতে লাগলো। দেখলাম আম্মা উল্টা দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে আছে একবারো আমার দিকে তাকালো না, আমাকে কাছ ডাকলো না। নৌকাটা আস্তে আস্তে দূরে চলে যাচ্ছে, নদীর পাড়া থেকে সবাই চলে গেছে, দূরে আম্মার লালা শড়ির দেখা যাচ্ছে যেনো বাতাসে নেড়ে আমাকে কাছে ডাকছে। আঞ্জু মনে হয় একবার ডেকে উঠলো " দাদা " ।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ!!
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: সব পর্ব পড়া হয়নি।
সময় করে পরে নিব। শেষ তো হোল না!!!
২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
রানার ব্লগ বলেছেন: শেষ!! এর পর অন্য গল্প!! এই গল্পের এখানেই শেষ!!!
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: আগের পর্বগুলোর মতোই শেষ খুব ভালো লাগলো। +
২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কয়েকটি পর্ব পড়েছি রানা ভাই। দারুণ ছিল।।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জুন বলেছেন: মায়ের বিয়ে দিয়ে এন্ডিং এইটা কিছু হইলো রানার ব্লগ চাচাটা নায়কের মাকে বিয়ে করলো ক্যানো ! তাঁর নামে কি কোন সম্পত্তি ছিল ? গ্রামদেশে তো এটাই একটা বড় কারন । নাহ বড্ড তারাহুড়ো করে শেষ করলেন
তারপর ও ভালোলাগা দিলাম আগের পর্বগুলোর জন্য ।
+
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: মায়ের নামে সম্পদ থাকে না উত্তরধিকার সুত্রে ছেলে মেয়ের নামে থাকে এক ছেলে মৃত অন্য ছেলেকে বাড়ি ছাড়া করে মেয়ে ও তার মা কে বিয়ে করে নেয়ার মাধ্যমে সম্পদের উপর কব্জা করা হলো ।
না না তারাহুরা না গল্প শুরুর আগেই এর শেষ পরিনতি লেখা ছিলো।
ভালো লাগে নাই শুনে খারাপ লাগলো। পরবর্তীতে অন্য গল্পে আশাকরি আপনার মন রক্ষা করতে পারবো।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৫
শায়মা বলেছেন: জলে ভাসা পদ্ম জীবন
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: জীবন এমনি।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৬
জুন বলেছেন: খারাপ লেগেছে বলি নাই রানার ব্লগ , আমি মিন করেছি মায়ের বিয়ে নিয়ে । তাঁর উপর ছেলেটার সাথে মা সহ সবাই কেমন দুর্ব্যবহার করলো । এগুলো আমার কষ্ট লেগেছে । এমন পরিনতি বড়ই দুঃখজনক । তারাহুড়ো মিন করেছি আপনি গল্পের নায়ক আরেকটু বড় হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়িয়ে এমন জীবন থেকে মা আর অঞ্জুকে নিয়ে মুক্তি লাভ করতো । আপনি কিন্ত অন্য ভাবে নিয়েন না । আপনার গল্প আপনার মতই তো লিখবেন তাই না ?
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৩
রানার ব্লগ বলেছেন: আনি সত্যি অন্যভাবে নেই নাই। আপনি হ্যাপি এন্ডিং চাইছেন তাই এমন লাগছে আপনার। আসলে বাস্তবে হ্যাপি এন্ডিং কম হয় বা হয় না। মায়ের দুর্ব্যবহারের কারন ছিলো ছেলেটি বেশ বড় হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু কোন কাজ করতো না তার বয়সে তার ভাই কাজ করে অর্থ আনতো। কাজ করতো না বলেই মা কে অন্যের বাসায় কাজের মানুষ হিসেবে কাজ করতে হতো বাস্তবে এমন পরিস্থিতিতে মারা ছেলেদের প্রতি রুষ্ঠ থাকে। দরিদ্রতা এমন একটা বিষয় যা মানুষের মানবিক গুন থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।
আপনার মন্তব্য গুলো আমার প্রতিটি পর্ব লেখার উৎসাহ ছিলো। আমি অপেক্ষায় থাকতাম কখন আপনি কমেন্ট করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৪
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: নতুন কি আসছে? চমকপ্রদ সমসাময়ীক বিষয়বস্তু নিয়ে মজার কিছু আসছে আশা করি।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: শেষ পর্বটা কেমন হলো জানালেন না!!
নতুন কিছু আসবে!! আ সি তে ছে!!!!!
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো++++
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাপানা!!!
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আগের কয়েকটা পর্ব মনে হয় মিস করে গেছি!
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩২
রানার ব্লগ বলেছেন: পড়ে নিন সিরিয়ালি আছে।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গল্পেও তো আপনি দারুণ লোক। চমৎকার হয়েছে গল্পটি।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫২
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জীবন যে কত রকম !
ভালোলাগা লেখায়।
২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ !!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।